কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
সাধারণ বেড়ানোর সমস্যা
প্রথমেই বলি উঁচু পাহাড়ে বেড়াতে গেলে পাহাড়ের উচ্চতার কারণে অনেক সময় (হাই অল্টিটিউড সিকনেশ) শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব সহ খিদে চলে যায়। কোকা ৩০ (মাইন্টেনারস রেমেডি) ওষুধটা একটু ঘন ঘন খেলে এই উপসর্গ থেকে মুক্তি মেলে। যাঁদের এরোপ্লেনে উঠতে ভয় বা সমস্যা আছে তাঁরা বেলেডোনা ২০০ ওষুধটা নিতে পারেন (এয়ার সিকনেশ)। গাড়ি করে বা বাসে ট্রেনে উঠলে কারও কারও বমি বমি ভাব বা বমি করার সমস্যা থাকে (কার সিকনেশ/ মোশন সিকনেশ)। এক্ষেত্রে কক্কুলাস ইন্ডিকা ৩০ যাত্রা শুরুর ঘণ্টাখানেক আগের থেকে খাওয়া শুরু করলে বেশ উপকারে আসে।
পেটের সমস্যা
বেড়ানো মানেই নিয়মের বাইরে গিয়ে বেহিসেবী খাওয়া-দাওয়া। তাই নিয়মের বাইরে গিয়ে ঝাল-তেল-মশলা খাবার খেয়ে পেট খারাপ হলে পালসাটিল্লা ৩০ কয়েকবার খেলে সুরাহা হয়। আমাশয়, পায়খানা, কষ্ট করে হলে মারসল ৩০, তাড়াতাড়ি যেতে হয়, ধরে রাখা যায় না এরকম হলে— এলো-সক ৩০ কাজ করে। রাত জাগা, হই-হুল্লোড় করা, পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাব, খাবারের অনিয়মে নাক্স ভোমিকা ২০০ কার্যকরী। বদ হজমে কার্বো ভেজ ২০০ কয়েকবার খাওয়া যেতে পারে। বাসি খাবার, অস্বাস্থ্যকর খাবার বা জল থেকে পেটের সমস্যা, ব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানা হলে (ফুড পয়জনিং) আর্সেনিক অ্যালব ৩০ কাজে আসে। পেট ভীষণ ফাঁপা সঙ্গে পাতলা পায়খানা হলে সিনকোনা ২০০ ভালো কাজ করে। তলপেটে খুব মুচড়ে ব্যথা, চেপে ধরলে আরাম হলে কলোসিন্স ৩০ কয়েকবার খেলে আরাম মিলবে। এক্ষেত্রে ম্যাপ ফল ৬ এক্স ৫ থেকে ৬টা ট্যাবলেটও যে কোনও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
চোট আঘাতের সমস্যায়
বেড়াতে বেরিয়ে চোট, ব্যথা লাগতেই পারে। তাই ব্যাগে অবশ্যই রাখতে হবে আর্নিকা ৩০ কিংবা ২০০। পড়ে গিয়ে চোট, কালসিটে, ফুলে গেলে এই ওষুধ অব্যর্থ কাজ করে। মচকা ব্যথাতে রুটা ২০০ সুন্দর কাজে আসে। পেশিতে ব্যথা হলে রাসটক্স ২০০ কার্যকরী। ধারালো কোনও কিছুতে শরীরের কোনও অংশ কেটে গেলে হাইপেরিকাম ২০০ খেতে হবে। ক্যালেন্ডুলা ৩০ ওষুধটিও কেটে গেলে খাওয়া যেতে পারে আর ক্যালেন্ডুলা মাদার টিংকচার দিয়ে কাটা জায়গাটায় লোশোন বানিয়ে ড্রেসিং করলে নিরাময় হয়। আর্নিকা ওয়েন্টমেন্ট ব্যথা ফোলায় এবং ক্যালেন্ডুলা ওয়েন্টমেন্ট কাটা-ছেঁড়ায় লাগানো যেতে পারে।
জ্বর
সারাদিন রোদে গরমে ঘুরে, ঠান্ডা জল খেয়ে বা যে কোনও ভাবে ঠান্ডা গরমে জ্বর এলে ব্র্যায়োনিয়া ২০০ বা ৩০ একটু খেলে উপশম মিলবে। নদী-সমুদ্রের স্নান করে অথবা বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর এলে রাসটক্স ২০০ কয়েকবার খেতে হবে। তবে এগুলোর সঙ্গে বেলেডোনা, জেলসেমিয়াম অন্যান্য অনেক কার্যকরী ওষুধও আছে।
পুড়ে গেলে
আগুনে বা গরম কোনও কিছুতেই হাত বা পা, শরীরের কোনও অংশ পুড়ে গেলে বা ছ্যাঁকা লাগলে ক্যানথেরিস ৩০ খেতে হবে আর ক্যানথেরিস ওয়েন্টমেন্ট লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে আনুসঙ্গিক প্রাথমিক চিকিৎসাও করতে হবে।
পোকা-মাকড়
কোনও বাগান বা জঙ্গলে ঘোরার সময় ধুলো, পোকা-মাকড়ের সংস্পর্শে চামড়ায় অ্যালার্জি জাতীয় কিছু দেখা দিলে বা মারাত্মক বিষাক্ত নয় এমন কিছু কামড়ালে (যেমন মৌমাছি, বোলতা, লাল পিঁপড়ে ইত্যাদি) এপিস মেল ৩০ ব্যথা জ্বালা উপশমে কাজে আসে।
নতুন জুতো
নতুন জুতো পরে পায়ে ফোস্কা পড়লে এলিয়াম সেপা ৩০ ঘন ঘন খেলে লাভ হয়।
পরিশেষে, মোটামুটি কিছু ওষুধের সিম্পটম তুলে ধরা হল যাতে কিছুটা হলেও সবার কাজে আসে। তবে সমস্যা বেশি বা জটিল হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।