ধর্মকর্মে সক্রিয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
একদম সাধারণ একটা জিনিস, অথচ তা দিয়েই বানিয়ে ফেলা যায় দারুণ সুন্দর অর্গানাইজার। ডিজাইনার বিদিশা বসু জানালেন সেই কথা। খুব সহজ এবং একই সঙ্গে কাজের জিনিস এটি। অল্পবয়সি বালিকা ও কিশোরীদের জন্য এই হ্যাঙার উপযুক্ত। পুরনো হ্যাঙার নিয়ে তাকেই সাজিয়ে গুছিয়ে নিজের সাজের সরঞ্জাম রাখা যায় অনায়াসে। চোখের সামনে থাকলে সাজের জিনিসগুলো হারাবে না, প্রয়োজনে তা পেতেও সমস্যা হবে না। বাচ্চা মেয়েদের চুলের সাজ সরঞ্জামের প্রতি অমোঘ আকর্ষণ থাকে। জামার সঙ্গে মিলিয়ে হেয়ারব্যান্ড, ক্লিপ ইত্যাদি পরতে ভালোবাসে অনেকেই। অথচ বেড়াতে যাওয়ার সময় হয়তো মনের মতো ক্লিপটা কিছুতেই খুঁজে পাওয়া গেল না। বাবা-মায়ের তাড়াতে অন্য কিছু চুলে লাগিয়েই বেরিয়ে পড়তে হল। এমনটা যাতে না হয়, তারই জন্য একটা সহজ সমাধান জানালেন শিল্পী। হাতের কাছেই হ্যাঙার অর্গানাইজার থাকলে তাতেই গুছিয়ে রাখতে পার সব জিনিসগুলো।
তাহলে বলি কীভাবে তৈরি করবে এই হ্যাঙার অর্গানাইজার? প্রথমেই জেনে নাও কী কী লাগবে তার জন্য।
উপকরণ: একটা পুরনো হ্যাঙার, ভেলভেট কাগজ বা স্যাটিন কাপড় অথবা নিজের পছন্দসই যেকোনও প্রিন্টেড কাপড় মিটার, আঠা ১ টিউব, চুমকি ১ কৌটো।
পদ্ধতি: হ্যাঙারটা পরিষ্কার করে মুছে নাও। এবার তাতে ভেলভেট কাপড় বা কাগজ অথবা অন্য যেকোনও কাপড় মুড়ে আঠা দিয়ে লাগিয়ে নাও। কাপড় লাগালে জিনিসটি টিকবে বেশিদিন। কাগজ ছিঁড়ে যেতে পারে। তাই কাপড় লাগানোই ভালো। এবার তা শুকোতে দাও। একদিন এমনি ফেলে রাখলেই শুকিয়ে যাবে। তখন আঠাটা ধরবে ভালো। কাপড়টা হ্যাঙার থেকে খুলে যাবে না। এবার কাপড়ের সঙ্গে কনট্রাস্ট করে কেনা চুমকি আঠার সাহায্যে গোটা হ্যাঙারে ডিজাইন করে বসিয়ে দাও। আবারও তা শুকনো করে নাও। এই হ্যাঙার ড্রেসারের দরজায় ঝুলিয়ে রাখতে পার। চুলের ক্লাচার, হেয়ারব্যান্ড, ক্লিপ ইত্যাদি অনায়াসেই তাতে আটকে রাখা সম্ভব হবে। তাহলে দেখলে তো কত সহজেই তৈরি হয়ে গেল হ্যাঙার অর্গানাইজার। এরপর ব্যবহার করতে করতে যখন কাপড়টা পুরনো হয়ে যাবে, তখন ওই কাপড় খুলে অন্য কাপড় লাগিয়ে একইভাবে ডিজাইন করে নিতে পার।