Bartaman Patrika
শরীর ও স্বাস্থ্য
 

অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি না বাইপাস
কোন পদ্ধতি বেশি নিরাপদ?

পরামর্শে আর এন টেগোর হাসপাতালের বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরূপ দাসবিশ্বাস ও মেডিকা হাসপাতালের ভাইস চেয়ারম্যান এবং বিশিষ্ট হার্ট সার্জেন ডাঃ কুণাল সরকার।

অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি

 স্টেন্ট কী?
 হার্টের করোনারি ধমনিতে কোলেস্টেরল প্লাক জমে, ধমনির মধ্যে রক্ত সঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেখান থেকে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ভয় রয়ে যায়। তাই অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির মাধ্যমে, ধমনির মধ্যে জমা প্লাক বা বাধা সৃষ্টিকারী পদার্থ অপসারণ করা হয়। এরপর ওই অংশে বসানো হয় স্টেন্ট। ক্ষুদ্র স্টেন্ট ধমনির মধ্যে রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে।
 কখন স্টেন্ট বসে?
 দু’রকম পরিস্থিতিতে স্টেন্ট বসানো যায়। অ্যাকিউট হার্ট ডিজিজ এবং ক্রনিক হার্ট ডিজিজ।
অ্যাকিউট অবস্থা, অর্থাৎ রোগীর বুকে ব্যথা উঠেছে বা হার্ট অ্যাটাকের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে এমন অবস্থা।
অন্যদিকে ক্রনিক হার্ট ডিজিজ বলতে বোঝায়, যেখানে রক্ত সরবরাহের অপ্রতুলতার দরুন রোগীর রোগ লক্ষণ যেমন অ্যানজাইনা দেখা দিয়েছে, জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন ও ওষুধের দ্বারা যথাযথ উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না, এই পরিস্থিতিতে রোগের প্রকোপ কমানোর জন্য হার্টের ধমনিতে স্টেন্ট বসানো যায়। সাধারণত গুরুত্বপূর্ণ শিরাগুলিতে ৭০ শতাংশ বা তারও বেশি ব্লক থাকলে স্টেন্ট বসে।
 স্টেন্টিং-এর আগে কী পরীক্ষা?
 কোন অবস্থায় স্টেন্ট বসাতে হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। অ্যাকিউট অবস্থায় স্টেন্ট বসালে, রোগীর রক্ত সংগ্রহ করে হেপাটাইটিস বি, এইচআইভি, ক্রিয়েটিনিন প্রভৃতি পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দিয়ে দ্রুত রোগীর প্রাইমারি অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি এবং স্টেন্ট-এর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ক্রনিক হার্ট ডিজিজ-এর ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরীক্ষা আগে থেকে করিয়ে নেওয়া হয় যেমন— ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি, টিএমটি, ব্লাড সুগার, ব্লাড ইউরিয়া-ক্রিয়েটিনিন, হিমোগ্লোবিন, লিভার ফাংশন, হেপাটাইটিস বি, এইচআইভি।
