Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

কালবোশেখির ঝড়
পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় 

তারকেশ্বর স্টেশন ছাড়িয়ে এখন বেশ ক’বছর ধরেই ট্রেন যাচ্ছে আরামবাগে, আরামবাগ ছাড়িয়ে গোঘাট। গোঘাট পেরিয়ে শিগগিরি যাবে বিষ্ণুপুরে। লাইন পাতার কাজও শেষের দিকে। বাকি কাজ শেষ হলে, গ্রিন সিগন্যাল পেলেই রেলগাড়ি ঝমাঝম, না, পা পিছলে আলুর দম নয়, হাওড়া থেকে ছেড়ে স্টেশনের পর স্টেশন পেরিয়ে শেষে পৌঁছবে বিষ্ণুপুর।
পুকুরপাড়ে বসে বসে সৈকত এসবই ভাবছিল। মন উড়ুক ঘুরুক, উড়তে উড়তে ঘুরতে ঘুরতে যেখানেই যাক না কেন, তার চোখ অবশ্য ফাতনার দিকে স্থির। ফাতনা নড়লে, নড়াচড়ার ধরন দেখলেই বুঝতে পারবে, বঁড়শিতে মাছ গেঁথেছে কি না, সেই বুঝে হেঁচকা টান। কোথায় পালাবে বাবা, জ্যামিতিবক্সের স্কেল-সাইজের ল্যাটা হয়তো তখন তিড়িং বিড়িং লাফাচ্ছে!
এক ভাবনা থেকে আরেক ভাবনা, মুহূর্তেই ভাবনা পাল্টে যায়। এই তো ভাবছিল ট্রেন-সম্প্রসারণ নিয়ে, সেই ভাবনা বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ মোড় নিয়ে নেয় মৎস্য-শিকারে। চারের জাদুতে ছিপে ল্যাটা ব্যাটা ছটফটাচ্ছে, এমন এক দৃশ্য চোখের সামনে ভাসতে থাকে, ক্রমেই যেন তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
সারাক্ষণই এমন কত ভাবনা মনের মাঝে কিলবিল করে! ভাবনার কি আর শেষ আছে! গল্প হয়তো ফুরোয়, নটেগাছ মুড়োয়, ভাবনা রয়েই যায়। যখন তখন, যে কোনও মুহূর্তেই ভাবনা আবার দুর্ভাবনাও হয়ে ওঠে।
পুকুরপাড়ের চারদিকে রকমারি গাছ। গাছের পাতার ফাঁকফোকর গলে রোদ পড়েছে দুব্বোঘাসে। সবুজ ঘাসে রোদ-ছায়ার কাটাকুটি দেখতেও লাগছে বেশ! পুকুরের পাড় ঘেঁষে বেড়ে ওঠা জামগাছে ওত পেতে বসে রয়েছে এক রং-বাহারি মাছরাঙা। দেখে মনে হচ্ছে, রং-তুলিতে কোনও শিল্পী রাঙিয়ে তুলেছে তাকে।
সৈকত এই প্রথম মাছরাঙা দেখছে, তা নয়। মাঝেমধ্যেই পুকুরপাড়ে মাছরাঙা আসে। কখনও এমনভাবে অবাক বিস্ময়ে মাছরাঙা দেখেনি সে। আজ দেখতে গিয়ে খেসারতও দিতে হল। এসব সাতসতেরো ভাবতে গিয়ে, দেখতে গিয়ে ফাতনা যে নড়ে উঠেছে, তা খেয়ালই করেনি। ঘোর কাটতে এক ঝটকায় ছিপটা তুলে দেখল, অনেক মেহনতে বানানো চার বঁড়শিতে নেই আর! ছিটেফোঁটাও নেই। ধূর্ত মাছ সুযোগ বুঝে খেয়ে পালিয়েছে। সৈকতের মনে হয়, নির্ঘাৎ বড়সড় মাছ ছিল। ধরতে না-পারা সে-মাছের জন্য মনের ভেতর হু-হু করে ওঠে।
