Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

রূপচাঁদের ভাগ্যোদয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

বহুদিন আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের ‘গুড়গুড়িপাল’ ছিল ভয়াবহ অরণ্যে ভরা। এ পথে যাতায়াত রীতিমতো ভয়ের ব্যাপার ছিল।
সেবার ইন্দ্রা (ইঁদা) অঞ্চল থেকে বছর তেইশের এক যুবককে এই অঞ্চলে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে এদিকে আসতে দেখা গেল। এমন বনপ্রদেশে কে এই যুবক? এখানকার অধীশ্বর ব্রজকিশোর লাহিড়ী দূর থেকে যুবককে দেখতে পেয়েই ডাকিয়ে আনালেন তাকে। জিজ্ঞেস করলেন, ‘কে বাবা তুমি? কোথা থেকে আসছ?’
যুবকের চোখের কোল বেয়ে কয়েক ফোঁটা জল বেরিয়ে এল। বলল, ‘আমার নাম রূপচাঁদ রায়। আমি স্বজনহারা। জ্ঞাতিশত্রুর চক্রান্তে এখন আমি আশ্রয়হীন।’
‘তোমার মা-বাবা?’
‘কয়েক বছর আগে স্বর্গবাস হয়েছে তাঁদের। এরপর থেকে কোনওরকমে পুজো-আচ্চা করে দিন কাটাচ্ছিলাম। একবার হল কী আমাদের এক জ্ঞাতি পরিবারের বিগ্রহের গয়না চুরি গেলে ওরা আমাকেই সন্দেহ করল। ওরা শুধু বদনাম করেই শান্ত হল না, আমার একমাত্র আশ্রয়স্থলটিতেও আগুন ধরাল। আমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে গ্রাম থেকে তাড়িয়েও দিলেন। সবাই অবশ্য ওঁদের কথা বিশ্বাস করেননি। তাঁদের কেউ কেউ আমাকে আশ্রয় দিতে চাইলেও মনের দুঃখে আমি গ্রাম ত্যাগ করেছি।’
লাহিড়ী মশাইয়ের পিসিমা সব শুনে কাছে এসে রূপচাঁদকে বুকে জড়িয়ে বললেন, ‘কথায় আছে জ্ঞাতিশত্রু বড় শত্রু, ভাই শত্রু মহাকাল— একথা তো মিথ্যে নয় বাবা। তুমি আমাদের এখানেই থাকবে।’
লাহিড়ী মশাইয়ের স্ত্রী মেনকাও আড়ালে থেকে সব শুনছিলেন। আর তাঁদের একমাত্র ষোড়শী কন্যা সুনয়নীর চোখে যেন পাতা পড়ছিল না। এই রূপবান যুবককে দেখে মন ভরে উঠল তার। এ যদি সত্যিই এই বাড়িতে থাকে, তাহলে।
একটু পরে পিসিমা এসে ব্রজকিশোরকে বললেন, ‘কেমন দেখলি ছেলেটাকে?’ ‘মেয়ের জন্যে পাত্র খুঁজছিলি না?’
ব্রজকিশোর বললেন, ‘একেই বলে দৈব্যকৃপা। যেমন রূপ, তেমনি চাঁদের মতো মুখ। আমার সুনয়নীর ভাগ্যে এমন যে জুটবে তা স্বপ্নেও ভাবিনি।’
‘ওকে ছেলের মতো করে জামাই আদরে পালন কর। দেখবি ও-ই আমাদের স্বপ্ন পূরণ করবে।’
রূপচাঁদকে ঘিরে এই পরিবারের মধ্যে যেন আনন্দের বন্যা বয়ে গেল।
এ বাড়ির সকলের আদর যত্নে রূপচাঁদের মনও ভরে উঠল। পিসিমা, লাহিড়ী গিন্নি, সুনয়নী কত কী খাওয়াল রূপচাঁদকে। এমন তৃপ্তির খাওয়া ও কখনও খায়নি। জীবনের মোড় কি সত্যি ঘুরে গেল ওর?
দেখতে দেখতে বেলা গড়িয়ে সন্ধে হল। ঘুমিয়ে পড়ল গ্রাম। চারদিক থেকে শেয়ালের ডাক শোনা যেতে লাগল। কখনও কখনও অন্য বন্য প্রাণীর।