 একাধিক ব্লক থাকলে, তখন?
 উপযুক্ত ধমনি ও উপযুক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করে, একাধিক রক্তবাহী নালীতে স্টেন্ট বসানো যায়।
 স্টেন্ট বসালে কতদিন নিরাপদে থাকা যায়?
 স্টেন্ট বসানোর পরে দু’ধরনের সমস্যা হতে পারে— স্টেন্ট থ্রম্বোসিস এবং রি-স্টেনোসিস। স্টেন্ট থ্রম্বোসিস-এ স্টেন্টের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধে। স্টেন্টিং-এর পর সাধারণত এক বছরের মধ্যে এমন সমস্যা হতে পারে। রি-স্টেনোসিসের সমস্যায় স্টেন্টের মধ্যে ফাইব্রাস টিস্যু, প্রলিফেরেটেড এন্ডোথেলিয়াল সেল জমে রক্ত সঞ্চালনের পথ সরু হয়ে যায়। এই সমস্যাও স্টেন্ট বসানোর এক বছরের মধ্যেই হতে পারে।
 কত শতাংশের স্টেন্টিং-এর পর সমস্যা হয়?
 প্রতি বছর গবেষণা হচ্ছে। বছর বছর আধুনিক স্টেন্ট আসছে। নতুন মেডিকেটেড স্টেন্ট-এর সমস্যা পুরনোদের থেকে অনেক কম। স্টেন্ট থ্রম্বোসিস শতকরা এক ভাগেরও কম ও রি-স্টোনোসিস শতকরা পাঁচ ভাগ বা তারও কমের ক্ষেত্রে হতে দেখা গিয়েছে।
 ওপেন হার্ট সার্জারি আর স্টেন্টিং—ফারাক কতটা?
 স্টেন্ট বসানোর জন্য রোগীর দেহে বড় কোনও কাটাছেঁড়া করতে হয় না। হাতের বা পায়ের শিরায় অর্থাৎ রেডিয়াল বা ফিমোরাল আর্টারিতে সুচ ঢুকিয়ে তারপর তারমধ্যে ২ মিলিমিটার ব্যাসার্ধের ক্যানুলা প্রবেশ করানো হয়। এই ক্যানুলার মধ্যে দিয়ে সরু সরু নল বা ক্যাথিটার নিয়ে যাওয়া হয় হার্টের পেশির রক্তবাহী নালিকা পর্যন্ত। এই ক্যাথিটারের মধ্যে দিয়ে বেলুন, স্টেন্ট পাঠানো হয়। ব্লকের জায়াগায় বেলুন স্থাপন করে বাইরে থেকেই ফুলিয়ে দেওয়া সম্ভব। এছাড়া বেলুন ছাড়াই সরাসরিও স্টেন্ট বসানো যায়। স্টেন্ট বসানো হয়ে গেলে ক্যাথিটার বের করে নেওয়া হয়। অর্থাৎ ক্ষত বলতে ওই দুই মিলিমিটার!
রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান মাত্র দু’দিনে। কার্যক্ষমতাও ফিরে আসে ওটি’র পরদিনই। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন। অবশ্য হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সময় স্টেন্ট বসালে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে বেশি সময় লাগে।
অন্যদিকে বাইপাসে বুক কেটে রক্তবাহী নালিকা বসানো হয়। চেষ্টা করা হয় বেশি সংখ্যক রক্তবাহী ধমনি বা গ্রাফ্ট সংগ্রহের। গ্রাফ্ট বসানোর জন্য ধমনিকে পায়ের শিরার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে অপারেশনের ফলাফল ভালো হয়। এগুলির সাহায্যে বিকল্প পথ তৈরি করা হয়। হার্টের যে ধমনিতে আগে থেকে সামান্য ব্লক হয়েছে, বা পরে হয়েছে সেগুলিতে পরবর্তীকালে জটিলতা আসলেও, নতুন ধমনিগুলি অবস্থা সামাল দিতে পারে।
