ডাঃ মেঘনাদ রায়: ৩০ মে, শনিবার সকালে একটু গলাব্যথা আর কাশি হচ্ছিল। ভাবলাম এ আর নতুন কী, প্রায়ই হয়। আগের দিন একটু ঠান্ডাও লেগেছিল। কাশি বাড়তে শুরু করল। একটা সময় এমন কাশি, কথা বলা যায় না! তাতেও অতটা সন্দেহ হয়নি। কারণ জ্বর ছিল না। মঙ্গলবার রাত থেকে জ্বর শুরু হল। আর অপেক্ষা করলাম না। কোভিড পরীক্ষা করাতে করোনা ধরা পড়ল। ভর্তি হলাম দিসান হাসপাতালে। প্রথম দিনটায় প্রচণ্ড মাথা যন্ত্রণা করছিল। এতটাই, যেন ছিঁড়ে যাচ্ছে। তারপর ধীরে ধীরে সয়ে এল। অক্সিজেন থেরাপি চলল। দু’দিন আইসিইউতে ছিলাম। অতগুলো দিন, কী করব! ওয়ার্ডে থাকার সময় রোজ গান শুনেছি মোবাইলে। মন ভালো হয়েছে। আর একটি বিষয়, প্রথম থেকে ঘাবড়ে যাইনি। ভয় পাইনি। উল্টে নিজেকে নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত ছিলাম না। যত চিন্তা জুড়ে থাকত পরিবার নিয়ে, চিকিৎসক স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে। ওঁদের যেন কিছু না হয়। দেখতে দেখতে ১২ দিন কাটল। বাড়িও ফিরলাম। এই দেখুন না, দিব্য আছি। প্রিয়জনের হাসির চেয়ে অম্লান কিছু হয় নাকি!
আপনাদের বলব, করোনা তো কীসের হাতিঘোড়া ব্যাপার! উপসর্গের দিকে লক্ষ্য রাখুন। জ্বর, গলা ব্যথা, কাশি, শ্বাসকষ্ট এগুলি দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তার দেখান। বিশেষত শ্বাসকষ্টকে একেবারেই অবহেলা নয়। আর বলব, প্লিজ, ভয় পাবেন না। আমরা না অমিতশক্তিধর ব্রহ্মাণ্ডজয়ী মানুষ! করোনাকে জয় করতে পারব না?
অনুলিখন: বিশ্বজিৎ দাস