Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

ছোট্ট রবির 
 ছেলেবেলা
মীনাক্ষী সিংহ

ছোটদের তিনি কবি দাদু। তিনি রবীন্দ্রনাথ, কিন্তু তাঁর ছেলেবেলার অনেক মজার গল্প আছে। তিনি নিজেই তাঁর লেখা ‘ছেলেবেলা’ আর ‘জীবনস্মৃতি’ বই দু’টিতে সেই গল্প শুনিয়েছেন।
সেই রকমই কিছু গল্প আজ আমরা জানব। ছোটবেলায় ঠাকুরবাড়ির তিনটি বালক একসঙ্গে থাকতেন। রবীন্দ্রনাথের দাদা সোমেন্দ্রনাথ, তাঁদের বড়দিদি সৌদামিনী দেবীর ছেলে সত্যপ্রসাদ আর বালক রবি— তিনি ছিলেন এই তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট।
সোমেন্দ্রনাথ ও সত্যপ্রসাদ স্কুলে ভর্তি হলেন, ছোট্ট রবি তখনও ভর্তি হননি। তিনি তখন খুবই ছোট। রবি দেখেন, ওরা দু’জনে গাড়ি করে স্কুলে যায়, পথে কত কী দেখে। সেসব গল্প শুনে রবির মন খারাপ হয়ে যায়— সে তো একদিনও বাইরে যায়নি, গাড়ি চড়েনি। তখন স্কুলে যাওয়ার জন্য কান্না আর থামে না। বাড়ির মাস্টারমশাই কিছুতেই তাকে শান্ত না করতে পেরে চপেটাঘাত করে বললেন— ‘আজ যেমন ইস্কুলে যাওয়ার জন্য কাঁদছ— একদিন না যাওয়ার জন্য কাঁদতে হবে।’
রবীন্দ্রনাথ পরে লিখেছিলেন মাস্টারমশাই-এর কথা যে এমন সত্যি হবে— তা কি তখন জানতুম?
তোমরা জানো তো পরে রবীন্দ্রনাথ কোনওদিন স্কুলে যেতে ভালোবাসতেন না। তিনি ওরিয়েন্টাল সেমিনারি নর্মাল স্কুল, সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে পড়েছিলেন। চার দেওয়ালের মধ্যে বন্ধ ঘরে বসে থেকে শিক্ষকদের বকুনি আর বেতের শাসনে স্কুল ছিল তাঁর কাছে বিভীষিকা। এ জন্যই পরে তিনি শান্তিনিকেতনে খোলা মাঠে, আকাশের তলায় ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন।
একমাত্র সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের একটি স্মৃতি তাঁর মনে উজ্জ্বল হয়েছিল। সেখানকার ফাদার ঩ডি পেনেরানডার স্মৃতিকে তিনি ‘পবিত্র স্মৃতি’ বলে মনে রেখেছিলেন আজীবন। একদিন ফাদার ছাত্রদের একটি বিষয়ে লিখতে দিয়েছিলেন। সব ছেলেরা লিখছে— শুধু বালক রবীন্দ্রনাথ কিছু না লিখে চুপ করে বসেছিলেন। ফাদার কয়েকবার দেখে রবির পিঠে হাত রেখে অত্যন্ত স্নেহভরে জিজ্ঞেস করেন— ‘টেগোর, তোমার কী শরীর ভালো নাই’— এসব ক্ষেত্রে মাস্টারমশাইরা ছাত্রদের তিরস্কার করেন শাসন করেন। অনেক সময় শাস্তি দেন। কিন্তু ফাদার পেনেরানডার সস্নেহ আচরণ বালক কবিকে বিস্মিত অভিভূত করেছিল। সেই ঘটনাকে পরে তিনি এক ‘পবিত্র স্মৃতি’ বলে বর্ণনা করেছেন।
আমরা জেনেছি পরে শান্তিনিকেতনের পাঠভবনে শিক্ষকরা কখনও ছাত্রদের কঠোর শাস্তি দিতেন না। রবীন্দ্রনাথ পাঠ দানের সঙ্গে স্নেহ-আদরে তাদের ভোলাতেন। ছোটবেলার বিদ্যালয়ের স্মৃতি তাঁর মনে অন্যরকম ভাবেও দেখা দিত। নিজে মাস্টারমশাই সেজে হাতে একটি ছড়ি নিয়ে বাড়ির বারান্দার রেলিংগুলোকে ছাত্র ভেবে প্রায়ই শাসন করতেন। ‘জীবনস্মৃতি’তে লিখেছেন,
‘একটা কাঠি হাতে করিয়া চৌকি লইয়া তাহাদের
সামনে বসিয়া মাস্টারি করিতাম,’
