গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কমিশনের তৈরি করা রুটিনে বলা হয়েছে, সকালটা যোগ বা প্রাণায়াম দিয়ে শুরু করা যেতে পারে। তারপর বাচ্চাদের হাল্কা শরীরচর্চা করানো যেতে পারে। বাড়ির ছাদ বা ব্যালকনিতে একটু দৌড়াদৌড়ি করতে উৎসাহ দিতে হবে তাদের। এছাড়া কেউ যদি মনে করে, তাঁদের বাচ্চাকে দিয়ে বিছানা গোছানোর মতো কাজ করাবেন, তাও ভালো। ব্রেকফাস্টে পাউরুটিতে মাখন লাগানো, কিংবা সেদ্ধ ডিমের খোসা ছাড়ানের কাজ দেওয়া যেতে পারে তাদের।
একটু বেলাতে বাচ্চাদের পড়াশোনা বা সেই সংক্রান্ত কাজে বসাতে হবে। তার মধ্যে গল্পের বই পড়ার অভ্যাস তৈরি থেকে, হাতের লেখার অনুশীলন করার মতো কাজ রাখতে হবে। এর বাইরে নানা পাজল বা শিশুর যদি গান-বাজনায় আগ্রহ থাকে, তাহলে সেই চর্চার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া এই সময়ে একটু গিটার বা অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র বাজানোর অভ্যাস তৈরি করার প্রতি জোর দিতে পারেন অভিভাবকরা।
সন্ধ্যার পর পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর উপর জোর দিতে হবে। সন্ধ্যায় বহু বাড়িতে মুড়ি মাখা কিংবা ম্যাগি জাতীয় খাবার খাওয়া হয়। কমিশনের মতে, বাচ্চাদের এই মশলা মুড়ি তৈরি করার জন্য উৎসাহ দেওয়া যেতে পারে। বাড়িতে যদি বাগান থাকে, তাহলে বাচ্চাদের গাছপালায় জল দেওয়ার মতো কাজেও নিযুক্ত করুক মা-বাবারা। গান চালিয়ে বাচ্চাদের নাচ করাতেও উৎসাহ দিতে পারেন তাঁরা। তার মধ্যেই সীমিত সময়ে টিভি দেখার সুযোগও দেওয়া দরকার তাদের। ডায়েটিশিয়ান বিশেষজ্ঞ শম্পা চক্রবর্তীর তৈরি করে দেওয়া খাদ্য তালিকায় কোন বয়সের বাচ্চাদের কতটা পরিমাণে পুষ্টি, ক্যালরি প্রয়োজন, তা বলা হয়েছে। সাত থেকে নয়, ১০-১৬, ১০-১২, ১৩-১৬ বয়সের বাচ্চাদের খাদ্যতালিকা তৈরি করে দিয়েছেন তিনি। কোন বয়সে কটা রুটি, কতটা ভাত, ফল কখন খাবে ইত্যাদি বলা হয়েছে। কমিশনের মতে, এই পুষ্টিজনিত খাবারের তালিকা অনুসরণ করলে শিশুদের পুষ্টিতে যেমন ঘাটতি হবে না, তেমনই জাঙ্ক ফুডের প্রতিও আগ্রহ কমবে।