Bartaman Patrika
শরীর ও স্বাস্থ্য
 

ফাঙ্গাল ইনফেকশন থেকে
বাঁচবেন কীভাবে?

পরামর্শে বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স-এর অধ্যাপক ত্বক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ জয়ন্ত দাস।
চিন্তার বিষয়
কিছুদিন আগে পর্যন্ত আমরা ভাবতাম, ত্বকের ছত্রাক সংক্রমণ গ্রীষ্মকালে ও বর্ষাকালে বেশি হয়। তারপরে শারদীয়া পুজোর সময় নিজের থেকেই অধিকাংশ ত্বকের ছত্রাক সংক্রমণ সেরে যাবে। ওষুধ দেওয়ার একেবারে দরকার হবে না তা নয়, কিন্তু আমাদের ধারণা ছিল ছত্রাক সংক্রমণ সারানো আদৌ কঠিন নয়। মুশকিল হল এখন আর এভাবে নিশ্চিন্ত থাকা যাচ্ছে না। কারণ যত দিন যাচ্ছে, আমরা দেখছি সারা বছর ধরেই ত্বকের এক ধরনের ছত্রাক সংক্রমণের প্রকোপ থেকেই যাচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, ছত্রাক সংক্রমণ আগের চাইতে অনেক বেশি ওষুধ-প্রতিরোধী হয়ে গেছে। অর্থাৎ প্রচলিত ওষুধে আর কাজ হচ্ছে না। গত ৩০ বছরে বেশ কিছু ছত্রাক সংক্রমণ সারানোর নতুন ওষুধ বাজারে এসেছে। কিন্তু বিগত মোটামুটি দশ বছরে আমরা দেখেছি, পুরনো ওষুধগুলো অকেজো হয়ে যাচ্ছে এবং নতুন ওষুধের কার্যকারিতা আগের মতো নেই। আগে ছত্রাক সংক্রমণে যে ওষুধগুলো দিলে কাজ হতো, এখন তার চেয়ে অনেক বেশি দামি ওষুধ ও নতুন ওষুধ দিতে হচ্ছে। অনেক সময় তাতেও কাজ হচ্ছে না। তখন ডাক্তার এবং রোগী উভয়েই সমান অসহায় বোধ করছেন।
ছত্রাকের ধরন
অনেক সময় ত্বকের বেশ গভীরে ছত্রাক সংক্রমণ হতে পারে, খুব বিরল ক্ষেত্রে ছত্রাক সংক্রমণ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হওয়া অসম্ভব নয়— কিন্তু সেগুলি বিরল ব্যাধি। ডাক্তারির মোটা মোটা বইতে সেসব নিয়ে লেখা থাকে বটে, কিন্তু আমরা যখন সাধারণভাবে ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণের কথা বলি, তখন আমরা খুব অতিপরিচিত কয়েকটি সংক্রমণের কথা বলি। সেগুলি নিয়েই আলোচনা করা যাক—
হাজা: ডাক্তারি ভাষায় ক্যান্ডিডা সংক্রমণ। যারা একটু বেশি জল ঘাঁটেন, তাদের হাত বা পায়ের আঙুলের ফাঁকে হাজা হয়। বর্ষাকালে বেশি হয়। শিবরামের ভাষায় বলতে গেলে, ‘হাজার চিকিৎসা করেও হাজা সারে না।’ কিন্তু না, বহুদিনের পুরনো ওষুধ ক্লোট্রিমাজল বা মাইকোনাজোল ডাক্তারের পরামর্শ মাফিক লাগালে এখনও তা কাজ করে। হাত পা শুকনো রাখলে, উপযুক্ত মলম লাগালে ও খাবার ওষুধ খেলে হাজা সেরে যায়। তবে ক্যানডিডা সংক্রমণ থেকে অনেক সময় পুরুষ ও মহিলাদের জেনাইটালে চুলকানি, লাল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়। তার পেছনে অনেক সময় নানা রোগ লুকিয়ে থাকে, যেমন ডায়াবেটিস। সেই রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা আবশ্যক, নইলে এ-রোগ সারবে না।
