বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
মুশকিল হল, কীভাবে বুঝবেন কোনটি চোখের সাধারণ সমস্যা, কোনটি জটিল? তাছাড়া বিভিন্ন গবেষণায় ইতিমধ্যেই প্রমাণিত, চোখের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে ষোলোআনা। মোট কথা চোখের কী কী উপসর্গে চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি, তা এইবেলা জেনে নেওয়া দরকার—
চোখ লাল: কনজাংটিভাইটিস বছরের যে কোনও সময় হতে পারে। প্রধানত চোখে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের জন্য হয়। প্রধান উপসর্গ চোখ লাল হওয়া। ফলে সাধারণভাবে চোখ লাল হলে সাধারণ মানুষ একে সেভাবে পাত্তা দেন না। অথচ গবেষণা বলছে, করোনা সংক্রমণ হলেও তার অন্যতম লক্ষণই হল চোখ লাল হওয়া।
চোখ থেকে কীভাবে করোনা ছড়ায়?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চোখ পর্যন্ত ভাইরাস চলে যাওয়ার প্রধান কালপ্রিট হল আমাদের হাত। কোনও ফোমাইট অর্থাৎ টেবিল, চেয়ারে, বাসের হাতল অথবা যেখানে ভাইরাসশুদ্ধ ড্রপলেট পড়ে থাকতে পারে, সেখানে হাত দেওয়ার পর চোখ স্পর্শ করলে, চোখে ভাইরাস প্রবেশ ও সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কোনওভাবে চোখের অশ্রুগ্রন্থিতে ভাইরাস পৌঁছলে, তা প্রথমে চলে যায় নেত্রনালীতে। এরপর সেখান থেকে নাকে। নাক থেকে শ্বাসযন্ত্রে। তারপর সারা শরীরে।
অতএব সাধারণ মানুষ যাঁরা চোখ লাল হওয়ার সমস্যায় ভুগছেন, অবশ্যই আগে ফোনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অবস্থা বুঝলে চিকিৎসক রোগীকে হাসপাতালে আসতে বলবেন ও প্রাথমিক পরীক্ষানিরীক্ষার পরে প্রেসক্রিপশনে কোভিড টেস্ট করাতে লিখবেন।
চোখে সংক্রমণ এড়াতে কী করবেন?
১. বাড়িতে থাকলেও অন্তত আধঘণ্টা চল্লিশ সেকেন্ড অন্তর সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। হাত থেকে ভাইরাস দূর করতে হলে সাবানের বিকল্প নেই।
২. বাইরে বেরলে ৯৫ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে হাত জীবাণুমুক্ত করার পরেই চোখে হাত দেবেন।
৩. বাইরে বেরলে চশমা পড়ুন। পাওয়ারবিহীন চশমাও ব্যবহার করতে পারেন। বাড়িতে থাকাকালীন কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। চশমা পরুন।
অন্যান্য সমস্যা
ছানি: যাঁরা ইতিমধ্যে ছানি অপারেশন করাবেন ভেবেছিলেন, অথচ করাতে পারেননি, চিন্তিত হবেন না। খুব সমস্যা না হলে আরও ক’দিন অপেক্ষা করা যাবে।
পাওয়ার: পাওয়ারের চেকআপও ক’দিন পরে করলে খুব সমস্যা হবে না।
আপদকালীন পরিস্থিতি
আঘাত: চোখে যে কোনও আঘাত পেলে দেরি না করে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসুন। বয়স্ক মানুষের চোখে থেকে রক্তপাত হলেও হাসপাতালে আনতে হতে পারে।
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি: এই সমস্যা থেকেও চোখে রেটিনাল ডিটাচমেন্ট ও রক্তপাতের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। অতএব ডায়াবেটিকদের জন্য পরামর্শ হল, সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখুন। কারণ, রেটিনোপ্যাথি ছাড়াও গ্লকোমায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়িয়ে দেয় সুগার।
কী করবেন?
বহু চোখের হাসপাতালই রোগীকে অনলাইনে পরামর্শ দিচ্ছে। অনলাইনে পরামর্শ নিতে পারেন। তবে চোখের রোগে অনলাইনে পরামর্শ নেওয়ার কিছু সমস্যা রয়েছে। কারণ, রোগ ভিন্ন হলেও উপসর্গ কিছু ক্ষেত্রে একইরকম হয়। আধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়া প্রকৃত অসুখ নির্ণয় করা প্রায় অসম্ভব। তবে কোনটি আপদকালীন পরিস্থিতি, কোনটি নয়, তা চিকিৎসক বুঝতে পারেন। তিনি পরামর্শ দিলে রোগী হাসপাতালে হাজির হবেন বা বাড়িতেই চোখের যত্ন নিয়ে সামান্য সমস্যা দূর করতে পারবেন।
লিখেছেন সুপ্রিয় নায়েক