Bartaman Patrika
শরীর ও স্বাস্থ্য
 

ঘুম না এলে
কী করবেন?

 পরামর্শে সল্টলেক মাইন্ডসেট ক্লিনিকের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দেবাঞ্জন পান, সল্টলেকের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হোমিওপ্যাথির অধিকর্তা ডাঃ সুভাষ সিং ও প্রতাপচন্দ্র মেমোরিয়াল হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিনের লেকচারার ডাঃ অরুণাভ নাথ।

শরীরের ঘড়ি আর ঘুম
আমাদের শরীরের ভিতরে রয়েছে কয়েক হাজার ঘড়ি! হার্টের যে কোষগুলি রয়েছে, সেই কোষগুলি নির্দিষ্ট সময় মেনে কাজ করে, একইরকমভাবে লিভার, প্যাংক্রিয়াসের কোষগুলিরও কাজ করার এবং কাজ বন্ধ করার নির্দিষ্ট সময় আছে। তবে আমাদের ব্রেনের সুপ্রাকিয়াসমাটিক নিউক্লিয়াস অংশে রয়েছে ‘কেন্দ্রীয়’ বা প্রধান ঘড়িটি। অনেকটা অর্কেস্ট্রার নির্দেশকের মতোই তার কাজ। বিভিন্ন ধরনের হর্মোন এবং স্নায়বিক সঙ্কেত পাঠিয়ে শরীরের বাকি ঘড়িগুলিকে একটা নির্দিষ্টে তালে বাঁধে কেন্দ্রীয় ঘড়ি। অর্থাৎ যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রধান ঘড়িটি বুঝতে পারছে, এবার ঘুমানোর সময় হল, ততক্ষণ পর্যন্ত বাকি ঘড়িগুলিও নিজের মতো চলতে থাকে!

নিদ্রা হর্মোন
‘কর্টিজল’ নামে বিশেষ হর্মোন আছে। এই হর্মোনটির সাহায্যেই নির্দেশ পাঠিয়ে কেন্দ্রীয় ঘড়িটি শরীরের বাকি ঘড়িগুলিকে এক ছন্দে বাঁধে। মুশকিল হল, দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপে ভুগলে কর্টিজলের মাত্রার হেরফের ঘটে যায়। ফলে কেন্দ্রীয় ঘড়ি ছাড়া বাকি ঘড়িগুলির ভারসাম্যের অভাব ঘটে যায়। দেখা গিয়েছে, মানসিক চাপ ছাড়াও অতিরিক্ত কফি পান করলে, প্রচুর এক্সারসাইজ করলে কর্টিজল লেভেলের পরিবর্তন ঘটে যায়। ঘুম আসার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। তবে গবেষণা বলছে, শুধু কর্টিজল নয়, ঘুম আসার পিছনে হাত রয়েছে অন্য একটি হর্মোনের। তার নাম মেলাটোনিন।
জানা গিয়েছে, উজ্জ্বল এবং নীল আলোর অনুপস্থিতিতে আমাদের প্রধান ঘড়ি বা সুপ্রাকিয়াসমাটিক নিউক্লিয়াস নির্দেশ পাঠায় পিনিয়াল গ্রন্থিকে। সঙ্গে সঙ্গে গ্রন্থিটি মেলাটোনিন ক্ষরণ করে এবং রক্তে মিশতে শুরু করে। এইভাবে শরীরের বাকি অংশের ঘড়িগুলি জানতে পারে— ঘুমানোর সময় হল। মেলাটোনিন হর্মোন আমাদের মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে। অর্থাৎ শরীরের প্রধান ঘড়িটিকে স্বাভাবিক রাখার জন্য দরকার কর্টিজল ও মেলাটোনিন হর্মোনের পর্যাপ্ত ক্ষরণ। তবেই হবে আর সন্তোষজনক ঘুম। আর সঠিক ঘুমের জন্য স্বাস্থ্যকর অভ্যেস।

