বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কয়েক মাস ধরেই চলছে পড়ার ম্যাজিক। ম্যাজিশিয়ান সোমনাথ দে পড়াশোনাকে থিম করে ম্যাজিক শেখাচ্ছেন তোমাদের। লেখাপড়ার বিষয়গুলির মধ্যে থেকেই এবার ভূগোলকে বেছে নিয়ে দু-দু’খানা মজার ম্যাজিক বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। সেগুলো শিখে নিয়ে তোমরাও দেখাতে পারো সবাইকে। শিখবে নাকি ম্যাজিক দুটো?
ম্যাজিক ১
হলুদ রঙের একটা সিল্কের কাপড় তোমাদের চোখের সামনে ঝুলিয়ে দিলেন ম্যাজিশিয়ান। তাতে বড় বড় হরফে লেখা রয়েছে একটা প্রশ্ন। ‘পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পর্বত শৃঙ্গের নাম কী?’ তোমরা তো অবাক। এত সহজ প্রশ্ন পেয়ে তোমাদের আনন্দ আর দেখে কে? সঙ্গে সঙ্গে উত্তর তৈরি। তাড়াতাড়ি বলে ফেললে ‘মাউন্ট এভারেস্ট’। আর যেই না বলা, অমনি লেখা মুছে এভারেস্টের ছবি ফুটে উঠল সিল্কে। তখন তোমাদের বিস্ময় যেন আর ধরে না। ভাবলে কেমন করে এমন হল?
পদ্ধতি: ম্যাজিকটা মোটেও কঠিন নয়।
আসলে একটু চোখের খেলা। ম্যাজিশিয়ান সোমনাথ এককথায় সেই খেলা শিখিয়ে দিলেন তোমাদের। প্রথমে ম্যাজিকের জন্য যা যা উপকরণ লাগবে তার কথা বলি। ২টো হলুদ রঙের সিল্কের কাপড়ের টুকরো। একটা সিল্কের টুকরোতে প্রশ্নটা লেখা থাকবে আর অন্যটায় এভারেস্টের ছবি প্রিন্ট করা থাকবে। এছাড়া লাগবে একটা ম্যাজিক ব্যাগ। এই ব্যাগ বাড়িতেও তৈরি করে নিতে পার। একটা মোটা জিন্সের কাপড় দু’ভাঁজ করে ধারগুলো সেলাই করে নাও। এমনভাবে সেলাই করবে যাতে ওপরের দিকটা খোলা থাকে। এবার এই ব্যাগের মাঝখানে ওই একই কাপড়ের আর এক ফালি একই মাপে কেটে খাপের মতো করে ঢুকিয়ে দিতে হবে। তাহলে ম্যাজিক ব্যাগে দু’টো খাপ তৈরি হয়ে যাবে। এবার তার একটার ভেতর ছবি ছাপানো সিল্কের টুকরোটা ঢুকিয়ে রাখতে হবে। আর প্রশ্ন লেখা সিল্কের টুকরোটা থাকবে তোমাদের হাতে। প্রশ্ন করার পর সবাই যখন উত্তর দিতে ব্যস্ত তখন সবার চোখের আড়ালে ম্যাজিক ব্যাগের ভেতর হাতের সিল্কটা ঢুকিয়ে অন্য খাপ থেকে ছবিওয়ালা সিল্কের কাপড়টা বার করে নিতে হবে। তারপর তা এমনভাবে সবার সামনে তুলে ধরবে যাতে সবাই মনে করে লেখা মুছে ছবি ফুটে উঠল বুঝি।
ম্যাজিক ২
একটা ম্যাপ। ভারতের আউটলাইন করা সাদা কালো ম্যাপ। ম্যাজিশিয়ান সেই ম্যাপটা হাতে নিয়ে তোমাদের সবার সামনে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে খানিকক্ষণ দেখালেন। তারপর ওই সাদা কালো ম্যাপের ওপর একটা বড় রুমাল ফেলে ম্যাজিকের মন্ত্র পড়লেন। এবার যেই না রুমাল সরালেন অমনি তোমরা দেখলে সাদা কালো ম্যাপটা বদলে রঙিন হয়ে গিয়েছে। আর তাতে ভরতের বিভিন্ন রাজ্যের নামও ফুটে উঠেছে। অবাক কাণ্ডই বটে তাই না?
পদ্ধতি: এই ম্যাজিকটা আগেরটা তুলনায় একটু জটিল হলেও খুব একটা কঠিনও নয়। তবে এই ম্যাজিকটা করে দেখাতে গেলে কয়েকটা জিনিস লাগবে। একটা ট্র্যান্সপারেন্ট প্লাস্টিক শিট লাগবে এ৪ সাইজের। দু’টো একই মাপের পাতা লাগবে। তার একটাতে সাদাকালো আউটলাইন ম্যাপ ছাপানো থাকবে আর অন্যটিতে ভারতের রঙিন ম্যাপের ছবি থাকবে। এবার প্লাস্টিকের ট্রান্সপারেন্ট শিটের তলায় সাদাকালো আউটলাইন ম্যাপটা রেখে মোটা মার্কার পেন দিয়ে সুন্দর করে ম্যাপের আউটলাইন এঁকে নিতে হবে। এবার ওই প্লাস্টিকের শিটের তিন ধারে উভয় দিকে স্যালোটেপ দিয়ে আটকে দাও। তার সঙ্গে জুড়ে দাও রঙিন ম্যাপখানা। ওপরে যে ফাঁকটা থাকবে তার ভেতর ভরে দেবে সাদাকালো আউটলাইন ম্যাপটা। এবার সবাইকে সেই ম্যাপ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাও। তারপর তার ওপর রুমাল ফেলে দাও। রুমাল ফেলে ম্যাজিকের মন্ত্র পড়তে পড়তেই করতে হবে হাত সাফাইয়ের কাজ। অতএব খুব আস্তে সাদা কালো ম্যাপটা তুলে পকেটে ভরে ফেলতে হবে। আর অমনি সামনে চলে আসবে রঙিন ম্যাপ। এরপর রুমাল যখন সরাবে তখন সবাই অবাক হয়ে দেখবে সাদা কালো গায়েব। বদলে জায়গা জুড়ে বসেছে ভারতের রঙিন ম্যাপখানা।