পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কেনা হল লাল রঙের ঝুমকো জবা ও হলুদ রঙের জবা। হলুদ জবার মাঝখানটা আবার টকটকে লাল রঙের। নার্সারিতে দেখা গেল জবার মতোই আরও এক ধরনের গাছ। জবার কুঁড়ি ফোটার আগে যেমন দেখতে হয়, এর ফুলগুলোও সেইরকম দেখতে। লাল, গোলাপি, সাদা রঙের হয় এই ফুল। গাছের নামটিও সুন্দর— লঙ্কা জবা।
টগরের মতোই এক ধরনের ফুলগাছ দেখা গেল। গ্রীষ্মকাল ও বর্ষাকালে এই ফুল খুব ফোটে। নাম ভুটান মল্লিকা। ফুলগাছ ছাড়াও কেনা হল গাছের বীজ। আরও একটা গাছের দিকে চোখ গেল নাম প্লুমেরিয়া, চলতি নাম চাঁপা। সাদা, হলুদ, লাল, বেগুনি একাধিক রঙের হয় এই গাছের ফুল। যত্নও খুব বেশি করতে হয় না। ফুলগুলিকে দেখতেও খুব সুন্দর। নার্সারিতে কোণের দিকে রয়েছে আরও একটা গাছ। ছোট ছোট সাদা ফুলে গোটা গাছ ভরে রয়েছে। কিছু আবার টবের ধারে পড়েও রয়েছে। সুন্দর গন্ধে গোটা জায়গা মাতোয়ারা হয়ে যাচ্ছে। এই ফুলের নাম কামিনী। আরও এক ধরনের গাছ দেখা গেল, যার ফুলগুলো দেখতে একদম হার্টের মতো। সাদা রঙের এই ফুলের মাথার দিক থেকে লাল রঙের ছোট্ট একটা অংশ বেরিয়ে রয়েছে। এর নাম ব্লিডিং হার্ট।
নার্সারিতে দেখা গেল নানা রঙের রঙ্গন ফুল। লাল, গোলাপি, হলুদ, সাদা রঙের থোকা থোকা ফুল ফুটে রয়েছে। বাড়ির বাগানের জন্য নীল ফুলের গাছ অপরাজিতা এবং সেইসঙ্গে লিলি ফুল ও রজনীগন্ধার বীজও কিনল মনাই। ফুলগাছের পাশাপাশি সেখানে রয়েছে নানারকম পাতাবাহারি এবং ইন্ডোর প্ল্যান্ট। ছোট ছোট কাচের পাত্রে বাঁশগাছের মতো এক রকমের গাছ দেখা গেল। তার নাম লাকি বাম্বু। অনেকে এই গাছ আবার বাড়িতে রাখা খুব শুভ বলে মনে করেন। এছাড়াও রয়েছে মানি প্ল্যান্ট। একটা গাছের পাতা আবার গোল গোল। কিছুটা সবুজ কিছুটা আবার সাদা। এটাও একরকম পাতাবাহারি। রয়েছে কলাগাছের মতো একধরনের পাতাবাহারি গাছ। বাড়ির বাগানের জন্য নার্সারি থেকে ছয়, আট ও দশ ইঞ্চির টব কিনল মনাই। কেনা হল এক বস্তা মাটিও। দু’কেজি মিক্সড সারও কেনা হয়েছে। এতে রয়েছে গোবর, বোন ডাস্ট সহ আরও বেশ কয়েকটি উপাদান, যা গাছ বেড়ে ওঠা এবং ফুল দেওয়ায় সাহায্য করবে। মাঝেমধ্যেই গাছে গোড়ায় আগাছা জন্মায়। সেগুলিও করতে হবে পরিষ্কার। এছাড়া টবের মাটিও মাঝে মধ্যে খুঁড়ে দিতে হয়। তাহলে গাছ ভালো থাকে। নার্সারির কাকুই সব বলে দিয়েছেন।
গাছে অনেক সময়ই পোকা হয়। মূলত জবা, হাসনুহানা গাছের ডালে এক ধরনের সাদা সাদা তুলোর মতো লেগে থাকতে দেখা যায়। এর ফলে গাছে থাকা কুঁড়ি পড়ে যায়। গাছও মারা যায়। এই রোগ নিরাময়ের জন্য প্রয়োজন ওষুধ। এছাড়াও গাছের গোড়ায় পিঁপড়ে হলে সেগুলিও তাড়াতে হবে। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে যে কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়, তা ছোটরা নিজেদের হাতে ব্যবহার না করে বাড়ির বড়দের মাধ্যমে ব্যবহার করা উচিত। ছোট্ট বন্ধুরা, তোমাদের মধ্যেও কি কারও বাগানের শখ আছে?