চার খেয়ে মাছ পালানোর দুঃখ ভুলতে পারে না সৈকত। পাখিদের কিচিরমিচির, ফড়ফড়াফড় ফড়িঙের উড়ে যাওয়া বা এ-ফুলে সে-ফুলে ঘুরে বেড়ানো, কিছুই আর চোখ টানে না তার! ভাল্লাগছে না। ‘ঢের হয়েছে মাছ ধরা, এবার উঠি ‘... বিড়বিড়িয়ে একথা বলে উঠতে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই সৈকতের চোখ চলে যায় ফাতনায়। ফাতনা নড়ে উঠল, নড়ে উঠেই থামল না, ছিপের সুতো দূরে চলে যাচ্ছে যেন! প্রথমে মৃদু টান, পরমুহূর্তেই সে-টান বাড়ে। মনে হয়, ছিপের সুতোয় গায়ের জোরে কেউ টান দিচ্ছে। হুইল ঘুরছে, সুতো খুলছে। সৈকত কালবিলম্ব না করে সর্বশক্তি দিয়ে হেঁচকা টান মারে।
টান মারতেই বিস্ময়! ইয়াব্বড়ো মৃগেল। ছটফটাচ্ছে, পারলে ছিপের সুতো ছিঁড়ে ঝাঁপ দেবে জলে। ওই জলেই ঘরসংসার, আত্মীয়কুটুম, ওখানেই বুঝি ফিরে যেতে চায়!
দু’চার বার লাফালেই কি আর ফিরে যাওয়া যায়! একবার ধরা পড়ে গেলে ছাড়া পাওয়া সহজ নয়। মানুষগুলোর তো আর দয়ামায়া নেই! কেটে, ভেজে, ঝোল বানিয়ে চালান দেবে পেটে। সৈকতের মনে হল, ধরা পড়া মছলিবাবু বোধহয় একথাই ভাবছে!
সৈকত গেঁথে থাকা মাছটিকে ছিপ থেকে প্রায় জোর করেই ছাড়াতে গেল। পিচ্ছিল মাছটি তিড়িং করে পালাতে গিয়েও শেষ পর্যন্ত পালাতে পারল না। ‘হাঁ’ করা মাত্র মুখের ছিপ ছাড়াতে গিয়ে রক্ত ঝরল। রক্ত দেখে সৈকতের কেমন যেন মন খারাপ হয়ে যায়!
বঁটিতে মা মাছ কাটছেন। গলগলিয়ে রক্ত পড়ছে। মনের কোণে অযত্নে পড়ে থাকা অতীতের এক ছেঁড়া-ছেঁড়া আবছা ছবি সহসা স্পষ্ট হয়ে উঠল। মাছটাকে দু’হাতে চেপে ধরে বাড়ির দিকে হাঁটতে হাঁটতে সৈকত এক মুহূর্তের জন্য হলেও থমকে দাঁড়ালো।
থমকে দাঁড়ানো মাত্র চমকে উঠল, সামনের পেয়ারাগাছের পাকাপাতার ফাঁকে ছোট্ট একটা হলুদ-রঙা পাখি। পাতার রং পাখির রং মিলেমিশে একাকার। হঠাৎ করে সুরেলা মিষ্টি গলায় শিস না দিলে সৈকত বুঝতেই পারতো না, পাকা পাতার সঙ্গে গায়ের রং মিলিয়ে ছোট্ট পাখিটা গাছের ডালে বসে আছে!
চোখ পড়া মাত্র উড়ুৎফুড়ুৎ, পাখিটাই উড়ে পালাল। মাছটাকে আরও শক্ত করে ধরে বাড়ির দিকেই এগতে থাকে সৈকত। পায়ে পায়ে পুকুরপাড়, গাছগাছালি, ছায়ার কাটাকুটি পেরিয়ে অবশেষে বাড়িতে।
বাড়ি মানে তেমন বড়সড় কোঠাবাড়ি নয়, হাড় জিরিজির ভাঙাচোরা মাটির বাড়ি। উপরে খড়ের ছাউনি। সেই ছাউনি বর্ষার জল খেয়ে খেয়ে রং বদলেছে। খড়-চালে ছড়িয়ে থাকা পুঁইলতাগুলো বেশ ডাগরডোগর। মা’র যত্নে ছোট্ট পুঁইচারা বাড়তে বাড়তে ছড়িয়ে পড়েছে খড়-চালে।