সঠিক অভ্যেস
খাদ্যাভ্যাস: আমাদের শরীর মেলাটোনিন তৈরি করে অ্যামাইনো অ্যাসিড ট্রিপটোফান এবং ভিটামিন সি-এর সাহায্যে। ট্রিপটোফান এবং ভিটামিন বি৬-এর খুব ভালো উৎস হল ডিম ও কলা। আবার বেশ কিছু খাদ্যে রেডিমেড মেলাটোনিন মেলে। ডিনারে এই ধরনের খাদ্য খেলে উপকার পাওয়া যায়। উদাহরণ হিসেবে কল বের করা কলাই, কড়াইশুঁটি, গোরুর দুধের কথা বলা যায়।
তবে খাদ্যগ্রহণের সময়টাও বেশ গুরত্বপূর্ণ। শরীরের ঘড়িগুলির কাজের ছন্দ নির্ভর করে খাদ্যগ্রহণের সময়ের ওপর। সাম্প্রতিককালের এক সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, বেশি রাতে খাবার খাওয়ার পর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। কারণ মেলাটোনিন ইনসুলিনের কাজে বাধা দেয়।
উষ্ণতা: রাতে ঘুমানোর সময় আমাদের দেহের তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পুনরায় দেহের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। তাই দেহের তাপমাত্রা কমতে শুরু করলে আমাদের ঘুম পায়। মজার ব্যাপার হল, আমাদের শরীরের কিন্তু দু’টি ভাগ রয়েছে। একটা এই হাত, পা নিয়ে বাইরের আধার। আর একটা হল এই আধারের অন্দরে যে অংশ রয়েছে সেটি। সেখানেই রয়েছে অন্দরের অঙ্গগুলি। ঘুমের সময় শরীরের এই ভিতরের অংশগুলি ক্রমশ শীতল হতে থাকে। আর ঠিক এই কারণেই শুতে যাওয়ার আগে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করলে ঘুম পায়। কারণ ঈষদুষ্ণ জল আমাদের শরীরের বাইরের অংশকে গরম করে দেয়। ফলে মস্তিষ্ক মনে করে, শরীরের উত্তাপ বেড়ে গিয়েছে। তাই অন্দরের উত্তাপ দ্রুত বের করে দিতে থাকে। অন্দরের শরীর শীতল হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ঘুম পেতে থাকে।
বাইরের উদ্দীপক: শব্দ, আলো, টেলিভিশন, মোবাইলের মতো সমস্ত বাইরের উদ্দীপক মেলাটোনিন-এর ক্ষরণে বাধা দেয়। এমনকী চা, কফির মতো পানীয়ও ঘুম আসতে বাধা দেয়।

অন্যান্য—
 ভোরের আলো ও সূর্যের আলো শরীরে ঘুমের হর্মোন ক্ষরণে সাহায্য করে। তাই দিনের বেলা কিছুক্ষণ অন্তত রোদে থাকুন  ঘুমোতে যাওয়ার ঘণ্টা তিনেক আগে এক্সারসাইজ করবেন না  ঘুমোতে যাওয়ার ঘণ্টা দুয়েক আগে টেলিভিশন বন্ধ করে দিন। হাতের কাছে মোবাইল রাখবেন না  শুয়ে পড়ার পর কখনওই ভাববেন না, আমি এবার ঘুমাব বা এবার ঘুম এলে ভালো হয় ইত্যাদি। মস্তিষ্ক সজাগ হয়ে যাবে। বরং বই পড়ুন বা গান শুনুন। হালকা যন্ত্র সংগীত শুনলে ভালো হয়। হাসির বইও পড়তে পারেন। ঘুম আসবে।
অনিদ্রার জন্য দায়ী যখন অসুখ
প্রাপ্তবয়স্কদের ঘুম না আসার সমস্যা দু’ধরনের হয়— প্রাইমারি ইনসমনিয়া এবং সেকেন্ডারি ইনসমনিয়া।
প্রাইমারি ইনসমনিয়া: কাজের চাপ, রোজকার রুটিনের গণ্ডগোল, খুব চিন্তা নানা কারণে এমন হয়। মূল কারণ বের করতে পারলেই ঘুম না আসার সমস্যার সমাধান করা যায়।
সেকেন্ডারি ইনসমনিয়া: এক্ষেত্রে ঘুম না আসার পিছনে অবসাদ, জেনেরালাইজড অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডারের (জিএডি) মতো নির্দিষ্ট কিছু সমস্যা দায়ী থাকে।  জিএডি-এর ক্ষেত্রেও রোগীর ঘুমের সমস্যা হতে পারে। রোগীর দৈনন্দিন জীবনের নানা বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা হয়। বুক ধড়ফড় করে, ছোটখাট বিষয়গুলি ভুলে যান, পায়ের পেশিতে টান ধরার মতো সমস্যা দেখা দেয় ইত্যাদি
 দীর্ঘদিন ধরে অ্যালকোহল সেবন করলে তা ঘুম নষ্ট করে।
 সাইকোসিস অর্থাৎ সিজোফ্রেনিয়া, বাইপোলার ডিজঅর্ডারের মতো রোগে ঘুমের সমস্যা হয়।
 বৃদ্ধদের ক্রমশ ঘুম কমতে শুরু করে। এক্ষেত্রে বয়স্কদের কোনও মানসিক এবং শারীরিক কষ্ট হচ্ছে কি না দেখতে হবে। কষ্ট হলে বুঝতে হবে তাঁর ঘুমের চাহিদা মিটছে না। তাঁকে ঘুমের ওষুধ বা মেলাটোনিন সাপ্লিমেন্ট দিতে হবে স্বল্পমাত্রায়। মেলাটোনিনের মতো সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করা ভালো। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম হয়। আবার কিছু ক্ষেত্রে একাকিত্বের কারণেও ঘুম আসে না। সেদিকেও নজর দেওয়া উচিত।
লিখেছেন: সুপ্রিয় নায়েক

