কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
ব্রকোলি: লো কার্ব ডায়েটে ব্রকোলি থাকা দরকার। সব্জিটিতে প্রচুর ভিটামিন এ, সি এবং কে মেলে। এছাড়া আছে আয়রন, পটাশিয়াম, ফোলেট ও ফাইবার। ব্রকোলি দেহের হাড় ও পেশিকে দৃঢ় করে এবং ক্ষত মেরামতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিক ডায়েটে ব্রকোলি অপরিহার্য।
টম্যাটো: টম্যাটো মানেই ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার। এছাড়াও সব্জিটিতে আছে ভিটামিন এ, কে, ফোলেট, পটাশিয়াম এবং ফাইবার। এতে আছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট লাইকোপিন যা ডায়াবেটিস রোগে ভীষণ প্রয়োজনীয়। টম্যাটো প্রস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, হার্ট ডিজিজ, হাইপারটেনশন, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখে। টম্যাটো লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত হওয়ায় রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
বাঁধাকপি: বাঁধাকপি হজম শক্তি বাড়ায়, কোলেস্টেরল ও ব্লাডপ্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে, ইনফেকশান প্রতিরোধ করে। সব্জিটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং কম ক্যালোরি যুক্ত হওয়ায় ডায়াবেটিস রোগে খাওয়া যেতে পারে। এতে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন কে, সি, ফোলেট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম আছে। এছাড়া যথেষ্ট মাত্রায় আয়রন, ভিটামিন বি এবং ফাইবার মেলে। উপাদানগুলি সুগার রোগে উপকারী।
গাজর: বিটা ক্যারোটিন যুক্ত গাজর চোখের জন্য উপকারী। এছাড়া গাজরে আছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা ক্যান্সার (বিশেষত প্রস্টেট ও লাং ক্যান্সার) প্রতিরোধক। ব্লাডপ্রেশার এবং ডায়াবেটিস রোগে গাজর খুবই উপকারী। ব্লাড ক্যান্সার এবং কোলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধে গাজরের ভূমিকা গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। গাজরে পাওয়া যায় সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, ক্যালশিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ফোলেট, ভিটামিন কে, ভিটামিন সি।
শিম: এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ভিটামিন সি, কে, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স পাওয়া যায়। এতে আছে ফাইবার যা হজমে সাহায্য করে। যাঁদের গ্লুটেন অ্যালার্জি আছে তাঁরা শিম খেতে পারেন। নিয়মিত শিম খেলে হার্ট সুস্থ থাকে, এনার্জি বাড়ে, ইনফেকশনের প্রবণতা কমে, দাঁত ও মাড়ি ভালো থাকে। অনিদ্রা দূর হয়, ওজন কমে এবং মস্তিষ্ক সতেজ থাকে।
কড়াইশুঁটি: এর ফাইবার এবং প্রোটিন ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত হওয়ায় এটি ডায়াবেটিসে নিশ্চিন্তে খাওয়া যায়। এতে আছে ভিটামিন বি, কে, সি এবং এ যা ডায়াবেটিক ডায়েটে অতি প্রয়োজনীয়। দিনে আধ কাপ কড়াইশুঁটিই যথেষ্ট। হার্ট ডিজিজ, ক্যান্সার, ওবেসিটি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ত্বকে কোলাজেন বাড়াতে, চোখ ভালো রাখতে এবং ইমিউনিটি বাড়াতে কড়াইশুঁটি খুব উপকারী।
রাঙা আলু: শীতের এই সব্জিটি ডায়াবেটিসে খাওয়া যায়। কারণ এটি লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত। এতে আছে ক্যারোটিনয়েড যা ভিটামিন এ- এর উৎস। যা চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে আছে ভিটামিন সি, আয়রন, প্রোটিন এবং প্রচুর ডায়েটারি ফাইবার। এটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। রাঙা আলু ইমিউনিটি বাড়ায়, পরিপাক শক্তি বাড়ায়, ব্রেনকে ভালো রাখে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।