অনেক রাতে ঘুম ভাঙলে রূপচাঁদ দেখল মাটির প্রদীপ শিখার আলোয় ভরে আছে ঘর। নিজের দুর্ভাগ্যের কথা চিন্তা করতে করতে হঠাৎ-ই মনে হল এমন এক বিত্তবান পরিবারের আপনজন হয়ে এখানে থেকে যাওয়াটা কি উচিত হবে ওর। কথায় বলে, বড়র পিরিতি বালির বাঁধ, ক্ষণে হাতে দড়ি ক্ষণেকে চাঁদ। হয়তো কোনওদিন ওদের কিছু খোয়া গেলে ওরাই ওকে সন্দেহ করবে। সত্যই যদি এমন কিছু হয়, তখন? তার ওপর ওই রূপের খনি সুনয়নী, ও বেশ বুঝতে পারছে ওদের ওই মেয়েটিকে ঘিরে ওরা অন্য একটা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। অতএব আর নয়। একটুও দেরি না করে সবার অলক্ষ্যে চুপিসাড়ে পালিয়ে যেতে হবে ওকে।
তখন গ্রীষ্মকাল। তাই অসুবিধে হল না। ঘরের বাইরে এসে উঠানের একপাশে একটি আমগাছের ডাল ধরে নেমে পড়ল পুকুর পাড়ে। তারপর অন্ধকারে গাছপালার আড়াল দিয়ে অজানা অচেনা পথে উধাও হয়ে গেল। এখানকার নিরাপদ আশ্রয় ছেড়ে কোথায় যাচ্ছে কোথায় যাবে কিছুই জানে না ও। শুধু এটুকু জানে সুখের ঐশ্বর্য ওর জন্য নয়। চারদিক কুটিল অন্ধকারে ভরা। হঠাৎ-ই জঙ্গল ভেদ করে দীর্ঘ উন্নত চেহারার কে যেন একজন বেরিয়ে এসে বলল, ‘এই, এত রাতে কোথায় যাচ্ছ তুমি? তোমার কি প্রাণের ভয় নেই?’
রূপচাঁদ বলল, ‘কে আপনি?’
‘আমি যে-ই হই। আগে বলো তুমি কে?’
‘বলতে পারো আমি একজন ভ্রান্ত পথিক। আমার নাম রূপচাঁদ।’
‘এটা হল গুড়গুড়িপালের জঙ্গল। এই জঙ্গল হিংস্র জন্তুতে ভরা। বাঘ ভালুক ছাড়াও বুনো হাতির উপদ্রবে খুব কম লোকজনেরই বসতি এখানে। এখন প্রাণে যদি বাঁচতে চাও তো আমার সঙ্গে এসো।’
অগত্যা সেই লোকেরই পিছু নিল রূপচাঁদ।
বেশ খানিকটা পথ যাওয়ার পর একটি গাছের ওপর কাঠের তৈরি ছোট্ট ঝোপড়ি ঘর নজরে এলে লোকটি বলল, এখনকার মতো ওই ঘরের ভেতরে তুমি আশ্রয় নাও। দিনের আলো ফুটে না ওঠা পর্যন্ত কোথাও যাবে না কিন্তু। গেলেই বিপদ।’
লোকটির কথামতো রূপচাঁদ দড়ির ঝোলানো একটা মই ধরে সেই ঝোপড়ি ঘরে গিয়ে ঢুকল। এবার কেমন যেন ভয় ভয় করতে লাগল ওর। রাতে ঘুমিয়ে কাল সকালে ওদের জানিয়ে এলেই তো হতো। এইভাবে পালিয়ে আসায় ওর প্রতি ওদের ধারণাটা কি খুব ভালো হবে? সত্যি, কী ভুলটাই না করল ও।
হঠাৎ বুনো হাতির দাপাদাপিতে অস্থির হয়ে উঠল বনভূমি। সে কী ভয়ঙ্কর হ্যায়রো-হ্যায়রো ডাক। বুকের ভেতরটা কেঁপে উঠল এবার। ও সেখান থেকেই দেখতে পেল বনভূমি তোলপাড় করে ধেয়ে আসছে বুনো হাতির দল। আর ঠিক সেই সময়েই আবার দেখা গেল লোকটিকে। গাছের কাছে এসে জোরে হাঁক দিয়ে বলল, ‘আমি থাকতে কোনও ভয় নেই তোমার। দ্রুত নেমে এসো গাছ থেকে।’
নামতে তো হবেই। তাই নামল। নেমেই দেখল নয়-দশ বছরের এক ডুরে শাড়ি পরা বালিকা ওর দিকে তাকিয়ে বলল, ‘এসো।’
লোকটিও ইশারায় ওকে যেতে বলল।
বালিকার সঙ্গ নিল রূপচাঁদ।