কিন্তু পরে শান্তিনিকেতনে কোনওদিন কোনও ছাত্রকে শাসন করেননি। শান্তিনিকেতন সত্যিই শান্তির আশ্রয় ছিল।
ছোটবেলার স্মৃতিতে অনেকখানি জুড়ে আছে জোড়াসাঁকোর ভৃত্য মহল। ছেলেবেলায় তাঁরা থাকতেন একতলার ঘরে চাকরদের অধীনে। তিনি পরিহাস করে এই পর্বকে নাম দিয়েছেন— ‘ভৃত্যরাজকতন্ত্র’ অর্থাৎ ভৃত্য বা চাকররাই ছিল সেই মহলের রাজা। তাদের অধীনে প্রজা ছিল ঠাকুরবাড়ির ছোট ছেলেরা।
শ্যাম আর ব্রজেশ্বর বলে দুই ভৃত্যের গল্প শুনিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। শ্যামের অল্প বয়স, সে খুলনার ছেলে। তার ভাষাও ছিল মজার। সে বলত ‘কুলির অম্বল’, ‘মুগির ডাল’। ছোট্ট রবিকে রামায়ণের গল্প বলে শ্যাম চারধারে খড়ির গণ্ডি এঁকে ভয় দেখাত, ‘এর বাইরে বেরিও না। তাহলে সীতার মতো রাবণ এসে ধরে নিয়ে যাবে।’ ছোট্ট রবি ভয়ে ভয়ে বসে থাকত আর শ্যাম তার দুপুরের আড্ডা দিতে বেরিয়ে যেত।
আবার ব্রজেশ্বর বা ঈশ্বর ছিল অন্যরকম। সে নাকি গ্রামের পাঠশালার পণ্ডিত ছিল। সাধু ভাষায় কথা বলত আর ছেলেদের শাসন করত। তার উপর ছিল ছোট ছেলেদের খাবারের ভার। ছোট্ট রবির স্মৃতিকথায় দেখি বারকোশ (কাঠের থালা) ভর্তি লুচি থাকলেও ঈশ্বর ছেলেদের খাওয়ার ব্যাপারে ছিল অতি কৃপণ। অনেক কষ্টে একখানা লুচি দিয়েই চলে যেত— দ্বিতীয়বার আর অনুরোধ করত না। আর বিকেলের জলখাবারের জন্য ছোট্ট রবিদের বরাদ্দ ছিল একটু বাদাম বা ছোলাভাজা। ঈশ্বর তাদের জন্য বরাদ্দ পয়সা নিজের পকেটে ভরত। আবার তার ছিল আফিমের নেশা। তাই ছেলেদের ভাগের দুধ নিজে খেয়ে নিয়ে বলত, ‘বেড়ালে দুধ খেয়েছে।’ ছোট্ট রবি বুঝেও চুপ করে থাকত।
খাওয়ার ব্যাপারে রবির দুঃখ ছিল না, কিন্তু দুঃখ ছিল অন্য ব্যাপারে। তাঁদের পোশাক পরিচ্ছদ ছিল খুব সাধারণ মানের। ঠাকুরবাড়ির উপযুক্ত দামি পোশাক তাঁরা ছোটবেলায় পরেননি। সেজন্য রবির মন খারাপ হত না, কিন্তু তাঁর আফশোস ছিল অন্য কারণে। দর্জি তাঁদের জামায় কোনও পকেট রাখত না। আর কে না জানে ছোট ছেলেদের সবচেয়ে প্রিয় তাদের পকেট, যেখানে তারা তাদের প্রিয় মার্বেল, গুলি, জমিয়ে রাখে। একটু বড় হতেই অবশ্য সে দুঃখ ঘুচে গিয়েছিল। তখন বালক রবীন্দ্রনাথের পকেটে থাকত নীলরঙের একটি ছোট খাতা। যেটিতে লেখা হতো অনেক ছড়া, কবিতা।
সে কথা বলার আগে দেখি একটু বড় হতে এই ভৃত্যদের মহল থেকে তাদের রেহাই মেলে। তখন অবশ্য তাদের শুরু হল লেখাপড়া চর্চা। সঙ্গে শরীর চর্চাও। নিয়মমতো স্কুলে না গেলেও পড়াশোনার কমতি ছিল না। ভোরবেলা পালোয়ানের কাছে ব্যায়াম— তারপর নানা রকমের পড়াশোনা। বাংলা, ইংরেজি, গণিত, ইতিহাস,  বিজ্ঞান সব বিষয়ে সারাদিন ব্যস্ত থাকতে হতো। রবির সবচেয়ে অপছন্দ ছিল সন্ধেবেলায় ইংরেজি শিক্ষার সময়টা। তিনি কৌতূকছলে বলেছেন— ‘সমস্ত দুঃখ দিনের পর সন্ধেবেলায় টিমটিমে বাতি জ্বালাইয়া বাঙালি ছেলেকে ইংরেজি পড়াইবার ভার যদি স্বয়ং বিষ্ণুদূতের উপরেও দেওয়া যায়, তবু তাহাকে যমদূত বলিয়া মনে হইবেই, তাহাতে সন্দেহ নাই।’
