শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
জ্বর— এক্ষেত্রে অন্য কোনও ধরনের ওষুধ না খেয়ে প্যারাসিটেমলের উপর ভরসা রাখুন। ওজন একটু কম হলে প্যারাসিটেমল ৫০০ ওষুধটি দিনে তিনবার খেতে পারেন। অন্যদিকে ওজন ৬০-এর বেশি হলে প্যারাসিটেমল ৬৫০ ওষুধটি দিনে তিনবার খেলে উপকার পাবেন। সঙ্গে অবশ্যই থার্মোমিটার রাখবেন। বারেবারে জ্বর মাপবেন। এক থেকে দুই দিনের বেশি জ্বর থাকলে অবশ্যই নিকটবর্তী চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পেটখারাপ-বমি— দুই থেকে তিনবারের বেশি পাতলা পায়খানা হলেই ওআরএস খাওয়া চালু করে দিন। সহজপাচ্য খাবার খান। এর মাধ্যমেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সমস্যা কমে যায়। তবে ৫ থেকে ৬ বারের বেশি তরল মলত্যাগ করলে অবশ্য কোনও ঝুঁকি না নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে। এক্ষেত্রে সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ ওষুধটি দিনে দু’বার করে খেতে হবে। এর পাশাপাশি মেট্রোনিডাজোল ওষুধটি ৪০০ করে দিনে তিনবার খেতে হবে।
ঘুরতে গিয়ে অনেকেরই হঠাৎ করে বমি শুরু হয়ে যায়। এই সমস্যায় ডমপেরিডন ওষুধটি খাওয়ার আগে দিনে তিনবার করে খেতে হবে। বদহজম, বুক জ্বালা, গ্যাস, অম্বলের মতো সমস্যায় অ্যান্টাসিড খাওয়া যায়।
সর্দি-কাশি-মাথাব্যথা— নতুন জায়গায় পৌঁছে আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পেরে অনেকেই সর্দি-কাশির সমস্যায় আক্রান্ত হন। এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে কাফ সিরাপ খাওয়া যায়। তবে ড্রাই কাফ সিরাপ, অর্থাৎ যে কাফ সিরাপের নাম ‘ডি’ দিয়ে শেষ হয়, সেই কাফ সিরাপ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া না খাওয়াই ভালো। বদলে এক্সপেক্টোর্যান্ট জাতীয় কাফ সিরাপ খেলে কফ বেরিয়ে আসে। মাথাব্যথা হলে প্যারাসিটেমল ট্যাবলেট খেতে পারেন।
শ্বাসকষ্ট— পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে অনেকের শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে বুঝলে ইনহেলার ব্যবহার করুন। আগেভাগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রাখুন।
কাটা, ব্যথা— কোনও জায়গা কেটে গেলে প্রথমে জায়গাটি বেটাডাইন দিয়ে ভলো করে পরিষ্কার করে নিন। এরপর সেই জায়গায় অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় মলম লাগাতে পারেন। সঙ্গে অবশ্যই ব্যান্ডএইড এবং তুলো রাখবেন।
ব্যথায় পেইনকিলার মলম বা স্প্রে লাগাতে পারেন। প্রয়োজনে প্যারাসিটেমল ট্যাবলেটও খাওয়া যায়।
মনে রাখবেন— আগে থেকেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘুরতে যাওয়া জায়গাটির চিকিৎসাকেন্দ্রগুলির ঠিকানা এবং ফোন নম্বর জোগার করে রাখুন। অসুস্থ হলে প্রাথমিকভাবে এই ওষুধগুলি খেয়ে দেখতে পারেন। তবে সমস্যা বাড়লে ঝুঁকি না নিয়ে অবশ্যই নিকটবর্তী চিকিৎসক বা চিকিৎসাকেন্দ্র পৌঁছে যান।
ডায়াবেটিস, প্রেশার, হার্টের অসুখ, অ্যাজমা বা যে কোনও ধরনের ক্রনিক রোগে আক্রান্ত রোগীরা ঘুরতে যাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন। ঘুরতে গিয়ে নিয়মিত ওষুধ খান। খুব বেশি অনিয়ম করবেন না।
লিখেছেন সায়ন নস্কর