ছুলি: এই অসুখের বৈজ্ঞানিক নাম পিটিরিয়াসিস ভারসিকালার। এই রোগটি অতিপরিচিত। গ্রীষ্মকালে আর বর্ষাকালে অনেকের ত্বকে এই রোগ ফিরে ফিরে আসে। সাদা সাদা ছোপ পড়ে যায়, অনেক সময় ছোপের রং একটু কালচে হতে পারে। এই অসুখও আমাদের মাথাব্যথার কারণ নয়। তাই বলে রোগটি একবারে সারিয়ে ফেলা সোজা নয়। ছুলি হওয়ার প্রবণতা থাকলে, শরীরের ফাঙ্গাসগুলো পুরো মেরে ফেলার পরেও রোগীর পুনরায় সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে আবার পরের বছর গায়ে ফের ছুলি দেখা যায়। কিন্তু সৌভাগ্যের বিষয় এখনও পর্যন্ত এই অসুখ ওষুধ প্রতিরোধী হয়নি। ডাক্তারের পরামর্শ মাফিক ক্লোট্রিমাজল মাইকোনাজল ইত্যাদি নানারকম ছত্রাক মারার মলম লাগালে, এবং কিছু ছত্রাক মারার ওষুধ খেলে, সেটা অন্তত আপাতভাবে চলে যায়। কখনও কখনও ছত্রাকনাশক শ্যাম্পু গায়ে মাখা হয়, তাতেও ভালো কাজ দেয়।
খুশকি: মাথার খুশকি সবসময় ছত্রাকের জন্য হয় না। এমনকী মাথায় ছত্রাক থাকলেও সেটা খুশকির জন্য পুরোপুরি দায়ী না হতে পারে। কিন্তু আমাদের পক্ষে এটুকু জানা দরকার যে অধিকাংশ ধরনের মাথার খুশকিতে ছত্রাকনাশক শ্যাম্পু এবং ছত্রাকনাশক লোশন যথেষ্ট কার্যকর। কার্যকর মানে কিন্তু এই নয় যে একবার ঠিকমতো চিকিৎসা করলে খুশকি চিরকালের মতো সেরে যাবে। তা যাবে না, আবার হয়তো ফিরে আসবে। পুনরায় শ্যাম্পু লাগালে আবার তখনকার মতো খুশকি চলে যাবে। 
এবার আসি দুরারোগ্য ছত্রাক সংক্রমণ নিয়ে আলোচনায়।
দাদ: ইংরেজিতে বলে রিং ওয়ার্ম। খুবই পরিচিত অসুখ। বিশেষ করে কুঁচকিতে জীবনে অন্তত একবার দাদ হয়নি এমন পুরুষের দেখা পাওয়া ভার। গ্রীষ্মকাল ও বর্ষা, উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়াতে দাদের সমস্যা বেশি হয়। বিশেষ করে শরীরের ভাঁজের দিকে, যেমন কুঁচকি, বগল, নিতম্বের খাঁজে, মহিলাদের ব্রেস্টের তলায় সংক্রমণ বেশি হতে দেখা যায়। রোগটি রোগীদের খুব পরিচিত। অনেক রোগী আমাদের কাছে এসে নিজেরাই বলেন যে তাঁদের দাদ হয়েছে। গোল গোল, চাকা চাকা দাগ দিয়ে শুরু হয়, চুলকায়, ও কিছুদিন পরে গোল চাকাগুলো বাইরের দিকে ছড়াতে থাকে এবং মাঝখানটা অপেক্ষাকৃত পরিষ্কার হয়ে যায়। এইভাবে আংটির মতো আকৃতি হয়ে যায় বলে একে রিং ওয়ার্ম বলে। আরও দিন গেলে এই আংটির মত ব্যাপারগুলি একে অন্যের সঙ্গে মিশে যায়, এবং শরীরের একটা বড় অংশ রিংওয়ার্ম দিয়ে ঢেকে যায়। রোগীর প্রচন্ড কষ্ট হয়, চুলকায়। চুলকানির চোটে রাতে ঘুম হয় না। এই দাদের ফাঙ্গাস, ডাক্তারি পরিভাষায় যাদের বলে ডার্মাটোফাইট ছত্রাক, নখে আক্রমণ করে অন্যরকম রোগ সৃষ্টি করতে পারে আমরা যাকে বলি ওনাইকোমাইকোসিস। এই রোগ সারানো চিরকালই কঠিন ছিল, এখন কঠিনতর হয়েছে। আবার রিং ওয়র্ম চুল বা দাড়িগোঁফ-এর গোড়ায় আক্রমণ করে অন্য রকম রোগ সৃষ্টি করতে পারে। চুল দাড়ি গোঁফ-এর গোড়ায় বা নখে যখন এরা আক্রমণ করে তখন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়া রোগ নির্ণয় করা মুশকিল। নখে আক্রমণ করলে সাধারণত নখটি মোটা, অমসৃণ ও কালচে রঙের হয়ে যায়। চুলের গোড়ায়, দাড়ি-গোঁফের গোড়ায় সংক্রমণ হয়ে অনেক সময় ছোট ছোট ফোঁড়ার মতো হয়।
এবার আসি এই ডার্মাটোফাইট বা দাদ জাতীয় ফাংগাস আক্রমণের চিকিৎসায়। আজ থেকে বছর কুড়ি আগে গ্রিসিওফুলভিন মুখে খাওয়ালে এবং মাইকোনাজল বা ক্লোট্রিমাজল ওষুধ লাগালে রোগী চার থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যেতেন। এই ওষুধগুলো সস্তা ছিল, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অল্পস্বল্প ছিল, কিন্তু তত বেশি মাথা ঘামাতে হতো না। এখন ত্বকরোগ-বিশেষজ্ঞদের প্রায় সকলেরই একটাই