তবে স্টেন্ট বসানো হয় মূল সমস্যা উদ্রেককারী ধমনিতে বা যে ধমনিগুলিতে বিপদসীমার উপরে ব্লক রয়েছে সেগুলিতে। ফলে যে ধমনিগুলিতে ইতিমধ্যে প্লাক জমতে শুরু করেছে সেগুলিতে পরবর্তীকালে জটিলতা হওয়ার সুযোগ থেকেই যায়।
হার্টের অনেকগুলি রক্তবাহী নালিকায় জটিলতা দেখা দিলে বা অবস্থা মারাত্মক জটিল হলে স্টেন্ট বসিয়ে লাভ হয় না। সেক্ষেত্রে রোগীকে বাইপাস করতে বলা হয়।
 স্টেন্টিং নাকি বাইপাস—কোনটা বেশি নিরাপদ?
 আগের বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, স্টেন্ট এর তুলনায় বাইপাসের রেজাল্ট কিছু ক্ষেত্রে অনেক ভালো। পরের পরিসংখ্যান অন্যরকম। এক্ষেত্রে সিনটাক্স ট্রায়ালের কথা বলা যায়। ২০০৫ সাল থেকে ২০০৭ সাল অবদি ১৮০০ রোগীর হার্টে বিশেষ স্টেন্ট বসানো হয়েছিল। পরবর্তী ১০ বছরে ওই রোগীদের পর্যবেক্ষণ করে দেখা যাচ্ছে, সমস্ত ধরনের প্রাণহানির ক্ষেত্রে বাইপাস ও স্টেন্ট বসানোর ফলাফল সমান সমান। তবে যদি শুধু লেফট মেইন আর্টারিতে ব্লকেজের সমস্যার দিকে নজর দেওয়া হয়, তাহলে স্টেন্ট-এর রেজাল্ট সামান্য হলেও ভালো। অন্যদিকে যেখানে জটিলতা অনেক বেশি বা তিনটে ধমনিতেই ব্লক খুলতে হবে— এমন ক্ষেত্রে বাইপাসের ফলাফল স্টেন্টের তুলনায় ভালো। অবশ্য ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে যে সমস্ত স্টেন্ট ব্যবহার হয়েছিল, তার তুলনায় এখন আরও অন্যধরনের স্টেন্ট পাওয়া যাচ্ছে। অতএব সঠিক ফলাফলের জন্য আমাদের ভবিষ্যতের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে।
 রোগীর জন্য আপনার পরামর্শ কী?
 স্টেন্ট বসান বা বাইপাস করান, হার্টের অন্যান্য রক্তবাহী নালীতে প্লাক জমার প্রক্রিয়া থেমে থাকে না। তাই অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হোক বা বাইপাস, চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খেয়ে যেতেই হবে।
আর চিকিৎসকদেরও মনে রাখতে হবে, রোগীর ক্ষেত্রে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি ঠিক হবে নাকি বাইপাস— এই সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হলে, একা নয়, হার্ট টিম গঠন করে সঠিক এবং যৌথ সিদ্ধান্ত নিন। টিমে থাকবেন সার্জেন, কার্ডিওলজিস্ট, অ্যানাস্থেটিস্ট। রোগীর বয়সের কথাও মাথায় রাখতে হবে। প্রয়োজন হলে স্টেন্টিং-এর পর জটিলতা হলে ফের স্টেন্টিং বা বাইপাস করা যায়। একইভাবে বাইপাস সার্জারির পরেও হার্টে জটিলতা দেখা দিলে স্টেন্টিং
অথবা সার্জারি করা যায়।
লিখেছেন সুপ্রিয় নায়েক