দরজা থেকে ঘরে ঢুকেই সৈকত মাছ ধরার আনন্দে চিৎকার করে মাকে ডাকল। না, সাড়া পেল না! একবার, দু’বার, তিনবার। পরপর তিনবার ডেকেও সাড়া না পেয়ে সৈকত নিশ্চিত হল, মা নিশ্চয়ই পাশের বাড়ির রমলামাসির কাছে গেছেন। মাছটাকে রান্নাঘরে গামলা চাপা দিয়ে রাখল সৈকত। তখনও মাছটা বেঁচে! প্রাণশক্তি কমে এসেছে, সেই তেজ আর ছটফটানি নেই। খাবি খাচ্ছে!
রান্নাঘরের পাশের দরজা দিয়ে দু’পা এগলেই রমলামাসির ঘরসংসার। সৈকত যা ভেবেছে ঠিক তাই। রমলামাসির সঙ্গে মা গল্প জুড়েছেন।
মা ঘরদোর খোলা রেখে এখানে এসে গল্পে মজেছে দেখে সৈকত একটু ক্ষুণ্ণই হয়। পারলে দু’কথা শুনিয়ে দেয়। বলতে গিয়েও শেষ পর্যন্ত অবশ্য কিছুই বলল না। মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে কেমন যেন মায়া হল!
এই ক’মাসে মা কেমন বুড়িয়ে গেছেন। মুখে একফোঁটাও আলো নেই। আঁধার ঘনিয়ে এসেছে। ফলে বকুনির সুরে তাঁকে আর কিছুই বলা হয় না সৈকতের। মা’র মুখের দিকে ফ্যালফেলিয়ে তাকিয়ে থাকে। মা’র মুখের দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে থাকতে না-ভালোলাগা বোধ আবার চাগাড় দিয়ে ওঠে। অনেক রোগের কথা এই বারো বছরের জীবনে সে শুনেছে। না, এমন রোগের কথা জন্মে শোনেনি। প্রতিদিনই বাড়ছে, লোক মরছে। এই বুঝি এল ভাইরাস! ভয়ে জড়সড় হয়ে কাটল দিনের পর দিন। তারপর যাও বা খুলল, স্কুল-কলেজ বন্ধ, লেখাপড়া বন্ধ। ফলে সৈকতের স্কুল যাওয়া নেই। বাবার অফিস যাওয়া নেই। এই ভাবে দিনের পর দিন, সপ্তাহের পর সপ্তাহ ,‌ মাসের পর মাস গড়িয়ে গেল!
জমিটমি নেই। বাবা কোনওদিন মাঠে যাননি। চাষাবাদ করেননি। আরামবাগ কলেজ থেকে গ্রাজুয়েট হয়ে কত স্বপ্ন দেখেছিলেন! কোনও স্বপ্নই শেষপর্যন্ত সত্যি হয়ে ওঠেনি। কোথায় সব হারিয়ে গেছে! শেষে কলকাতার গণেশ টকিজের দিকে এক অফিসে মেলে সামান্য মাইনের চাকরি। অফিসের কাজ, বাইরের কাজ, কাজের শেষ নেই! এত খাটাখাটুনির পরও পেট ভরে না। অভাব তীব্র, নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যায়।
