বিদ্যার্থীরা কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষার ভালো ফল করবে। বিবাহার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের কারও ... বিশদ
নোভেল করোনার করাল গ্রাস থেকে রক্ষা পেতে সাবান এবং স্যানিটাইজারের কদর প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। চাহিদা এতটাই বেশি যে বাজারে স্যানিটাইজার তো প্রায় পাওয়াই যাচ্ছে না। আর সাবান পাওয়া গেলেও তার বিক্রি বেড়েছে কয়েক গুণ।
তবে এসবের মাঝেও একটা জরুরি প্রশ্ন জনগণের হৃদয় মাঝে গেঁথে বসে আছে। সেই প্রশ্ন হল, সাবান এবং স্যানিটাইজারের মধ্যে আসল শক্তিমান কে? কার দুর্ধর্ষ দাপটের কাছে সহজে হার মানবে মারণ নোভেল করোনা? অবশ্য সেই উত্তর জানার আগে সাবান এবং স্যানিটাইজারের কাজের পদ্ধতি জেনে নেওয়াটা দরকার।
কীভাবে কাজ করে সাবান ও স্যানিটাইজার?
একটি ভাইরাসের ভিতরের অংশ তৈরি হয় প্রোটিন দিয়ে। আর লিপিড বা ফ্যাট দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে তার বাইরের অংশ। ফ্যাট দিয়ে তৈরি ভাইরাসের বাইরের এই আবরণী অংশকে ডাক্তারি পরিভাষায় এনভেলপ বলে।
এবার আসা যাক সাবানের কথায়। সাবানের মধ্যে রয়েছে দু’টি ভাগ— হাইড্রোফোবিক এবং হাইড্রোফিলিক। সাবানের হাইড্রোফোবিক অংশ ফ্যাটকে আকর্ষণ করে। আর হাইড্রোফিলিক অংশ আকর্ষণ করে জল। এবার সাবান ও জল ব্যবহার করে হাত ধোয়ার সময় সাবানের হাইড্রোফিলিক অংশ জলকে আকর্ষণ করে এবং হাইড্রোফোবিক অংশ ভাইরাসের লিপিডের আস্তরণকে আকর্ষণ করে। এই সাঁড়াশি আক্রমণে ভাইরাসের লিপিড লেয়ার নষ্ট হয় এবং ভাইরাস মরে যায়। তবে মনে রাখতে হবে, এই সুবিধা পেতে আপনাকে ন্যূনতম ২০ সেকেন্ড সাবান জল দিয়ে হাত ধুতেই হবে।
অন্যদিকে স্যানিটাইজারের মধ্যে ৬০ শতাংশ বা তার বেশি পরিমাণ ইথাইল অ্যালকোহল রয়েছে। এই ইথাইল অ্যালকোহলও ভাইরাসের ফ্যাটের লেয়ার ভেঙে দিয়ে ভাইরাসকে মেরে ফেলতে সক্ষম।
কোনটা ভালো?
অবশ্যই স্যানিটাইজারের তুলনায় সাবান ব্যবহার অনেক বেশি নিরাপদ। কারণ হাত ঘেমে থাকলে, হাতে ধুলো-বালির মতো নোংরা থাকলে স্যানিটাইজার ভালো কাজ করতে পারে না। এমন অবস্থায় জীবাণু মুক্তির একমাত্র রাস্তা হল সাবান-জল।
তাই হাতের কাছে সাবান ও জলের ব্যবস্থা থাকলে তা দিয়েই হাত ধোয়া উচিত। আর রাস্তাঘাটে বা সাবান-জলের ব্যবস্থা নেই— এমন জায়গায় অনায়াসে স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যায়।