বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
শরীরের ঘড়ি আর ঘুম
আমাদের শরীরের ভিতরে রয়েছে কয়েক হাজার ঘড়ি! হার্টের যে কোষগুলি রয়েছে, সেই কোষগুলি নির্দিষ্ট সময় মেনে কাজ করে, একইরকমভাবে লিভার, প্যাংক্রিয়াসের কোষগুলিরও কাজ করার এবং কাজ বন্ধ করার নির্দিষ্ট সময় আছে। তবে আমাদের ব্রেনের সুপ্রাকিয়াসমাটিক নিউক্লিয়াস অংশে রয়েছে ‘কেন্দ্রীয়’ বা প্রধান ঘড়িটি। অনেকটা অর্কেস্ট্রার নির্দেশকের মতোই তার কাজ। বিভিন্ন ধরনের হর্মোন এবং স্নায়বিক সঙ্কেত পাঠিয়ে শরীরের বাকি ঘড়িগুলিকে একটা নির্দিষ্টে তালে বাঁধে কেন্দ্রীয় ঘড়ি। অর্থাৎ যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রধান ঘড়িটি বুঝতে পারছে, এবার ঘুমানোর সময় হল, ততক্ষণ পর্যন্ত বাকি ঘড়িগুলিও নিজের মতো চলতে থাকে!
নিদ্রা হর্মোন
‘কর্টিজল’ নামে বিশেষ হর্মোন আছে। এই হর্মোনটির সাহায্যেই নির্দেশ পাঠিয়ে কেন্দ্রীয় ঘড়িটি শরীরের বাকি ঘড়িগুলিকে এক ছন্দে বাঁধে। মুশকিল হল, দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপে ভুগলে কর্টিজলের মাত্রার হেরফের ঘটে যায়। ফলে কেন্দ্রীয় ঘড়ি ছাড়া বাকি ঘড়িগুলির ভারসাম্যের অভাব ঘটে যায়। দেখা গিয়েছে, মানসিক চাপ ছাড়াও অতিরিক্ত কফি পান করলে, প্রচুর এক্সারসাইজ করলে কর্টিজল লেভেলের পরিবর্তন ঘটে যায়। ঘুম আসার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। তবে গবেষণা বলছে, শুধু কর্টিজল নয়, ঘুম আসার পিছনে হাত রয়েছে অন্য একটি হর্মোনের। তার নাম মেলাটোনিন।
জানা গিয়েছে, উজ্জ্বল এবং নীল আলোর অনুপস্থিতিতে আমাদের প্রধান ঘড়ি বা সুপ্রাকিয়াসমাটিক নিউক্লিয়াস নির্দেশ পাঠায় পিনিয়াল গ্রন্থিকে। সঙ্গে সঙ্গে গ্রন্থিটি মেলাটোনিন ক্ষরণ করে এবং রক্তে মিশতে শুরু করে। এইভাবে শরীরের বাকি অংশের ঘড়িগুলি জানতে পারে— ঘুমানোর সময় হল। মেলাটোনিন হর্মোন আমাদের মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে। অর্থাৎ শরীরের প্রধান ঘড়িটিকে স্বাভাবিক রাখার জন্য দরকার কর্টিজল ও মেলাটোনিন হর্মোনের পর্যাপ্ত ক্ষরণ। তবেই হবে আর সন্তোষজনক ঘুম। আর সঠিক ঘুমের জন্য স্বাস্থ্যকর অভ্যেস।
সঠিক অভ্যেস
খাদ্যাভ্যাস: আমাদের শরীর মেলাটোনিন তৈরি করে অ্যামাইনো অ্যাসিড ট্রিপটোফান এবং ভিটামিন সি-এর সাহায্যে। ট্রিপটোফান এবং ভিটামিন বি৬-এর খুব ভালো উৎস হল ডিম ও কলা। আবার বেশ কিছু খাদ্যে রেডিমেড মেলাটোনিন মেলে। ডিনারে এই ধরনের খাদ্য খেলে উপকার পাওয়া যায়। উদাহরণ হিসেবে কল বের করা কলাই, কড়াইশুঁটি, গোরুর দুধের কথা বলা যায়।
তবে খাদ্যগ্রহণের সময়টাও বেশ গুরত্বপূর্ণ। শরীরের ঘড়িগুলির কাজের ছন্দ নির্ভর করে খাদ্যগ্রহণের সময়ের ওপর। সাম্প্রতিককালের এক সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, বেশি রাতে খাবার খাওয়ার পর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। কারণ মেলাটোনিন ইনসুলিনের কাজে বাধা দেয়।