খানিক যাওয়ার পর এক জায়গায় হঠাৎ মেয়ে-পুরুষের কান্নার শব্দ শুনে বিস্ময় প্রকাশ করল রূপচাঁদ। কে কাঁদে? কারা কাঁদে? এদিকে তো কোনও বসতি নেই। ওরা কি বুনো হাতির কবলে পড়েছে? মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করলে সে ওর কথার কোনও উত্তরই দিল না। বরং কিছুটা দূরে গিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে হি হি করে হাসতে লাগল। ওকে হাসতে দেখে সেই যারা ইনিয়ে-বিনিয়ে কাঁদছিল তারাও কান্না থামিয়ে হাসতে লাগল। তারপর ওর চোখের সামনে দিয়ে আরও গভীর বনের অন্তরালে হারিয়ে গেল ওরা। রূপচাঁদ লক্ষ করল ওদের সকলেরই মুখ ঘাড়ের পিছন দিকে সাঁটা। পা দুটোও উল্টোভাবে লাগানো।
রূপচাঁদ তখন আর ওর মধ্যে নেই। ওর যখন দারুণ আতঙ্কে মূর্ছা যাবার অবস্থা, ঠিক তখনই আবার এসে হাজির হল সেই লোকটি। তার চোখে কোনও পলক পড়ছে না।
রূপচাঁদ এবার আরও ভয় পেয়ে বলল, ‘এসব কী দেখলাম। আপনি কে? আমাকে ভয় দেখাচ্ছেন কেন?’
লোকটি বলল, ‘আমি তো কোনও ভয় দেখাইনি তোমাকে? যদিও আমি অশরীরী, বা যাদের দেখলে তারাও। আমাদের প্রেত প্রভাবে মাঝে মাঝে এরকম করে ফেলি আমরা। তবে আমি নিজে না এসে ওই দুলালি মেয়েটিকে তোমার সঙ্গে পাঠিয়েই ভুল করেছি। আসলে ওই বুনো হাতিগুলো হঠাৎ করে ওদিকে উপদ্রব শুরু না করলে ওখান থেকে এদিকে আসতেই হতো না তোমাকে। না হলে মরতে। কেননা বুনো হাতির দল ওই গাছ উপড়ে অনেক দূরে ফেলে দিয়েছে।’ তারপর একটু চুপ থেকে বলল, ‘আসলে তোমাকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে আমাদের প্রভুর নির্দেশে। নাহলে আমি কি জানতাম ঠিক ওই সময়টিতেই এই জঙ্গলে তুমি আসবে? তাঁর আসার সময় হয়ে গেছে। কিন্তু কেন যে তিনি এত দেরি করছেন তা কে জানে?’
লোকটির কথা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মস্ত একটি গাছের ডালে ঝাঁকানি দিয়ে অত্যন্ত সৌম্যদর্শন বিশাল শরীর এক মুণ্ডিত মস্তক সুন্দর পুরুষের আবির্ভাব হল সেখানে। তারপর ধীরে ধীরে চেহারা স্বাভাবিক করে স্মিত হেসে রূপচাঁদকে বললেন, ‘খুব অবাক হয়ে যাচ্ছ তো?’ আসলে সৎ-সজ্জন মানুষের পাশে সব সময়ই আমি থাকি।’ বলেই সেই লোকটিকে বললেন, ‘এখনকার মতো তোমার কাজ শেষ। এবার তুমি যেতে পারো।’
সেই প্রেত পুরুষ সঙ্গে সঙ্গে অন্ধকারে মিলিয়ে গেল।
রূপচাঁদ বলল, ‘এ আমি কোন বিপদে পড়লাম প্রভু এই গুড়গুড়িপালে এসে?’
উত্তর এল, ‘কে বলল তুমি বিপদে পড়েছ? তোমার মতো সৎ-সজ্জন ছেলে খুব কমই আছে। দশ বছর আগে উপনয়নের দিনে দণ্ডি ঘরে আমি বিশেষ কারণে বিষ খেয়ে নিজেকে শেষ করে দিয়েছিলাম অন্যের মিথ্যা অভিযোগে মর্মাহত হয়ে। সেই একই মিথ্যার ফাঁদে পড়ে স্বজনহারা হয়েছ তুমি। এ কাজ যারা করেছে তারা ক্ষমার অযোগ্য। আজ তুমি যখন ব্রজকিশোর লাহিড়ীকে অকপটে তোমার কথা বলছিলে আমি সেই সময় পাশের বিল্ববৃক্ষে কায়াহীন হয়ে অবস্থান করছিলাম। আমি অলৌকিক প্রভাবে তোমার প্রকৃতি জেনে নিয়েই আজ সন্ধ্যায় ইন্দ্রায় যাই। তারপর এমন ভয় দেখাই যে সর্বসমক্ষে ওরা ওদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। গয়নাগুলো লুকিয়ে রেখে তোমার নামে চুরির বদনাম দিয়ে ঘরে আগুন লাগিয়েছে শুধুমাত্র ওদের ঘর সংলগ্ন তিন কাঠা জমি পাবে বলে। গ্রামের লোকেরা এখন ছি ছি করছে ওদের। কাল