অভিমত যে, আগের ওষুধগুলো কাজ করছে না। তার বদলে নতুন ওষুধ, যেমন আক্রান্তস্থানে ব্যবহারের জন্য লুলিকোনাজোল ইত্যাদি, খাবার জন্য টারবিনাফিন ও ইট্রাকোনাজল—এগুলি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এগুলি যথেষ্ট দামি এবং এগুলি দেওয়ার জন্য রোগীর কিছু রক্ত পরীক্ষা করতে হয়, তারও খরচ আছে। শুধু তাই নয়, চিকিৎসার সময়কাল বেড়ে যাচ্ছে। আগে চার থেকে আট সপ্তাহ চিকিৎসা করাতে হতো, এখন একমাস থেকে তিনমাস পর্যন্ত চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। আশঙ্কার বিষয় তার পরেও কোনও কোনও রোগী পুরো ভালো হচ্ছে না।
এই রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এমন সমস্যা কিভাবে উদ্ভব হলো সেটা এখনো পর্যন্ত খুব ভালোভাবে জানা যায়নি। কিন্তু মোটের ওপর যে কথা জানা গিয়েছে তাতে বলা যায় যে, ছত্রাক আক্রান্ত ত্বকে স্টেরয়েডজাতীয় মলম লাগানোর কারণে এই ছত্রাক ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে যায়। আর একটা কারণ হলো অনিয়মিত চিকিৎসা। অর্থাৎ কয়েকদিন চিকিৎসা করিয়ে বন্ধ করিয়ে দেওয়ার পরে ফের চালু করা। অন্য আরও কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন, আর নতুন ওষুধ বের করার প্রচেষ্টা সবসময়ই চলছে।
অতএব এই রোগগুলি প্রতিরোধের মূল উপায় হল সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।
মনে রাখবেন—
 আঁটসাঁট ও সিন্থেটিক অন্তর্বাস পরবেন না।
 গ্রীষ্ম বর্ষাতে যতটা সম্ভব হালকা সুতির পোশাক পরুন।
 শরীরের ভাঁজ এর জায়গাগুলোতে ঘাম জমে থাকা এড়িয়ে চলুন।
 একটানা দমবন্ধ ভ্যাপসা পরিবেশে কাজ করবেন না।
 পরিবারের অন্য সদস্যের জামাকাপড় পরবেন না। নিজের পোশক অন্য কাউকে দিবেন না।
 প্রত্যেকের গামছা তোয়ালে আলাদা রাখুন।
 কারোর সংক্রমণ হয়ে গেলে একই বালতিতে বা ওয়াশিং মেশিনে তার জামাকাপড়ের সঙ্গে অন্য জামাকাপড় ভেজাবেন না।
 জামা কাপড় কাচার পরে সেগুলো খুব ভালো করে শুকনো করুন।
 জিনস জাতীয় মোটা পোশাক ভালোভাবে ইস্ত্রি করুন।
 অন্তর্বাস সূর্যালোকে খরখরে করে শুকনো করুন।
এরপরেও যদি ছত্রাক সংক্রমণ হয়ে যায়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ওষুধের কোর্স শেষ করুন। ওষুধ বিষয়ে এবং সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ে চিকিৎসকের উপদেশ পুরোটা শুনুন এবং তা মেনে চলুন। রোগ লক্ষণ কমে গেলে নিজের ইচ্ছামত ওষুধ বন্ধ করবেন না। ওষুধের ব্যাপারে অনিয়মিত হবেন না। 
কখনোই ডাক্তার ব্যতীত আর কারো পরামর্শ অনুসারে চুলকানি কমানোর মলম লাগাবেন না। বাজারে দাদের মলম নাম দিয়ে যেসব ওষুধ বিক্রি হয় তার মধ্যে অনেকগুলোই ত্বকের পক্ষে ক্ষতিকর। ওষুধের দোকানদার ডাক্তার নন, তিনি অনেক সময়ই চটজলদি চুলকানি কমানোর জন্য স্টেরয়েড মিশ্রিত পাঁচমেশালি মলম দেন। তাতে চুলকানি কমে যায়, কিন্তু ওই রোগ আরও ছড়িয়ে পড়ে, পরে তা সরানো দুঃসাধ্য হয়ে যায়। সাবহধানে থাকুন, গরমে বা শীতে, বর্ষা বা হেমন্তে, ছত্রাক সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচুন। সুস্থ থাকুন, ভাল থাকুন।
05th  December, 2019
তীব্র দাবদাহ: বাচ্চাদের স্কুল চলছে কী কী সতর্কতা নেবেন?

