গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সমস্যা ও সমাধান
গলা দিয়ে টক জল: সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর গলা দিয়ে হঠাৎই টক জল উঠে এল। পেটের উপরাংশ ও বুকের সামনের দিকের অংশে তীব্র জ্বালা শুরু হল। এই ধরনের সমস্যা শুরু হলে প্রথমেই মনে করুন গতকাল রাতের খাবার কখন খেয়েছেন। মনে রাখবেন ঘুমোতে যাওয়ার দু’ঘন্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া উচিত। প্রতিদিন গলা দিয়ে টক জল উঠে এলে রাতের খাবার খাওয়ার ২০ মিনিট আগে পিপিআই জাতীয় ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া যেতে পারে। তা সত্ত্বেও সমস্যা না কমলে এর সঙ্গে ইটোপ্রাইড বা ডোমপেরিডন জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। সবটাই কিন্তু ডাক্তারবাবুর সঙ্গে আলোচনা করে, তবেই।
গা গোলানো, বমি: কিছু খেলেই গা গোলাচ্ছে, বমি বমি ভাব বা রোগী বমিও করছেন। এক্ষেত্রে পিপিআই ও অনডেনসেট্রন জাতীয় ওষুধ দিনে দু’বার খাবার ৩০ মিনিট আগে খেলে অনেকের কাজ দেয়। নিজের চিকিৎসককে ফোন করুন। কী বলেন, দেখুন। সেইমতো ব্যবস্থা নিন।
লুজ মোশন: হঠাৎ লুজ মোশন শুরু হল। অল্পক্ষণের মধ্যেই তিন-চার বার আপনাকে বাথরুমে যেতে হয়েছে। প্রথমেই কোনও ওষুধ খাবেন না। নুন, চিনি, লেবু দিয়ে ওআরএস বানিয়ে বা বাজার চলতি ওআরএস কিনে সারাদিন ধরে একটু একটু করে পান করুন। অধিকাংশ ভাইরাল ডায়ারিয়া ২৪ ঘণ্টায় সেরে যায়।
যদি না কমে? ষাটের বেশি বা পনেরোর নীচে বয়স হলে এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধই খাওয়া উচিত নয়। ডায়ারিয়ার সময় রোগীর ডিহাইড্রেশন হচ্ছে কিনা, সেদিকেও খেয়াল রাখা জরুরি। রোগীর বয়স যদি ষাটের নিচে বা পনেরোর উপর হলে লোপেরামাইড দুই মিলিগ্রাম জাতীয় ওষুধ দিনে দু’বার দু’ঘণ্টা অন্তর খাওয়ালে অনেকের কাজ দেয়, এটুকু বলতে পারি।
মলের সঙ্গে রক্ত: মলের সঙ্গে রক্ত বেরচ্ছে, রোগীর জ্বরও রয়েছে। প্রথমেই স্টুলের রুটিন পরীক্ষা করান। এরপর চিকিৎসকের কাছে সেই রিপোর্ট পাঠিয়ে দিন। যদি স্টুলে পুঁজের মাত্রা বেশি থাকে, তাহলে তিনিই দেখবেন হয়ত অ্যান্টিবায়োটিক খাবার পরামর্শ দেবেন। রোগীকে সেইভাবে ৫-৭ দিন ওষুধ খাওয়াতে হতে পারে। তবে ডায়ারিয়া হলেই নিজের ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। চিকিৎসক যে যে ওষুধ বলবেন, যদি খাওয়া শুরু করেন, পুরো কোর্স অবশ্যই শেষ করবেন।
পেটের ওপরে ডানদিকে তীব্র ব্যথা, সঙ্গে বমি ভাব বা বমি করলে আলট্রাসোনোগ্রাম করিয়ে রোগীর গল ব্লাডার, লিভার বা পিত্তনালীতে কোনও সমস্যা আছে কিনা দেখতে হবে।
পেটের ওপরের বাঁদিকে ও মধ্যস্থলে ব্যথা করলে লাইপেজ পরীক্ষা করিয়ে রোগীর প্যাংক্রিয়াসে সমস্যা হয়েছে কিনা দেখা উচিত।
ডানদিকের নিচের পেটে হঠাৎ তীব্র ব্যথা শুরু হলে অ্যাপেনডিসাইটিসের প্রদাহের কথা মাথায় রেখে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া দরকার।
পেটের বাঁদিকের নিচে ব্যথা হলে কোলন ইনফেকশন বা কোলাইটিসের কথাই প্রথমে মনে আসে।
ডান বা বাঁদিকের পিঠের পাঁজরের ঠিক তলায় তীব্র ব্যথা শুরু হল এবং তা যদি পেটের সামনের দু’ধারে নেমে আসে তাহলে কিডনিতে পাথর হলেও হতে পারে।
করোনার প্রকোপ এখনও কিছুমাত্র কমেনি। তাই বাড়ির বাইরে বেরলে সাবধানতা অবলম্বন করে তবেই বেরবেন।