অনিদ্রায় হোমিওপ্যাথি ঘড়ি আর ঘুমের ছন্দ
ঘুম সার্কেডিয়ান তালের একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। আমাদের জীবনের প্রায় এক তৃতীয়াংশ ঘুমিয়েই কেটে যায়! ঘুম বেশ কয়েকটি প্রাথমিক প্রক্রিয়া দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় এবং যখন এই গঠনতন্ত্র খারাপ হয়ে যায় তখন অনিদ্রা ব্যাধি দেখা যায়। বলা হয়, মানুষ খাদ্য ছাড়া বেঁচে থাকতে পারে, তবে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে তা সম্ভব হয় না। এমনকী বেশ কিছু জায়গায় মানসিক নির্যাতনের একটি পদ্ধতি হল মানুষকে ঘুম থেকে বঞ্চিত করা! অবশ্য বহু গেরস্থ ঘরে অনেকেই এমন মানসিক নির্যাতন ভোগ করেন। তবে তা অন্য প্রসঙ্গ। আমরা আপাতত ঘুমের উপরেই নজর লিপিবদ্ধ করি—
১) ডি-স্লিপ (ডিসিঙ্ক্রোনাইজড বা স্বপ্নের ঘুম) বা আরইএম-স্লিপ (র্যা পিড আই মুভমেন্ট স্লিপ)
২) এস-স্লিপ (সিঙ্ক্রোনাইজড ঘুম) বা এনআরইএম-স্লিপ (নন র্যা পিড আই মুভমেন্ট স্লিপ)
এনআরইএম ঘুমের চারটি স্তর রয়েছে
পর্যায় ১: নিদ্রালু বা তন্দ্রালু ঘুম, হালকা ঘুম, সহজেই জাগ্রত হয়। মোচড় বা ঝাঁকুনি অনুভূত হয়।
পর্যায় ২: পেশিগুলির ক্রিয়াকলাপ হ্রাস পায়। জাগরিত করা কঠিন।
পর্যায় ৩: জাগরিত করা আরও কঠিন।
পর্যায় ৪: গভীর ঘুম, সবচেয়ে দীর্ঘায়িত। ঘুমন্ত অবস্থায় প্রস্রাব, দুঃস্বপ্ন, সুপ্তিভ্রমণ এই অবস্থায় হয়ে থাকে।
ঘুম এবং স্বপ্নের মধ্যে একটা অন্তর্নিহিত সম্পর্ক রয়েছে। প্রাচীন সমাজে স্বপ্ন রাজনৈতিক, সামাজিক এবং নিত্যদিনের সিদ্ধান্তগুলিকে পরিচালিত করত। প্রাচীন বই তথা বাইবেল-এ ঘুমের মধ্যে ঐশ্বরিক দর্শনের উল্লেখ পাওয়া যায়। অপরদিকে গ্রিক দার্শনিকরা ঘুমের বিষয়বস্তুকে প্রাকৃতিক উৎসের সঙ্গে বিবেচিত করেছিলেন যা কিনা বর্তমান কালের ঘুমের ব্যাখ্যার অগ্রদূত হিসাবে গুরুত্ব পায়। উনিশ শতকে, সিগমুন্ড ফ্রয়েড একটি জনপ্রিয় তত্ত্ব প্রচার করেছিলেন যে, ঘুম আমাদের অচেতন দমানো দ্বন্দ্বের প্রবেশের সহায়তা করে। আরও এক প্রাথমিক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, আলফ্রেড অ্যাডলার বিশ্বাস করতেন যে, স্বপ্ন বর্তমান জীবনযাত্রাকে প্রতিফলিত করে এবং সমসাময়িক সমস্যার সমাধান দেয়। এটি বিশ্বাস করা হয় যে, অপর্যাপ্ত ঘুম অপ্রাকৃত বা ভীত স্বপ্ন দেখাতে পরিচালনা করে আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের (এপিএ) ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিকাল ম্যানুয়াল অফ মেন্টাল ডিসঅর্ডার (ডিএসএম-৫)-এর পঞ্চম সংস্করণে দশটি ব্যাধিকে ঘুমের ব্যাধি হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে যার মধ্যে অনিদ্রা ডিজঅর্ডার প্রথম অবস্থানে রয়েছে। ডিএসএম-৫ অনিদ্রা ডিসঅর্ডার-টিকে সংজ্ঞায়িত করে এই প্রকার যে নিদ্রার পরিমাপ বা গুণগত অসন্তুষ্টি যা কিনা এই প্রকার লক্ষণের সঙ্গে সম্পর্কিত— যেমন ঘুম আসতে