বাইপাস সার্জারি

শুরুর কথা
সালটা ১৯৫৭। একটি ১৪ বছরের বাচ্চার কার্ডিয়াক ক্যাথের দায়ভার নিজের সহকারীর উপর ছেড়ে চট করে ধূমপান সারতে গেলেন অভিজ্ঞ কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ ম্যাসন সোনস। তবে অনভিজ্ঞ অ্যাসিস্টেন্ট সঠিকভাবে নিজের কাজ করতে পারলেন না। তাঁর ভুলের জন্য বাচ্চাটির কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হল। প্রাণ যায় যায় অবস্থা! কোনও মতে কার্ডিয়াক ম্যাসাজ করে রোগীর প্রাণ ফেরানো হল। ডাঃ সোনস ভর্ৎসনা করলেন তাঁর অ্যাসিস্টেন্টকে। তবে সন্ধেবেলায় সেই ভুলের পর্যালোচনা করতে বসে ডাঃ সোনস বুঝলেন যে তাঁর সহকারীটি ভুল বসত ক্যাথিটার নিয়ে হার্টের আর্টারিতে ঢুকে পড়েছিল। ব্যাস, এই ভুল থেকেই খুলে গেল নতুন জ্ঞানের দরজা। ডাঃ সোনস বুঝলেন, এই পদ্ধতিতে হার্টের আর্টারিতে প্রবেশ করে ছবি তোলা সম্ভব। এভাবেই শুরু হল যুগান্তকারী করোনারি অ্যাঞ্জিওগ্রাফি। এরপর থেকে হার্টের ছবি তুলে রোগ নির্ণয় করা বেশ সহজ হয়ে পড়ল। কিন্তু এত কিছু জানতে পারার পরও চিকিৎসা সেই তিমিরেই পড়ে রইল। কারণ হার্টে ব্লক রয়েছে বুঝলেও, ব্লক সারানোর কোনও চিকিৎসা তখনও ছিল না। এই সমস্যার উত্তর খুঁজতে লেগে পড়লেন পৃথিবীর বাঘা বাঘা চিকিৎসকরা। চলল আলোচনার পর আলোচনা। কিছুতেই সমাধান মেলে না। অবশেষে ১৯৬৭ সালে পথ দেখাল আর্জেন্তিনার এক জুনিয়ার চিকিৎসক রেনে ফ্যাভালোরো। তিনি বলেছিলেন, পায়ের থেকে ধমনি কেটে এনে হার্টের বাইপাস সার্জারি করার কথা। এই সার্জারি আবিষ্কারের পরই বদলে গেল হার্টের চিকিৎসা। এখনও পর্যন্ত পৃথিবীতে যত ধরনের সার্জারি হয়েছে তার মধ্যে করোনারি বাইপাস সার্জারির সংখ্যা সবথেকে বেশি। পরিসংখ্যান বলছে, এই নির্দিষ্ট সার্জারি আসার পর পৃথিবীতে মানুষের গড় আয়ু অনেকটাই বেড়েছে।
এবার সরাসরি যুগান্তকারী হার্ট বাইপাস সার্জারির কথায় আসা যাক। হৃৎপিণ্ডের করোনারি আর্টারি ব্লক হলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল বাধা পায়। এরফলে হৃৎপিণ্ড সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। সমস্যা বেশি দূর গড়িয়ে গেলে এর থেকে হার্ট ফেলিওর পর্যন্ত হতে পারে। এই সমস্যা সমাধানের অন্যতম পদ্ধতি হল হার্ট বাইপাস সার্জারি। এক্ষেত্রে শরীরের অন্য জায়গা থেকে ধমনি কেটে এনে হার্টের ওই সমস্যার জায়গাটিকে বাইপাস করা হয়। বিষয়টা একটু সহজ করা যাক। ধরুন আপনার বাড়ির সামনের বড় রাস্তাটা একটি জায়গায় অত্যন্ত সরু। ফলে ওই জায়গায় ভীষণ যানজট হচ্ছে। কোনও গাড়ি স্বাভাবিক গতিতে এগতে পারছে না। এই সমস্যা সমাধানে পৌরসভা রাস্তার ওই সরু জায়গাটির আগে থেকে অন্য একটি রাস্তা তৈরি করে এনে সরু জায়গাটি পেরিয়ে যাওয়ার পর আবার মূল রাস্তার সঙ্গে নতুন রাস্তাটিকে মিশিয়ে দিল। দু’টি রাস্তা তৈরি হওয়ার ফলে স্বাভাবিকভাবেই যানজটও কমে গেল। হার্টের ক্ষেত্রেও ঠিক একই পদ্ধতি নেওয়া হয়। বাইপাস সার্জারি করে ধমনির ওই সমস্যার জায়গাটিকে এড়িয়ে যাওয়া হয়। ফলে হৃৎপিণ্ডে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়।
কখন বাইপাস সার্জারি?
এই বিষয়ে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজির নির্দিষ্ট গাইডলাইন রয়েছে। প্রতি তিন বছর অন্তর বিভিন্ন গবেষণার উপর ভিত্তি করে গাইডলাইনে পরিবর্তন আনা হয়। একজন ফিজিশিয়ান হোক বা সার্জেন— এই নির্দেশিকার উপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