একদিন সন্ধ্যাবেলা মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে। রবিরা তিনজন ভেবেছিলেন আজ আর মাস্টারমশাই আসবেন না। কিন্তু গলির মোড়ে হঠাৎ দেখা গেল মাস্টারমশায়ের কালো ছাতা, তখনই তিনটি বালকের আশা ভঙ্গ হল। এমন অনেক ছোট ছোট মজার গল্প ছোট রবির স্মৃতিতে লিপিবদ্ধ আছে।
এমনই একটা কৌতুককর ঘটনা— কবির দিদির ছেলে সত্যপ্রসাদ মাঝে মাঝে রবিকে ভয় দেখিয়ে ডাকত— পুলিসম্যানকে। ছোট্ট রবি পুলিসের নাম শুনেই ভয়ে লুকিয়ে পড়ত। তার নিরাপদ আশ্রয় ছিল অন্দরমহলে মার ঘরে। জননী সারদাদেবী ছোট ছেলেটিকে কাছে ডেকে নিতেন। তার ভয় পাওয়া কচি মুখটি দেখে তাঁর মায়া হতো।
আগেই বলেছি, একটি নীল ছোট খাতাতে চলত তাঁর পদ্য লেখা। অল্পবয়সি দাদা সোমেন্দ্রনাথ ছোট ভাই রবির কবিতার গুণমুগ্ধ ছিলেন। সকলকে ডেকে ভাইয়ের কবিতা শোনাতেন। স্কুলের মাস্টারমশাইয়ের কাছেও সে খবর পৌঁছে গিয়েছিল। এমন একটি কবিতা ছোটদের খুব প্রিয় ছিল, হয়তো তোমরাও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের বাল্যকালে লেখা এই কবিতাটি পড়েছ।
‘আমসত্ত্ব দুধে ফেলি তাহাতে কদলী দলি
সন্দেশ মাখিয়া দিয়া তাতে
হাপুস হুপুস শব্দ, চারিদিক নিস্তব্ধ
পিঁপিড়া কাঁদিয়া যায় পাতে।’
একবার ছোট্ট রবির শখ হল গাছ পুঁতবে। কোথা থেকে আতার বীজ এনে রান্নাঘরের পাশের মাটিতে তা পুঁতে দিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে কখন আতা গাছে আতা ফলবে।
অতি উৎসাহে প্রতিদিন জল দিয়েও শেষ পর্যন্ত গাছ হল না। ছোট্ট রবি আতা গাছের শোকে মুহ্যমান রইল কিছুদিন।
আসলে ছোটবেলায় ভৃত্য মহলে একতলার ঘরে বন্দি শিশু রবির কাছে জানলা দিয়ে দেখা বাগানের টুকরো ছবি ছিল মনোরম। সেই বাগানের প্রতিটি গাছের সঙ্গে ছিল তাঁর মিতালি। ‘জীবনস্মৃতি’-তে সেই বাগানের একটি প্রাচীন বট গাছের কথা বলেছেন। বড় হয়ে স্মৃতি-দূরবিনে চোখ দিয়ে সেই গাছকে দেখে লেখেন—
‘নিশিদিন দাঁড়িয়ে আছ মাথায় লয়ে জট
ছোটো ছেলেটি মনে কি পড়ে, ওগো প্রাচীন বট’
প্রকৃতির সঙ্গে বাল্যকাল থেকেই ছিল তাঁর বন্ধুত্ব। সেই প্রকৃতিমগ্ন মানস পূর্ণ প্রকাশিত হল তাঁর স্বপ্নের বাসভূমি শান্তিনিকেতনে। অনেক অনেক বাল্যস্মৃতি তাঁর লেখাতে পড়ে আমরা মুগ্ধ হই। যিনি একদিন বিশ্ব জয় করবেন কবিতা লিখে, তাঁর ছোটবেলা ছিল নানা রসে কৌতুকে পূর্ণ। তখন তো তিনি বিশ্বকবি হননি। তখন তিনি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সবচেয়ে ছোট সদস্য— শিশু রবি, পরে বিশ্ববন্দিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
একদিন বটগাছকে নিয়ে মনে মনে কবিতা লিখত যে শিশু, আবার একদিন আতার বীজ পুঁতে যে ছোট্ট ছেলেটি গাছের স্বপ্ন দেখত, সে বড় হয়ে তার সাধের শান্তিনিকেতনে গাছপালার শ্যামল ছায়ায়, বনে বনান্তরে প্রকৃতির ছায়ায় জীবন কাটিয়েছে। শান্তিনিকেতনের ছাতিমতলায় প্রার্থনারত তাঁর সেই দেবমূর্তিতে আমাদের প্রণতি নিবেদন করি।
07th  May, 2023
বিকেলবেলার আলো