সেই বিচ্ছিরি অসুখটা কমেনি, বরং বেড়েছে। সবার এখন মুখ বাঁধা। চোখেমুখে আতঙ্ক! টিভিতে সারাক্ষণই মৃত্যুর পরিসংখ্যান। কবে আসবে ভ্যাকসিন, না, কেউই জানে না। এরই মধ্যে আজ ট্রেন চালু হয়েছে। বাবাও মুখ বেঁধে মাথায় টুপি পরে অফিসে দৌড়েছেন। এই ক’মাসে বাবা পাঁচ-সাতবার অফিসে ফোন করেছেন, এই পর্যন্তই। প্রথম প্রথম এদিকে সেদিকে বের হতেন। পরে বাইরে বের হওয়ার উৎসাহই বুঝি হারিয়ে ফেলেছিলেন! সারাক্ষণই মন-মরা! মুখে আষাঢ়ের মেঘ, খুবই যে চিন্তা-দুশ্চিন্তায় রয়েছেন, তা গোপন থাকেনি। এ-ক’মাস অভাবে অনটনে কী কষ্টেই না কেটেছে! কেটেছে বা বলা কেন, কীভাবে কাটছে, তা ভাবতে গিয়ে সৈকতের সব কষ্ট গলার কাছে দলা পাকিয়ে গেল।
টানা মাস আটেক ট্রেন বন্ধ থাকার পর আবার চালু হয়েছে। সকালে আজ সবার আগে ঘুম ভেঙেছে বাবার। মাকে ডেকেছেন। অনেক দিনের অনভ্যাস, তবুও উঠতে দেরি করেননি মা। রান্নাঘরে বাসনকোসনের শব্দ ঘুমচোখেও কানে এসেছে সৈকতের। আড়মোড়া ভাঙতে আরও কিছুটা সময় লেগেছে। জানলা গলে একটুকরো রোদ ঢুকে পড়েছে ঘরে, সরাসরি বিছানায়। তবু সৈকতের ইচ্ছে করেনি বিছানা ছেড়ে উঠতে।
পড়াশোনায় এখন ঢিলেমি পড়েছে। কতদিন স্কুল যাওয়া নেই। শেষ কবে গিয়েছিল, তাও বুঝি মনে পড়ে না! ক্লাসরুমে, বেঞ্চিতে, চেয়ারে, টেবিলে অনেক ধুলো জমেছে। বড্ড দূরে, দু’গ্রাম পেরিয়ে যেতে হয় স্কুল। এসব ভাবতে ভাবতে সৈকত ঠিক করে নেয়, কাল সকালের দিকে বেরিয়ে পড়বে। একবার স্কুলটা দেখে আসবে।
মা সৈকতের পিছু পিছুই চলে এসেছেন রমলামাসির বাড়ি থেকে। রান্নাঘরের কাছে এসে সৈকতের মুখেই শুনলেন, মস্ত এক মৃগেল মাছ ধরেছে। সৈকত মাছ ধরার কথা বলে প্রবল উল্লাসে। সাত-রঙা রামধনু খেলে যায় তার চোখে-মুখে। সে রং-আলো অবশ্য মা’র মুখে ছড়াল না। সেখানে অমাবস্যার নিষ্প্রদীপ রাত, ঘন ঘোর অন্ধকার।
গামলা দিয়ে ঢেকে রাখা মাছটাকে সৈকত দেখায় তার মাকে। মা দেখে যে আনন্দে ডগমগ হলেন, তা নয়, বরং একটু বিপন্নই বোধ করলেন! নিজের মনে বিড়বিড়িয়ে বললেন, এত বড় মাছ! কী দিয়ে ভাজব? তেল কোথায়?
যতই আস্তে বলুন না কেন, সৈকতের তা কানে যায়। আরও মন খারাপ হয়ে গেল। দারিদ্র্যের যন্ত্রণা তাকে কুরে-কুরে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায়।
তেলের অভাবে সব মাছ মা ভাজতে পারলেন না। কেটেকুটে বেশ কিছুটা পৌঁছে দিলেন রমলামাসির বাড়িতে। খুব খুশি রমলামাসি। সৈকতকে বললেন, বেশ বড় মাছ, মাছের কালিয়া বানাব। তুই দুপুরে এখানে খাস।
হঠাৎ করে নেমন্তন্ন পেয়ে সৈকতের ভালো লাগলেও খারাপ লাগাও রয়ে যায়। মাকে রমলামাসি খেতে বললেন না। মা তেলের শিশি উল্টে নিজেদের জন্য রাখা মাছটুকু ভাজলেন। তেল কম পড়ায় ক’টা পুড়ে গেল।
