পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
হ-য-ব-র-ল পাতার রান্নাঘরে রান্নার সঙ্গে গল্প ফ্রি। প্রতি মাসেই হাজির হচ্ছি আমরা নতুন গল্প আর রেসিপি নিয়ে। এমন সব রান্না যাতে তোমাদের মনও মজবে, হাতও চলবে। তাহলে আর দেরি কেন? চটপট রান্না শিখে হয়ে ওঠো খুদে শেফ।
রান্না ১
ইংল্যান্ডে মোটামুটি ১০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ এই স্যান্ডউইচটির প্রচলন হয়েছিল। স্যান্ডউইচের নাম ও চেহারা নিয়ে একটা মজার গল্প বলি শোনো। ইংল্যান্ডে তখন লর্ডস অ্যান্ড ব্যারনসদের রাজত্ব। হাই টি এহেন ইংলিশ সোসাইটির অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠেছিল। সোসাইটি লেডি-রা সান্ধ্যকালীন চায়ের আসর বসাতেন। সেখানেই বন্ধুত্ব থেকে বিবাহ প্রস্তাব দেওয়া হতো। এমন চায়ের আসরে টা-এর বন্দোবস্ত থাকবে না তাও কি হয়? তবে খাবারের ক্ষেত্রে একটু ভাবনা চিন্তা করতেন কিচেন মেইডরা। চায়ের সঙ্গে নানারকম খাবার চাই। আর সবই হবে বাইট সাইজ। সেই থেকেই এই পিনহুইল স্যান্ডউইচের জন্ম। স্যান্ডউইচ তেকোনা করে না কেটে বরং গোটা রেখে তা রোল করে দেওয়া হতো। তারপর সেই বড় রোল থেকে ছোট ছোট অংশ কেটে গরম চায়ের সঙ্গে পরিবেশন করা হতো চায়ের আড্ডায়। এমন স্যান্ডউইচ বানাতে বেলন বা রোলিং পিন লাগত বলে নাম হল পিনহুইল স্যান্ডউইচ। গল্পটা তো শুনলে এবার তৈরির পদ্ধতিটাও জেনে নাও। এই পদ তৈরি করতে আগুন লাগে না। তাই নিজেরাই তোমরা তৈরি করতে পারবে পদটি।
পিনহুইল স্যান্ডউইচ
উপকরণ: পাউরুটির স্লাইস ৬টা, মিক্সড ফ্রুট জ্যাম ২ টেবিল চামচ, চিজ স্প্রেড ২ চা চামচ, মাস্টার্ড স্যস ১ টেবিল চামচ, নরম মাখন ২ চা চামচ, তিন রঙা ক্যাপসিকাম স্লাইস করে কাটা ৬টা, অলিভ ৬টা।
পদ্ধতি: পাউরুটির ধার ফেলে দাও। এবার তা বেলন দিয়ে বেলে একটু পাতলা করে নাও। একটা স্লাইসে জ্যাম লাগাও। তার উপর একটা পাউরুটি বসাও। এবার সেই পাউরুটিতে চিজ স্প্রেড লাগিয়ে আর একটা পাউরুটি দিয়ে চাপা দাও। তাতে মাস্টার্ড স্যস লাগাও আর অন্য একটা পাউরুটি দিয়ে চাপা দাও। মাঝে মধ্যে ক্যাপসিকাম ও অলিভগুলো ছড়িয়ে দাও। এইভাবে সব পাউরুটিগুলো একের উপর অন্যটা চাপিয়ে মোটা স্যান্ডউইচ বানিয়ে নাও। তারপর সেটা টাইট করে রোল করে নাও। রোল করার সময় যদি স্যস বা ক্রিমগুলো ধার দিয়ে বেরিয়ে যায় তাহলে তা মুছে নিও। এবার এই রোল ক্রিন র্যাপ দিয়ে মুড়ে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে সেট করে নাও। তারপর তা ফ্রিজ থেকে বার করে ক্লিন র্যাপ খুলে ছুরি দিয়ে কেটে পরিবেশন করো।
রান্না-২
কলায় পুষ্টির শেষ নেই। ভিটামিন যেমন আছে, তেমনই আছে ক্যালোরি। আর সেই কারণেই এই ফল খেলে এনার্জি বাড়ে। অথচ ল্যাদলেদে কলা খেতে অনেকেই পছন্দ করে না। তাই মার্কিন দেশে নিউ অর্লিয়্যান্স শহরে একটি রেস্তরাঁর শেফ প্রথম এই ফলটি দিয়ে ডেজার্ট তৈরি করতে শুরু করেন। মায়েদের সঙ্গে বাচ্চারা এসে সেই ডেজার্ট একেবারে হামলে পড়ে খেতে থাকে। কলা দিয়ে মিষ্টিমুখের সেই শুরু। এরপর বিভিন্ন সময় কলার সঙ্গে ক্যারামেল, চকোলেট সিরাপ ইত্যাদির ব্যবহারে নানা ধরনের ডেজার্ট ও শেক বানানো হয়েছে। কখনও বা আইসক্রিমও জুড়ে দিয়ে সেই পদ আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছেন শেফরা বাচ্চাদের কাছে। এমনই একটি পদের রেসিপি জানাই তোমাদের। এটাও তোমরা নিজেরাই তৈরি করতে পারবে। শুধু সঠিক মাপমতো উপকরণগুলো মেশানো চাই এই যা।
চিলড বানানা ডিলাইট
উপকরণ: হুইপড ক্রিম ১৫০ গ্রাম, চকোলেট আইসক্রিম ১৫০ গ্রাম, বড় সাইজের কলা ২টো।
পদ্ধতি: চকোলেট আইসক্রিম আর হুইপড ক্রিম একসঙ্গে নিয়ে ফেটিয়ে নাও। এবার কলার খোসা ছাড়িয়ে তা তেরছা করে দুটো টুকরো করে কেটে নাও। এবার একটা মোল্ডে চকোলেট আইসক্রিম ও হুইপড ক্রিমের মিশ্রণের অর্ধেকটা ঢেলে দাও। তারপর কলার টুকরোগুলো সাজাও এবং উপর থেকে বাকি অর্ধেকটা ঢেলে দাও। এবার ফ্রিজে রেখে পুরো মিশ্রণটা জমিয়ে নাও। তারপর তা বের করে কেটে কেটে পরিবেশন করো।