এই নির্দেশিকা অনুযায়ী হার্টের বাইপাস সার্জারি করা হয়— হার্টের ধমনিতে দুইয়ের বেশি ব্লক থাকলে  ব্লকটি ভীষণ জটিল। যেমন— আর্টারিতে ১০০ শতাংশ ব্লক, অনেকটা জায়গা জুড়ে ব্লক রয়েছে, আঁকাবাঁকা ধমনি, টেকনিক্যাল জটিলতা রয়েছে ইত্যাদি পরিস্থিতিতে  রোগীর ডায়াবেটিস থাকলে সহজতম ব্লকের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টিও জটিল আকার নিতে পারে। তাই ডায়াবেটিস আক্রান্তের ক্ষেত্রে বাইপাস সার্জারি করার কথা ভাবা হয়।
সার্জারির আগে টেস্ট
প্রয়োজন অনুযায়ী রোগীর অ্যাঞ্জিওগ্রাফি, সিটি স্ক্যান, টিএমটি টেস্ট করানো হয়ে থাকে। এছাড়াও ব্লাড সুগার, ব্লাড ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন, হিমোগ্লোবিন, লিভার ফাংশন সহ অন্যান্য কিছু রক্ত পরীক্ষাও করতে দেওয়া হয়।
সুস্থ হতে সময় লাগে
বাইপাস সার্জারি করলে হাসপাতালে মোটের উপর সাত দিন থাকতে হয়। পরের সাতদিন যায় বাড়ির পরিবেশের সঙ্গে ধাতস্থ হতে। কাজকর্মে ফেরার খুব তাড়া থাকলে তৃতীয় সপ্তাহের কাছাকাছি কাজে ফেরা যায়। তবে হাতে সময় থাকলে অপারেশনের তিন থেকে চার সপ্তাহ পর কাজে যাওয়াই ভালো। গাড়ি চালানো, স্কুটার চালানো, সাইকেল চালানো বা হাত দিয়ে ঠেলাঠেলি করতে হয়, এমন কোনও কাজ সার্জারির এক মাস পর থেকে করা যায়।
অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি না বাইপাস
এই দু’টি সার্জারিই প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষের প্রাণ বাঁচিয়ে চলেছে। অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করাটা খুবই সহজ। রোগীর শরীরে কাটাছেঁড়া কম করতে হয়। হাসপাতালে কম থাকতে হয়। রোগী খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। তাই প্রাথমিকভাবে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির চমক খুব বেশি। তবে এই বিশেষ সুবিধা নিতে গিয়ে কোনও হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনেই নিশ্চিত করতে হবে যে রোগীর বাইপাস সার্জারি করা হবে না অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গাইডলাইনে কেসস্টাডি সহ স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে, কোনও রোগীর কেমন পরিস্থিতিতে স্টেন্ট বসাতে হবে অথবা বাইপাস সার্জারির সাহায্য নিতে হবে। এই গাইডলাইনের বাইরে গিয়ে কোনও কাজ করাই উচিত নয়। তবে দুঃখের হলেও, আমাদের দেশের বহু চিকিৎসকই এই গাইডলাইনের তোয়াক্কাই করেন না। এর ফল রোগীকেই ভুগতে হচ্ছে।
অনেকেই ভাবেন অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির ঝুঁকি বোধহয় বাইপাসের তুলনায় কম। তবে এই ধারণাটি ভুল। বরং বাইপাস সার্জারি ও অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির ঝুঁকি প্রায় সমান।
এবার সিদ্ধান্তে আসা যাক। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির তুলনায় বাইপাস করালে রোগী দীর্ঘকালীন সুফল ভোগ করেন। কিন্তু এর অর্থ এমন নয় যে, দলে দলে রোগীর বাইপাস করা প্রয়োজন। বরং গাইডলাইন মেনেই চিকিৎসা হোক। জিতুক বিজ্ঞান!
লিখেছেন সায়ন নস্কর
16th  January, 2020
আপনার সঠিক ওজন কত হওয়া
উচিৎ, কীভাবে নির্ধারণ করবেন