আজ ক্লাস ফাইভ থেকে বিনন্দ সিক্সে উঠেছে। ওর এরকম নামটা মা রেখেছিল। মা একটা পুরনো বই ঠাকুরমার কাছ থেকে পেয়েছিল। বইটার নাম ‘লক্ষ্মীচরিত্র’। বইটার মলাটে একটা লক্ষ্মী ঠাকুরের রঙিন ছবি আছে। মা সন্ধেবেলা বইটা নিয়ে পড়তে বসে।
বিশদ

21st  April, 2024
পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয়

শুক্রের আহ্নিক গতি অন্য গ্রহগুলির মতো নয়। সৌর জগতে কেন ব্যতিক্রমী এই গ্রহ জানালেন স্বরূপ কুলভী বিশদ

21st  April, 2024
মুদ্রা যখন বিশালাকৃতির পাথর

টাকা-পয়সা বা মুদ্রা সম্পর্কে আমাদের সকলেরই কমবেশি ধারণা আছে। সভ্যতার ঊষালগ্নে চালু ছিল বিনিময় প্রথা। তারপর এল তামা, সোনা ও রুপোর মুদ্রা। বর্তমান সময়ে ধাতব মুদ্রার পাশাপাশি কাগজের নোট চালু আছে।
বিশদ

21st  April, 2024
বাংলা ভাষার প্রতি ঠাকুরবাড়ির ভালোবাসা
পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

বাংলা নববর্ষের দিন জানব বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসার কথা। সেই ইংরেজ আমলে রবীন্দ্রনাথের পরিবারের সদস্যরা কীভাবে এই ভাষার জন্য লড়াই করেছিলেন, তুলে ধরা হল তারই টুকরো কিছু স্মৃতি।  বিশদ

14th  April, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: মটকা পেন্টিং

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

14th  April, 2024
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আবিষ্কার
কল্যাণকুমার দে