অসুবিধা, ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা এবং তার সঙ্গে বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া বা আবার ঘুম আসা এবং খুব ভোরে ঘুম ভাঙা ও তার সঙ্গে আর ঘুম না আসা। অনিদ্রা খুব সহজে দেখা যায় এবং প্রায় ১৫-৩০ শতাংশ সাধারণ লোক প্রতি বছর অনিদ্রার জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন আছে বলে অভিযোগ করে। অনিদ্রা বিভিন্ন ধরনের রয়েছে:
 প্রাথমিক অনিদ্রা (প্রাইমারি ইনসমনিয়া)
 সাইকো ফিজিওলজিক অনিদ্রা (সাইকোফিজিওলজিকাল ইনসমনিয়া)
 তীব্র অনিদ্রা (অ্যাকিউট ইনসমনিয়া)
 অনিদ্রার সঙ্গে মানসিক রোগ (ইনসমনিয়া অ্যাসোসিয়েটেড উইদ মেন্টাল ডিজঅর্ডার)
অনিদ্রার সঙ্গে স্নায়ুসংক্রান্ত অসুখ (ইনসমনিয়া অ্যাসোসসিয়েটেড উইদ নিউরোলজিক ডিজঅর্ডার)
 অনিদ্রার অন্যান্য চিকিৎসা সংক্রান্ত অসুস্থতার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে অসুখ যেমন হাঁপানি, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমনারি ডিসিজ, হাইপার থাইরয়োডিজম, রেনাল ফেলিয়র, লিভার ফেলিয়র এবং অন্যান্য।
একটা বিষয় প্রমাণিত সত্যি যে হোমিওপ্যাথি অনিদ্রা ও ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্ন ব্যাধিগুলির পরিচালনা করতে পারে। হ্যোমিওপ্যাথি যেহেতু রোগীর চিকিৎসা করে, রোগের নয় সে কারণে কেন ব্যক্তিটি অনিদ্রায় ভুগছে এবং তার ফলস্বরূপ তার ওপর কী কী প্রভাব হতে পারে তা জানা প্রয়োজন। যদি লক্ষণ নির্ভর করে সঠিক ওষুধ নির্বাচন করা হয় তবে তা সেই বিশেষ ক্ষেত্রে প্যানাসিয়া (রোগহর সমাধান) হয়ে উঠতে পারে। লক্ষণ ভিত্তি করে নিদ্রাহীনতার জন্য কয়েকটি ওষুধ দেওয়া হয় রোগীকে—
 উদ্বেগ থেকে অনিদ্রায়: আর্সেনিকাম অ্যালবাম, ককুলাস ইন্ডিকাম।
 যেখানে বাচ্চাকে কোলে করে ঘুরতে হবে: ক্যামোমিলা (ম্যাট্রিকারিয়া ক্যামোমিলা)
 শীত সহ: মিউরিটিক অ্যাসিড
 শারীরিক ঘনিষ্ঠতার পরে: ক্যালকেরিয়া কার্বনিকা, কোপাউভা অফিসিনালিস, নাইট্রিক অ্যাসিড, সেপিয়া অফিসিনালিস, সিলিসিয়া।
 উত্তেজনার পরে: কফিয়া ক্রুডা, হারোসাইমাস নাইজার, নাক্স ভোমিকা।
 গৃহকাতরতা থেকে: ক্যাপসিকাম অ্যান্নাম।
 অতিরিক্ত আনন্দ থেকে: কফিয়া ক্রুডা।
 মানসিক পরিশ্রমের পরে: আর্সেনিকাম অ্যালবাম, হায়োসাইমাস নাইজা।
 মানসিক আঘাত থেকে: আর্জেন্টিয়াম মেটালিকাম, আর্সেনিকাম অ্যালবাম।
 মদ্যপান করলে: নাক্স-ভোমিকা।
 অন্ধকার ঘরে: ক্যালকেরিয়া কার্বনিকা, স্ট্রামোনিয়াম।
 কথোপকথনের পরে: অম্ব্রা গ্রিসিয়া।
 শোক থেকে: ইগনাশিয়া আমারা, কেলি ব্রোমাটাম, নেট্রাম মিউরিয়েটিকাম।
 বয়স্ক লোকেদের ক্ষেত্রে: ব্যারাইটা কার্বনিকা।
 ক্লান্তি থেকে: আর্সেনিকাম অ্যালবাম
তবে অবস্থা যাই হোক না কেন, কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
31st  October, 2019
তীব্র দাবদাহ: বাচ্চাদের স্কুল চলছে কী কী সতর্কতা নেবেন?

