বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
যোগ বিশারদদের বক্তব্য, প্রশিক্ষকের নির্দেশ ছাড়াই কুম্ভক বা দীর্ঘসময় দম আটকে রেখে উচ্চমার্গের প্রাণায়াম করলে রক্তে ক্ষতিকারক কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে অঘটন ঘটতে পারে। এক বিখ্যাত প্রশিক্ষক তথা জিমের কর্ণধারের কথায়, প্রিয় নায়ক-নায়িকার সুঠাম শরীর দেখে প্রলোভিত হচ্ছেন অনেকে। লকডাউনে বাড়িতে বসে থেকে হঠাৎই ভারী ব্যায়াম ও প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়া শুরু করেছেন তাঁরা। প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া এসব করলে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। লিগামেন্টে চোট বা পেশিতে টান ধরতে পারে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনি, লিভার, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের সমস্যায় হঠাৎ করে মাত্রাতিরিক্তি এক্সারসাইজ নৈব নৈব চ। হার্ট ও ফুসফুসের সমস্যা থাকলে জীবন নিয়ে টানাটানিও হতে পারে। কমবয়সিরা আগে এক্সারসাইজ না করে থাকলে হুট করে ভারী ব্যায়াম ও লোহা তুলতে যাবেন না। হার্টের অসুখ হাইপারট্রফিক কার্ডিওমায়োপ্যাথি সাধারণ অবস্থায় ধরা পড়ে না। তাই ভারী ব্যায়ামে হঠাৎ হৃদপিণ্ডের স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটে প্রাণসংশয় পর্যন্ত হতে পারে।
তাহলে কি লকডাউনে মেদ ঝরানোর, ফিট থাকার, প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপায় নেই? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেমন হবে কেন? ঘরেই আধঘণ্টা হাঁটুন। পারলে বাড়ির একটি জায়গা বেছে নিয়ে ছোটবেলায় স্কুলে পিটি করার মতো ব্যায়াম করুন। হাঁটু মুড়ে মাটিতে বসে পঞ্চাশবার ধীরে ধীরে শ্বাস টানা ও ছাড়ার ব্যায়াম করতে পারেন। অনুলোম-বিলোম, কপালভাতিতেও বাধা নেই। জিম-প্রেমীরা প্রশিক্ষকের সঙ্গে ফোনে কথা বলে বাড়িতে খালি হাতের ব্যায়াম করুন। তবে, মাস্ক পরে ব্যায়াম নয়। শরীরচর্চার সময় মাস্ক পরে থাকলে, যতটা বাতাস ফুসফুস থেকে ঢোকা-বেরনো দরকার, তা হয় না। মারাত্মক চাপে ফুসফুসে ছিদ্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অতএব, হাঁটাহাঁটি , ছোটাছুটি ও শরীরচর্চার সময় মাস্ক খুলে রাখাই শ্রেয়।