ঘুম! পড়তে বসলেই ঘুম পেয়ে যায়। এর জন্য বাবা-মায়ের কাছে কম বকুনি খেতে হয় না। বকুনি খেয়েও কিন্তু অভ্যেসটা পাল্টায় না। আসলে ঘুমের অভ্যেসটা আমাদের জন্মাবার সঙ্গেই তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল, আমরা কেন ঘুমোই? জীবনে কি ঘুম অত্যন্ত জরুরি? বিশদ

14th  April, 2024
এপ্রিল ফুলের খুনসুটি

পেরিয়ে এলাম পয়লা এপ্রিল। ইংরেজি চতুর্থ মাসের ১ তারিখ মানেই এপ্রিল ফুলস’ ডে। বোকা বানানোর দিন। কীভাবে বন্ধুদের সঙ্গে দিনটি মজা করে কাটল, সেই গল্পই শোনাল পূর্ব বর্ধমানের ঘোড়ানাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ‘ফুল’ একটি ইংরেজি শব্দ। এর অর্থ বোকা। এপ্রিল ফুলের অর্থ এপ্রিল মাসের বোকা।
বিশদ

07th  April, 2024
যাত্রী যখন গান্ধীজি

১৯৪৬ সালের জানুয়ারি মাস। শীতের বিকেলে সোদপুর স্টেশন দিয়ে কু-ঝিকঝিক আওয়াজ করে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যাত্রীবাহী ট্রেন। স্ব-পার্ষদ খাদি আশ্রমে বসে রয়েছেন জাতির জনক। আচমকা বললেন, মাদ্রাজ যেতে হবে। এখান থেকেই ট্রেন ধরব
বিশদ

07th  April, 2024
বিরল সংখ্যা

গণিত মানেই মগজাস্ত্রে শান। সংখ্যার খেলা। কত ধরনেরই যে বিস্ময় লুকিয়ে রয়েছে, তা বলে বোঝানো যায় না। এক একটা সংখ্যাতেই কত না রহস্য। এই ধর, ছয় দশ পাঁচ পঁয়ষট্টির কথা। সংখ্যায় লিখলে— ৬৫। দেখে কী মনে হচ্ছে!
বিশদ

07th  April, 2024
রুকু ঝুকুর চাওয়া পাওয়া
অংশুমান কর

আমরা গ্রামের বাড়ি যাব। ঝুকুর জন্মের পর এই প্রথম আমাদের সকলের একসঙ্গে গ্রামের বাড়ি যাওয়া। ও তাই খুব আনন্দে আছে। কতবার আমাকে বলছে, ‘দাদা তুই আর আমি ধানগাছে চড়ে দোল খাব।’ আমি ওকে বলিনি যে, ধানগাছে চড়ে দোল খাওয়া যায় না। বিশদ

31st  March, 2024
মহাকাশযাত্রীদের খাবার-দাবার
উৎপল অধিকারী

মহাকাশ বড়ই রহস্যময় স্থান। এই রহস্যের উদ্ঘাটন করার জন্য মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষ সশরীরে সেখানে হাজির হয়েছে। এই অকুতোভয় সাহসী মহাকাশযাত্রীরা জীবন বাজি রেখে অসীম ধৈর্য নিয়ে মহাকাশযানে তাঁদের গবেষণা করছেন। বিশদ

31st  March, 2024
চরম দারিদ্র্য থেকে সর্বোচ্চ শিখরে

পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের প্রথম উচ্চতা মেপেছিলেন রাধানাথ শিকদার। এই বাঙালি গণিতবিদের সাফল্যের গল্প শোনালেন সোমনাথ সরকার বিশদ

31st  March, 2024
কবিগুরুর দোল উৎসব
সায়ন্তন মজুমদার

১৯২৫ সালে দোল উপলক্ষ্যে সেজে ওঠে আম্রকুঞ্জ। কিন্তু বিকেলের ঝড়বৃষ্টিতে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বৃষ্টি থামতে রবীন্দ্রনাথ সকলকে নিয়ে চলে যান এখনকার পাঠভবনে। সেখানে অভিনীত হয় ‘সুন্দর’ নাটকটি। বিশদ

