Bartaman Patrika
শরীর ও স্বাস্থ্য
 

অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প কি আছে? 

অ্যান্টিবায়োটিক-এর বিপদ নিয়ে সতর্ক করেছিলেন আলেকজান্ডার ফ্লেমিং। সত্যিই কি এর বিকল্প আছে? জানালেন সংক্রামক অসুখ বিশেষজ্ঞ ও এইমস-এর প্রাক্তনী ডাঃ সায়ন্তন বন্দ্যোপাধ্যায়।

ডাঃ সায়ন্তন বন্দ্যোপাধ্যায়
সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ

শুরুর কথা
সেই ১৯২৮ সালে স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং আবিষ্কার করেছিলেন অ্যান্টিবায়োটিক পেনিসিলিন। আর তারপরেই, সেই আদ্যিকালেই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, অ্যান্টিবায়োটিক এমন এক ওষুধ যা মূর্খদের হাতে পড়লে মানবজাতির কাছে অভিশাপ হয়ে উঠবে! ঘটনাচক্রে পেনিসিলিন বাজারজাত হওয়ার কয়েকবছরে মধ্যেই দেখা পেনিসিলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়েছে বহু রোগীর মধ্যে!
প্রশ্ন হল কী এই অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স?
এককথায় ব্যাকটেরিয়ার বিশেষ ধরনের বিবর্তন হয় অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতিতে! ফলে ওই রোগ উদ্রেককারী ব্যাকটেরিয়াকে আর নষ্ট করতে পারে না অ্যান্টিবায়োটিক। আসলে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অ্যান্টিবায়াোটিক হল মূল অস্ত্র। কিন্তু সেই অস্ত্র কীভাবে চালনা করা হয়, তার ধরা কতটা এসব যদি ব্যাকটেরিয়া আগে থেকেই বুঝতে পারে? আর কী! ব্যাকটেরিয়া নিজের মধ্যে বিশেষ ধরনের পরিবর্তন ঘটাবে এবং নিজেও সেই অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে বিশেষ অস্ত্র তৈরি করবে যাতে সেই অ্যান্টিবায়োটিক আর তাকে মেরে ফেলতে না পারে! অ্যান্টিবায়োটিকের ডোজ তাই খুব গুরত্বপূর্ণ। ডোজ শেষ না হলে ব্যাকটেরিয়া মারাও যাবে না, উপরন্তু অল্পমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিকের সংস্পর্শে এসে তারা নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন ঘটিয়ে প্রতিরোধী ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারবে।
প্রশ্ন হল, অল্পমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে ব্যাকটেরিয়া পরিচিত হচ্ছে কীভাবে?
 অ্যান্টিবায়োটিকের ডোজ: অ্যান্টিবায়োটিকের নির্দিষ্ট ডোজ থাকে সে কথা আগেই বলা হয়েছে। কোনও রোগীকে পাঁচদিন দুটি করে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে বলার পরেও তিনি দুদিন দুটি করে ওষুধ খাওয়ার পর বন্ধ করে দিলে হতে পারে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স।
 মাছ চাষ: মাছের রোগ-বিরেত নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও মড়ক আটকাতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। এই মাছ খাওয়ার পরে সুস্থ মানুষের দেহেও সামান্য মাত্রায় হলেও অ্যান্টিবায়োটিক প্রবেশ করে।
 হাসপাতালের ড্রেন: হাসপাতালে বহু রোগী ভর্তি থাকেন। সেই রোগীর মল-মূত্র হাসপাতালের ড্রেন থেকে বেরিয়ে মাটিতে মিশছে! এমনকী ধীরে ধীরে ভূগর্ভস্থ জলের আধারে মেশাও অসম্ভব নয়।
 পুরনো ওষুধ: অব্যবহৃত পুরনো ওষুধ মাটিতে মিশে বা পানীয় জলের সঙ্গে কোনওভাবে মিশে গেলেও হতে পারে বিপদ।
 পশুখাদ্য: শুধুমাত্রা খাদ্য হিসেবে চাষ করা হয় এমন প্রাণীর মাংসেও আজকাল মিলছে অ্যান্টিবায়োটিক। বিশেষ করে মুরগির খাদ্যের সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য। এই ধরনের চিকেন খেলে, সেখান থেকেও হতে পারে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স!
অতএব বোঝাই যাচ্ছে যে কীভাবে ধীরে ধীরে ব্যাকটেরিয়ারা বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে পরিচিত হয়ে উঠছে এবং ধীরে ধীরে শরীরে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলছে।