 ওজন বেড়েই যাচ্ছে। এই চিন্তায় আজ বিভোর নারী থেকে পুরুষ সকলেই। চিকিৎকদের কাছে গেলেও শুনতে হয় ওই একই উপদেশ। ওজনটা বেড়ে আছে। কমাতে হবে। কিন্তু ওজন যে কমাবেন, তার আগে তো জানতে হবে আপনার জন্য সঠিক ওজনটা কত? বিশদ

সিগারেট, খৈনি, পান মশলার নেশা ছাড়াতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে হোমিওপ্যাথি

‘তামাক ক্যান্সারের কারণ’— সিগারেট, খৈনি, পান মশলা সহ যে কোনও তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে এই সতর্কবাণী। তবে সবকিছু জেনে শুনেও অনেকেই এই কথাগুলির কোনও মান দেন না। তাঁদের বাড়ির লোক প্রতিনিয়ত নেশা ছাড়তে বললেও তিনি নেশা ছাড়তে রাজি নন! এছাড়াও অপর একটি দল রয়েছে।
বিশদ

ঘুমের মধ্যে গলা টিপে
ধরেছে! হাত পা অবশ!

 অন্ধকার ঘর। আপনি বিছানায় শুয়ে আছেন চাদর ঢাকা দিয়ে। হঠাৎ একটা ভয়ের শিহরণ খেলে গেল শিরদাঁড়া বেয়ে। আপনি বুঝতে পারলেন ঘরের মধ্যে আপনি একা নেই আর। অশরীরী কোনও কিছুর অস্তিত্ব টের পাচ্ছেন। হঠাৎই দেখলেন শিয়রের কাছে জমে থাকা অন্ধকার ফুঁড়ে এক ভয়ঙ্কর ছায়ামূর্তি এগিয়ে আসছে আপনার দিকে। বিশদ

ক্যান্সারের আধুনিক
চিকিৎসা কী কী?

ক্যান্সার ধরা পড়ার পর চিকিৎসার প্রথম পদক্ষেপ হল সার্জারি। সেক্ষেত্রে একটা কথা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে, অপারেশন এখন অনেক রোগীমুখী হয়েছে। এখন ‘মিনিম্যাল সার্জারি’র সময়। অর্থাৎ যতটা সম্ভব কম কাটাছেঁড়া করে রোগ সারিয়ে তোলা যায়। উদাহরণ হিসেবে ব্রেস্ট ক্যান্সারের কথা বলা যায়
বিশদ

23rd  January, 2020
কেমোথেরাপি’র নয়া টেকনিক
হাইপেক আর পাইপেক

আমাদের পেটের অন্দরে একটি পর্দার মতো আস্তরণ রয়েছে। এর নাম হল পেরিটোনিয়াম। এর মধ্যেই থাকে যকৃৎ, পাকস্থলী, প্লীহা, অগ্ন্যাশয়, খাদ্যনালী ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এবার শরীরের অন্যান্য অংশের মতো পেরিটোনিয়ামও ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি, দুই ধরনের পেরিটোনিয়াল ক্যান্সার হয়।
বিশদ

23rd  January, 2020
জীবন-মৃত্যুর মাঝের
তিন মিনিটের প্রহরী

 সে এক অদ্ভুত সময়। সার্জারি বা শল্য চিকিৎসা তখন দুর্লভ। আর ব্যথাহীন শল্য চিকিৎসা— নৈব নৈব চ। প্রভূত পরিমাণ অ্যালকোহল আর প্রচুর আফিম—অ্যানাস্থিয়ার উপকরণ বলতে এইটুকু মাত্র। তারপর এল ১৮৪০ সাল। ম্যাসাচুসেটস হসপিটালে ডব্লু টি জে মোর্টোন প্রথম সারা পৃথিবীকে দেখালেন ইথার দিয়ে সার্জারি। 
বিশদ