রমলামাসির বাড়িতে খাওয়ার পর লম্বা ঢেকুর তুলল সৈকত। আহা, রান্নার কী সোয়াদ! হাতের জল শুকিয়ে গেলেও জিভে সেই সোয়াদ লেপ্টে থাকে।
বাবার ফিরতে রাত হয়ে যেত আগে! আজও নিশ্চয়ই তেমনি রাত করে ফিরবেন, ভাবতে থাকে সৈকত। বাবার সঙ্গে প্লাস্টিকের প্যাকেটে মুড়ি থাকে। সারাদিন খাটাখাটনির পর হাওড়ায় পৌঁছে ট্রেনে উঠে মুড়ির সঙ্গে একটু চানাচুর খেয়েই কী আনন্দ! খিদের আগুন জুড়োলে, পেটে ছুঁচোর নৃ্ত্য থামলে ডেলিপ্যাসেঞ্জার বন্ধুদের সঙ্গে চলে যত বকরবকর! বাবার মুখেই এসব শুনেছে সৈকত। নড়বড়ে চেয়ারে বসে এসব ভাবতে ভাবতে সৈকতের ঘুম-ঘুম লাগে।
হঠাৎই কড়া নাড়ার শব্দ। একনাগাড়ে বাবা যেভাবে নেড়ে যান, তেমন নয়। থেমে থেমে নাড়া। স্বতঃস্ফূর্তভাবে নাড়া নয়, নাড়তে হয়, ডাকতে হয়, তাই বুঝি নাডছেন, ডাকছেন! বাবা আবার ফিরে আসেননি তো, এই অসময়ে ফিরবেনই বা কেন, এমন এক দোলাচলের মধ্যেই সৈকত দরজা খুলে দেয়। দরজা খুলেই থ, আরে, বাবাই তো দাঁড়িয়ে রয়েছেন! ঝড় বয়ে গেছে তাঁর ওপর দিয়ে যেন! খুব বিপন্ন দেখাচ্ছে তাঁকে। ততক্ষণে মাও এসে পড়েছেন দরজার কাছে। বাবাকে এমন উদ্ভ্রান্তের মতো দেখে হাতটা চেপে ধরে জিজ্ঞাসা করলেন, কী হয়েছে? শরীর খারাপ?
বাবা দরজার বাইরে স্তব্ধ হয়েই দাঁড়িয়ে রইলেন। ভেতরে ঢোকার মতন শক্তি নেই তাঁর। মা কোনও রকমে হাত ধরে ভেতরে নিয়ে এলেন। ধপাস করে সশব্দে চৌকিতে বসে সৈকতের হাত চেপে ধরলেন বাবা। তারপর খুব আস্তে, নিচু গলায় বললেন, জানিস, আর আমায় অফিস যেতে হবে না। চাকরিটা নেই। কয়েকজনকে ছাঁটাই করেছে, তার মধ্যে আমিও আছি।
গলার স্বর খুব আস্তে। আরও নিচু গলায় স্বগতোক্তির মতো করে বললেন, মাসের পর মাস অফিস যাইনি! যেতে পারিনি, সেই কারণেই চাকরি গেল। এই অজুহাতেই তো আমায় তাড়াল!
বাবার কথা শেষ হওয়ার আগেই মা বিমর্ষ হয়ে মেঝেতে বসে পড়লেন। সৈকতের মনে হল, এতটুকু ঘরে আস্ত এক কালবোশেখি ঢুকে পড়েছে। ঝড়-বাতাসে সব এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। ছোট্টটি আর নেই সে, দমকা বাতাসে হঠাৎ এই বড় হয়ে ওঠা সৈকতও এখুনি বুঝি ধপাস করে মাটিতে পড়ে যাবে!  
28th  February, 2021
বাংলা ভাষার প্রতি ঠাকুরবাড়ির ভালোবাসা
পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

