কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
হোমিওপ্যাথির ধারণা অনুযায়ী, যে কোনও অসুখের নেপথ্যে তিনটি মুখ্য কারণ থাকে। এই কারণগুলি হল, জীবাণু, পরিবেশ এবং রোগ প্রতিরোধ কম থাকা কোনও ব্যক্তি। রোগ প্রতিরোধের জন্য অসুখের এই কারণগুলির বিরুদ্ধে জয়লাভ করতে হবে।
পরিবেশগত দিক থেকে রোগ প্রতিরোধের জন্য মানুষের কাছে ভাইরাসের পৌঁছনো বন্ধ করা দরকার। সেক্ষেত্রে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং-এর মাধ্যমে রোগের ছড়ানো বন্ধ করা যায়। এবার আসছে রোগজীবাণুকে প্রতিরোধের পালা। সেজন্য নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোওয়া, স্যানিটাইজার ব্যবহার ইত্যাদির মাধ্যমে জীবাণুনিধন চলছে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল কোনও ব্যক্তির ইমিউনিটি কম থাকা এবং তৎসম্পর্কিত জটিলতা। অনেক মানুষের শরীরেই অজান্তে জীবাণু ঢুকে পড়ে। তবে সকলের রোগ দেখা দেয় না। রোগ হলেও তীব্রতা থাকে ভিন্ন। এই সমস্ত বিষয়গুলির পিছনে থাকে ইমিউনিটির কারসাজি।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উদ্দীপ্ত করে সক্রিয় করতে পারলে অনায়াসে জীবাণুর বিরুদ্ধে জয় পাওয়া সম্ভব। তাই হোমিওপ্যাথিতে ব্যক্তির সার্বিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ানোর চেষ্টা চলে। এই পদ্ধতিতে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সক্রিয় করতে পারলে, শুধু কোনও একটি ভাইরাস নয়, বরং বিভিন্ন ধরনের জীবাণু থেকে সুরক্ষা মেলে।
হোমিওপ্যাথিতে প্রতিরোধের ওষুধ—
আর্সেনিক অ্যালব্যাম ৩০: ভারত সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, এই ওষুধটির ৩০ নম্বর সাইজের বড়ি, রোজ চারটি করে পরপর তিনদিন সকালে খালিপেটে খেতে পারেন। ছোটদের ক্ষেত্রে একই ডোজে চারটির জায়গায় দুটি করে বড়ি দেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে সকালে উঠে শুধুমাত্র জল দিয়ে মুখ কুলকুচি করে ওষুধ খেতে হবে। ওষুধ খাওয়ার ৩০ মিনিট পর ব্রাশ করে খাবার খেতে পারেন। আয়ূশ মন্ত্রকের অধীনস্থ সিসিআরএইচ-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী, ঠিক একমাস পর এই নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ওষুধটি ফের খেতে হবে।
অনেকের মনেই প্রশ্ন আসে, যখন এই দেশে করোনার প্রভাব খুবই কম, তখনই কী করে সরকারের তরফে রোগ প্রতিরোধের জন্য এই ওষুধ ব্যবহারের ছাড়পত্র মিলল? আসলে হোমিওপ্যাথির ধারণা অনুযায়ী কোনও মহামারী হলে রোগের লক্ষণগুলিকে চিহ্নিত করা হয়। তার উপর নির্ভর করে নির্দিষ্ট অঙ্ক কষে ওষুধ ঠিক করা হয়ে থাকে। করোনা মহামারীর প্রথম পর্যায়ে চীন-ইতালি দেশে রোগের উপসর্গ দেখেই এ দেশের হোমিওচিকিৎসা বিজ্ঞানীরা ওষুধ ঠিক করেন। তাই একদম প্রথমেই সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছিল।
তবে এর পাশাপাশি অপর একটি হোমিওপ্যাথিক ওষুধের প্রোটোকলও সরকারের পক্ষ থেকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি পেয়েছে। এই প্রোটোকল অনুযায়ী, উপরিক্ত নিয়মে আর্সেনিক অ্যালবাম খাওয়ার ১৫ দিন পর ফসফরাস ৩০ ওষুধটি চারটি করে বড়ি পরপর তিনদিন খাওয়া যেতে পারে। আবার, ফসফরাস ৩০ খাওয়ার ১৫ দিন পরে টিউবারকিউলিনাম ২০০ ওষুধটি ৩০ নম্বর সাইজের চারটি করে বড়ি পরপর দু’দিন খাওয়া যায়। এই হল প্রোটোকল। প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে একবার এই প্রোটোকল মেনে তিনটি ওষুধ খেলে করোনা প্রতিরোধে ভালো ফল মেলে। কিন্তু ওষুধ খাবেন ডোজ মেনে। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে। মুড়িমুড়কির মতো নয়।
লিখেছেন সায়ন নস্কর