এছাড়াও একটা কারণ আছে যেটির সম্পর্কে বলা দরকার—
 অতি ব্যবহার: সামান্য অসুখ-বিসুখে বারবার অ্যান্টিবায়োটিক খেলে খেলে হতে পারে এমন রেজিস্ট্যান্স। কারণ আমাদের শরীরে যেমন খারাপ ব্যাকটেরিয়া ঢোকে তেমনি কিছউ বন্ধু ব্যাকটেরিয়াও থাকে। কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক খারাপ ও ভালো উভয় ব্যাকটেরিয়ায় মেরে ফেলে। এদিকে বারবার, ছোটখাট কারণে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে এই বন্ধু ব্যাকটেরিয়াগুলিও অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করে নেয়। পরবর্তীকালে শরীরে খারাপ ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করার পর ওই ভালো ব্যাকটেরিয়ার অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জিনটি দিয়ে তারাও নিজেদের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলবে! এই প্রক্রিয়াকে বলে জিন ট্রান্সফার।
পরিসংখ্যান
বিভিন্ন সংস্থার করা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আমাদের দেশেই সবচাইতে বেশি অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা হয়! ফলে রেজিস্ট্যান্সও বেশি হয়!
২০১০ সালে এদেশে মারাত্মক এক অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের কথা শোনা যায়। এই রেজিস্ট্যান্ট অ্যান্টিবায়োটিকের নাম ছিল নিউ দিল্লি মেটালো-বেটা-ল্যাকটামেস-১ (এনডিএম-১)। এনডিএম হল এমন একটা উৎসেচক, যা খুব শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক গ্রুপকে (কার্বপেনেম) ধ্বংস করে ফেলতে পারে। এই উৎসেচক অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে পাওয়া যায়। এই উৎসেচক প্রথম ভারতের ব্যাকটেরিয়া থেকে মেলে। অতএব বোঝা যাচ্ছে পরিস্থিতি কতটা ভয়ঙ্কর!
মনে রাখতে হবে, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে যাওয়া মানে, রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র শূন্য হয়ে পড়া!
এখন পরিবেশে অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া আছে। কতকগুলি সামান্য শরীর খারাপের জন্য দায়ী থাকে। কিছু ব্যাকটেরিয়া আবার মারাত্মক রকম শরীর খারাপের জন্য দায়ী থাকে। এখন,অ্যান্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার না হলে, সব ধরনের ব্যাকটেরিয়ার মধ্যেই প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি হবে। ফলে একসময় যে কোনও রোগ সারানো অসম্ভব হয়ে যাবে। বিশেষ করে প্রাণঘাতী রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলি একবার যদি নিজেদের মধ্যে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে, তাহলে আমাদের প্রাক অ্যান্টিবায়োটিক যুগে ফিরে যেতে হবে!
তাহলে উপায় কী?
পৃথিবীতে মানুষের মৃত্যু হওয়ার পিছনে বড় বড় কারণগুলির সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সকেও অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গ্যানাইজেশন।
সাম্প্রতিক বেশ কিছু নামী ব্যক্তিত্ব যেমন রাজনীতিক, অভিনেত্রীর হ্যাসপাতালে মৃত্যুর কারণের দিকে নজর রাখলেই জানা যাবে, তাঁদের মৃত্যুর পিছনে দায়ী ছিল অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স!
বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এখন দরকার—
১) অ্যান্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা।
২) অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প খোঁজা!
প্রথমটি নিয়ে আলোচনা করা যাক।
অ্যান্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার:
