মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
কলকাতায় চাইনিজ রেস্তরাঁ ব্যবসার অন্যতম পথিকৃৎ এবং চায়না টাউনের বেজিং সহ একাধিক রেস্তরাঁর কর্ণধার মনিকা লিউ বলেন, যদি করোনার কথা বলেন, আমি বলব, এবার তো এখনও পর্যন্ত তেমন মারাত্মক কিছুই হয়নি, যেমন হয়েছিল ২০০৩ সালে সার্স মহামারীর সময়। সার্স ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছিল সে সময়। মৃত্যুহারের কথা বলতে গেলে করোনার সঙ্গে কোনও তুলনাই হয় না। আর একটা কথা, করোনার সঙ্গে চীনা খাবারে কোনও সম্পর্কই নেই— একথা স্পষ্ট করে বলে দেওয়া উচিত। বাঙালিরা নিশ্চিন্তে চাইনিজ খান— দাবি মনিকার।
প্লাটার হসপিটালিটি এবং চাউম্যান-এর কর্ণধার শিলাদিত্য চৌধুরী বললেন, দেখুন, বার্ড ফ্লু’র সময়ও একই ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আপাত দৃষ্টিতে রেস্তরাঁ ব্যবসায় ‘গেল, গেল’ রব উঠেছিল। বিশেষত, যতদিন যাচ্ছে মটন নিয়ে চিকিৎসকদের ভ্রূ কোঁচকানো বাড়ছে। তাই চিকেনে মন মজেছে আট থেকে আশির। কিন্তু, বার্ড ফ্লু’র সময়ও কিছুদিনের মধ্যেই ব্যবসা নিজের গতিতে ফিরেছিল। এবার তো সেই অর্থে ব্যবসায় তেমন কোনও ক্ষতিই হয়নি এখনও পর্যন্ত। ‘কিন্তু, শুনি আপনাদের মতো বহু প্রতিষ্ঠিত রেস্তরাঁয় চীনা খাবারে স্বকীয় চাইনিজ স্বাদ আনতে একেবারে চীন থেকে স্যস, মশলা ইত্যাদি আমদানি করেন?’ শিলাদিত্যবাবুর উত্তর—করি, কিন্তু ন’মাসে, ছ’মাসে একবার। বেশিরভাগই কলকাতার বাজারে পাওয়া যায়। আর চীন থেকে তো আনাই না। আনাই থাইল্যান্ড থেকে। ‘থাইল্যান্ডেও তো করোনা সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে?’ এবারের প্রশ্নে পোড়খাওয়া ব্যবসায়ীর ঢঙে তাঁর সংক্ষিপ্ত উত্তর ছিল, করোনা সংক্রমণের অনেক আগেই আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিস আনিয়ে নিয়েছিলাম। তাও প্রায় ছ’মাস আগে।