হাঁসফাঁস গরম। হিট ওয়েভ চলছে। নেহাত বাধ্য হয়ে ছোটদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন অভিভাবকরা। কিন্তু প্রতি মুহূর্তে দুশ্চিন্তায় থাকতে হচ্ছে। এদিকে গরমের ছুটি পড়তে এখনও কয়েক সপ্তাহ বাকি। শিশুদের অসুস্থতা এড়াতে কী করবেন এই সময়? পরামর্শে বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরুণ মাঙ্গলিক।  বিশদ

18th  April, 2024
অস্থির গরমে সুস্থ থাকতে রোজ পাতে থাক টক দই

আমাদের আজকের আলোচনা মূলত টক দই নিয়ে। টক দই সাধারণত শুভ্র বর্ণের হয়। অনেকের আবার সাদা দই এবং ইয়োগার্ট নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। ইয়োগার্ট এবং দই-এর প্রস্তুতির মধ্যে একটু ছোট্ট পার্থক্য আছে।  বিশদ

18th  April, 2024
অতিরিক্ত ঘাম কি অসুখের লক্ষণ

বেশি ঘামেন, কিংবা হয়তো ঘাম হতেই চায় না। লোকে ভয় দেখায় কোনও অসুখ আছে বলে। আদৌ কি তাই? জানালেন আমরি হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
 ডাঃ শাশ্বতী সিনহা।
বিশদ

18th  April, 2024
কাহোকন‌ ২০২৪

সম্প্রতি বিশ্ববাংলা‌ কনভেনশন সেন্টারে স্বাস্থ্য‌ পরিষেবা নিয়ে অনুষ্ঠিত হল‌ বিশ্বব্যাপী‌ স্বাস্থ্য সম্মেলন ‘কাহোকন‌ ২০২৪’।  এই উপলক্ষে এক সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ডাঃ‌ বিজয় আগর‌ওয়াল‌, ডাঃ‌ লালু জোসেফ, রূপক‌ বড়ুয়া, ডাঃ‌ শংকর‌ সেনগুপ্ত প্রমুখ। বিশদ

18th  April, 2024
কাটাছেঁড়া ছাড়াই হার্টে ফুটোর অপারেশন!

হার্টে একটা ফুটো নিয়েই যেখানে ভয়ে, দুশ্চিন্তায় একশেষ হতে হয়, সেখানে একটি নয়, দু’-দুটো ফুটো ছিল অর্চনা বাগের। চিকিৎসা পরিভাষায় যার পোশাকি নাম এরটেরিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্ট এবং পেটেন্ট ডাকটাস আর্টেরিওসাস। বিশদ

18th  April, 2024
রোবটিক, জেনারেল সার্জারি না ল্যাপারোস্কপি এগিয়ে কে?