সকাল থেকে সন্ধের মধ্যে যখন হোক ওরা আসবে তোমার কাছে ক্ষমা চাইতে। যদি না আসে তাহলে কী যে করব ওদের তা ভাবতেও পারবে না ওরা। এরপরে যখন তুমি সুনয়নীর মতো সুকন্যার মোহ, ওখানকার ভোগ ঐশ্বর্য ছেড়ে রাতের অন্ধকারে নিজের জীবন বিপন্ন করেও পাঁচিল টপকে পালিয়ে এলে তখন আর আমি থাকতে পারলাম না। তুমি গুড়গুড়িপালের মাটিতে পা দিতেই আমি আমার সেবককে নির্দেশ দিলাম ওই অরণ্যে তোমার যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সেদিকে নজর রাখতে। একটু আগেই আমার ছায়াশরীর নিয়ে তোমার অন্তর্ধানের কথা লাহিড়ী মশাইকে জানিয়ে এসেছি। কেন যে তুমি ওইভাবে পালিয়ে এলে সে কথাও বলে এসেছি। এখন আমার সঙ্গে একটু এদিকে এসো।’
সুন্দর পুরুষের আদেশ মতো রূপচাঁদ কিছু পথ এগিয়ে যেতেই তারের বেড়া দিয়ে ঘেরা একটি বহুদিনের পুরনো মন্দির দেখতে পেল।
সুন্দর পুরুষ বললেন, ‘ওটি হল ধর্মরাজ ঠাকুরের মন্দির। আমার আরতির ঘণ্টাধ্বনি শেষ হলেই তুমি ম঩ন্দিরে প্রবেশ করবে। বেলায় লাহিড়ী মশাইয়ের লোকজন গেলে ওদের সঙ্গে ফিরে যাবে তুমি। শুভদিনে সুনয়নীকে গ্রহণ করবে।’
তাঁর নির্দেশ কি অমান্য করা যায়?
একটু পরেই ধর্মরাজের মন্দিরে গিয়ে উপস্থিত হল রূপচাঁদ। সুন্দর পুরুষ কাঁটাতারের বেড়া ভেদ করে মন্দিরে প্রবেশ করলেন। নির্দেশমতো আরতির ঘণ্টাধ্বনি শেষ হতেই মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করল রূপচাঁদ।
সুন্দর পুরুষ তখন বিলীন। তবে ধর্মরাজ ঠাকুরের সামনে অনেক ফল মিষ্টি ও প্রসাদ রেখে গেছেন তিনি? সত্যি, অলৌকিক প্রভাবে কী না হয়। দিনের আলো বেশ ভালোভাবে ফুটে উঠলে অনেক লোকজন সহ লাহিড়ী মশাই ধর্মরাজ মন্দিরে এলেন রূপচাঁদকে নিয়ে যেতে।
রূপচাঁদ ততক্ষণে তৈরি হয়েই ছিল। বলল, ‘আমি আপনাদের না জানিয়ে ওইভাবে পালিয়ে এসে খুব ভুল করেছি। আপনি ক্ষমা করুন।’
লাহিড়ী মশাই রূপচাঁদের মাথায় হাত রেখে বললেন, ‘কোনও ভুল করনি বাবা তুমি। এই ভুলটা করেছ বলেই তোমার সততার প্রতি আমার বিশ্বাস আরও দৃঢ় হল। অমন একজন সদাত্মারও আশীর্বাদ ও কৃপা পেলাম। এখন একটু পা চালিয়ে চলো, বাড়ির সবাই তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।’
পিসিমাই সবার আগে ছুটে এসে জড়িয়ে ধরলেন রূপচাঁদকে।
রূপচাঁদ পিসিমার পায়ে লুটিয়ে পড়ে বলল, ‘কথা দিলাম, এখন থেকে আমি এ বাড়ির চাঁদ হয়েই থাকব।’
লাহিড়ী গিন্নি মেনকাও আদর করে বললেন, ‘শুধু চাঁদ নয়, সোনার চাঁদ।’ অনেক বেলায় রূপচাঁদের জ্ঞাতিরাও এল ক্ষমা চাইতে।
সে রাতে সুন্দর পুরুষ আবার দেখা দিলেন ব্রজকিশোর লাহিড়ীকে। বললেন, ‘আর দেরি নয়। সামনেই যে দিন আসবে সেই দিনেই কন্যার বিবাহ কর্ম সেরে ফেল। ওর বিয়ে দেখে আমি কিছুদিনের জন্য অন্য দেশে চলে যাব। তারপর সময়মতো আবার ফিরে আসব স্বস্থানে।’
সেই অশরীরী সদাত্মার আশীর্বাদ নিয়েই রূপচাঁদ ও সুনয়নীর শুভ-বিবাহটা সম্পন্ন হল এক শুভদিনে ও শুভক্ষণে।