23rd  January, 2020
 রাগ তাড়ানোর থেরাপি

সম্প্রতি পানাগড়ের কাছে ‘তেপান্তর’ নামে থিয়েটার ভিলেজ-এ দুইদিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল ‘ক্রিয়েটিভ স্ফিয়ার কলকাতা’র উদ্যোগে। সংস্থার অন্যতম সদস্য, কর্মশালার উদ্যোক্তা এবং এক্সপ্রেসিভ আর্ট থেরাপিস্ট মালবিকা গুহ জানান, কর্মশালার বিষয় ছিল ‘বিষ থেকে অমৃতে উত্তরণ’।
বিশদ

16th  January, 2020
সুশ্রুতের চক্ষু পরীক্ষা শিবির

  দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্তের ডায়াবেটিস রেটিনোপ্যাথি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এই সমস্যায় প্রাথমিক পর্যায়ে চোখের রেটিনা অংশে রক্তবাহী সরু ধমনিগুলি দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে ফ্লুইড লিক করে। কমতে থাকে দৃষ্টিশক্তি।
বিশদ

16th  January, 2020
 কোন পাত্রে খাওয়া স্বাস্থ্যকর?

 পরামর্শে বেঙ্গল ইনস্টিটিউট অব ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস-এর প্রিন্সিপাল ইনচার্জ ডাঃ লোপামুদ্রা ভট্টাচার্য। বিশদ

09th  January, 2020
নিমপাতা ভাতে মেখে
খেলে কী কী রোগ সারে?

 লিখেছেন ভারত সরকারের আয়ুর্বেদ গবেষণা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসা বিজ্ঞানী, বনৌষধি গবেষক আয়ুর্বেদ চিকিৎসক অধ্যাপক ডাঃ সুবলকুমার মাইতি বিশদ

09th  January, 2020
 কর্নিয়া দিবস পালন

  সম্প্রতি চলে গেল কর্নিয়া দিবস। ওই দিবস উপলক্ষে অ্যাপেক্স ক্লাব অব বালি বরিষ্ঠ নাগরিক মঞ্চের ব্যবস্থাপনায় পশ্চিমবঙ্গ কর্নিয়া দিবস কমিটির উদ্যোগে অ্যাপেক্স ক্লাবের সুবর্ণ জয়ন্তী সভাগৃহে পালিত হল কর্নিয়া দিবস। ডাঃ জিরমের প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিশদ

09th  January, 2020
 কাজের স্বীকৃতি

  বিশাখাপত্তনমে আয়োজিত ভি ডি গুড টেকনোলজিক্যাল প্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েশনের লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন কলকাতা স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের প্যাথোলজির প্রফেসর ডাঃ প্রণবকুমার ভট্টাচার্য। বিশদ

09th  January, 2020
  মহিলাদের মনোজগৎ

 সম্প্রতি কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘উইমেন ইন রোম্যান্স, সেক্স অ্যান্ড ম্যারেজ’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সেমিনার। আলোচনাসভার আহ্বায়ক সাইকোঅ্যানালিস্ট ঝুমা বসাক জানান, সারা দেশ এমনকী বিদেশ থেকেও অসংখ্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, গবেষক, সাহিত্যিক, সাইকোঅ্যানালিস্ট, মনোবিদ যোগ দিয়েছিলেন আলোচনাসভায়। বিশদ

09th  January, 2020
 সুন্দরবনের মানুষের পাশে

  পাথরপ্রতিমা ব্লকে উদ্বোধন হয়ে গেল ‘বাঁচবো’ নামে এক সংগঠন পরিচালিত অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠানটি ছিল প্রাক প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় ‘বিকশিত’ স্কুলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধনের। পাশাপাশি এলাকার মানুষের জন্য শুদ্ধ পানীয় জল ও স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য চারটি শৌচাগার প্রকল্পেরও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। বিশদ

09th  January, 2020
একনজরে
 ওয়াশিংটন: আরও একবার রেকর্ড ছাড়িয়েছে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড ও অন্য গ্রিনহাউস গ্যাসের উপস্থিতি। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব ...