আইন: অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার রোধে আইন প্রণয়ন করার চেষ্টা চলছে। এই প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে অ্যান্টিমাইক্রবিয়াল স্টুয়ার্ডশিপ! ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গ্যানাইজেশনের তরফে সবার জন্য মনোগ্রাহী আইন তৈরির চেষ্টা করে চলছে। ফলে ওষুধের দোকান থেকে হুটহাট ওষুধ কিনে খাওয়া বা গ্রামের কোয়াক চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া বন্ধ হবে। এছাড়া মডার্ন মেডিসিন প্র্যাকটিস করেন এমন চিকিৎসকদের যথেচ্ছ মাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে রাশ টানা যাবে।
সংক্রমণ রোধ: নতুন করে সংক্রমণ না হলে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করার দরকার পড়বে না। তাই সংক্রমণ ঠেকানো খুব জরুরি। এক্ষেত্রে হাসপাতালগুলিকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, হাসপাতালে ভর্তির পর রোগীর যেমন রোগ সারে তেমনই বহু জীবাণুও সেখানে বাস করে। ফলে
সঠিক পদ্ধতিতে অপারেশন না করলে, অপারেশন থিয়েটারের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর না রাখলে, গ্লাভস পরার নিয়ম না মানলে, রোগীর পরিচর্যা না করলে ফের সংক্রমণ ঘটতে পারে। এই নিয়ম মানার পাশাপাশি, হাসপাতালের স্যানিটেশন ব্যবস্থার দিকেও নজর দিতে হবে। অর্থাৎ হাসপাতালের বর্জ্য যাতে নদীতে না মেশে বা মাটির সঙ্গে মিশে ফের দূষণ ও সংক্রমণ না ছড়াতে পারে সেই দিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখা দরকার।
ওয়ান হেলথ: আগেই বলা হয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের পিছনে কম ডোজে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন, গবাদি পশু, খাদ্য হিসেবে প্রতিপালন করা পশুর ক্ষেত্রে যথেচ্ছ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার, মাটিতে, জলে অ্যান্টিবায়োটিক মেশা সমানভাবে গুরত্বপূর্ণ! ফলে এমন একটা আইন আনতে হবে যাতে, এই সমস্ত বিষয়গুলি একই আইনের আওতায় চলে আসে। অতএব হাসপাতালের বর্জ্য হোক বা কোনও ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার বর্জ্য, তা যেন কোনওভাবেই নদীতে বা মাটিতে না মেশে তা নিশ্চিত হবে এই আইনের মাধ্যমেই। একই সঙ্গে পশুখাদ্যের সঙ্গে অবৈজ্ঞানিকভাবে অ্যান্টিবায়োটিক মেশানোও বন্ধ করতে হবে।
অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প
ব্যাকটেরিওফাজ: ব্যাকটেরিয়া খেকো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিওফাজ দিয়ে চিকিৎসা করা শুরু হয়েছিল প্রথম সোভিয়েত রাশিয়ায়। কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির বাড়বাড়ন্তে ব্যাকটেরিওফাজ দিয়ে চিকিৎসাপ্রণালী বাধাপ্রাপ্ত হয়। সাম্প্রতিককালে ব্যাকটেরিওফাজ নিয়ে ফের নাড়াচাড়া শুরু হয়েছে। এমনকী মাত্র দু’বছর আগে আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব সান দিয়েগোর সাইকিয়াট্রি বিভাগের এক অধ্যাপকের প্যাংক্রিয়াসে অ্যাসিনেটোব্যাকটর জীবাণুর সংক্রমণ হয়। কোনও অ্যান্টিবায়োটিকই তাঁর শরীরে কাজ করছিল না। অবশেষে আমেরিকার নৌবাহিনীর ল্যাবরেটরি থেকে পাঠানো ব্যাকটেরিওফাজ দ্বারা ওই অধ্যাপকের চিকিৎসা হয় এবং তিনি সেরে ওঠেন। অতএব বোঝাই যাচ্ছে, রোগ সারাতে আপাতত ভবিষ্যত বলতে ব্যাকটেরিওফাজ। এই নিয়ে আরও গবেষণা হওয়া দরকার। যতবেশি গবেষণা হবে, ততই মানুষ উপকৃত হবেন। ইতিমধ্যে ভারত সরকারের চিকিৎসা গবেষণা বিভাগ (আইসিএমআর) সম্প্রতি জাতীয় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হাব তৈরি করার কথা ঘোষণা করেছে কলকাতায়। এই গবেষণাগারে সারা দেশের অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স নিয়ে গবেষণা নিয়ন্ত্রিত হবে।
লিখেছেন সুপ্রিয় নায়েক 
10th  October, 2019
তীব্র দাবদাহ: বাচ্চাদের স্কুল চলছে কী কী সতর্কতা নেবেন?

