মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
এই ব্যাকটেরিয়া শরীরে কোথায় বাসা বাঁধে?
ফুসফুস, লিম্ফনোড, গ্যাস্ট্রোইনটেসটিনাল ট্র্যাক্ট থেকে শুরু করে ত্বক, স্নায়ুকোষ, ব্রেন— শরীরের যে কোনও অঙ্গকে এই ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করতে পারে। অবশ্য ফুসফুস ও লিম্ফ নোড, জিআই ট্র্যাক্ট-এ সংক্রমণ বেশি হতে দেখা যায়।
কাদের বেশি হতে দেখা যায়?
বাচ্চা থেকে বুড়ো, মহিলা থেকে পুরুষ— যে কেউ টিবির শিকার হতে পারেন। এই প্রসঙ্গেই জানিয়ে রাখি, টিবির সংক্রমণ দু’ধরনের হয়। সেকেন্ডারি এবং প্রাইমারি ইনফেকশন।
একটু ভেঙে বলি— কারও শরীরে যক্ষ্মার উপসর্গ দেখা দেওয়া মানে এই নয় যে মাত্র কয়েকদিন আগে যক্ষ্মার জীবাণু তার দেহে প্রবেশ করেছে। বিশেষত প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে দেখা যায় বহু আগেই হয়তো সংক্রমণ হয়েছিল। সেই সময় শরীরের রোগপ্রতিরোধক ব্যবস্থা জোরদার থাকায়, ব্যাকটেরিয়া বংশবৃদ্ধির সুযোগ পায়নি। এখন ওই ব্যক্তির কোনওভাবে সঠিক পুষ্টির অভাব হলে বা এইডস-এ আক্রান্ত হলে অথবা কর্টিকোস্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেই সুযোগে যক্ষ্মার ব্যাকটেরিয়া মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। দেখা দেয় বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ। এই ধরনের যক্ষ্মাকে বলে সেকেন্ডারি টিউবারক্যুলোসিস। তবে বাচ্চাদের যেহেতু রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা কম থাকে, তাই তাদের ক্ষেত্রে প্রাইমারি বা প্রথমবারের সংক্রমণজনিত উপসর্গই বেশি হতে দেখা যায়।