উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
সেবার ইন্দ্রা (ইঁদা) অঞ্চল থেকে বছর তেইশের এক যুবককে এই অঞ্চলে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে এদিকে আসতে দেখা গেল। এমন বনপ্রদেশে কে এই যুবক? এখানকার অধীশ্বর ব্রজকিশোর লাহিড়ী দূর থেকে যুবককে দেখতে পেয়েই ডাকিয়ে আনালেন তাকে। জিজ্ঞেস করলেন, ‘কে বাবা তুমি? কোথা থেকে আসছ?’
যুবকের চোখের কোল বেয়ে কয়েক ফোঁটা জল বেরিয়ে এল। বলল, ‘আমার নাম রূপচাঁদ রায়। আমি স্বজনহারা। জ্ঞাতিশত্রুর চক্রান্তে এখন আমি আশ্রয়হীন।’
‘তোমার মা-বাবা?’
‘কয়েক বছর আগে স্বর্গবাস হয়েছে তাঁদের। এরপর থেকে কোনওরকমে পুজো-আচ্চা করে দিন কাটাচ্ছিলাম। একবার হল কী আমাদের এক জ্ঞাতি পরিবারের বিগ্রহের গয়না চুরি গেলে ওরা আমাকেই সন্দেহ করল। ওরা শুধু বদনাম করেই শান্ত হল না, আমার একমাত্র আশ্রয়স্থলটিতেও আগুন ধরাল। আমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে গ্রাম থেকে তাড়িয়েও দিলেন। সবাই অবশ্য ওঁদের কথা বিশ্বাস করেননি। তাঁদের কেউ কেউ আমাকে আশ্রয় দিতে চাইলেও মনের দুঃখে আমি গ্রাম ত্যাগ করেছি।’
লাহিড়ী মশাইয়ের পিসিমা সব শুনে কাছে এসে রূপচাঁদকে বুকে জড়িয়ে বললেন, ‘কথায় আছে জ্ঞাতিশত্রু বড় শত্রু, ভাই শত্রু মহাকাল— একথা তো মিথ্যে নয় বাবা। তুমি আমাদের এখানেই থাকবে।’
লাহিড়ী মশাইয়ের স্ত্রী মেনকাও আড়ালে থেকে সব শুনছিলেন। আর তাঁদের একমাত্র ষোড়শী কন্যা সুনয়নীর চোখে যেন পাতা পড়ছিল না। এই রূপবান যুবককে দেখে মন ভরে উঠল তার। এ যদি সত্যিই এই বাড়িতে থাকে, তাহলে।
একটু পরে পিসিমা এসে ব্রজকিশোরকে বললেন, ‘কেমন দেখলি ছেলেটাকে?’ ‘মেয়ের জন্যে পাত্র খুঁজছিলি না?’
ব্রজকিশোর বললেন, ‘একেই বলে দৈব্যকৃপা। যেমন রূপ, তেমনি চাঁদের মতো মুখ। আমার সুনয়নীর ভাগ্যে এমন যে জুটবে তা স্বপ্নেও ভাবিনি।’
‘ওকে ছেলের মতো করে জামাই আদরে পালন কর। দেখবি ও-ই আমাদের স্বপ্ন পূরণ করবে।’
রূপচাঁদকে ঘিরে এই পরিবারের মধ্যে যেন আনন্দের বন্যা বয়ে গেল।
এ বাড়ির সকলের আদর যত্নে রূপচাঁদের মনও ভরে উঠল। পিসিমা, লাহিড়ী গিন্নি, সুনয়নী কত কী খাওয়াল রূপচাঁদকে। এমন তৃপ্তির খাওয়া ও কখনও খায়নি। জীবনের মোড় কি সত্যি ঘুরে গেল ওর?