হাঁসফাঁস গরম। হিট ওয়েভ চলছে। নেহাত বাধ্য হয়ে ছোটদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন অভিভাবকরা। কিন্তু প্রতি মুহূর্তে দুশ্চিন্তায় থাকতে হচ্ছে। এদিকে গরমের ছুটি পড়তে এখনও কয়েক সপ্তাহ বাকি। শিশুদের অসুস্থতা এড়াতে কী করবেন এই সময়? পরামর্শে বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরুণ মাঙ্গলিক।  বিশদ

18th  April, 2024
অস্থির গরমে সুস্থ থাকতে রোজ পাতে থাক টক দই

আমাদের আজকের আলোচনা মূলত টক দই নিয়ে। টক দই সাধারণত শুভ্র বর্ণের হয়। অনেকের আবার সাদা দই এবং ইয়োগার্ট নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। ইয়োগার্ট এবং দই-এর প্রস্তুতির মধ্যে একটু ছোট্ট পার্থক্য আছে।  বিশদ

18th  April, 2024
অতিরিক্ত ঘাম কি অসুখের লক্ষণ

বেশি ঘামেন, কিংবা হয়তো ঘাম হতেই চায় না। লোকে ভয় দেখায় কোনও অসুখ আছে বলে। আদৌ কি তাই? জানালেন আমরি হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
 ডাঃ শাশ্বতী সিনহা।
বিশদ

18th  April, 2024
কাহোকন‌ ২০২৪

সম্প্রতি বিশ্ববাংলা‌ কনভেনশন সেন্টারে স্বাস্থ্য‌ পরিষেবা নিয়ে অনুষ্ঠিত হল‌ বিশ্বব্যাপী‌ স্বাস্থ্য সম্মেলন ‘কাহোকন‌ ২০২৪’।  এই উপলক্ষে এক সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ডাঃ‌ বিজয় আগর‌ওয়াল‌, ডাঃ‌ লালু জোসেফ, রূপক‌ বড়ুয়া, ডাঃ‌ শংকর‌ সেনগুপ্ত প্রমুখ। বিশদ

18th  April, 2024
কাটাছেঁড়া ছাড়াই হার্টে ফুটোর অপারেশন!

হার্টে একটা ফুটো নিয়েই যেখানে ভয়ে, দুশ্চিন্তায় একশেষ হতে হয়, সেখানে একটি নয়, দু’-দুটো ফুটো ছিল অর্চনা বাগের। চিকিৎসা পরিভাষায় যার পোশাকি নাম এরটেরিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্ট এবং পেটেন্ট ডাকটাস আর্টেরিওসাস। বিশদ

18th  April, 2024
রোবটিক, জেনারেল সার্জারি না ল্যাপারোস্কপি এগিয়ে কে?

পরামর্শে হাওড়ার নারায়ণা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের বিশিষ্ট রোবটিক সার্জেন ডাঃ পার্থপ্রতিম সেন ও বিশিষ্ট জিআই ও ক্যানসার সার্জেন ডাঃ শুদ্ধসত্ত্ব সেন। বিশদ

11th  April, 2024
হার্টের রোগী কি ডাবের জল খেতে পারেন? 

