‘...জয় জগন্নাথ দেখতে যাবি?’
কোভিড পরিস্থিতিতে হাজারো বিধিনিষেধের গেরোয় আটকে আমাদের জীবন। স্কুল বন্ধ, বন্ধ বাইরে বেরনো, খেলাধুলো। তারমধ্যেই তিথি মেনে হাজির রথযাত্রা। কীভাবে হবে এবারের রথযাত্রা? ছোট্ট বন্ধুদের কার কী পরিকল্পনা তারাই লিখে জানিয়েছে। দেখো তো তোমাদের সঙ্গে মেলে কি না।
জিলিপি আর পাঁপড় ভাজব
ছোটবেলায় ফুল পাতা দিয়ে রথ সাজানো, সবাইকে প্রসাদ দেওয়া আজ এক সুখস্মৃতি হয়ে রয়েছে। বড় হয়ে ওঠার পর সাজানো রথ দেখতে দৌড়ে রাস্তায় যাওয়া, রথের দড়িতে একবার হাত দেওয়া একটা ভীষণ ভালোলাগা ছিল। রথের মেলায় ঘোরা, রংবেরঙের দোকান দেখা, জিলিপি-পাঁপড় ভাজার গন্ধ রথযাত্রার আর এক নাম। গত এক বছর করোনা আমার জীবনের স্বাভাবিক ছন্দকে ভুলিয়ে দিয়েছে। তাই এবার দিনটা অন্যভাবে আমি পালন করতে চাই। পরিবারের সবার সঙ্গে বসে টিভিতে দেখব রথযাত্রা। জিলিপি-পাঁপড় ভাজার অভাব পূরণ করতে মায়ের সাহায্য নিয়ে রান্নাঘরে ঢুকব। আশপাশের সব ফ্ল্যাটে আমার তৈরি জিলিপি ও পাঁপড় ভাজা দেব। মেলায় যেতে না পারলেও বাড়িতে মায়ের তৈরি ঘুগনি, পরোটা হবে রাতের খাবার, আর জিলিপিও থাকবে সঙ্গে। এবছর না হলেও আমি জানি আগামী বছরে নিশ্চয়ই হইহুল্লোড় করব। নাগরদোলা চড়ব আর খুব আনন্দ করব রথযাত্রার দিনে।
দেয়াসিনী বসু, দশম শ্রেণি, গোখেল মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল
একতলা আর তিনতলা রথ
আমি যখন আরও অনেক ছোট ছিলাম, বাবা আমাকে একতলা একটি রথ কিনে দিয়েছিলেন। সেটা খুব যত্ন করে সাজিয়ে আমি টেনেছি বেশ ক’বছর। পরে দাদু কিনে দিলেন তিনতলা একটি রথ। গতবছরও এবারের মতোই অবস্থা ছিল। বাড়ি থেকে বেরনো বারণ ছিল। আমি তাই বাড়ির ছাদে রথ সাজিয়ে টেনেছিলাম। এবারেও আমার পরিকল্পনা অনেকটা তাই। রথ সাজাব। ফুল পাতা আর রঙিন কাগজ দিয়ে তিনতলা রথটাকে আমি ঝলমলে করে তুলব। তার ভিতরে জগন্নাথদেব, বলরাম আর সুভদ্রা’র জন্য থাকবে কাগজের মাস্ক। তিনরকম রঙের তিনজনের মাস্ক। কীভাবে সেই মাস্ক তৈরি করতে হয় শিখেছি। নির্মল পরিবেশে আগের মতো রথ টানতে ইচ্ছে করে। তবে মা বলেন, এর মধ্যেই আমাদের হাসিখুশি থাকতে হবে। মনে আনন্দ থাকলে নাকি সব রোগ দূরে চলে যায়। পছন্দের খাবার ছাড়া সব উৎসব বেমানান। এদিন পাঁপড়ভাজা আর বেগুনি হবে বাড়িতে। সবাই আনন্দ করে খাব। ছোট্ট বোনকে আগের ছোট রথটা দিয়েছি। সেও আমার সঙ্গে সেটা টানবে এবার।
তিতলি মুখোপাধ্যায়, ষষ্ঠ শ্রেণি
রামকৃষ্ণ সারদা মিশন সিস্টার নিবেদিতা গার্লস স্কুল
বাড়িতে পুজো হবে
আমি প্রতিবছর রথের দিন মেলা দেখতে যাই। বাড়িতেও খুব বড় করে রথযাত্রা পালিত হয়। বাড়িতে কাঠের তিনতলা রথ আছে। উৎসবের দিন রথ সাজানো, বাজার করা সবই আমরা খুব আনন্দের সঙ্গে করি। রথ সাজানোর পর জগন্নাথদেব, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি স্থাপন করে রথ পথে বের হয়। কেউ কাঁসর বাজাই, কেউ বা রথের রশি টানি। আমার দিদির বাড়িতে রথ রাখা হয়। উল্টোরথের দিন আবার তাকে ফিরিয়ে আনা হয় নিজের জায়গায়। এই বছর করোনার জন্য আমাদের রথযাত্রা উদযাপন হবে না। বাড়িতেই ভগবান জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার পুজো হবে। সবার প্রার্থনা, এই রোগের কবল থেকে আমরা সবাই যেন খুব তাড়াতাড়ি মুক্ত হয়ে যাই, আর আনন্দের সঙ্গে আবার রথযাত্রায় মেতে উঠতে পারি।