দেখতে দেখতে বেলা গড়িয়ে সন্ধে হল। ঘুমিয়ে পড়ল গ্রাম। চারদিক থেকে শেয়ালের ডাক শোনা যেতে লাগল। কখনও কখনও অন্য বন্য প্রাণীর।
অনেক রাতে ঘুম ভাঙলে রূপচাঁদ দেখল মাটির প্রদীপ শিখার আলোয় ভরে আছে ঘর। নিজের দুর্ভাগ্যের কথা চিন্তা করতে করতে হঠাৎ-ই মনে হল এমন এক বিত্তবান পরিবারের আপনজন হয়ে এখানে থেকে যাওয়াটা কি উচিত হবে ওর। কথায় বলে, বড়র পিরিতি বালির বাঁধ, ক্ষণে হাতে দড়ি ক্ষণেকে চাঁদ। হয়তো কোনওদিন ওদের কিছু খোয়া গেলে ওরাই ওকে সন্দেহ করবে। সত্যই যদি এমন কিছু হয়, তখন? তার ওপর ওই রূপের খনি সুনয়নী, ও বেশ বুঝতে পারছে ওদের ওই মেয়েটিকে ঘিরে ওরা অন্য একটা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। অতএব আর নয়। একটুও দেরি না করে সবার অলক্ষ্যে চুপিসাড়ে পালিয়ে যেতে হবে ওকে।
তখন গ্রীষ্মকাল। তাই অসুবিধে হল না। ঘরের বাইরে এসে উঠানের একপাশে একটি আমগাছের ডাল ধরে নেমে পড়ল পুকুর পাড়ে। তারপর অন্ধকারে গাছপালার আড়াল দিয়ে অজানা অচেনা পথে উধাও হয়ে গেল। এখানকার নিরাপদ আশ্রয় ছেড়ে কোথায় যাচ্ছে কোথায় যাবে কিছুই জানে না ও। শুধু এটুকু জানে সুখের ঐশ্বর্য ওর জন্য নয়। চারদিক কুটিল অন্ধকারে ভরা। হঠাৎ-ই জঙ্গল ভেদ করে দীর্ঘ উন্নত চেহারার কে যেন একজন বেরিয়ে এসে বলল, ‘এই, এত রাতে কোথায় যাচ্ছ তুমি? তোমার কি প্রাণের ভয় নেই?’
রূপচাঁদ বলল, ‘কে আপনি?’
‘আমি যে-ই হই। আগে বলো তুমি কে?’
‘বলতে পারো আমি একজন ভ্রান্ত পথিক। আমার নাম রূপচাঁদ।’
‘এটা হল গুড়গুড়িপালের জঙ্গল। এই জঙ্গল হিংস্র জন্তুতে ভরা। বাঘ ভালুক ছাড়াও বুনো হাতির উপদ্রবে খুব কম লোকজনেরই বসতি এখানে। এখন প্রাণে যদি বাঁচতে চাও তো আমার সঙ্গে এসো।’
অগত্যা সেই লোকেরই পিছু নিল রূপচাঁদ।
বেশ খানিকটা পথ যাওয়ার পর একটি গাছের ওপর কাঠের তৈরি ছোট্ট ঝোপড়ি ঘর নজরে এলে লোকটি বলল, এখনকার মতো ওই ঘরের ভেতরে তুমি আশ্রয় নাও। দিনের আলো ফুটে না ওঠা পর্যন্ত কোথাও যাবে না কিন্তু। গেলেই বিপদ।’
লোকটির কথামতো রূপচাঁদ দড়ির ঝোলানো একটা মই ধরে সেই ঝোপড়ি ঘরে গিয়ে ঢুকল। এবার কেমন যেন ভয় ভয় করতে লাগল ওর। রাতে ঘুমিয়ে কাল সকালে ওদের জানিয়ে এলেই তো হতো। এইভাবে পালিয়ে আসায় ওর প্রতি ওদের ধারণাটা কি খুব ভালো হবে? সত্যি, কী ভুলটাই না করল ও।
হঠাৎ বুনো হাতির দাপাদাপিতে অস্থির হয়ে উঠল বনভূমি। সে কী ভয়ঙ্কর হ্যায়রো-হ্যায়রো ডাক। বুকের ভেতরটা কেঁপে উঠল এবার। ও সেখান থেকেই দেখতে পেল বনভূমি তোলপাড় করে ধেয়ে আসছে বুনো হাতির দল। আর ঠিক সেই সময়েই আবার দেখা গেল লোকটিকে। গাছের কাছে এসে জোরে হাঁক দিয়ে বলল, ‘আমি থাকতে কোনও ভয় নেই তোমার। দ্রুত নেমে এসো গাছ থেকে।’
নামতে তো হবেই। তাই নামল। নেমেই দেখল নয়-দশ বছরের এক ডুরে শাড়ি পরা বালিকা ওর দিকে তাকিয়ে বলল, ‘এসো।’
লোকটিও ইশারায় ওকে যেতে বলল।
বালিকার সঙ্গ নিল রূপচাঁদ।
খানিক যাওয়ার পর এক জায়গায় হঠাৎ মেয়ে-পুরুষের কান্নার শব্দ শুনে বিস্ময় প্রকাশ করল রূপচাঁদ। কে কাঁদে? কারা কাঁদে? এদিকে তো কোনও বসতি নেই। ওরা কি বুনো হাতির কবলে পড়েছে? মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করলে সে ওর কথার কোনও উত্তরই দিল না। বরং কিছুটা দূরে গিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে হি হি করে হাসতে লাগল। ওকে হাসতে দেখে সেই যারা ইনিয়ে-বিনিয়ে কাঁদছিল তারাও কান্না থামিয়ে হাসতে লাগল। তারপর ওর চোখের সামনে দিয়ে আরও গভীর বনের অন্তরালে হারিয়ে গেল ওরা। রূপচাঁদ লক্ষ করল ওদের সকলেরই মুখ ঘাড়ের পিছন দিকে সাঁটা। পা দুটোও উল্টোভাবে লাগানো।
রূপচাঁদ তখন আর ওর মধ্যে নেই। ওর যখন দারুণ আতঙ্কে মূর্ছা যাবার অবস্থা, ঠিক তখনই আবার এসে হাজির হল সেই লোকটি। তার চোখে কোনও পলক পড়ছে না।
রূপচাঁদ এবার আরও ভয় পেয়ে বলল, ‘এসব কী দেখলাম। আপনি কে? আমাকে ভয় দেখাচ্ছেন কেন?’