বাংলা নববর্ষের দিন জানব বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসার কথা। সেই ইংরেজ আমলে রবীন্দ্রনাথের পরিবারের সদস্যরা কীভাবে এই ভাষার জন্য লড়াই করেছিলেন, তুলে ধরা হল তারই টুকরো কিছু স্মৃতি।  বিশদ

14th  April, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: মটকা পেন্টিং

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

14th  April, 2024
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আবিষ্কার
কল্যাণকুমার দে

ঘুম! পড়তে বসলেই ঘুম পেয়ে যায়। এর জন্য বাবা-মায়ের কাছে কম বকুনি খেতে হয় না। বকুনি খেয়েও কিন্তু অভ্যেসটা পাল্টায় না। আসলে ঘুমের অভ্যেসটা আমাদের জন্মাবার সঙ্গেই তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল, আমরা কেন ঘুমোই? জীবনে কি ঘুম অত্যন্ত জরুরি? বিশদ

14th  April, 2024
এপ্রিল ফুলের খুনসুটি

পেরিয়ে এলাম পয়লা এপ্রিল। ইংরেজি চতুর্থ মাসের ১ তারিখ মানেই এপ্রিল ফুলস’ ডে। বোকা বানানোর দিন। কীভাবে বন্ধুদের সঙ্গে দিনটি মজা করে কাটল, সেই গল্পই শোনাল পূর্ব বর্ধমানের ঘোড়ানাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ‘ফুল’ একটি ইংরেজি শব্দ। এর অর্থ বোকা। এপ্রিল ফুলের অর্থ এপ্রিল মাসের বোকা।
বিশদ

07th  April, 2024
যাত্রী যখন গান্ধীজি

১৯৪৬ সালের জানুয়ারি মাস। শীতের বিকেলে সোদপুর স্টেশন দিয়ে কু-ঝিকঝিক আওয়াজ করে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যাত্রীবাহী ট্রেন। স্ব-পার্ষদ খাদি আশ্রমে বসে রয়েছেন জাতির জনক। আচমকা বললেন, মাদ্রাজ যেতে হবে। এখান থেকেই ট্রেন ধরব
বিশদ

07th  April, 2024
বিরল সংখ্যা

গণিত মানেই মগজাস্ত্রে শান। সংখ্যার খেলা। কত ধরনেরই যে বিস্ময় লুকিয়ে রয়েছে, তা বলে বোঝানো যায় না। এক একটা সংখ্যাতেই কত না রহস্য। এই ধর, ছয় দশ পাঁচ পঁয়ষট্টির কথা। সংখ্যায় লিখলে— ৬৫। দেখে কী মনে হচ্ছে!
বিশদ

07th  April, 2024
রুকু ঝুকুর চাওয়া পাওয়া
অংশুমান কর

আমরা গ্রামের বাড়ি যাব। ঝুকুর জন্মের পর এই প্রথম আমাদের সকলের একসঙ্গে গ্রামের বাড়ি যাওয়া। ও তাই খুব আনন্দে আছে। কতবার আমাকে বলছে, ‘দাদা তুই আর আমি ধানগাছে চড়ে দোল খাব।’ আমি ওকে বলিনি যে, ধানগাছে চড়ে দোল খাওয়া যায় না। বিশদ

31st  March, 2024
মহাকাশযাত্রীদের খাবার-দাবার
উৎপল অধিকারী

মহাকাশ বড়ই রহস্যময় স্থান। এই রহস্যের উদ্ঘাটন করার জন্য মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষ সশরীরে সেখানে হাজির হয়েছে। এই অকুতোভয় সাহসী মহাকাশযাত্রীরা জীবন বাজি রেখে অসীম ধৈর্য নিয়ে মহাকাশযানে তাঁদের গবেষণা করছেন। বিশদ