দেবমাল্য দাস, অষ্টম শ্রেণি, বালিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
মেলা দেখা আর পাঁপড় ভাজা খাওয়ার দিন
রথযাত্রা প্রকৃত অর্থে মহামানবের মিলনক্ষেত্র। মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্মিলন। অপেক্ষায় থাকি এই রকম উৎসবের দিনগুলির জন্য। মেলে লেখাপড়া থেকে বিরতি। রথযাত্রার বিকেলটা খুব মজা করে কেটে যায়। আমাদের এখানে দুটো মন্দির থেকে দুটো বড় রথ বেরলেও, আমরা পাড়ায় একটা ছোট রথ বের করি। সুন্দর করে রথ সাজানোর চেষ্টা করি। রথতলায় একটি মেলা বসে। রথের মেলায় গাছ বিক্রি হয়। সবাই মিলে পুরো শহর ঘুরে শেষে মেলার পাঁপড় না খেলে মনে হয় যেন কী একটা বাকি থেকে গেল। সব শেষে সন্ধেবেলা গল্প করতে করতে বাড়ি ফিরে আসি, খুব আনন্দ হয়। অপেক্ষায় থাকি উল্টোরথের। গত বছরের মতো এবারও উৎসবের আনন্দে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা। গত বছর এই কারণেই ঐতিহ্যশালী পুরীর রথযাত্রার জাঁকজমক কম ছিল। এবছরেও ভয় কাটেনি। পুরীতে রথের রশি টেনে পুণ্য অর্জনের সুযোগ এবারও হয় তো সবাই পাবেন না। তবে এই বিপদ নিশ্চিত কেটে যাবে। আমরা আবার ফিরে পাব আমাদের আনন্দের জীবন।
কৌস্তভ চৌধুরী, দশম শ্রেণি
লালবাগ সিংঘী হাই স্কুল, মুর্শিদাবাদ
স্বাস্থ্যবিধি মেনে রথযাত্রা
রথ আমাদের বিশেষ উৎসবগুলোর মধ্যে অন্যতম। এদিন প্রিয় বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন সবাই একসঙ্গে এক জায়গায় জড়ো হই। কিন্তু গত বছর থেকে করোনার জন্য আমরা সবাই গৃহবন্দি। তাই আগের মতো আর রথযাত্রা পালন করা সম্ভব নয়। তবে এবার দূরত্ব বিধি মেনে ছোট করে রথযাত্রা করার পরিকল্পনা রয়েছে। বাড়িতে প্রতি বছরই রথযাত্রা উৎসব হয়। কিন্তু এবার করোনার জন্য মজা একটু কম হবে। যদিও স্নান যাত্রার সময় বাড়িতে খুব মজা হয়েছে। স্নান যাত্রার পর অনুষ্ঠিত হয় রথ উৎসব। দিন সাতেক আগেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। যেমন রং করা, আলো লাগানো ও নানান ধরনের ডেকোরেশন করা ইত্যাদি। বাবা, কাকা, আমি এবং কয়েকজন বন্ধু মিলে এই কাজ করছি। এরপর ভগবান জগন্নাথ, বলরাম আর সুভদ্রাকে নিয়ে় রথযাত্রা অনুষ্ঠানে শামিল হব। উপস্থিত থাকবেন পুরোহিত, বন্ধুরা, আত্মীয়-স্বজন, বাবা-মা আরও অনেকে। সবার মুখে মাস্ক ও হাতে স্যানিটাইজার থাকবে। পুজোর পর সবাইকে প্রসাদ বিতরণ করা হবে। দূরত্ব বিধি মেনে একটুখানি রথ টানা হবে। এবারও বাড়িতে কীর্তন আয়োজন করা হয়েছে। সব শেষে বস্ত্র বিতরণ করা হবে। এছাড়াও আমি ভিডিও কলের মাধ্যমে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে আনন্দ করব। আর ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা, আগামী বছর থেকে যেন আনন্দের মুহূর্তগুলো আবার ফিরে পাই।
প্রতাপ ডেরা, দশম শ্রেণি, সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুল
টিভিতে রথযাত্রা দেখব
হঠাৎ ক্যালেন্ডারের দিকে চোখ গেল গত ৫ জুলাই। কাছে গিয়ে দেখি তারিখের ঠিক নীচে রথের ছোট্ট ছবি আঁকা। ভেবে অবাক হচ্ছিলাম। আগে কত সহজে এক মাস আগে থাকতেই রথের মেলার জন্য দিন গুনতাম। আর সেই আমি এক সপ্তাহ আগে ক্যালেন্ডার দেখে ভাবছি রথ এসেই গেল! কী-ই বা আর করা যাবে, এটাই বোধহয় নিউ নর্ম্যাল। আগের বছরেও ঠিক এই সময়টাতেই গৃহবন্দি হয়ে রথের দিন কাটিয়েছি। তাই এবছর আর ততটা কষ্ট হচ্ছে না। তাই বলে রথ এবং জগন্নাথদেবকে ভুলিনি। রথের মেলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে দোকানের বড় বড় পাঁপড়ের স্বাদ ভুলিনি। গতবছরের মতো এবারেও রথের জন্য ফুল নিয়ে ভাবতে হবে না। টিভিতেই পুরীর জগন্নাথদেবকে মাসির বাড়ি যেতে দেখব, আবার মাসির বাড়ি থেকে ফিরতে দেখব। বাড়ি থেকে বেরিয়ে রথের উৎসবে শামিল হতে না পারার জন্য মন তো খারাপ করবেই। তবু সবার স্বার্থে এবছর বাড়িতে থেকেই ভগবানকে বলব, তিনি যেন ধ্বংস করে দেন এই মারাত্মক কোভিড-১৯ সংক্রমণকে। যাতে পরের বছর সপরিবারে পুরীতে গিয়েই রথের দড়ি টানতে পারি।
দেবার্পণ মিশ্র, অষ্টম শ্রেণি, জলপাইগুড়ি জিলা স্কুল
ভাই বোন মিলে রথ সাজাব
রথযাত্রা প্রতিবারই সাড়ম্বরে পালিত হয়। মাহেশের রথের মেলার নাম শুনেছি, আর কলকাতায় ইস্কনের রথযাত্রা দেখেছি। গত বছর পুরীতে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা শেষ মুহূর্তে অনাড়ম্বরে পালিত হয়েছিল। এবছর জানি না কী হবে। এবার আমি বাইরে রথ টানার কোনও পরিকল্পনা করিনি। বাড়িতে পুরনো রথটাকেই রঙিন কাগজ, ফুল, মালা প্রভৃতি দিয়ে ভাই বোন মিলে সাজাব। রাস্তায় যাব না, বন্ধুদেরও ডাকব না। বরং সবাই ভিডিও কল করে প্রত্যেকের রথ সাজানো দেখব, আর গল্প করব। মেলাতে গিয়ে মুচমুচে পাঁপড়, জিলিপি খাওয়া এবছরও হবে না। মা যা করে দেবেন, তাই খাব। বাইরে ঘোরার আনন্দের সঙ্গে কোনও কিছুই তুলনা করা চলে না। কিন্তু এটাও জানি আমাদের সকলের ছোট ছোট অসাবধানতা থেকেই আবার করোনা সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। তাই ভবিষ্যতে ভালো কিছু হবে ভেবে এখন নিজেকে সংযত রাখছি।
অভিজিৎ মণ্ডল, দশম শ্রেণি, হেয়ার স্কুল
স্বাস্থ্যবিধি মেনে রথ বের করব
করোনা সংক্রমণ এবারেও বোধ হয় রথের চাকাকে গড়াতে দেবে না। জানি না, আবার কবে রথের মেলা দেখব। কবে আমাদের বন্দি দশার মুক্তি ঘটবে! তবে যখন যেমন, তখন তেমন— এই কথাটিকে মাথায় রেখে আমরা ভাই-বোনেরা মিলে ঠিক করেছি এবার নিজেরাই রথ তৈরি করে সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়ির সামনে রথ নিয়ে ঘুরব। এবার প্রসাদের বদলে যাঁকেই দেখব বিনা মাস্কে রাস্তায় বেরিয়েছেন, তাঁদের মাস্ক দেব। আর স্যানিটাইজার তো সঙ্গে থাকবেই। সকালে এমনিতেই টিভিতে পুরীর রথযাত্রা দেখি, এবারেও তার ব্যতিক্রম হবে না। শুধু পাঁপড় ভাজা, ঝালবড়া এসব এবারেও বাইরে খাওয়া হবে না। সবই মায়ের ওপর নির্ভর করছে। তবে সব আনন্দ বাড়ির সবার সঙ্গেই ভাগ করে নেব। আর ভগবান জগন্নাথদেবের কাছে প্রার্থনা করব তিনি যেন এই পৃথিবীকে করোনার বাঁধন থেকে মুক্ত করে নিজের বাঁধনে বাঁধেন।