হাঁসফাঁস গরম। হিট ওয়েভ চলছে। নেহাত বাধ্য হয়ে ছোটদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন অভিভাবকরা। কিন্তু প্রতি মুহূর্তে দুশ্চিন্তায় থাকতে হচ্ছে। এদিকে গরমের ছুটি পড়তে এখনও কয়েক সপ্তাহ বাকি। শিশুদের অসুস্থতা এড়াতে কী করবেন এই সময়? পরামর্শে বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরুণ মাঙ্গলিক।  বিশদ

18th  April, 2024
অস্থির গরমে সুস্থ থাকতে রোজ পাতে থাক টক দই

আমাদের আজকের আলোচনা মূলত টক দই নিয়ে। টক দই সাধারণত শুভ্র বর্ণের হয়। অনেকের আবার সাদা দই এবং ইয়োগার্ট নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। ইয়োগার্ট এবং দই-এর প্রস্তুতির মধ্যে একটু ছোট্ট পার্থক্য আছে।  বিশদ

18th  April, 2024
অতিরিক্ত ঘাম কি অসুখের লক্ষণ

বেশি ঘামেন, কিংবা হয়তো ঘাম হতেই চায় না। লোকে ভয় দেখায় কোনও অসুখ আছে বলে। আদৌ কি তাই? জানালেন আমরি হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
 ডাঃ শাশ্বতী সিনহা।
বিশদ

18th  April, 2024
কাহোকন‌ ২০২৪

সম্প্রতি বিশ্ববাংলা‌ কনভেনশন সেন্টারে স্বাস্থ্য‌ পরিষেবা নিয়ে অনুষ্ঠিত হল‌ বিশ্বব্যাপী‌ স্বাস্থ্য সম্মেলন ‘কাহোকন‌ ২০২৪’।  এই উপলক্ষে এক সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ডাঃ‌ বিজয় আগর‌ওয়াল‌, ডাঃ‌ লালু জোসেফ, রূপক‌ বড়ুয়া, ডাঃ‌ শংকর‌ সেনগুপ্ত প্রমুখ। বিশদ

18th  April, 2024
কাটাছেঁড়া ছাড়াই হার্টে ফুটোর অপারেশন!

হার্টে একটা ফুটো নিয়েই যেখানে ভয়ে, দুশ্চিন্তায় একশেষ হতে হয়, সেখানে একটি নয়, দু’-দুটো ফুটো ছিল অর্চনা বাগের। চিকিৎসা পরিভাষায় যার পোশাকি নাম এরটেরিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্ট এবং পেটেন্ট ডাকটাস আর্টেরিওসাস। বিশদ

18th  April, 2024
রোবটিক, জেনারেল সার্জারি না ল্যাপারোস্কপি এগিয়ে কে?

পরামর্শে হাওড়ার নারায়ণা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের বিশিষ্ট রোবটিক সার্জেন ডাঃ পার্থপ্রতিম সেন ও বিশিষ্ট জিআই ও ক্যানসার সার্জেন ডাঃ শুদ্ধসত্ত্ব সেন। বিশদ

11th  April, 2024
হার্টের রোগী কি ডাবের জল খেতে পারেন? 

পরামর্শে বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরূপ দাসবিশ্বাস বিশদ

11th  April, 2024
আয়ুর্বেদ অনুযায়ী ডাবের গুণাগুণ

পরামর্শে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডাঃ সুমিত সুর বিশদ

11th  April, 2024
স্টেন্টের জন্ম

ব্যাঙ্ক থেকে সদ্য বাড়ি ফিরেছেন সোমনাথবাবু। চেয়ারে বসতে গিয়ে হুড়মুড়িয়ে পড়ে গেলেন। ছুটে এলেন ষাটোর্ধ্ব প্রতিমাদেবী। স্বামীর এমন অবস্থা দেখে খানিক ঘাবড়ে গিয়েও সামলে নিলেন। ছুটলেন প্রতিবেশীদের কাছে। সকলে মিলে ধরাধরি করে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে। বিশদ

11th  April, 2024
এবার জয়েন্টের সার্জারি করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা!

