কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বিশ্বে প্রতি বছর এক কোটি কুড়ি লক্ষ মানুষ ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়। সেই হিসাবে প্রতি বছর ক্যান্সারের চিকিৎসায় সারা বিশ্বে ব্যয় হয় ২৮ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৩ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য নীতি নির্ধারক, চিকিৎসক, রোগী ও স্বাস্থ্য খাতের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। স্টকহোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপিয়ান মাল্টিডিসিপ্লিনারি ক্যান্সার কংগ্রেসে উপস্থাপিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যান্সারের চিকিৎসায় সামর্থ্যের প্রশ্নে আমরা এখন মাঝ পথে রয়েছি। তাই আমাদের ঠিক করতে হবে আমরা কোন পথে এগব?
এখানেই বিকল্প ব্যবস্থার প্রসঙ্গ উঠে আসে। এখানেই প্রাচীন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার কথা বলা দরকার। ভারতে নানা ক্যান্সার গবেষণা কেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার নিরাময়ের লক্ষ্যে প্রাচীন আয়ুর্বেদকে আশ্রয় গবেষণা চালিয়ে আসছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই চিকিৎসা নিরাপদ, পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াহীন, কম খরচসাপেক্ষ। এই মুহূর্তে ভারতে এই চিকিৎসার জন্য একজন রোগীর এক মাসের খরচ বিদেশের তুলনায় একশো ভাগেরও কম। গবেষণা থেকে প্রান্ত তথ্য অনুযায়ী, এই কম খরচের চিকিৎসা নিয়েও ভারত তথা বহির্ভারতের অসংখ্য ক্যান্সার রোগীর বছরের পর বছর নিরাপদ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। তাই ক্যান্সারের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা সম্বন্ধে মানুষের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। অন্যদিকে আয়ুর্বেদ চিকিৎসাবিজ্ঞানীরাও মানুষের সুবিধার্তে নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী দিনে নিশ্চয়ই এই চিকিৎসার আরও অগ্রগতি হবে।