লোকটি বলল, ‘আমি তো কোনও ভয় দেখাইনি তোমাকে? যদিও আমি অশরীরী, বা যাদের দেখলে তারাও। আমাদের প্রেত প্রভাবে মাঝে মাঝে এরকম করে ফেলি আমরা। তবে আমি নিজে না এসে ওই দুলালি মেয়েটিকে তোমার সঙ্গে পাঠিয়েই ভুল করেছি। আসলে ওই বুনো হাতিগুলো হঠাৎ করে ওদিকে উপদ্রব শুরু না করলে ওখান থেকে এদিকে আসতেই হতো না তোমাকে। না হলে মরতে। কেননা বুনো হাতির দল ওই গাছ উপড়ে অনেক দূরে ফেলে দিয়েছে।’ তারপর একটু চুপ থেকে বলল, ‘আসলে তোমাকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে আমাদের প্রভুর নির্দেশে। নাহলে আমি কি জানতাম ঠিক ওই সময়টিতেই এই জঙ্গলে তুমি আসবে? তাঁর আসার সময় হয়ে গেছে। কিন্তু কেন যে তিনি এত দেরি করছেন তা কে জানে?’
লোকটির কথা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মস্ত একটি গাছের ডালে ঝাঁকানি দিয়ে অত্যন্ত সৌম্যদর্শন বিশাল শরীর এক মুণ্ডিত মস্তক সুন্দর পুরুষের আবির্ভাব হল সেখানে। তারপর ধীরে ধীরে চেহারা স্বাভাবিক করে স্মিত হেসে রূপচাঁদকে বললেন, ‘খুব অবাক হয়ে যাচ্ছ তো?’ আসলে সৎ-সজ্জন মানুষের পাশে সব সময়ই আমি থাকি।’ বলেই সেই লোকটিকে বললেন, ‘এখনকার মতো তোমার কাজ শেষ। এবার তুমি যেতে পারো।’
সেই প্রেত পুরুষ সঙ্গে সঙ্গে অন্ধকারে মিলিয়ে গেল।
রূপচাঁদ বলল, ‘এ আমি কোন বিপদে পড়লাম প্রভু এই গুড়গুড়িপালে এসে?’
উত্তর এল, ‘কে বলল তুমি বিপদে পড়েছ? তোমার মতো সৎ-সজ্জন ছেলে খুব কমই আছে। দশ বছর আগে উপনয়নের দিনে দণ্ডি ঘরে আমি বিশেষ কারণে বিষ খেয়ে নিজেকে শেষ করে দিয়েছিলাম অন্যের মিথ্যা অভিযোগে মর্মাহত হয়ে। সেই একই মিথ্যার ফাঁদে পড়ে স্বজনহারা হয়েছ তুমি। এ কাজ যারা করেছে তারা ক্ষমার অযোগ্য। আজ তুমি যখন ব্রজকিশোর লাহিড়ীকে অকপটে তোমার কথা বলছিলে আমি সেই সময় পাশের বিল্ববৃক্ষে কায়াহীন হয়ে অবস্থান করছিলাম। আমি অলৌকিক প্রভাবে তোমার প্রকৃতি জেনে নিয়েই আজ সন্ধ্যায় ইন্দ্রায় যাই। তারপর এমন ভয় দেখাই যে সর্বসমক্ষে ওরা ওদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। গয়নাগুলো লুকিয়ে রেখে তোমার নামে চুরির বদনাম দিয়ে ঘরে আগুন লাগিয়েছে শুধুমাত্র ওদের ঘর সংলগ্ন তিন কাঠা জমি পাবে বলে। গ্রামের লোকেরা এখন ছি ছি করছে ওদের। কাল সকাল থেকে সন্ধের মধ্যে যখন হোক ওরা আসবে তোমার কাছে ক্ষমা চাইতে। যদি না আসে তাহলে কী যে করব ওদের তা ভাবতেও পারবে না ওরা। এরপরে যখন তুমি সুনয়নীর মতো সুকন্যার মোহ, ওখানকার ভোগ ঐশ্বর্য ছেড়ে রাতের অন্ধকারে নিজের জীবন বিপন্ন করেও পাঁচিল টপকে পালিয়ে এলে তখন