পরামর্শে হাওড়ার নারায়ণা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের বিশিষ্ট রোবটিক সার্জেন ডাঃ পার্থপ্রতিম সেন ও বিশিষ্ট জিআই ও ক্যানসার সার্জেন ডাঃ শুদ্ধসত্ত্ব সেন। বিশদ

11th  April, 2024
হার্টের রোগী কি ডাবের জল খেতে পারেন? 

পরামর্শে বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরূপ দাসবিশ্বাস বিশদ

11th  April, 2024
আয়ুর্বেদ অনুযায়ী ডাবের গুণাগুণ

পরামর্শে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডাঃ সুমিত সুর বিশদ

11th  April, 2024
স্টেন্টের জন্ম

ব্যাঙ্ক থেকে সদ্য বাড়ি ফিরেছেন সোমনাথবাবু। চেয়ারে বসতে গিয়ে হুড়মুড়িয়ে পড়ে গেলেন। ছুটে এলেন ষাটোর্ধ্ব প্রতিমাদেবী। স্বামীর এমন অবস্থা দেখে খানিক ঘাবড়ে গিয়েও সামলে নিলেন। ছুটলেন প্রতিবেশীদের কাছে। সকলে মিলে ধরাধরি করে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে। বিশদ

11th  April, 2024
এবার জয়েন্টের সার্জারি করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা!

অস্থিসন্ধির অপারেশন নিখুঁতভাবে করার সুবিধার জন্য এতদিন ধরে রোবটিক সার্জারির ব্যবহার হয়ে আসছিল। বিশদ

11th  April, 2024
পজিটিভ থাকবেন কীভাবে?
 

আজকাল সবাই ভীষণ ব্যস্ত। ব্যস্ত কারণ আমরা সকলেই বেশি বেশি উপার্জন করে ভীষণ ভালো থাকতে চাই। এই করতে গিয়ে একসময় আমরা সামাজিক সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলি। আরও বড় জটিলতা হল, ব্যস্ততার বাইরে, রোজকার কাজের বাইরে যেটুকু সময় থাকে, সেই সময়টাতেও আমরা তাত্ক্ষণিক আনন্দ লাভের জন্য মাথা গলিয়ে দিই সোশ্যাল মিডিয়ার ছত্রছায়ায়। বিশদ

07th  April, 2024
লাগামছাড়া তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বিপদ কি নিজেরাই ডেকেছি?

হু হু করে চড়ছে পারদ। প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার নেপথ্যে দায়ী কে? প্রতিকারই বা কী? লিখছেন কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রাক্তন অতিরিক্ত নির্দেশক দীপঙ্কর সাহা ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায়। বিশদ

07th  April, 2024
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ করবেন কীভাবে?

মার্চ থেকেই গুছিয়ে গরম পড়েছে এবার। চড়চড় করে চড়ছে পারদ। খর বেলায় যাঁরা কাজেকর্মে বেরচ্ছেন, হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন ভাজা ভাজা হওয়ার মর্ম! বাইরে বেরলেই গলদঘর্ম অবস্থা। ঘামের সঙ্গে শরীরের জল তো বেরচ্ছেই। পরামর্শে বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ আশিস মিত্র।
বিশদ

04th  April, 2024
রাতে কাঁদলে ভালো ঘুম! 

কাঁদলে চোখের জল পড়ার জন্য যে ইন্দ্রিয় দরকার হয়, তা তৈরি হতে শিশুদের সাত আট মাস সময় লাগে। জন্মলগ্ন থেকেই কান্নার সঙ্গে মানুষের একটি বিশেষ সংযোগ আছে। জন্মের পর প্রথম কান্নার সঙ্গে প্রথমবার সরাসরি নিজে পৃথিবীর অক্সিজেন গ্রহণ করে শিশু
বিশদ

04th  April, 2024
একনজরে
শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: পাঞ্জাবকে ৯ রানে হারাল মুম্বই

18-04-2024 - 11:50:54 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট হরপ্রীত ব্রার, পাঞ্জাব ১৮১/৯ (১৯ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:46:48 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট আশুতোষ শর্মা, পাঞ্জাব ১৬৮/৮ (১৭.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:36:00 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি আশুতোষ শর্মার, পাঞ্জাব ১৫১/৭ (১৫.৩ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:22:48 PM

আইপিএল: ৪১ রানে আউট শশাঙ্ক সিং, পাঞ্জাব ১১১/৭ (১২.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:02:15 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট জীতেশ শর্মা, পাঞ্জাব ৭৭/৬ (৯.২ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 10:48:50 PM