শ্রীদিপ্তা কুণ্ডু, দশম শ্রেণি
বহরমপুর মহারাণী কাশীশ্বরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়
অভিনব কিছু করার ইচ্ছে আছে
আগামীকাল রথযাত্রা। মূলত ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গে এই উৎসব বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করা হয়। প্রতি বছর আমরাও খুব হইচই করে রথযাত্রা পালন করতাম। কিন্তু এ বছর তো তেমনটা পালন করতে পারব না। তবে অন্যভাবে এই উৎসব পালন করার পরিকল্পনা রয়েছে। আগে প্রতিবার এই দিনে আমরা লতা-পাতা-ফুলে রথ সাজিয়ে
পাড়ার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতাম। বড়দের থেকে প্রণামীর টাকা ও আশীর্বাদ পেতাম। বন্ধুদের সঙ্গে মিলে কত মজা হতো। এবছর পাড়ায় প্রতিযোগিতা হবে না। তবে এবছর ঠিক করেছি বাড়িতে বসে রথ উৎসবে হাতের কাজের নানা নকশা তৈরি করে, রথ এঁকে বন্ধুদের অনলাইনে শেয়ার করে প্রতিযোগিতার মতো আনন্দ করব। এবার না হয় আমরা একটু আলাদা ভাবে উৎসবটি পালন করলাম। ছবি আঁকা, গল্প লেখা কিংবা গাছ লাগানো এসব করে দিনটাকে আলাদা করে সুন্দর করে তুলব আমরা। বাইরে না হয় নাই গেলাম, এই বছর আমরা পরিবারের সঙ্গে বাড়িতেই রথযাত্রা উৎসব পালন করব। এখন এই কোভিড পরিস্থিতির সময়ে আমাদের সাবধানে থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, আনন্দ করার জন্য দরকার সুস্থ সবল মন ও শরীর। তাই এক বছর না হয় রথের ঠাকুরকে পথে নয়, বাড়িতে রেখেই আনন্দ করলাম।
নন্দিতা মল্লিক, দশম শ্রেণি, বেথুন কলেজিয়েট স্কুল
বন্ধুরা মিলে অনলাইনে রথ সাজাব
রথযাত্রা শব্দটা শুনলেই কানে ভেসে আসে ঘণ্টার শব্দ আর পাঁপড় ভাজার গন্ধ। রথযাত্রা আমার কাছে খুব নস্টালজিক একটা ব্যাপার। কিন্তু এ বছরটা অন্যরকম। ভাবছি থমকে যাওয়া রথের চাকাটাকে যদি এবছর অন্য সবকিছুর মতো ভার্চুয়াল দুনিয়ায় নিয়ে যাওয়া যায়? সেক্ষেত্রে অবশ্য পাওয়া যাবে না রথ নামক ছোট্ট গাড়িটার চাকার গড়গড়িয়ে চলার শব্দ আর কাদা মাখা রাস্তায় দলবেঁধে পাঁপড় ভাজা খেতে যাওয়ার স্বাদ। কিন্তু নতুন ভাবে মানিয়ে নেওয়াই তো নিউ নর্মাল! ঠিক করেছি এ বছর বন্ধুরা মিলে চার দেওয়ালের ঘেরাটোপে বসেই ছোট্ট ছয় ইঞ্চির স্ক্রিনে পালন করব রথযাত্রা। প্রত্যেকে নিজের ইচ্ছেমতো রথ সাজাব এবং তার ছবি শেয়ার করব। হ্যাঁ ঠিকই, থাকবে না বটুয়া ভরা কয়েনের শব্দ। কিন্তু তবু থাকবে তো ছেলেবেলার গন্ধমাখা সেই কবেকার রথ। হোক না ভার্চুয়াল। আমাদের মামার বাড়ি যাওয়া নেই কতদিন হল! জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে আমরা কিন্তু নিয়ে যাবই মাসির বাড়ি। এবছরটা বরং এভাবেই কাটাই। কয়েক ন্যানোমিটারের এই ভাইরাসকে হারিয়ে আমরা আবার ছোট্ট রথটার দড়ি টেনে ফিরে যাব ছোটবেলার দিনগুলোতে। আর অপেক্ষা করব পৃথিবীর রথটাও ফিরবে আবার স্বাভাবিক ছন্দে আগামীর কোনও রথযাত্রায়।
দীপর্ণা দেবনাথ, দশম শ্রেণি
বসিরহাট হরিমোহন দালাল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়
11th July, 2021