 আগ্রা, ২৫ জানুয়ারি: কথায় বলে প্রেমের কোনও বয়স হয়না। এই প্রবাদবাক্যটি ফের একবার বাস্তবে ধরা পড়ল। আর তার ঘটল খোদ তাজমহলেরই শহর আগ্রায়। যার রূপকার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯২৬: জন লগি বেয়ার্ড লন্ডনে প্রথম টেলিভিশন সিস্টেমকে জনসমক্ষে নিয়ে আসেন
১৯৩৬: জনগণের জন্য লন্ডনে শুরু হল বিবিসি-র সম্প্রচার
১৯৩৯: আমেরিকায় নিয়মিতভাবে টেলিভিশন সম্প্রচার শুরু
১৭৮২ – বাঁশের কেল্লা খ্যাত বিপ্লবী তিতুমীর তথা সৈয়দ মীর নিসার আলীর জন্ম
১৮৮০ - টমাস আলভা এডিসন বৈদ্যুতিক বাতির বাণিজ্যিক পেটেন্ট করেন।
১৯৬৯: অভিনেতা ববি দেওলের জন্ম
১৯৬৯: চিত্রপরিচালক বিক্রম ভাটের জন্ম
১৯৮৬: বিশিষ্ট সেতারবাদক নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০০৯: ভারতের অষ্টম রাষ্ট্রপতি আর ভেঙ্কটরামনের মৃত্যু
২০০২ - নাইজেরিয়ার লেগোস শহরে এক বিস্ফোরণে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি মানুন গৃহহীন হন।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৬৪ টাকা ৭২.৩৪ টাকা
পাউন্ড ৯১.৭৩ টাকা ৯৫.০২ টাকা
ইউরো ৭৭.৩৫ টাকা ৮০.৩৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০,৯৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮,৮৮৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৯,৪৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৭,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
26th  January, 2020

দিন পঞ্জিকা

১১ মাঘ ১৪২৬, ২৬ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, (মাঘ শুক্লপক্ষ) দ্বিতীয়া ৫৯/৪৫ শেষ রাত্রি ৬/১৬। ধনিষ্ঠা অহোরাত্র। সূ উ ৬/২১/৫৩, অ ৫/১৬/১৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ১০/০ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৭ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। 
১১ মাঘ ১৪২৬, ২৬ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, দ্বিতীয়া ৫৬/১৭/৫২ শেষরাত্রি ৪/৫৬/৫। ধনিষ্ঠা ৫৮/৫৪/২৯ শেষরাত্রি ৫/৫৮/৪৪। সূ উ ৬/২৪/৫৬, অ ৫/১৪/৫৬, অমৃতযোগ দিবা ৭/১ গতে ৯/৫৯ মধ্যে ও রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে। কালবেলা ১১/৪৯/৫৬ গতে ১/১১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৮/৪১ গতে ৩/৭/২৬ মধ্যে।
৩০ জমাদিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। বৃষ: নিজের প্রতিভার দ্বারা বিশেষ প্রতিষ্ঠা লাভ করতে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯২৬: জন লগি বেয়ার্ড লন্ডনে প্রথম টেলিভিশন সিস্টেমকে জনসমক্ষে নিয়ে ...বিশদ

07:03:20 PM

গিরিশ পার্ক এলাকায় ১১ মাসের শিশুকে অপহরণের অভিযোগ

04:55:03 PM

আনন্দপুরে একটি বাড়িতে ঢুকে মহিলাকে বেঁধে লুটতরাজ দুষ্কৃতীদের, তদন্তে পুলিস 

04:18:31 PM

৮৩ যাত্রী নিয়ে আফগানিস্তানের গজনিতে ভেঙে পড়ল বিমান

04:15:59 PM

৪৫৮ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

04:11:36 PM