আর আমি থাকতে পারলাম না। তুমি গুড়গুড়িপালের মাটিতে পা দিতেই আমি আমার সেবককে নির্দেশ দিলাম ওই অরণ্যে তোমার যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সেদিকে নজর রাখতে। একটু আগেই আমার ছায়াশরীর নিয়ে তোমার অন্তর্ধানের কথা লাহিড়ী মশাইকে জানিয়ে এসেছি। কেন যে তুমি ওইভাবে পালিয়ে এলে সে কথাও বলে এসেছি। এখন আমার সঙ্গে একটু এদিকে এসো।’
সুন্দর পুরুষের আদেশ মতো রূপচাঁদ কিছু পথ এগিয়ে যেতেই তারের বেড়া দিয়ে ঘেরা একটি বহুদিনের পুরনো মন্দির দেখতে পেল।
সুন্দর পুরুষ বললেন, ‘ওটি হল ধর্মরাজ ঠাকুরের মন্দির। আমার আরতির ঘণ্টাধ্বনি শেষ হলেই তুমি মন্দিরে প্রবেশ করবে। বেলায় লাহিড়ী মশাইয়ের লোকজন গেলে ওদের সঙ্গে ফিরে যাবে তুমি। শুভদিনে সুনয়নীকে গ্রহণ করবে।’
তাঁর নির্দেশ কি অমান্য করা যায়?
একটু পরেই ধর্মরাজের মন্দিরে গিয়ে উপস্থিত হল রূপচাঁদ। সুন্দর পুরুষ কাঁটাতারের বেড়া ভেদ করে মন্দিরে প্রবেশ করলেন। নির্দেশমতো আরতির ঘণ্টাধ্বনি শেষ হতেই মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করল রূপচাঁদ।
সুন্দর পুরুষ তখন বিলীন। তবে ধর্মরাজ ঠাকুরের সামনে অনেক ফল মিষ্টি ও প্রসাদ রেখে গেছেন তিনি? সত্যি, অলৌকিক প্রভাবে কী না হয়। দিনের আলো বেশ ভালোভাবে ফুটে উঠলে অনেক লোকজন সহ লাহিড়ী মশাই ধর্মরাজ মন্দিরে এলেন রূপচাঁদকে নিয়ে যেতে।
রূপচাঁদ ততক্ষণে তৈরি হয়েই ছিল। বলল, ‘আমি আপনাদের না জানিয়ে ওইভাবে পালিয়ে এসে খুব ভুল করেছি। আপনি ক্ষমা করুন।’
লাহিড়ী মশাই রূপচাঁদের মাথায় হাত রেখে বললেন, ‘কোনও ভুল করনি বাবা তুমি। এই ভুলটা করেছ বলেই তোমার সততার প্রতি আমার বিশ্বাস আরও দৃঢ় হল। অমন একজন সদাত্মারও আশীর্বাদ ও কৃপা পেলাম। এখন একটু পা চালিয়ে চলো, বাড়ির সবাই তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।’
পিসিমাই সবার আগে ছুটে এসে জড়িয়ে ধরলেন রূপচাঁদকে।
রূপচাঁদ পিসিমার পায়ে লুটিয়ে পড়ে বলল, ‘কথা দিলাম, এখন থেকে আমি এ বাড়ির চাঁদ হয়েই থাকব।’
লাহিড়ী গিন্নি মেনকাও আদর করে বললেন, ‘শুধু চাঁদ নয়, সোনার চাঁদ।’ অনেক বেলায় রূপচাঁদের জ্ঞাতিরাও এল ক্ষমা চাইতে।
সে রাতে সুন্দর পুরুষ আবার দেখা দিলেন ব্রজকিশোর লাহিড়ীকে। বললেন, ‘আর দেরি নয়। সামনেই যে দিন আসবে সেই দিনেই কন্যার বিবাহ কর্ম সেরে ফেল। ওর বিয়ে দেখে আমি কিছুদিনের জন্য অন্য দেশে চলে যাব। তারপর সময়মতো আবার ফিরে আসব স্বস্থানে।’
সেই অশরীরী সদাত্মার আশীর্বাদ নিয়েই রূপচাঁদ ও সুনয়নীর শুভ-বিবাহটা সম্পন্ন হল এক শুভদিনে ও শুভক্ষণে।