পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রাজ্যের বিভিন্ন কোভিড হাসপাতালের পোড়খাওয়া চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা রোগীদের অনেকের মধ্যেই তাঁরা ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখছেন। বহু রোগীকে ইনসুলিনও দিতে হচ্ছে। এর তিনটি সম্ভাব্য কারণ খুঁজে পেয়েছেন মেডিক্যাল কলেজ কোভিড হাসপাতালের সিসিইউ-এর চিকিৎসকরা। এক, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহু মানুষের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। আর রোগ হলে সেই স্ট্রেস লেভেল আরও বাড়ছে । অতিরিক্ত মানসিক চাপ যে সুগার বাড়ায়, তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। ফলে করোনা হলে সুগারের মাত্রা বাড়তেই পারে। দুই, যে কোনও সংক্রমণই সুগার বাড়ায়। করোনার সংক্রমণেও সেটা ঘটতে পারে। তিন, ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে হাজার হাজার মানুষ জানেনই না যে তাঁদের সুগার আছে। করোনা সংক্রামিত হওয়ায় কেউ হয়তো জীবনে প্রথম কী দ্বিতীয়বার হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। আগে কোনওদিন সুগার পরীক্ষা করাননি, এমন মানুষের সংখ্যাও ভূরি ভূরি। তাই কোভিডের জন্য ভর্তির পর বিভিন্ন রক্তপরীক্ষা করাতে গিয়ে সুগার ধরা পড়াটা আশ্চর্যের কিছু নয়। হয়তো বহু বছর ধরে তাঁর সুগার ছিলই! এই প্রথমবার পরীক্ষায় তা ধরা পড়ল।
করোনা ও সুগারের সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা চললেও কোভিড রোগীদের অন্যতম কো-মরবিডিটি যে ডায়াবেটিস, তা এখন প্রমাণিত সত্য। কোভিড আক্রান্তরা অন্য কী কী কারণে মারা যাচ্ছেন, তা নিয়ে রোজ হেলথ বুলেটিনে জানাচ্ছে স্বাস্থ্যদপ্তর। বুধবারের বুলেটিন থেকে জানা যাচ্ছে, বাংলায় করোনা আক্রান্ত মৃত পুরুষ রোগীদের ২০.৬৮ শতাংশ এবং মহিলাদের ২০.৮৫ শতাংশের ক্ষেত্রে কো-মরবিডিটি হল সুগার। বাংলায় করোনা আক্রান্তদের অন্যান্য কারণে মৃত্যুর তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে হাইপারটেনশন। দু’নম্বরে ডায়াবেটিস। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, তালিকায় কিছুদিন আগেও এক নম্বরে প্রেসার, দুইয়ে হার্টের অসুখ ও তিনে ছিল ডায়াবেটিস। সম্প্রতি হার্টের অসুখকে পিছনে ফেলে দুইয়ে উঠে এসেছে ‘রাজরোগ’।