বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ছোটদের বইমেলা স্টলটি বুক সেলার্স অ্যান্ড গিল্ডের। মূলত তোমাদের মতো শিশু-কিশোরদের কথা মাথায় রেখেই সাজানো হয়েছে স্টলটি। এবছর ‘আবোল তাবোলে’র ১০০ বছর। সেই উপলক্ষ্যে স্টলের থিমও হয়েছে আবোল তাবোলের চরিত্ররা। এবারে কোন কোন বই কিশোর-কিশোরীদের মনে ধরেছে? ফেলুদা তো বটেই, এছাড়াও রয়েছে ঘনাদা, টেনিদা, ঋজুদা। বাংলা ও ইংরেজি কমিক্সও বিকোচ্ছে হু হু করে। বাঁটুল, হাঁদা-ভোঁদা, নন্টে ফন্টে তোমাদের মতো কচিকাঁচাদের হাতে হাতে ঘুরছে।
আরও একটা খবর দিয়ে রাখি। এই স্টলটি ছাড়াও বইমেলায় তোমাদের জন্য আরও কয়েকটি স্টল রয়েছে। সেখানেও সমান ভিড়। ছোটরা কমিক্সে মজেছে। আর একটু বড়রা বাংলা সাহিত্যের ‘দাদা’দের খোঁজে। কয়েকটি প্রকাশনা আবার কমিক্সের আকারে রামায়ণ ও মহাভারত প্রকাশ করেছে। কমিক্সের আকারে এই দুই মহাকাব্য পড়ার সুযোগ পাওয়ায় তোমরা বেশ খুশি, তাই তো?
একটা স্টলে কমিক্স মহাভারত নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে গেল দিদি ও ভাইয়ের মধ্যে। শেষে দিদির হাতে উঠল মহাভারত। ভাই পেল রামায়ণ। মাথায় হুডি চাপিয়ে মন দিয়ে সেই বই পড়তে লাগল দিদি। অত মানুষের ভিড়েও ওর একাগ্রতায় চিড় ধরেনি। সল্টলেকের একটি স্কুল থেকে দল বেঁধে এসেছিল সপ্তম শ্রেণির ছাত্ররা। অভিভাবকরা সঙ্গে ছিলেন না বলে বাজেট স্বাভাবিকভাবেই কম তাদের। অল্প টাকার মধ্যে যে যেমন পারল কিনল। সেই দলে ছিল শৌভিক। সে বলল, ‘রবিবার বাবার সঙ্গে আসব। আজ পছন্দ করে গেলাম।’ ওকে ঘনাদা সমগ্র কিনতেই হবে। আগেরবার ফেলুদা সমগ্র কিনেছিল। এবার ঘনাদা আর জুল ভের্ন সমগ্র টার্গেট করেছে।
মেলায় বেশ কয়েকটি আইসক্রিমের স্টল বসেছে। সেখানেই ছিল সাত্যকি। সে বাবার সঙ্গে সকালে আসানসোল থেকে বাসে করে এসেছে। গোটা দুপুর মেলা ঘুরে বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ফিরে যাবে। দু’খানা ব্যাগ ভর্তি করে বই কিনেছে। টিনটিনের সবকটি বই নেওয়ার টার্গেট ওর বহুদিনের। সে ইচ্ছা এতদিনে পূর্ণ হল। ফলে আনন্দে আটখানা সাত্যকি। বাবাকে কথা দিয়েছে, মোবাইল ফোন আর ছুঁয়ে দেখবে না। তাহলে ছোট্ট বন্ধুরা, তোমরা কবে আসছ বইমেলায়?
ছবি : সায়ন চক্রবর্তী