বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
মাধ্যমিক শুরু হতে কমবেশি আর মাস দেড়েক বাকি। তাই হাতে আর বিশেষ সময় নেই। যতটুকু সময় আছে, তাকে যতটা সম্ভব কাজে লাগানোর চেষ্টা করো। এখনও যেসব অধ্যায় বা বিষয়ে খামতি রয়েছে, সেগুলি আরও বেশি সময় দিয়ে পড়ো। পাঠ্যবই খুঁটিয়ে পড়তে হবে। সময় ধরে উত্তর লেখার অভ্যাস করো।
প্রাকৃতিক ভূগোলে কেবল প্রথম অধ্যায় পরীক্ষায় থাকছে। এখান থেকে নদী, হিমবাহ, বায়ু অংশ থেকে চারটি পাঁচ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে, লিখতে হবে দুটি। এছাড়া দুটি তিন নম্বর ও দুটি দু’নম্বরের প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। সুতরাং আবার একবার প্রথম লাইন থেকে মন দিয়ে পড়ো। প্রতিটি ভূমিরূপ সৃষ্টির কারণ, ভূমিরূপের বিবরণ, উদাহরণ হুবহু তৈরি রাখ। এতে তোমার যাবতীয় এক নম্বর মানের প্রশ্নের উত্তরও তৈরি হয়ে যাবে। প্রতিটি ভূমিরূপের ছবি (ড্রয়িং) অভ্যাস করো। ড্রয়িং ছাড়া প্রাকৃতিক ভূগোলের বড় প্রশ্নের উত্তর লেখা বৃথা যেতে পারে পুরো নম্বর পাওয়ার ক্ষেত্রে।
আঞ্চলিক ভূগোলে ভারত অধ্যায়টি এবারের সিলেবাসে রয়েছে। মাধ্যমিক ভূগোলের বেশির ভাগ নম্বর এখান থেকেই থাকবে। সুতরাং অধ্যায় ধরে ধরে উত্তর তৈরি করতে হবে। অ্যাটলাস দেখে ভারতের ভূ-প্রকৃতি, নদ নদী, জলবায়ু, মাটি, স্বাভাবিক উদ্ভিদ, কৃষি, শিল্প এসব পড়তে হবে। এতে একদিকে যেমন ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নের উত্তর লিখতে সুবিধা হবে তেমনই ম্যাপ পয়েন্টিং অংশটিও হাতের তালুর মতো তোমার অধীনে থাকবে। এখানে পাঁচ ও তিন নম্বর প্রশ্নের জন্য যথাক্রমে ছ’টি ও তিনটি পয়েন্টে সাব-হেডিং করে উত্তর লেখ ও প্রয়োজনীয় ম্যাপ, ড্রয়িং করবে।
সুতরাং এই মাস দেড়েক সময়ে আরও দু’বার পাঠ্যবই মন দিয়ে পড়ে ফেল। এরপর তোমার প্রশ্নোত্তর লেখার একটা খাতা তৈরি করো। প্রতিদিন কমপক্ষে দশটি করে ম্যাপ-পয়েন্টিং অভ্যেস করো। নতুন টেস্ট-পেপারের সব প্রশ্নের উত্তর ঘড়ি ধরে রপ্ত করতে পারলেই তুমি এক্কেবারে তৈরি পরীক্ষার জন্য।
পরীক্ষার খাতায় কোনও প্রশ্ন লিখবে না। কেবল দাগ নম্বর দিয়ে উত্তর। শেষ মুহূর্তের জিজ্ঞাসা গুলো টেলিফোন বা অন্য-মাধ্যমে জেনে নাও তোমাদের প্রিয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে। তাঁদের প্রাণভরা ভালোবাসা, সহযোগিতা ও তোমাদের পরিশ্রমে তোমরা অবশ্যই হয়ে উঠবে আগামীর এক একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র।