পরামর্শে বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরূপ দাসবিশ্বাস বিশদ

11th  April, 2024
আয়ুর্বেদ অনুযায়ী ডাবের গুণাগুণ

পরামর্শে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডাঃ সুমিত সুর বিশদ

11th  April, 2024
স্টেন্টের জন্ম

ব্যাঙ্ক থেকে সদ্য বাড়ি ফিরেছেন সোমনাথবাবু। চেয়ারে বসতে গিয়ে হুড়মুড়িয়ে পড়ে গেলেন। ছুটে এলেন ষাটোর্ধ্ব প্রতিমাদেবী। স্বামীর এমন অবস্থা দেখে খানিক ঘাবড়ে গিয়েও সামলে নিলেন। ছুটলেন প্রতিবেশীদের কাছে। সকলে মিলে ধরাধরি করে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে। বিশদ

11th  April, 2024
এবার জয়েন্টের সার্জারি করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা!

অস্থিসন্ধির অপারেশন নিখুঁতভাবে করার সুবিধার জন্য এতদিন ধরে রোবটিক সার্জারির ব্যবহার হয়ে আসছিল। বিশদ

11th  April, 2024
পজিটিভ থাকবেন কীভাবে?
 

আজকাল সবাই ভীষণ ব্যস্ত। ব্যস্ত কারণ আমরা সকলেই বেশি বেশি উপার্জন করে ভীষণ ভালো থাকতে চাই। এই করতে গিয়ে একসময় আমরা সামাজিক সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলি। আরও বড় জটিলতা হল, ব্যস্ততার বাইরে, রোজকার কাজের বাইরে যেটুকু সময় থাকে, সেই সময়টাতেও আমরা তাত্ক্ষণিক আনন্দ লাভের জন্য মাথা গলিয়ে দিই সোশ্যাল মিডিয়ার ছত্রছায়ায়। বিশদ

07th  April, 2024
লাগামছাড়া তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বিপদ কি নিজেরাই ডেকেছি?

হু হু করে চড়ছে পারদ। প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার নেপথ্যে দায়ী কে? প্রতিকারই বা কী? লিখছেন কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রাক্তন অতিরিক্ত নির্দেশক দীপঙ্কর সাহা ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায়। বিশদ

07th  April, 2024
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ করবেন কীভাবে?

মার্চ থেকেই গুছিয়ে গরম পড়েছে এবার। চড়চড় করে চড়ছে পারদ। খর বেলায় যাঁরা কাজেকর্মে বেরচ্ছেন, হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন ভাজা ভাজা হওয়ার মর্ম! বাইরে বেরলেই গলদঘর্ম অবস্থা। ঘামের সঙ্গে শরীরের জল তো বেরচ্ছেই। পরামর্শে বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ আশিস মিত্র।
বিশদ

04th  April, 2024
রাতে কাঁদলে ভালো ঘুম! 

কাঁদলে চোখের জল পড়ার জন্য যে ইন্দ্রিয় দরকার হয়, তা তৈরি হতে শিশুদের সাত আট মাস সময় লাগে। জন্মলগ্ন থেকেই কান্নার সঙ্গে মানুষের একটি বিশেষ সংযোগ আছে। জন্মের পর প্রথম কান্নার সঙ্গে প্রথমবার সরাসরি নিজে পৃথিবীর অক্সিজেন গ্রহণ করে শিশু
বিশদ

04th  April, 2024
একনজরে
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): বিকেল ৫টা  পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারে ৭৫.৫৪ শতাংশ, কোচবিহারে ৭৭.৭৩ শতাংশ ও জলপাইগুড়িতে ৭৯.৩৩ শতাংশ ভোট পড়ল

05:45:23 PM

নাগাল্যান্ডের ৬ জেলায় ভোটের হার ০ শতাংশ
শুরু হয়ে গেল গণতন্ত্রের উৎসব। আজ ছিল প্রথম দফার ভোট। ...বিশদ

05:44:37 PM

ফুলবাগান এলাকায় গার্ডরেল ভেঙে দুই শিশু সহ ৪ জনকে ধাক্কা মারল গাড়ি, উত্তেজনা

05:37:00 PM

মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরিতে রোড শো গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের

05:16:34 PM

গুয়াহাটিতে র‌্যালি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার

05:09:34 PM

পুনের আহমেদনগর রোডে একটি শপিং মলে অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের ৬ টি ইঞ্জিন

04:59:21 PM