অস্থিসন্ধির অপারেশন নিখুঁতভাবে করার সুবিধার জন্য এতদিন ধরে রোবটিক সার্জারির ব্যবহার হয়ে আসছিল। বিশদ

11th  April, 2024
পজিটিভ থাকবেন কীভাবে?
 

আজকাল সবাই ভীষণ ব্যস্ত। ব্যস্ত কারণ আমরা সকলেই বেশি বেশি উপার্জন করে ভীষণ ভালো থাকতে চাই। এই করতে গিয়ে একসময় আমরা সামাজিক সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলি। আরও বড় জটিলতা হল, ব্যস্ততার বাইরে, রোজকার কাজের বাইরে যেটুকু সময় থাকে, সেই সময়টাতেও আমরা তাত্ক্ষণিক আনন্দ লাভের জন্য মাথা গলিয়ে দিই সোশ্যাল মিডিয়ার ছত্রছায়ায়। বিশদ

07th  April, 2024
লাগামছাড়া তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বিপদ কি নিজেরাই ডেকেছি?

হু হু করে চড়ছে পারদ। প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার নেপথ্যে দায়ী কে? প্রতিকারই বা কী? লিখছেন কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রাক্তন অতিরিক্ত নির্দেশক দীপঙ্কর সাহা ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায়। বিশদ

07th  April, 2024
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ করবেন কীভাবে?

মার্চ থেকেই গুছিয়ে গরম পড়েছে এবার। চড়চড় করে চড়ছে পারদ। খর বেলায় যাঁরা কাজেকর্মে বেরচ্ছেন, হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন ভাজা ভাজা হওয়ার মর্ম! বাইরে বেরলেই গলদঘর্ম অবস্থা। ঘামের সঙ্গে শরীরের জল তো বেরচ্ছেই। পরামর্শে বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ আশিস মিত্র।
বিশদ

04th  April, 2024
রাতে কাঁদলে ভালো ঘুম! 

কাঁদলে চোখের জল পড়ার জন্য যে ইন্দ্রিয় দরকার হয়, তা তৈরি হতে শিশুদের সাত আট মাস সময় লাগে। জন্মলগ্ন থেকেই কান্নার সঙ্গে মানুষের একটি বিশেষ সংযোগ আছে। জন্মের পর প্রথম কান্নার সঙ্গে প্রথমবার সরাসরি নিজে পৃথিবীর অক্সিজেন গ্রহণ করে শিশু
বিশদ

04th  April, 2024
একনজরে
বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): সকাল ১১ টা পর্যন্ত ত্রিপুরাতে ৩৩.২৮ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ২৫.২০ শতাংশ, উত্তরাখণ্ডে ২৪.৮৩ শতাংশ ভোট পড়ল

12:26:32 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): সকাল ১১ টা পর্যন্ত মেঘালয়ে- ৩১.৬৫ শতাংশ, মিজোরামে- ২৬.২৩ শতাংশ, নাগাল্যান্ডে- ২২.৫০ শতাংশ, পুদুচেরীতে- ২৭.৬৩ শতাংশ, রাজস্থানে- ২২.৫১ শতাংশ, সিকিমে- ২১.২০ শতাংশ ভোট পড়ল

12:25:16 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): সকাল ১১ টা পর্যন্ত আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জে- ২১.৮২ শতাংশ, অরুণাচল প্রদেশে- ১৮.২৬ শতাংশ, অসমে- ২৭.২২ শতাংশ, বিহারে- ২০.৪২ শতাংশ, ছত্তিশগড়ে- ২৮.১২ শতাংশ ভোট পড়ল

12:24:39 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): সকাল ১১ টা পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারে ৩৫.২০ শতাংশ ও কোচবিহারে ৩৩.৬৩ শতাংশ ভোট পড়ল

12:24:00 PM

বিধানসভা নির্বাচন ২০২৪: সকাল ১১ টা পর্যন্ত অরুণাচল প্রদেশে ১৯.৪৬ শতাংশ ও সিকিমে ২১.২০ শতাংশ ভোট পড়ল

12:19:44 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): সকাল ১১ টা পর্যন্ত লাক্ষাদ্বীপে- ১৬.৩৩ শতাংশ, জম্মু ও কাশ্মীরে- ২২.৬০ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে- ৩০.৪৬ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে- ১৯.১৭ শতাংশ, মণিপুরে- ২৭.৬৪ শতাংশ ভোট পড়ল

12:19:24 PM