31st  March, 2024
চরম দারিদ্র্য থেকে সর্বোচ্চ শিখরে

পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের প্রথম উচ্চতা মেপেছিলেন রাধানাথ শিকদার। এই বাঙালি গণিতবিদের সাফল্যের গল্প শোনালেন সোমনাথ সরকার বিশদ

31st  March, 2024
কবিগুরুর দোল উৎসব
সায়ন্তন মজুমদার

১৯২৫ সালে দোল উপলক্ষ্যে সেজে ওঠে আম্রকুঞ্জ। কিন্তু বিকেলের ঝড়বৃষ্টিতে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বৃষ্টি থামতে রবীন্দ্রনাথ সকলকে নিয়ে চলে যান এখনকার পাঠভবনে। সেখানে অভিনীত হয় ‘সুন্দর’ নাটকটি। বিশদ

24th  March, 2024
খেলাধুলোর আনন্দ

পড়াশোনায় ফাঁক পেলেই চলছে চুটিয়ে খেলা। ব্যাট-উইকেট, ফুটবল নিয়ে সকলে নেমে পড়ছে। খেলার আনন্দের বিকল্প নেই। নিজেদের প্রিয় খেলার বিষয়ে জানাল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর হাই স্কুলের পড়ুয়ারা। বিশদ

24th  March, 2024
লাগল যে দোল

ম্যাজিক মানেই অজানাকে নতুন করে জানা। ম্যাজিকের অলীক দুনিয়ায় একবার ঢুকে পড়লে ঘোর লাগে চোখে। জাদুর দুনিয়ায় নানা ধাঁধা। প্রতিটাই পরখ করে দেখতে মন চায়। এবার সেই সুযোগই তোমাদের সামনে হাজির করলেন থিম ম্যাজিশিয়ান সোমনাথ দে। তিনি মাসে দুটো করে ম্যাজিক শেখাচ্ছেন তোমাদের। তাঁর থেকে সেই ম্যাজিক বৃত্তান্ত জেনে তোমাদের সামনে হাজির করলেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

24th  March, 2024
চাঁদের  তাপমাত্রা

খন বিভিন্ন দেশ চন্দ্রাভিযানে নেমেছে। কিছুদিন আগে ভারতের চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছিল। চাঁদের বুকে ঘোরাফেরা করে গবেষণা চালিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর চন্দ্রযান ৩-এর রোভার প্রজ্ঞান। এখন অবশ্য চিরঘুমে ঢলে পড়েছে সে।  
বিশদ

17th  March, 2024
মহাসাগরের গভীরে ঘুমন্ত ‘অষ্টম’ মহাদেশ

সাতটি মহাদেশের কথা আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন অষ্টম মহাদেশের কথা। আশ্চর্যের বিষয় এই আট নম্বর মহাদেশটিকে আমরা পৃথিবীর মানচিত্রে এখনও সেভাবে দেখতে পাই না। কারণ এই মহাদেশটি  সমুদ্রের গভীরে নিমজ্জিত ।       
বিশদ

17th  March, 2024
একনজরে
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...

পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: পাঞ্জাবকে ৯ রানে হারাল মুম্বই

18-04-2024 - 11:50:54 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট হরপ্রীত ব্রার, পাঞ্জাব ১৮১/৯ (১৯ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:46:48 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট আশুতোষ শর্মা, পাঞ্জাব ১৬৮/৮ (১৭.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:36:00 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি আশুতোষ শর্মার, পাঞ্জাব ১৫১/৭ (১৫.৩ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:22:48 PM

আইপিএল: ৪১ রানে আউট শশাঙ্ক সিং, পাঞ্জাব ১১১/৭ (১২.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:02:15 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট জীতেশ শর্মা, পাঞ্জাব ৭৭/৬ (৯.২ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 10:48:50 PM