24th  March, 2024
খেলাধুলোর আনন্দ

পড়াশোনায় ফাঁক পেলেই চলছে চুটিয়ে খেলা। ব্যাট-উইকেট, ফুটবল নিয়ে সকলে নেমে পড়ছে। খেলার আনন্দের বিকল্প নেই। নিজেদের প্রিয় খেলার বিষয়ে জানাল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর হাই স্কুলের পড়ুয়ারা। বিশদ

24th  March, 2024
একনজরে
আট ম্যাচে পাঁচটা পরাজয়। প্লে-অফের পথ ক্রমশ কঠিন হচ্ছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। সোমবার সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ৯ উইকেটে ...

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হলেন নাইমা খাতুন। ১২৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মহিলা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর চেয়ারে বসলেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মুর অনুমোদনের পরই ...

বিজেপি সহ তামাম বিরোধীদের কোণঠাসা করতে পুরোপুরি কর্পোরেট ধাঁচে প্রচার পরিকল্পনা সাজিয়েছে তৃণমূল। জনসংযোগই হোক বা তারকা প্রচারককে নিয়ে প্রার্থীর বর্ণাঢ্য রোড শো—সবেতেই থাকছে সেই ...

কেউ আছেন পাঁচ বছর, কেউ বা দশ। তাঁরা প্রত্যেকেই বারুইপুরের ‘আপনজন’ হোমের আবাসিক। প্রত্যেকেই প্রবীণ নাগরিক। তাঁদের অনেকেই পরিবার থেকে দূরে থাকেন। মাঝেমধ্যে কেউ কেউ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবস 
১০৬১: ইংল্যান্ডের আকাশে হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায়
১২৭১ : মার্কো পোলো তার ঐতিহাসিক এশিয়া সফর শুরু করেন
১৯২৬:  যক্ষার ভ্যাকসিন বিসিজি আবিষ্কার
১৯৪২: মারাঠি মঞ্চ অভিনেতা, নাট্য সঙ্গীতজ্ঞ এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী দীনানাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যু
১৯৪৫ :সোভিয়েত সেনাবাহিনী  বার্লিনে প্রবেশ করে
১৯৫৬: লোকশিল্পী তিজ্জনবাইয়ের জন্ম
১৯৭২: চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের মৃত্যু
১৯৭৩: ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকারের জন্ম
১৯৮৭: বরুণ ধাওয়ানের জন্ম
২০১১: ধর্মগুরু শ্রীসত্য সাঁইবাবার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯০ টাকা ৮৩.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০১.৮৯ টাকা ১০৪.৫০ টাকা
ইউরো ৮৭.৯৯ টাকা ৯০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। পূর্ণিমা ০/১৫ প্রাতঃ ৫/১৯। স্বাতী নক্ষত্র ৪৬/৩০ রাত্রি ১২/৪১। সূর্যোদয় ৫/১৩/০, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/৩৭। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১১/৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৩ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। 
১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ অহোরাত্র। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৫/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৫/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৫ গতে ১০/০ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৫ গতে ৩/৪৯ মধ্যে। 
১৪ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ভারত ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে, ভোট আবহে অভিযোগ অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিকের
তাঁকে ভারত ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন ভোটের ...বিশদ

11:49:57 AM

প্রয়াত সাংসদ অজিত পাঁজার বাড়িতে ভোট চাইতে উপস্থিত কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়

11:43:00 AM

উদয়নকে কেএলও-র চিঠি, ৫ কোটির দাবি
জঙ্গি সংগঠন কেএলও-র নামে চিঠি পেলেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী ...বিশদ

11:25:09 AM

ভিভিপ্যাট-ইভিএম সংক্রান্ত মামলায় আজ নির্দেশিকা দিতে পারে সুপ্রিম কোর্ট

11:15:17 AM

২৮৮ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

10:39:10 AM

ডানকুনির কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ আগুন, অকুস্থলে দমকলের ৭টি ইঞ্জিন
ডানকুনিতে একটি কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। আজ, বুধবার ...বিশদ

10:32:00 AM