Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

দিশারী  

আয়ুষী বন্দ্যোপাধ্যায়: বিশ্বময় যখন থাবা বসিয়েছে মারণ করোনা ভাইরাস তখন ছোট্ট মিনির মনে অনেক প্রশ্ন। আজকাল তার দিনগুলো ভালো কাটছে না। কেমন যেন থম মেরে পড়ে আছে কলের কলকাতা, নিস্তব্ধ গোটা তল্লাট-স্তব্ধতার অন্তর্গত বোধ হয়ে ঘেয়ো কুকুর লালুর ডাকও। কেমন করে হঠাৎ কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে সব কিছু ওলট-পালট হয়ে গেল মিনি তার আট বছরের ক্ষুদ্র ধারণাশক্তির দ্বারা তা বোঝার চেষ্টা করলেও কিছুই বুঝে উঠতে পারেনি।
অবিনাশবাবুর আজ প্রায় দু-সপ্তাহ হয়ে গেল ওয়ার্ক ফ্রম হোম। আর কিছু না বুঝলেও ওয়ার্কিং পেরেন্টসের কনিষ্ঠ কন্যাটি এই জিনিসটি খুব ভালো করেই বোঝে। ওই যে মার অসুখ-বিসুখ করলেই দিব্যি সংস্থার উচ্চপদস্ত কর্মচারী হওয়ার সুবাদে কেমন দূরালাপের মাধ্যমে জুনিয়র রাখী আন্টিকে জানিয়ে দেয়, ‘এই শোন আজ আমি ওয়ার্ক ফ্রম হোম করব। তুই একটু সামলে নিস।’ বলাই বাহুল্য মা প্রমিতা সেনও আজ হপ্তা দুয়েক ধরে বাড়িতে। দিদি তো দিব্যি আরামে খেয়েদেয়ে, ঘুমিয়ে, পড়ে বোর্ডের পরীক্ষা দিচ্ছিল। হঠাৎ সেদিন কী যেন একটা খবর দেখাল, ঘরে হইচই পড়ে গেল। পাশের ঘরে হালকা পাখার হাওয়ায় চাদরের তলায় সেঁধিয়ে গিয়েও মিনি স্পষ্ট শুনেছিল চিনিকে সঞ্চারীদির সাথে ফোনে কথা বলতে। আচ্ছা দিদি কি কাঁদছিল? ও তাহলে পরের দিন সকালে কলেজে পড়া হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন করলো কেন? মিনিদেরও তো সেই কবে স্কুল বন্ধ হয়েছে। কবে খুলবে সঠিক জানে না। সে অবশ্য খানিক ঝাড়া হাত-পা। পরীক্ষা হয়ে অনলাইনে ফলাফল পেয়েছে। মেধাবী ছাত্রী দ্বিতীয় হয়েছে। তবে ফোরের দিদিরা যে বলতো — ‘ক্লাস ফোরে ওঠ তখন বুঝবি কাকে বলে লেখাপড়া।’ তাহলে স্কুলই বা খুলবে কবে? দিদির ইংরেজি আর ব্যাকরণ বইগুলো ছাড়া অন্যগুলো তো কোনও কাজেই লাগছে না। পাঠ্যক্রম আলাদা। তাহলে কবে থেকেই বা শুরু হবে লেখাপড়া? অতএব মোটের ওপরে সেনবাড়িতে এখন পাড়ার বাকি চারটে বাড়ির মতো এক থমথমে, ভূতুড়ে পরিবেশ।
তবে অনিশ্চয়তার জীবনযাপনের উর্ধ্বে উঠে মিনির মনে বাসা বেঁধেছে অনেকগুলো প্রশ্ন। আচ্ছা বাবা,মা তো কথায় কথায় রাস্তায়, দোকানে-বাজারে, পাড়ায়, বিয়েবাড়িতে কারও সঙ্গে দেখা হলে ‘কেমন আছ?’ প্রশ্নের প্রতুত্তরে কাজের ব্যস্ততা সাতকাহন করে বলত আর ওকে আর দিদিকে সময় দিতে না পারার জন্য দুঃখ প্রকাশ করতো। কিন্তু আজ যে মায়ের হাতে অফুরন্ত সময়, বাবা কোমরে হাত দিয়ে পায়চারি করছে — কই ওরা তো খুশি নয়। মিনি তো অত্যন্ত খুশি হয়েছিল যখন ক্লাস টু-এর বার্ষিক পরীক্ষায় ভালো ফল করাতে দিম্মা ওকে ‘ক্ষীরের পুতুল’ কিনে দিয়েছিল। ও তো তাই চেয়েছিল। তাহলে বাবা, মার চাহিদা মিটলেও এত হতাশার কারণ হাতড়ে বেড়াতেই ব্যস্ত মিনি। অন্য ছুটির দিনে বাড়িতে থাকলে মা কত কী ভালোমন্দ রাঁধে, বাবা কত মজার গল্প বলে — বসার ঘরটাতে যেন হাসির আওয়াজে কান পাতা যায় না। আর এখন সারাদিন টিভিতে খবর চলছে, ঘন্টায় ঘন্টায় সবাই এসে ভিড় জমাচ্ছে বোকা বাক্সটার সামনে। ওই বোধ হচ্ছে এখন সব থেকে মূল্যবান কথাটা বলছে। বাবা শুধু থলে ভর্তি করে বাজার আনছে আর মা কোলে ল্যাপটপ খুলে অন্যমনস্ক হয়ে বসে আছে। দিদি সারাদিন দরজা এঁটে কি এত পড়ছে? সেনবাড়ির কনিষ্ঠতম সদস্যটি বিচক্ষণ হলেও বিশ্বব্যাপী বিপর্যয়ের বহরখানা এখনও পর্যন্ত ঠিক আন্দাজ করতে পারেনি।
গল্পের বই ছাড়া মিনির জীবন এখন অচল। কয়েকটা ছবিও এঁকেছে। তবে মানুষের হাত-পাগুলো তেমন ভালো হয়নি। স্যারই বা আবার কবে আসবেন? জল রঙের ছবিগুলো দেখে বাবা কৌতুকের হাসি হেসে বলেছিল ‘ঠিক করেছিস। মানুষগুলোকে একেবারে ভিন্ন গ্রহের প্রাণীর মতো লাগছে। খুব শীঘ্রই ওরা আমাদের গ্রহে রাজত্ব করবে।’ অন্য বছর পরীক্ষা শেষে দিম্মা বাড়ি যাওয়া, বেড়াতে যাওয়া, বিকেল হলেই বুলাদের সঙ্গে মাঠে গিয়ে কত কী খেলা, কোনও কোনও দিন আবার সটান ছাদে উঠে যাওয়া। উত্তর কলকাতার বনেদিয়ানার প্রতীক হয়ে টানা-টানা,লম্বা ছাদগুলো যেন ওদের হাসি-কান্নার গল্প বলে যায়। তবে এখন সবেতেই বাধা-নিষেধ। ছোট্ট মানুষটা কি আর পেরে ওঠে? ক্লান্তিকর, একঘেয়ে এই জীবনটাতে যা একটু-আধটু বৈচিত্র্য ওই গ্রীষ্মের বিকেলের পড়ন্ত রোদে ছাদে উঠে গিয়ে কাকেদের বিদায়কালীন আবহে কান পাতা আর পাশের ছাদে বুলাদের আসা। তখন যা একটু গল্প করা। তবে বেশিক্ষণ নয়।
তিনটে ছাদ পাশাপাশি। মধ্যিখানেরটা মিনিদের। সদ্য গত বছর গরমের ছুটিতে রঙ হয়েছিল। রোদের ঝিলিকে লাল রঙটা এখনও চকচক করে। সেদিন হঠাৎ ছাদে বুলাই খবরখানা দিল। প্রস্তাব বললেও চলে। স্কুলের সাহানা ম্যাম নাকি গতকাল ওকে ওর মার ই-মেলে একটা চিঠি পাঠিয়েছেন। আন্টির ফোন থেকে গড়গড়িয়ে পড়ে শোনাল চিঠিটা।
‘স্নেহের বুলা আশা করি তোমরা সকলে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত। এ হেন বিপদের দিনে আমাদের কিছু সামাজিক দায়িত্ব আছে। কেবলই ঘরবন্দি হয়ে আরোগ্য কামনাতে কতখানি সুফল সম্ভব জানি না। তবে তার মানে কখনওই এই নয় যে আমরা বাধা-নিষেধ অমান্য করে সংক্রমণ বাড়িয়ে তুলব। আমরা খুঁজে বার করব প্রতিকারের পথ। সরকারের পাশে দাঁড়ানোর পথ এবং তা করতে হলে আমাদের নিজেদের অত্যন্ত সচেতন হতে হবে। আমি ঘরোয়াভাবে কিছু মাস্ক বানানোর কাজ শুরু করেছি। তা তুলে দিচ্ছি সরকারি প্রতিনিধিদের হাতে যাতে তা বিনামূল্যে মানুষের কাছে পৌঁছতে