গল্প ও ছড়ার অলংকরণ : সুব্রত মাজী
04th  October, 2020
বিকেলবেলার আলো

আজ ক্লাস ফাইভ থেকে বিনন্দ সিক্সে উঠেছে। ওর এরকম নামটা মা রেখেছিল। মা একটা পুরনো বই ঠাকুরমার কাছ থেকে পেয়েছিল। বইটার নাম ‘লক্ষ্মীচরিত্র’। বইটার মলাটে একটা লক্ষ্মী ঠাকুরের রঙিন ছবি আছে। মা সন্ধেবেলা বইটা নিয়ে পড়তে বসে।
বিশদ

21st  April, 2024
পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয়

শুক্রের আহ্নিক গতি অন্য গ্রহগুলির মতো নয়। সৌর জগতে কেন ব্যতিক্রমী এই গ্রহ জানালেন স্বরূপ কুলভী বিশদ

21st  April, 2024
মুদ্রা যখন বিশালাকৃতির পাথর

টাকা-পয়সা বা মুদ্রা সম্পর্কে আমাদের সকলেরই কমবেশি ধারণা আছে। সভ্যতার ঊষালগ্নে চালু ছিল বিনিময় প্রথা। তারপর এল তামা, সোনা ও রুপোর মুদ্রা। বর্তমান সময়ে ধাতব মুদ্রার পাশাপাশি কাগজের নোট চালু আছে।
বিশদ

21st  April, 2024
বাংলা ভাষার প্রতি ঠাকুরবাড়ির ভালোবাসা
পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

বাংলা নববর্ষের দিন জানব বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসার কথা। সেই ইংরেজ আমলে রবীন্দ্রনাথের পরিবারের সদস্যরা কীভাবে এই ভাষার জন্য লড়াই করেছিলেন, তুলে ধরা হল তারই টুকরো কিছু স্মৃতি।  বিশদ

