মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
দেখে নেওয়া যাক কী সেই তথ্য? তথ্যটি হল, দেশের ১০টি শহরের প্রায় এক হাজার প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ও ৩০০ অপথ্যালমোলোজিস্টের সহায়তায় করা হয় এক সমীক্ষা। সেখানে দেখা যায়, দেশের বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ভুগছেন ক্ষীণ দৃষ্টির সমস্যায়। অথচ, তারপরই যা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়, সেই চোখ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা রয়েছেন পিছিয়ে।
কলকাতাতেও এই সমীক্ষা হয়েছিল। সেখানে দেখা যায়, দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের ক্ষেত্রে সারা দেশে কলকাতা রয়েছে পঞ্চম স্থানে। কলকাতার ৭০ শতাংশ মানুষই সমীক্ষকদের জানিয়েছেন, তাঁরা বছরে একবারের জন্যও দৃষ্টিশক্তির পরীক্ষা করান না।
সমীক্ষায় এও ধরা পড়ে, প্রাপ্তবয়স্করা দিনের ১৫ ঘণ্টা কৃত্রিম আলোয় কাজ করেন বা জীবন কাটান। সেক্ষেত্রে দৃষ্টিশক্তির উপর কৃত্রিম আলোর একটা প্রভাব থেকেই যায়। অপথ্যালমোলোজিস্টরা জানাচ্ছেন, ১০ ঘণ্টা স্ক্রিন টাইম কাটানোর পর প্রতি চারজন ভারতীয়ের মধ্যে তিনজনই চোখে অস্বস্তির কথা বলেন। বিশেষ করে ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সি প্রাপ্তবয়স্করা বারবার চোখে অস্বস্তি, লাল ভাব দেখা দেওয়ার অভিযোগ করেন।
অবথ্যালমোলোজিস্টের পরামর্শ— খারাপ আলো, নিম্নগামী জীবনযাত্রা ও ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা ডেকে আনতে পারে দৃষ্টিশক্তির অবনমন। তাই এই দিকগুলো নিয়ে সচেতন হওয়া বাঞ্ছনীয়।
তাঁরা বারবার সতর্ক করেছেন, চোখের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে ছোট বয়স থেকেই যত্নবান হওয়া উচিত। বিশেষত, অভিভাবকদের এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া কাম্য। ছোটদের চোখের যে কোনও রকমের সমস্যায় চিকিৎসকদের পরামর্শ নিন।