পারে। আমার এই কাজে তোমরাও যদি আমার সঙ্গে যোগদান করো তাহলে আমরা প্রত্যেকে বৃহত্তর সামাজিক কল্যাণ সাধনে অংশীদার হতে পারব। তোমরা আমার সাহসিকতার সেই লাঠি যার ওপরে ভর করে আমি যুদ্ধজয়ের স্বপ্ন দেখি। বুলা তুমি আমাদের এই উদ্যেগ সম্পর্কে পার্থ এবং মিনিকেও জানিও যাতে ওরাও যোগদান করতে পারে। তোমাদের মূলত দুটো কাজ— ঘরোয়া পদ্ধতিতে মাস্ক বানানো এবং কিছু সচেতনতা ভিত্তিক পোস্টার বানানো। সেই পোস্টারে থাকবে এমন কিছু বার্তা যা তোমরা শহরবাসীকে দিতে চাও, তোমাদের চোখ দিয়ে দেখা বর্তমান পরিস্থিতির প্রতিচ্ছবি হবে ওই পোস্টার। মাস্ক বানানো যাবে ঘরে থাকা জিনিস দিয়েই। এর জন্য হয়তো তোমাদের অভিভাবকদের সাহায্য নিতে হতে পারে, মাস্ক বানানোর পদ্ধতি একটি ভিডিওর মাধ্যমে তোমরা শিখে নিতে পারবে। তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কথা কাজ হবে ব্যক্তিগতভাবে, সমষ্টিগতভাবে নয়। তোমরা সম্মত থাকলে আমাকে জানিও তাহলে তোমাদের ঠিকানায় নিৰ্দিষ্ট দিনে সরকারি প্রতিনিধিরা মাস্ক এবং পোস্টার নিতে পৌঁছে যাবে। আশা করি আমার শক্তির উৎসরা আমাকে হতাশ করবে না।
ইতি সাহানা ম্যাম।’
মিনিকে যেন এক অদ্ভত নেশায় পেয়েছে। তিন দিনে দশটা মাস্ক বানিয়েছে। এখন পোস্টার তৈরির কাজ চলছে। নিজেকে সে যেন ইতিহাসের পাতায় অমর কোনও রথী-মহারথীর থেকে কম কিছু ভাবছে না। কমপক্ষে স্বাধীনতা সংগ্রামের সেই অগণিত বীরদের সঙ্গে তুলনা করছে যারা হয়তো প্রথাগত ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিতে পারেনি কিন্তু তারাই অসংখ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল উজ্জ্বল সম্ভবনার খবর এবং তারাই ছিল বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বিশ্বস্ত প্রতিনিধি।
আজ সে আর নিজেকে কর্মহীন মনে করে না। অন্য বছর পরীক্ষার পর যদি বিদেশ ভ্রমণ হয়ে থাকে তাহলে এবার না হয়ে সে খানিক সামাজিক কাজই করল। মিনির কিন্তু এই বেশ লাগছে। মনে পরে যাচ্ছে মহামারীর সময় নিবেদিতার একনিষ্ঠতার উজ্জ্বল রূপ। জীবনীশক্তিতে জাগ্রত হয়ে ইতিহাসের পাতা ছাড়িয়ে উঠে আসছে সেই সমস্ত ঐতিহাসিক উপাখ্যানগুলি। ক্ষুদিরাম, বাঘাযতীন, সুভাষ যেন মিনির শক্তির রসদ। তারা প্রত্যেকেই যেন বলছে ‘লড়াই চাই, লড়াই চাই!’
অন্ধকার হতে মিনিরাই আমাদের আলোর পথে নিয়ে যাচ্ছে। অসতো মা সদ্গময়, তমসো মা জ্যোতির্গময়। তাই কিছু নিষেধাজ্ঞা মেনে চললে যদি বহু মানুষের স্বার্থহীন চেষ্টা সুফল প্রদান করে তাহলে তাই হোক না। মিনির মতোই তাহলে আমরাও সকলে একে একে হয়ে উঠব আলোর দিশারী। 
05th  July, 2020
বাংলা ভাষার প্রতি ঠাকুরবাড়ির ভালোবাসা
পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

বাংলা নববর্ষের দিন জানব বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসার কথা। সেই ইংরেজ আমলে রবীন্দ্রনাথের পরিবারের সদস্যরা কীভাবে এই ভাষার জন্য লড়াই করেছিলেন, তুলে ধরা হল তারই টুকরো কিছু স্মৃতি।  বিশদ

14th  April, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: মটকা পেন্টিং

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

14th  April, 2024
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আবিষ্কার
কল্যাণকুমার দে

ঘুম! পড়তে বসলেই ঘুম পেয়ে যায়। এর জন্য বাবা-মায়ের কাছে কম বকুনি খেতে হয় না। বকুনি খেয়েও কিন্তু অভ্যেসটা পাল্টায় না। আসলে ঘুমের অভ্যেসটা আমাদের জন্মাবার সঙ্গেই তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল, আমরা কেন ঘুমোই? জীবনে কি ঘুম অত্যন্ত জরুরি? বিশদ

14th  April, 2024
এপ্রিল ফুলের খুনসুটি

পেরিয়ে এলাম পয়লা এপ্রিল। ইংরেজি চতুর্থ মাসের ১ তারিখ মানেই এপ্রিল ফুলস’ ডে। বোকা বানানোর দিন। কীভাবে বন্ধুদের সঙ্গে দিনটি মজা করে কাটল, সেই গল্পই শোনাল পূর্ব বর্ধমানের ঘোড়ানাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ‘ফুল’ একটি ইংরেজি শব্দ। এর অর্থ বোকা। এপ্রিল ফুলের অর্থ এপ্রিল মাসের বোকা।
বিশদ

07th  April, 2024
যাত্রী যখন গান্ধীজি

১৯৪৬ সালের জানুয়ারি মাস। শীতের বিকেলে সোদপুর স্টেশন দিয়ে কু-ঝিকঝিক আওয়াজ করে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যাত্রীবাহী ট্রেন। স্ব-পার্ষদ খাদি আশ্রমে বসে রয়েছেন জাতির জনক। আচমকা বললেন, মাদ্রাজ যেতে হবে। এখান থেকেই ট্রেন ধরব
বিশদ

07th  April, 2024
বিরল সংখ্যা

গণিত মানেই মগজাস্ত্রে শান। সংখ্যার খেলা। কত ধরনেরই যে বিস্ময় লুকিয়ে রয়েছে, তা বলে বোঝানো যায় না। এক একটা সংখ্যাতেই কত না রহস্য। এই ধর, ছয় দশ পাঁচ পঁয়ষট্টির কথা। সংখ্যায় লিখলে— ৬৫। দেখে কী মনে হচ্ছে!
বিশদ

07th  April, 2024
রুকু ঝুকুর চাওয়া পাওয়া
অংশুমান কর

আমরা গ্রামের বাড়ি যাব। ঝুকুর জন্মের পর এই প্রথম আমাদের সকলের একসঙ্গে গ্রামের বাড়ি যাওয়া। ও তাই খুব আনন্দে আছে। কতবার আমাকে বলছে, ‘দাদা তুই আর আমি ধানগাছে চড়ে দোল খাব।’ আমি ওকে বলিনি যে, ধানগাছে চড়ে দোল খাওয়া যায় না। বিশদ

31st  March, 2024
মহাকাশযাত্রীদের খাবার-দাবার
উৎপল অধিকারী

মহাকাশ বড়ই রহস্যময় স্থান। এই রহস্যের উদ্ঘাটন করার জন্য মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষ সশরীরে সেখানে হাজির হয়েছে। এই অকুতোভয় সাহসী মহাকাশযাত্রীরা জীবন বাজি রেখে অসীম ধৈর্য নিয়ে মহাকাশযানে তাঁদের গবেষণা করছেন। বিশদ

31st  March, 2024
চরম দারিদ্র্য থেকে সর্বোচ্চ শিখরে

পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের প্রথম উচ্চতা মেপেছিলেন রাধানাথ শিকদার। এই বাঙালি গণিতবিদের সাফল্যের গল্প শোনালেন সোমনাথ সরকার বিশদ

31st  March, 2024
কবিগুরুর দোল উৎসব
সায়ন্তন মজুমদার

১৯২৫ সালে দোল উপলক্ষ্যে সেজে ওঠে আম্রকুঞ্জ। কিন্তু বিকেলের ঝড়বৃষ্টিতে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বৃষ্টি থামতে রবীন্দ্রনাথ সকলকে নিয়ে চলে যান এখনকার পাঠভবনে। সেখানে অভিনীত হয় ‘সুন্দর’ নাটকটি। বিশদ

24th  March, 2024
খেলাধুলোর আনন্দ

পড়াশোনায় ফাঁক পেলেই চলছে চুটিয়ে খেলা। ব্যাট-উইকেট, ফুটবল নিয়ে সকলে নেমে পড়ছে। খেলার আনন্দের বিকল্প নেই। নিজেদের প্রিয় খেলার বিষয়ে জানাল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর হাই স্কুলের পড়ুয়ারা। বিশদ

24th  March, 2024
লাগল যে দোল

ম্যাজিক মানেই অজানাকে নতুন করে জানা। ম্যাজিকের অলীক দুনিয়ায় একবার ঢুকে পড়লে ঘোর লাগে চোখে। জাদুর দুনিয়ায় নানা ধাঁধা। প্রতিটাই পরখ করে দেখতে মন চায়। এবার সেই সুযোগই তোমাদের সামনে হাজির করলেন থিম ম্যাজিশিয়ান সোমনাথ দে। তিনি মাসে দুটো করে ম্যাজিক শেখাচ্ছেন তোমাদের। তাঁর থেকে সেই ম্যাজিক বৃত্তান্ত জেনে তোমাদের সামনে হাজির করলেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

24th  March, 2024
চাঁদের  তাপমাত্রা

খন বিভিন্ন দেশ চন্দ্রাভিযানে নেমেছে। কিছুদিন আগে ভারতের চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছিল। চাঁদের বুকে ঘোরাফেরা করে গবেষণা চালিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর চন্দ্রযান ৩-এর রোভার প্রজ্ঞান। এখন অবশ্য চিরঘুমে ঢলে পড়েছে সে।  
বিশদ

17th  March, 2024
মহাসাগরের গভীরে ঘুমন্ত ‘অষ্টম’ মহাদেশ

সাতটি মহাদেশের কথা আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন অষ্টম মহাদেশের কথা। আশ্চর্যের বিষয় এই আট নম্বর মহাদেশটিকে আমরা পৃথিবীর মানচিত্রে এখনও সেভাবে দেখতে পাই না। কারণ এই মহাদেশটি  সমুদ্রের গভীরে নিমজ্জিত ।       
বিশদ

17th  March, 2024
একনজরে
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পরিযায়ীদের জন্য আলাদা স্বাস্থ্যসাথী: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

03:37:00 PM

কোনও প্রকল্প বন্ধ হবে না: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

03:36:00 PM

বিজেপিকে হারাতে বিকল্প তৃণমূল: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

03:36:00 PM

আগে বিজেপির ভোট বন্ধ করুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

03:34:02 PM

৫৯৯ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

03:33:17 PM

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চলবে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

03:33:00 PM