উষ্ণতা: রাতে ঘুমানোর সময় আমাদের দেহের তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পুনরায় দেহের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। তাই দেহের তাপমাত্রা কমতে শুরু করলে আমাদের ঘুম পায়। মজার ব্যাপার হল, আমাদের শরীরের কিন্তু দু’টি ভাগ রয়েছে। একটা এই হাত, পা নিয়ে বাইরের আধার। আর একটা হল এই আধারের অন্দরে যে অংশ রয়েছে সেটি। সেখানেই রয়েছে অন্দরের অঙ্গগুলি। ঘুমের সময় শরীরের এই ভিতরের অংশগুলি ক্রমশ শীতল হতে থাকে। আর ঠিক এই কারণেই শুতে যাওয়ার আগে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করলে ঘুম পায়। কারণ ঈষদুষ্ণ জল আমাদের শরীরের বাইরের অংশকে গরম করে দেয়। ফলে মস্তিষ্ক মনে করে, শরীরের উত্তাপ বেড়ে গিয়েছে। তাই অন্দরের উত্তাপ দ্রুত বের করে দিতে থাকে। অন্দরের শরীর শীতল হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ঘুম পেতে থাকে।
বাইরের উদ্দীপক: শব্দ, আলো, টেলিভিশন, মোবাইলের মতো সমস্ত বাইরের উদ্দীপক মেলাটোনিন-এর ক্ষরণে বাধা দেয়। এমনকী চা, কফির মতো পানীয়ও ঘুম আসতে বাধা দেয়।
অন্যান্য—
ভোরের আলো ও সূর্যের আলো শরীরে ঘুমের হর্মোন ক্ষরণে সাহায্য করে। তাই দিনের বেলা কিছুক্ষণ অন্তত রোদে থাকুন ঘুমোতে যাওয়ার ঘণ্টা তিনেক আগে এক্সারসাইজ করবেন না ঘুমোতে যাওয়ার ঘণ্টা দুয়েক আগে টেলিভিশন বন্ধ করে দিন। হাতের কাছে মোবাইল রাখবেন না শুয়ে পড়ার পর কখনওই ভাববেন না, আমি এবার ঘুমাব বা এবার ঘুম এলে ভালো হয় ইত্যাদি। মস্তিষ্ক সজাগ হয়ে যাবে। বরং বই পড়ুন বা গান শুনুন। হালকা যন্ত্র সংগীত শুনলে ভালো হয়। হাসির বইও পড়তে পারেন। ঘুম আসবে।
অনিদ্রার জন্য দায়ী যখন অসুখ
প্রাপ্তবয়স্কদের ঘুম না আসার সমস্যা দু’ধরনের হয়— প্রাইমারি ইনসমনিয়া এবং সেকেন্ডারি ইনসমনিয়া।
প্রাইমারি ইনসমনিয়া: কাজের চাপ, রোজকার রুটিনের গণ্ডগোল, খুব চিন্তা নানা কারণে এমন হয়। মূল কারণ বের করতে পারলেই ঘুম না আসার সমস্যার সমাধান করা যায়।
সেকেন্ডারি ইনসমনিয়া: এক্ষেত্রে ঘুম না আসার পিছনে অবসাদ, জেনেরালাইজড অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডারের (জিএডি) মতো নির্দিষ্ট কিছু সমস্যা দায়ী থাকে। জিএডি-এর ক্ষেত্রেও রোগীর ঘুমের সমস্যা হতে পারে। রোগীর দৈনন্দিন জীবনের নানা বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা হয়। বুক ধড়ফড় করে, ছোটখাট বিষয়গুলি ভুলে যান, পায়ের পেশিতে টান ধরার মতো সমস্যা দেখা দেয় ইত্যাদি
দীর্ঘদিন ধরে অ্যালকোহল সেবন করলে তা ঘুম নষ্ট করে।
সাইকোসিস অর্থাৎ সিজোফ্রেনিয়া, বাইপোলার ডিজঅর্ডারের মতো রোগে ঘুমের সমস্যা হয়।
বৃদ্ধদের ক্রমশ ঘুম কমতে শুরু করে। এক্ষেত্রে বয়স্কদের কোনও মানসিক এবং শারীরিক কষ্ট হচ্ছে কি না দেখতে হবে। কষ্ট হলে বুঝতে হবে তাঁর ঘুমের চাহিদা মিটছে না। তাঁকে ঘুমের ওষুধ বা মেলাটোনিন সাপ্লিমেন্ট দিতে হবে স্বল্পমাত্রায়। মেলাটোনিনের মতো সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করা ভালো। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম হয়। আবার কিছু ক্ষেত্রে একাকিত্বের কারণেও ঘুম আসে না। সেদিকেও নজর দেওয়া উচিত।
