পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বাচ্চাদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের প্রভাব সম্বন্ধে বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অপূর্ব ঘোষ বলেন, মূলত ফুসফুস আক্রান্ত হলেই এই অসুখ জটিল দিকে মোড় নিতে পারে। এক বছরের নীচের বাচ্চার ফুসফুস ছোট থাকে। তাই এই বয়সের বাচ্চাদের নোভেল করোনা সংক্রমণ থেকে ফুসফুস ব্লক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি। অবশ্য সদ্যোজাতদের মধ্যে এই সমস্যা অতটা জটিল দিকে গড়াতে দেখা যাচ্ছে না। বাচ্চার বয়স একের বেশি হলে তার ফুসফুস বড় হতে থাকে। ফুসফুসে সংক্রমণের আশঙ্কা কমে। তবে নিশ্চিন্ত হওয়ার কিছু নেই। বরং সব বয়সি বাচ্চাকেই এই কঠিন রোগ থেকে দূরে রাখা দরকার। করোনার মতো জটিল অসুখ থেকে বাচ্চাদের রক্ষা করতে অভিভাবকের সচেতনতাই মূল হাতিয়ার। জানালেন আর এক শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দীপশিখা মাইতি। তাঁর কথায়, এই সময়ে বাচ্চাকে বাড়ির বাইরে একেবারেই বের হতে দেওয়া যাবে না। বাড়িতে অসুস্থ ব্যক্তির থেকে দূরে রাখতে হবে। খুব ছোট শিশুর কাছে অভিভাবকরা ছাড়া অন্য কারও না যাওয়াই ভালো। অভিভাবকদেরও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। এছাড়া একটু বড় বাচ্চাদের মধ্যে বারবার হাত ধোয়ার অভ্যাস তৈরি করা দরকার। প্রথমে বাচ্চার সঙ্গে অভিভাবককেও হাত ধুতে হবে। তবেই বাচ্চার বারবার হাত ধোয়ার অভ্যাস তৈরি হবে। হাত ধুতে হবে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে। ওদের ২০ সেকেন্ডের হিসেব বোঝানো কঠিন। তাই হাত ধোয়ার সময় টুইঙ্কেল টুইঙ্কেল ছড়াটি দু’বার বলতে বলুন। এভাবে ও আনন্দও খুঁজে পাবে। অভিভাবকের কাজও সহজে হয়ে যাবে। এছাড়া বাড়ি-ঘর পরিষ্কার রাখা দরকার। নিয়মিত বাচ্চার খেলার সামগ্রীগুলিকেও গরম জল দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে বলেও জানিয়েছেন ডাঃ মাইতি।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, বাড়ির বাইরে বেরতে না পারার জন্য বাচ্চারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারে। এই সমস্যা সমাধানে অভিভাবকরা বাচ্চার সঙ্গে বেশি সময় কাটান। পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়িতেই খেলা, আঁকা বা ওর পছন্দের কাজ করতে দিন। এছাড়া বাচ্চাকে করোনা সম্বন্ধে সহজ করে বোঝান। তবেই বাড়ির খুদে সদস্যটি রোগটির গুরুত্ব সম্বন্ধে সচেতন হবে। এখন ইন্টারনেটে করোনা সচেতনতার কমিকস পাওয়া যাচ্ছে। বাচ্চাকে সেই কমিকসও দিতে পারেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এইসব সত্ত্বেও কিছু বাচ্চা করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে বাচ্চাদের মধ্যে করোনার উপসর্গগুলি জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। বিশিষ্ট পেডিয়াট্রিশিয়ান ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী জানালেন, বাচ্চার জ্বর থাকবে। গায়ের তাপমাত্রা ১০০ থেকে ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইটের আশপাশে থাকতে পারে। গলা ব্যথা, গা-হাত-পা ব্যথা হতে পারে। একদম ছোট বাচ্চারা ব্যথার অভিযোগ জানাতে না পারলেও জ্বরের পাশাপাশি তারা অতিরিক্ত কান্নাকাটি করবে। গলা ব্যথা থাকলে একদম ছোট বাচ্চা খেতেও চাইবে না। তাই এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই বাচ্চাকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান। চিকিৎসক উপসর্গ দেখে বাচ্চার করোনা পরীক্ষা করতে বলতে পারেন। ঘাবড়ানোর কিছু নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন।