Bartaman Patrika
শরীর ও স্বাস্থ্য
 

নোভেল করোনা ভাইরাস কি জীবাণু অস্ত্র?
মহামারীর সঙ্গে লড়াই করতে গবেষণাও জরুরি

 
জানাচ্ছেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন ইউনিটের প্রধান ডাঃ সুগত দাশগুপ্ত।

• নোভেল করোনা কি জীবাণু অস্ত্র?
•• বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন মহলে ছড়াতে শুরু করেছে আতঙ্ক। কেউ কেউ হয়তো মনে করছেন সাম্প্রতিক নোভেল করোনা ভাইরাস আসলে একধরনের জীবাণু অস্ত্র এবং তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে! অথচ সত্যিটা হল নোভেল করোনা ভাইরাসকে জীবাণু অস্ত্র ভাবার কোনও কারণ নেই। এখনও পর্যন্ত করোনার বিরুদ্ধে এইরকম কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কোভিড-১৯ একটি বিশ্বব্যাপী মহামারী। একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সেভাবেই এর মোকাবিলা সারা পৃথিবী করছে। আমাদের দেশ এবং রাজ্যও করছে। আমরা সবাই করছি।
• জীবাণু অস্ত্র তাহলে কী?
•• ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া হল এক ধরনের অণুজীব। এই ধরনের অণুজীব দ্বারা তৈরি হয় বায়োলজিক্যাল উইপেন বা জীবাণু অস্ত্র। উদাহরণ হিসেবে অ্যানথ্রাক্স, বটুলিনিয়াম টক্সিন, প্লেগের মতো জৈবিক উপাদানের কথা বলা যায়। কোনও রাষ্ট্র বা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী দ্বারা পরীক্ষাগারে এই ধরনের জীবাণু প্রস্তুত করে অন্য কোনও রাষ্ট্রে নিয়ন্ত্রিতভাবে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়িয়ে দিলে তখন বলা যায় জীবাণু অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, যে পক্ষ জীবাণু ছড়াচ্ছে, তারা কিন্তু এই জীবাণু অস্ত্রের দ্বারা বহুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। শত্রুপক্ষ জীবাণুর ক্ষতিকর প্রভাবে ভোগে। ক্ষতিকর অণুজীবগুলি খুব কম সময়ের মধ্যে উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহে ছড়িয়ে যায়, বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি করে ও দ্রুত জীবটির মৃত্যু ঘটায়।
• জীবাণু অস্ত্র ব্যবহারের নজিরগুলি সম্পর্কে যদি বলেন?
•• আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল-এর পক্ষ থেকে জীবাণু অস্ত্রের ভয়াবহতার উপর ভিত্তি করে মোট তিনটি শ্রেণীবিভাগ করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গেই জানিয়ে রাখি, খোদ আমেরিকার বিরুদ্ধেই কিন্তু বেশ কয়েকবার জীবাণু অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে! এবার দেখে নেওয়া যাক জীবাণু অস্ত্রের শ্রেণীবিভাগ এবং সেগুলি ব্যবহারের নজির।
বিভাগ-ক (জনস্বাস্থ্যের প্রবল ক্ষতি)
১) অ্যানথ্রাক্স রোগ। রোগের কারণ ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস (ব্যাকটেরিয়া)। এই জীবাণু অস্ত্রের ব্যবহার করা হয়েছিল প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে। এছাড়া জানা যায়, সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৭৯ সালে, জাপান ১৯৯৫ সালে ও আমেরিকা ২০০১ সালে এই জীবাণুর অপব্যবহার করে।
২) বটুলিজম অসুখ। রোগের কারণ ক্লসট্রিডিয়াম বটুলিনাম টক্সিন ব্যাকটেরিয়া। শোনা যায় বিশ্বযুদ্ধগুলিতে ছাড়াও পরবর্তীকালে সোভিয়েত ইউনিয়ন জাপান ও আমেরিকা এই ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহার করেছিল।
৩) হেমোরেজিক ফিভার (অসুখ)। মারবার্গ, ইবোলা, অ্যারেনা ভাইরাস। সোভিয়েত ইউনিয়ন জৈব অস্ত্র হিসেবে এই ভাইরাসের ব্যবহার করেছিল বলে সন্দেহ করা হয়।
৪) প্লেগ রোগ। অসুখের কারণ ইয়েরসিনিয়া পেস্টিস ব্যাকটেরিয়া। চতুর্দশ শতকে ইউরোপে প্রকোপ দেখা যায়। এছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও এই ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহার হয়েছিল বলে সন্দেহ।
৫) স্মল পক্স অসুখ। রোগের কারণ ভ্যারিওলা ভাইরাস। উত্তর আমেরিকায় অষ্টাদশ শতকে এই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছিল।
৬) টুলারেমিয়া অসুখ। রোগের কারণ ফ্রান্সিসেলা টুলারেনসিস ব্যাকটেরিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এই ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহার করা হয়েছিল।
বিভাগ-খ (জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি)
১) ব্রুসেলোসিস অসুখ। কারণ ব্রুসেলা ব্যাকটেরিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল।
২) কলেরা। কারণ ভিব্রিও কলেরি ব্যাকটেরিয়া। ব্যবহার হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে।
৩) এনকেফেলাইটিস। রোগের কারণ আলফা ভাইরাস। ব্যবহার হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে।
৪) ফুড পয়েজনিং। সালমোনেলা, শিগেলা ব্যাকটেরিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং ৯০-এর দশকে শীতল যুদ্ধে আমেরিকা এই ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহার করে বলে সন্দেহ।
৫) গ্ল্যান্ডার্স। বারখলডেরিয়া ম্যালেই ব্যাকটেরিয়া। ব্যবহার করা হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধে।
৬) সিটাকসিস অসুখ। ক্ল্যামাইডিয়া সিটাকি ব্যাকটেরিয়া। ব্যবহার করা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে।
৭) কিউ ফিভার । কক্সিয়েল্লা বারনেটি ব্যাকটেরিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
৮) টাইফাস রোগ। রিকেটসিয়া প্রাওয়াজেকি(রিকেটশিয়া)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহার হয়েছিল।
বিভাগ-গ
(নতুন জীবাণু যাদের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বারা বেশি ক্ষতিকারক করে তোলা হয়)
 হান্টা ভাইরাস, নিপা ভাইরাস, টিক্-বর্ন এনকেফেলাইটিস ভাইরাস, হেমারেজিক ফিভার ভাইরাস, ইয়েলো ফিভার ভাইরাস সমূহ এবং বিভিন্ন মাল্টিড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া।
• জৈব অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে কি কোনও ব্যবস্থা নেই?
•• প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জীবাণু অস্ত্রের ব্যবহারের ভয়াবহতা কাঁপিয়ে দিয়েছিল সমগ্র বিশ্বকে। লক্ষ লক্ষ মানুষ এবং সৈনিকের অকাল মৃত্যুর কারণে জীবাণু অস্ত্রের ব্যবহারকারী রাষ্ট্রের প্রতি ক্ষোভ বাড়ছিল ক্রমশ। আন্তর্জাতিক নানা মহলের চাপে শেষ পর্যন্ত ১৯২৫ সালে স্বাক্ষরিত হয় জেনেভা চুক্তি। এই চুক্তি অনুযায়ী সমগ্র বিশ্বজুড়েই জীবাণু অস্ত্র ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়। তবে জেনেভা চুক্তিতে জীবাণু .নিয়ে গবেষণা স্তব্ধ করার কথা বলা হয়নি। তাই বিভিন্ন দেশ যেমন ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, ইতালি, কানাডা, বেলজিয়াম, পোলান্ড, সোভিয়েত ইউনিয়ন (অধুনা রাশিয়া) জীবাণু নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যেতে থাকে। মনে রাখতে হবে, ১৯২৫ সালের জেনেভা চুক্তিতে আমেরিকা কিন্তু সই করেনি। বরং জীবাণু গবেষণাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যায় তারা। এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধলে ফের জীবাণু অস্ত্রের ব্যাপক ব্যবহার দেখা যায়। পুনরায় সংগঠিত হয় প্রতিবাদ চিকিৎসাশাস্ত্রের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে। জেনেভা চুক্তির অর্ধশতক পর, অর্থাৎ ১৯৭৫ সালে আয়োজিত হয় বায়োলজিক্যাল উইপেনস কনভেনশন (বিডব্লিউসি)। সেখানে সমস্তরকমের জীবাণু অস্ত্র তৈরি ও মজুত রাখা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। আগে থেকে মজুত করা সমস্ত জীবাণু বা জৈব অস্ত্র ধ্বংস করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। আমেরিকাও শেষ পর্যন্ত এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। মনে রাখতে হবে, ১৯৭৫ সালের বিডব্লিউসি ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি যেখানে শুধুমাত্র রোগ প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয় বা রোগ নিরাময়ের জন্য জীবাণু বা জৈব পদার্থের ব্যবহার বাদ দিয়ে সমস্ত রকম হানিকর জীবাণু অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। ১৯৭৫-এর পর থেকে প্রতি ৫ বছর এই নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। এখনও এই কাজ চলছে।
২০১৫ অবধি ভারত সহ বিশ্বের ১৭৩টি দেশ এই চুক্তির আওতাধীন হয়েছে। তবে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, জেনেভা চুক্তি বা বিডব্লিউসি— কোনও চুক্তিতেই জীবাণু নিয়ে গবেষণা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়নি।
এই প্রসঙ্গেই বলে রাখি, ২০০১ সালে ‘আমেরিকার অ্যানথ্রাক্স লেটারস’ বা ‘অ্যানথ্রাক্স পত্র’ র ঘটনার পরে গত কুড়ি বছরে সারা পৃথিবীতেই কোনও প্রমাণিত জীবাণু-অস্ত্র ব্যবহারের ঘটনা ঘটেনি।
• জীবাণু নিয়ে গবেষণা চলছে মানে, বেশ কিছু দেশের কাছে ভয়ঙ্কর জীবাণু রয়েই গেছে?
•• উন্নত বেশ কিছু দেশে মারাত্মক ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাযুক্ত পরীক্ষাগারে জীবাণু নিয়ে গবেষণা চলতেই পারে। কোন ধরনের জীবাণু আছে তা বলা সম্ভব নয়।
জীবাণু নিয়ে গবেষণা মূলত তিনটি কারণে করা হয়—
ক) জীবাণু সংক্রমণের দ্বারা হওয়া ব্যাধির উন্নততর নির্ণয়পদ্ধতি আবিষ্কার।
খ) রোগ প্রতিরোধের জন্য উন্নততর ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক আবিষ্কার।
গ) রোগ নিরাময়ের উন্নততর ওষুধ আবিষ্কার।
এবার খেয়াল করে দেখুন, বহু জটিল রোগের জন্ম দেওয়া ভাইরাসের বিরুদ্ধে কোনও ওষুধ আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ আজকের কোভিড-১৯ এবং ডেঙ্গু। এমনকী এর আগে অন্যধরনের করোনা ভাইরাস দ্বারা হওয়া সার্স বা মার্স-এর কোনও অব্যর্থ ওষুধ তৈরি হল না। এমনকী প্রতিষেধকও তৈরি হল না। ভারতেই ডেঙ্গুতে দেশ জুড়ে বহু প্রাণহানি হওয়া সত্ত্বেও আজ অবধি কোনও ওষুধ বা ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। এই প্রসঙ্গেই একটা কথা বলা দরকার— শুধু জীবাণু অস্ত্র নিয়েই আমরা এতক্ষণ কথা বলছি। অথচ খেয়াল করে দেখুন, সচেতনতার অভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে নিঃশব্দে, বহু ব্যাকটেরিয়া ভোল বদল করে ফেলছে।
আজকের ক্রিটিক্যাল কেয়ার চিকিৎসার একটি বড় সমস্যা হল, বিভিন্ন মারণ ব্যাকটেরিয়ার চরিত্রে রদবদল এবং উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়া। ফলে চেনাজানা বহু ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে উন্নত সব অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করছে না! বহু ওষুধে কাজ না হওয়া ব্যাকটেরিয়াদের বলা হয় মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া। এই সব সংক্রমণ মারাত্মক। কারণ চিকিৎসক হিসেবে মোকাবিলা করার মতো পর্যাপ্ত রকমের ওষুধ আমাদের হাতে থাকে না। এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া পরিবেশে ছড়িয়ে পড়লে কী হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। তাই গবেষণা থমকে দেওয়ার ফল মারাত্মক হতে পারে।
• জীবাণু অস্ত্র প্রয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের দেশের অবস্থান কোথায়?
• গত একশো বছরের ইতিহাসে একাধিক প্রাকৃতিক মহামারী হলেও, আমাদের দেশে প্রমাণিত জীবাণু-সন্ত্রাসের কোনও ঘটনা ঘটেনি।
• অনেকে বলেন, পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে নাকি ভারতের শেষ পোলিও রোগীর জীবাণু সংগ্রহ করে রাখা আছে?
•• পোলিও ভাইরাস সংগ্রহের বিষয়টি জীবাণুবিদ্যার অন্তর্গত। সাধারণ জ্ঞান অনুযায়ী বলা যায়, পরবর্তীকালে বড় দুর্ঘটনা এড়াতে জীবাণু নিয়ে গবেষণা করা হল যুক্তিযুক্ত উপায়। এই উপায়ে আরও উন্নততর ভ্যাকসিন আবিষ্কার সম্ভব হবে। গবেষণা চালানোর আরও একটি বড় কারণ হল, এখনও পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, আফগানিস্তানের মতো একাধিক দেশে পোলিও রোগ নির্মূল করা যায়নি। সেখান থেকে ভাইরাস নতুন করে এদেশে চলে আসার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই গবেষণা চলাই বাঞ্ছনীয়।
সাক্ষাৎকার: সুপ্রিয় নায়েক
 
19th  March, 2020
তীব্র দাবদাহ: বাচ্চাদের স্কুল চলছে কী কী সতর্কতা নেবেন?

হাঁসফাঁস গরম। হিট ওয়েভ চলছে। নেহাত বাধ্য হয়ে ছোটদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন অভিভাবকরা। কিন্তু প্রতি মুহূর্তে দুশ্চিন্তায় থাকতে হচ্ছে। এদিকে গরমের ছুটি পড়তে এখনও কয়েক সপ্তাহ বাকি। শিশুদের অসুস্থতা এড়াতে কী করবেন এই সময়? পরামর্শে বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরুণ মাঙ্গলিক।  বিশদ

18th  April, 2024
অস্থির গরমে সুস্থ থাকতে রোজ পাতে থাক টক দই

আমাদের আজকের আলোচনা মূলত টক দই নিয়ে। টক দই সাধারণত শুভ্র বর্ণের হয়। অনেকের আবার সাদা দই এবং ইয়োগার্ট নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। ইয়োগার্ট এবং দই-এর প্রস্তুতির মধ্যে একটু ছোট্ট পার্থক্য আছে।  বিশদ

18th  April, 2024
অতিরিক্ত ঘাম কি অসুখের লক্ষণ

বেশি ঘামেন, কিংবা হয়তো ঘাম হতেই চায় না। লোকে ভয় দেখায় কোনও অসুখ আছে বলে। আদৌ কি তাই? জানালেন আমরি হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
 ডাঃ শাশ্বতী সিনহা।
বিশদ

18th  April, 2024
কাহোকন‌ ২০২৪

সম্প্রতি বিশ্ববাংলা‌ কনভেনশন সেন্টারে স্বাস্থ্য‌ পরিষেবা নিয়ে অনুষ্ঠিত হল‌ বিশ্বব্যাপী‌ স্বাস্থ্য সম্মেলন ‘কাহোকন‌ ২০২৪’।  এই উপলক্ষে এক সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ডাঃ‌ বিজয় আগর‌ওয়াল‌, ডাঃ‌ লালু জোসেফ, রূপক‌ বড়ুয়া, ডাঃ‌ শংকর‌ সেনগুপ্ত প্রমুখ। বিশদ

18th  April, 2024
কাটাছেঁড়া ছাড়াই হার্টে ফুটোর অপারেশন!

হার্টে একটা ফুটো নিয়েই যেখানে ভয়ে, দুশ্চিন্তায় একশেষ হতে হয়, সেখানে একটি নয়, দু’-দুটো ফুটো ছিল অর্চনা বাগের। চিকিৎসা পরিভাষায় যার পোশাকি নাম এরটেরিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্ট এবং পেটেন্ট ডাকটাস আর্টেরিওসাস। বিশদ

18th  April, 2024
রোবটিক, জেনারেল সার্জারি না ল্যাপারোস্কপি এগিয়ে কে?

পরামর্শে হাওড়ার নারায়ণা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের বিশিষ্ট রোবটিক সার্জেন ডাঃ পার্থপ্রতিম সেন ও বিশিষ্ট জিআই ও ক্যানসার সার্জেন ডাঃ শুদ্ধসত্ত্ব সেন। বিশদ

11th  April, 2024
হার্টের রোগী কি ডাবের জল খেতে পারেন? 

পরামর্শে বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরূপ দাসবিশ্বাস বিশদ

11th  April, 2024
আয়ুর্বেদ অনুযায়ী ডাবের গুণাগুণ

পরামর্শে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডাঃ সুমিত সুর বিশদ

11th  April, 2024
স্টেন্টের জন্ম

ব্যাঙ্ক থেকে সদ্য বাড়ি ফিরেছেন সোমনাথবাবু। চেয়ারে বসতে গিয়ে হুড়মুড়িয়ে পড়ে গেলেন। ছুটে এলেন ষাটোর্ধ্ব প্রতিমাদেবী। স্বামীর এমন অবস্থা দেখে খানিক ঘাবড়ে গিয়েও সামলে নিলেন। ছুটলেন প্রতিবেশীদের কাছে। সকলে মিলে ধরাধরি করে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে। বিশদ

11th  April, 2024
এবার জয়েন্টের সার্জারি করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা!

অস্থিসন্ধির অপারেশন নিখুঁতভাবে করার সুবিধার জন্য এতদিন ধরে রোবটিক সার্জারির ব্যবহার হয়ে আসছিল। বিশদ

11th  April, 2024
পজিটিভ থাকবেন কীভাবে?
 

আজকাল সবাই ভীষণ ব্যস্ত। ব্যস্ত কারণ আমরা সকলেই বেশি বেশি উপার্জন করে ভীষণ ভালো থাকতে চাই। এই করতে গিয়ে একসময় আমরা সামাজিক সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলি। আরও বড় জটিলতা হল, ব্যস্ততার বাইরে, রোজকার কাজের বাইরে যেটুকু সময় থাকে, সেই সময়টাতেও আমরা তাত্ক্ষণিক আনন্দ লাভের জন্য মাথা গলিয়ে দিই সোশ্যাল মিডিয়ার ছত্রছায়ায়। বিশদ

07th  April, 2024
লাগামছাড়া তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বিপদ কি নিজেরাই ডেকেছি?

হু হু করে চড়ছে পারদ। প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার নেপথ্যে দায়ী কে? প্রতিকারই বা কী? লিখছেন কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রাক্তন অতিরিক্ত নির্দেশক দীপঙ্কর সাহা ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায়। বিশদ

07th  April, 2024
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ করবেন কীভাবে?

মার্চ থেকেই গুছিয়ে গরম পড়েছে এবার। চড়চড় করে চড়ছে পারদ। খর বেলায় যাঁরা কাজেকর্মে বেরচ্ছেন, হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন ভাজা ভাজা হওয়ার মর্ম! বাইরে বেরলেই গলদঘর্ম অবস্থা। ঘামের সঙ্গে শরীরের জল তো বেরচ্ছেই। পরামর্শে বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ আশিস মিত্র।
বিশদ

04th  April, 2024
রাতে কাঁদলে ভালো ঘুম! 

কাঁদলে চোখের জল পড়ার জন্য যে ইন্দ্রিয় দরকার হয়, তা তৈরি হতে শিশুদের সাত আট মাস সময় লাগে। জন্মলগ্ন থেকেই কান্নার সঙ্গে মানুষের একটি বিশেষ সংযোগ আছে। জন্মের পর প্রথম কান্নার সঙ্গে প্রথমবার সরাসরি নিজে পৃথিবীর অক্সিজেন গ্রহণ করে শিশু
বিশদ

04th  April, 2024
একনজরে
কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মণিপুরের মইরাংয়ে ভোট চলাকালীন একটি পোলিং বুথে চলল গুলি

12:16:15 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): সকাল ১১ টা পর্যন্ত মেঘালয়ে- ৩১.৬৫ শতাংশ, মিজোরামে- ২৬.২৩ শতাংশ, নাগাল্যান্ডে- ২২.৫০ শতাংশ, পুদুচেরীতে- ২৭.৬৩ শতাংশ, রাজস্থানে- ২২.৫১ শতাংশ, সিকিমে- ২১.২০ শতাংশ ভোট পড়ল

12:14:07 PM

কোচবিহারের ভেটাগুড়ির খারিজবালাডাঙা গ্রামে রাস্তায় পড়ে তাজা বোমা

12:14:02 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): সকাল ১১ টা পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারে ৩৫.২০ শতাংশ ও কোচবিহারে ৩৩.৬৩ শতাংশ ভোট পড়ল

12:13:09 PM

তৃণমূলের কর্মীদের ভোট দিতে যেতে বাধা শীতলকুচির ছোট শালবাড়ির পঞ্চারহাট এলাকায়, প্রতিবাদে পথ অবরোধ

12:12:23 PM

দেওয়ানকোর্টে জয়দুয়ার গ্রামে ২৫১ নম্বর বুথে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিসে হামলার অভিযোগ, কাঠগড়ায় বিজেপি

12:10:45 PM