14th  April, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: মটকা পেন্টিং

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

14th  April, 2024
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আবিষ্কার
কল্যাণকুমার দে

ঘুম! পড়তে বসলেই ঘুম পেয়ে যায়। এর জন্য বাবা-মায়ের কাছে কম বকুনি খেতে হয় না। বকুনি খেয়েও কিন্তু অভ্যেসটা পাল্টায় না। আসলে ঘুমের অভ্যেসটা আমাদের জন্মাবার সঙ্গেই তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল, আমরা কেন ঘুমোই? জীবনে কি ঘুম অত্যন্ত জরুরি? বিশদ

14th  April, 2024
এপ্রিল ফুলের খুনসুটি

পেরিয়ে এলাম পয়লা এপ্রিল। ইংরেজি চতুর্থ মাসের ১ তারিখ মানেই এপ্রিল ফুলস’ ডে। বোকা বানানোর দিন। কীভাবে বন্ধুদের সঙ্গে দিনটি মজা করে কাটল, সেই গল্পই শোনাল পূর্ব বর্ধমানের ঘোড়ানাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ‘ফুল’ একটি ইংরেজি শব্দ। এর অর্থ বোকা। এপ্রিল ফুলের অর্থ এপ্রিল মাসের বোকা।
বিশদ

07th  April, 2024
যাত্রী যখন গান্ধীজি

১৯৪৬ সালের জানুয়ারি মাস। শীতের বিকেলে সোদপুর স্টেশন দিয়ে কু-ঝিকঝিক আওয়াজ করে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যাত্রীবাহী ট্রেন। স্ব-পার্ষদ খাদি আশ্রমে বসে রয়েছেন জাতির জনক। আচমকা বললেন, মাদ্রাজ যেতে হবে। এখান থেকেই ট্রেন ধরব
বিশদ

07th  April, 2024
বিরল সংখ্যা

গণিত মানেই মগজাস্ত্রে শান। সংখ্যার খেলা। কত ধরনেরই যে বিস্ময় লুকিয়ে রয়েছে, তা বলে বোঝানো যায় না। এক একটা সংখ্যাতেই কত না রহস্য। এই ধর, ছয় দশ পাঁচ পঁয়ষট্টির কথা। সংখ্যায় লিখলে— ৬৫। দেখে কী মনে হচ্ছে!
বিশদ

07th  April, 2024
রুকু ঝুকুর চাওয়া পাওয়া
অংশুমান কর

আমরা গ্রামের বাড়ি যাব। ঝুকুর জন্মের পর এই প্রথম আমাদের সকলের একসঙ্গে গ্রামের বাড়ি যাওয়া। ও তাই খুব আনন্দে আছে। কতবার আমাকে বলছে, ‘দাদা তুই আর আমি ধানগাছে চড়ে দোল খাব।’ আমি ওকে বলিনি যে, ধানগাছে চড়ে দোল খাওয়া যায় না। বিশদ

31st  March, 2024
মহাকাশযাত্রীদের খাবার-দাবার
উৎপল অধিকারী

মহাকাশ বড়ই রহস্যময় স্থান। এই রহস্যের উদ্ঘাটন করার জন্য মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষ সশরীরে সেখানে হাজির হয়েছে। এই অকুতোভয় সাহসী মহাকাশযাত্রীরা জীবন বাজি রেখে অসীম ধৈর্য নিয়ে মহাকাশযানে তাঁদের গবেষণা করছেন। বিশদ

31st  March, 2024
চরম দারিদ্র্য থেকে সর্বোচ্চ শিখরে

পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের প্রথম উচ্চতা মেপেছিলেন রাধানাথ শিকদার। এই বাঙালি গণিতবিদের সাফল্যের গল্প শোনালেন সোমনাথ সরকার বিশদ

31st  March, 2024
কবিগুরুর দোল উৎসব
সায়ন্তন মজুমদার

১৯২৫ সালে দোল উপলক্ষ্যে সেজে ওঠে আম্রকুঞ্জ। কিন্তু বিকেলের ঝড়বৃষ্টিতে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বৃষ্টি থামতে রবীন্দ্রনাথ সকলকে নিয়ে চলে যান এখনকার পাঠভবনে। সেখানে অভিনীত হয় ‘সুন্দর’ নাটকটি। বিশদ