অনিদ্রায় হোমিওপ্যাথি ঘড়ি আর ঘুমের ছন্দ
ঘুম সার্কেডিয়ান তালের একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। আমাদের জীবনের প্রায় এক তৃতীয়াংশ ঘুমিয়েই কেটে যায়! ঘুম বেশ কয়েকটি প্রাথমিক প্রক্রিয়া দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় এবং যখন এই গঠনতন্ত্র খারাপ হয়ে যায় তখন অনিদ্রা ব্যাধি দেখা যায়। বলা হয়, মানুষ খাদ্য ছাড়া বেঁচে থাকতে পারে, তবে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে তা সম্ভব হয় না। এমনকী বেশ কিছু জায়গায় মানসিক নির্যাতনের একটি পদ্ধতি হল মানুষকে ঘুম থেকে বঞ্চিত করা! অবশ্য বহু গেরস্থ ঘরে অনেকেই এমন মানসিক নির্যাতন ভোগ করেন। তবে তা অন্য প্রসঙ্গ। আমরা আপাতত ঘুমের উপরেই নজর লিপিবদ্ধ করি—
১) ডি-স্লিপ (ডিসিঙ্ক্রোনাইজড বা স্বপ্নের ঘুম) বা আরইএম-স্লিপ (র্যা পিড আই মুভমেন্ট স্লিপ)
২) এস-স্লিপ (সিঙ্ক্রোনাইজড ঘুম) বা এনআরইএম-স্লিপ (নন র্যা পিড আই মুভমেন্ট স্লিপ)
এনআরইএম ঘুমের চারটি স্তর রয়েছে
পর্যায় ১: নিদ্রালু বা তন্দ্রালু ঘুম, হালকা ঘুম, সহজেই জাগ্রত হয়। মোচড় বা ঝাঁকুনি অনুভূত হয়।
পর্যায় ২: পেশিগুলির ক্রিয়াকলাপ হ্রাস পায়। জাগরিত করা কঠিন।
পর্যায় ৩: জাগরিত করা আরও কঠিন।
পর্যায় ৪: গভীর ঘুম, সবচেয়ে দীর্ঘায়িত। ঘুমন্ত অবস্থায় প্রস্রাব, দুঃস্বপ্ন, সুপ্তিভ্রমণ এই অবস্থায় হয়ে থাকে।
ঘুম এবং স্বপ্নের মধ্যে একটা অন্তর্নিহিত সম্পর্ক রয়েছে। প্রাচীন সমাজে স্বপ্ন রাজনৈতিক, সামাজিক এবং নিত্যদিনের সিদ্ধান্তগুলিকে পরিচালিত করত। প্রাচীন বই তথা বাইবেল-এ ঘুমের মধ্যে ঐশ্বরিক দর্শনের উল্লেখ পাওয়া যায়। অপরদিকে গ্রিক দার্শনিকরা ঘুমের বিষয়বস্তুকে প্রাকৃতিক উৎসের সঙ্গে বিবেচিত করেছিলেন যা কিনা বর্তমান কালের ঘুমের ব্যাখ্যার অগ্রদূত হিসাবে গুরুত্ব পায়। উনিশ শতকে, সিগমুন্ড ফ্রয়েড একটি জনপ্রিয় তত্ত্ব প্রচার করেছিলেন যে, ঘুম আমাদের অচেতন দমানো দ্বন্দ্বের প্রবেশের সহায়তা করে। আরও এক প্রাথমিক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, আলফ্রেড অ্যাডলার বিশ্বাস করতেন যে, স্বপ্ন বর্তমান জীবনযাত্রাকে প্রতিফলিত করে এবং সমসাময়িক সমস্যার সমাধান দেয়। এটি বিশ্বাস করা হয় যে, অপর্যাপ্ত ঘুম অপ্রাকৃত বা ভীত স্বপ্ন দেখাতে পরিচালনা করে আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের (এপিএ) ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিকাল ম্যানুয়াল অফ মেন্টাল ডিসঅর্ডার (ডিএসএম-৫)-এর পঞ্চম সংস্করণে দশটি ব্যাধিকে ঘুমের ব্যাধি হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে যার মধ্যে অনিদ্রা ডিজঅর্ডার প্রথম অবস্থানে রয়েছে। ডিএসএম-৫ অনিদ্রা ডিসঅর্ডার-টিকে সংজ্ঞায়িত করে এই প্রকার যে নিদ্রার পরিমাপ বা গুণগত অসন্তুষ্টি যা কিনা এই প্রকার লক্ষণের সঙ্গে সম্পর্কিত— যেমন ঘুম আসতে অসুবিধা, ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা এবং তার সঙ্গে বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া বা আবার ঘুম আসা এবং খুব ভোরে ঘুম ভাঙা ও তার সঙ্গে আর ঘুম না আসা। অনিদ্রা খুব সহজে দেখা যায় এবং প্রায় ১৫-৩০ শতাংশ সাধারণ লোক প্রতি বছর অনিদ্রার জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন আছে বলে অভিযোগ করে। অনিদ্রা বিভিন্ন ধরনের রয়েছে:
প্রাথমিক অনিদ্রা (প্রাইমারি ইনসমনিয়া)
সাইকো ফিজিওলজিক অনিদ্রা (সাইকোফিজিওলজিকাল ইনসমনিয়া)
তীব্র অনিদ্রা (অ্যাকিউট ইনসমনিয়া)
অনিদ্রার সঙ্গে মানসিক রোগ (ইনসমনিয়া অ্যাসোসিয়েটেড উইদ মেন্টাল ডিজঅর্ডার)
অনিদ্রার সঙ্গে স্নায়ুসংক্রান্ত অসুখ (ইনসমনিয়া অ্যাসোসসিয়েটেড উইদ নিউরোলজিক ডিজঅর্ডার)
অনিদ্রার অন্যান্য চিকিৎসা সংক্রান্ত অসুস্থতার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে অসুখ যেমন হাঁপানি, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমনারি ডিসিজ, হাইপার থাইরয়োডিজম, রেনাল ফেলিয়র, লিভার ফেলিয়র এবং অন্যান্য।
একটা বিষয় প্রমাণিত সত্যি যে হোমিওপ্যাথি অনিদ্রা ও ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্ন ব্যাধিগুলির পরিচালনা করতে পারে। হ্যোমিওপ্যাথি যেহেতু রোগীর চিকিৎসা করে, রোগের নয় সে কারণে কেন ব্যক্তিটি অনিদ্রায় ভুগছে এবং তার ফলস্বরূপ তার ওপর কী কী প্রভাব হতে পারে তা জানা প্রয়োজন। যদি লক্ষণ নির্ভর করে সঠিক ওষুধ নির্বাচন করা হয় তবে তা সেই বিশেষ ক্ষেত্রে প্যানাসিয়া (রোগহর সমাধান) হয়ে উঠতে পারে। লক্ষণ ভিত্তি করে নিদ্রাহীনতার জন্য কয়েকটি ওষুধ দেওয়া হয় রোগীকে—
উদ্বেগ থেকে অনিদ্রায়: আর্সেনিকাম অ্যালবাম, ককুলাস ইন্ডিকাম।
যেখানে বাচ্চাকে কোলে করে ঘুরতে হবে: ক্যামোমিলা (ম্যাট্রিকারিয়া ক্যামোমিলা)
শীত সহ: মিউরিটিক অ্যাসিড
শারীরিক ঘনিষ্ঠতার পরে: ক্যালকেরিয়া কার্বনিকা, কোপাউভা অফিসিনালিস, নাইট্রিক অ্যাসিড, সেপিয়া অফিসিনালিস, সিলিসিয়া।
উত্তেজনার পরে: কফিয়া ক্রুডা, হারোসাইমাস নাইজার, নাক্স ভোমিকা।
গৃহকাতরতা থেকে: ক্যাপসিকাম অ্যান্নাম।
অতিরিক্ত আনন্দ থেকে: কফিয়া ক্রুডা।
মানসিক পরিশ্রমের পরে: আর্সেনিকাম অ্যালবাম, হায়োসাইমাস নাইজা।
মানসিক আঘাত থেকে: আর্জেন্টিয়াম মেটালিকাম, আর্সেনিকাম অ্যালবাম।
মদ্যপান করলে: নাক্স-ভোমিকা।
অন্ধকার ঘরে: ক্যালকেরিয়া কার্বনিকা, স্ট্রামোনিয়াম।
কথোপকথনের পরে: অম্ব্রা গ্রিসিয়া।
শোক থেকে: ইগনাশিয়া আমারা, কেলি ব্রোমাটাম, নেট্রাম মিউরিয়েটিকাম।
বয়স্ক লোকেদের ক্ষেত্রে: ব্যারাইটা কার্বনিকা।
ক্লান্তি থেকে: আর্সেনিকাম অ্যালবাম
তবে অবস্থা যাই হোক না কেন, কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।