বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
লকডাউনে অবশ্যই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে লকডাউন যেমন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার অস্ত্র হয়ে উঠছে তেমনই এই অস্ত্রই আবার দুঃসহ ক্ষুধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। লকডাউনের কারণে বহু মানুষের রোজগার বন্ধ। সামান্য খাদ্যের সংস্থানটুকু করা সম্ভব হচ্ছে না! অতএব লকডাউন বাড়লে দুঃস্থ পরিবারগুলিতে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকে। এমনকী লকডাউন উঠে যাওয়ার পরেও কয়েকসপ্তাহ অন্নের সংস্থান করে যেতে হবে। না হলে মানুষের প্রাণ বাঁচানোর এই প্রচেষ্টা সফল হবে না। সংক্রমণে না হলেও মানুষ মারা পড়বে ক্ষুধায়!
সারা বিশ্বে যত মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তের সংখ্যাই বেশি। আমেরিকা, ইউরোপেও দেখা যাচ্ছে একই চিত্র। এই শ্রেণীর মানুষের হাতে স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করার মতো অর্থ থাকে না। দিন আনি দিন খাই সম্প্রদায়কে ঘরে ধরে রাখাও মুশকিল। সমস্যা হল, লকডাউন হুট করে তুলে নেওয়া যাবে না। ধীরে ধীরে তুলতে হবে। ফলে এই শ্রেণীর মানুষকে ঘরের ভিতর ধরে রাখতে হলে বড়সড় প্রকল্পের কথা ভাবতে হবে। প্রশ্ন হল, তবে কি অবস্থা এমনই যে ঘর একেবারে বেরনই যাবে না? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে পরিসংখ্যানের দিকে চোখ রাখতে হবে। ভারতে যে কতকগুলি টেস্ট করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রতি ২৪ জনে ১ জন করে করোনা রোগী সনাক্ত হচ্ছেন। মার্কিন মুলুকে এই সংক্রমণের হার প্রতি ৭ জনে ১ জন এবং জাপানে প্রতি ১১ জনে ১জন। আমাদের দেশে সংক্রমণের হার কম বলে নিয়মকানুনে শিথিলতা আনলে চলবে না। আমাদের দেশের বিপুল জনসংখ্যার কথা ভুলে গেলে বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে। নিজের সুরক্ষায় তাই জুন-জুলাই মাস অবধি মুখে থাক মাস্ক, সাবান দিয়ে ঘন ঘন হাত ধোওয়ার অভ্যেস আর ভিড় এড়িয়ে চলার প্রবণতা।
লিখেছেন সুপ্রিয় নায়েক