24th  March, 2024
খেলাধুলোর আনন্দ

পড়াশোনায় ফাঁক পেলেই চলছে চুটিয়ে খেলা। ব্যাট-উইকেট, ফুটবল নিয়ে সকলে নেমে পড়ছে। খেলার আনন্দের বিকল্প নেই। নিজেদের প্রিয় খেলার বিষয়ে জানাল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর হাই স্কুলের পড়ুয়ারা। বিশদ

24th  March, 2024
একনজরে
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হলেন নাইমা খাতুন। ১২৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মহিলা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর চেয়ারে বসলেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মুর অনুমোদনের পরই ...

বিজেপি সহ তামাম বিরোধীদের কোণঠাসা করতে পুরোপুরি কর্পোরেট ধাঁচে প্রচার পরিকল্পনা সাজিয়েছে তৃণমূল। জনসংযোগই হোক বা তারকা প্রচারককে নিয়ে প্রার্থীর বর্ণাঢ্য রোড শো—সবেতেই থাকছে সেই ...

বাড়ি ফেরার পথে এক ব্যক্তিকে পথ আটকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ চাঁচল থানার গোয়ালপাড়া এলাকার ...

মাঠের মাঝে হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে। প্রখর রোদে মাটি ফেটে গিয়েছে। বেলা যত গড়াচ্ছে সূর্যের তেজ ততই বাড়ছে। কিন্তু তাতে হেলদোল নেই মণিরা বিবি, প্রমীলা রায়, কবিতা রায়দের। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবস 
১০৬১: ইংল্যান্ডের আকাশে হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায়
১২৭১ : মার্কো পোলো তার ঐতিহাসিক এশিয়া সফর শুরু করেন
১৯২৬:  যক্ষার ভ্যাকসিন বিসিজি আবিষ্কার
১৯৪২: মারাঠি মঞ্চ অভিনেতা, নাট্য সঙ্গীতজ্ঞ এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী দীনানাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যু
১৯৪৫ :সোভিয়েত সেনাবাহিনী  বার্লিনে প্রবেশ করে
১৯৫৬: লোকশিল্পী তিজ্জনবাইয়ের জন্ম
১৯৭২: চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের মৃত্যু
১৯৭৩: ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকারের জন্ম
১৯৮৭: বরুণ ধাওয়ানের জন্ম
২০১১: ধর্মগুরু শ্রীসত্য সাঁইবাবার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯০ টাকা ৮৩.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০১.৮৯ টাকা ১০৪.৫০ টাকা
ইউরো ৮৭.৯৯ টাকা ৯০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। পূর্ণিমা ০/১৫ প্রাতঃ ৫/১৯। স্বাতী নক্ষত্র ৪৬/৩০ রাত্রি ১২/৪১। সূর্যোদয় ৫/১৩/০, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/৩৭। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১১/৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৩ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। 
১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ অহোরাত্র। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৫/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৫/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৫ গতে ১০/০ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৫ গতে ৩/৪৯ মধ্যে। 
১৪ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
উদয়নকে কেএলও-র চিঠি, ৫ কোটির দাবি
জঙ্গি সংগঠন কেএলও-র নামে চিঠি পেলেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী ...বিশদ

11:25:09 AM

ভিভিপ্যাট-ইভিএম সংক্রান্ত মামলায় আজ নির্দেশিকা দিতে পারে সুপ্রিম কোর্ট

11:15:17 AM

২৮৮ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

10:39:10 AM

ডানকুনির কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ আগুন, অকুস্থলে দমকলের ৭টি ইঞ্জিন
ডানকুনিতে একটি কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। আজ, বুধবার ...বিশদ

10:32:45 AM

বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা, তীব্র যানজট
বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়েতে সাতসকালে ডিভাইডারে ধাক্কা লরির। জানা গিয়েছে, রাস্তায় আচমকা ...বিশদ

10:14:46 AM

বালি ব্রিজ থেকে ঝাঁপ যুবকের, শুরু তল্লাশি
সাতসকালে বালি ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দিলেন এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে, ...বিশদ

09:46:43 AM