Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

পুনুর বন্ধু ডাকু 

কার্তিক ঘোষ: পুনু তখন সবে একটু মুখধরা হয়ে উঠেছে বাবা-মা’র।
বাবা তখন বাড়ি ফিরে এসেছেন কলকাতা থেকে।
দোকানের চাকরিটা গেছে!
মা-বাবা ভাই-বোন মিলে পাঁচজন।
একফালি জমি নেই গাঁয়ে।
তাই স্কুলের উঁচু ক্লাসে পড়তে পড়তেই খুচখাচ কাজের সন্ধান করত পুনু।
গরিব বাবার যেন একটুও সুখ নেই মনে। বাড়ি ছেড়ে সারাদিন ঘুরে বেড়ান মাঠেঘাটে। নদীর ধারে।
তখনও এমন ভুটভুটির চল হয়নি।
নৌকোতেই যেতে হয় বালিপুর। সেখানেও একটা বাজার বসে সকাল থেকে।
কাছেই তো উদনো। ফুটবল খেলায় কী নামডাক তখন ওই গ্রামটার! আলমদা যেন মহকুমার পেলে। সঙ্গে ভাগনে জয়নাল। পাশাপাশি বাবুদা, সিদ্দিকদা, নিজাম।
পুনুদের পাড়া পেরলেই মদনপুর। সেখানেও তখন সন্তোষ সামন্ত। ফুটবলের রাজপুত্র। কাছেই তো খামারগোড়ি। তাঁতিশাল। পুনুদের স্কুল।
তখন তো একটাই জামা-প্যান্ট ছিল পুনুর। স্কুল ড্রেস বলে কিছু ছিল না। খালি পা বলে লজ্জা হতো না কারওর।
সেই ছোটবেলা থেকেই আলমদার ভক্ত ছিল পুনু।
পাশের বোসপাড়ায় রেডিও ছিল একটা। সেখানেই যেতে হতো এক এক সময়। বাবা অবশ্য সাবধান করতেন মেয়েকে।
—ও বাড়িতে যাস না বেশি! ওরা তো বড়লোক। তার ওপর—
বাবা খুব নিরীহ গলায় বলতেন, ভোম্বল ছেলেটা খুব বদ। ওর কথা যেন বিশ্বাস করিস না সহজে।
তবু পুনুটা যেন কেমন।
সহজে কারও কথাই শুনতে চাইত না তখন। বিশ্বাস করত সবাইকে। সেই সুযোগেই একদিন বাড়িতে এসে জুটল মিচ্঩কে। গয়লাবাড়ির বাগাল।
কিন্তু সাজ-পোশাক আর মুখের তোতলা কথার বাহার দেখলে কে বলবে ও ব্যাটার ছেলে গোটা গাঁয়ের কুলাঙ্গার।
পুনুর বাবারও তেমন পছন্দ ছিল না ছেলেটাকে।
তবু বেশি কিছু বলতেন না মুখ ফুটে।
আসলে পুনু আর ওর মা দু’জনেই চাইত মিচ্঩কে একটু আসুক ওদের বাড়িতে।
কারণটা আর কিছুই নয়, কথায় কথায় গায়ে পড়ে নানারকম ফাইফরমাস খেটে দেয় ছেলেটা!
ঘরে কিচ্ছু না থাকলে তো কথাই নেই, মিচ্঩কে তখন একাই একশো।
কিন্তু পুনুর বাবাকে যেমন গোটা গাঁয়ের মানুষ ভালোবাসতেন, তেমন পছন্দ করতেন মেয়েটাকেও।
মেয়েটা খুব নরম মনের।
কাউকে একটু দুঃখী দেখলেই নিজের পিঁয়াজ-মুড়ি দিয়ে দিত সবাইকে লুকিয়ে।
গোটা গাঁয়ের গরিব মানুষরা বলত, পুনু আমাদের পুণ্যিমা। ভগবানের মতো ভালো।
ওই কথাটাই একদিন ছড়িয়ে পড়ল এ পাড়ায়-ও পাড়ায়!
সেই হিংসেতেই বুকের ভেতরটা যেন আগুনের মতো জ্বলে উঠল ভোম্বলের।
একে তো পড়াশুনোয় গাব্বুস!
তারওপর বদবুদ্ধিতেও যেন একটা ধূর্ত শেয়াল।
ওরাই শুধু জানত, পুনুদের মাটির বাড়িটাও কিন্তু ওদের নয়। কাগজে-কলমে বাড়িটা ওর মামার। থাকেন কলকাতায়। তার মধ্যেই কিনা হঠাৎ একটা কাজ জুটে গেল পুনুর। মাইনে কম হোক। সরকারি চাকরি।
খানাকুল থানার বি.ডি.ও সাহেব একদিন ডেকে পাঠালেন নিজের অফিসে।
বললেন, মাইনে কম হোক বোন, চাকরিটা কিন্তু সরকারি।
পুনুর চোখে জল। তবু বলে ফেলল, বড্ড উপকার করলেন স্যার!
— না না, স্যার নয়। তুমি আমাকে দাদা বলবে। কেমন?
তবু ঝর ঝর করে কেঁদে ফেলল পুনু।
বাড়িতে ফিরতেই কেমন যেন ঝিমিয়ে পড়ল গোটা পাড়া। ভোম্বল দেখল আর একার দ্বারা হবে না।
পুনুদের এবার আচ্ছারকম জব্দ করতে হলে সঙ্গে চাই তোতলা মিচ্঩কেকে!
একে ও ব্যাটার ছেলে পাঁড় মুখ্যু। তার ওপর লোভ দেখাতে হবে কিছু কাঁচা টাকার। তবেই তো যুদ্ধটা জমবে।
সবে একটু হাত-পা ছড়িয়ে শান্তিতে মায়ের কাছে ঘুমোতে গেছে পুনু— কলকাতা থেকে একটা ছোট্ট চিঠি এল মামার। ভাগনির জন্যে বড্ড মন খারাপ মামার। তবু লিখতে হল,
— কিন্তু কোনও উপায় নেই আমার। বাড়িটা আমি বিক্রি করে দিচ্ছি ভোম্বলদের। ওরা ছাড়া কে আমাকে একসঙ্গে দেবে এত টাকা...।
মামার চিঠি পেয়ে যেন একটা বাজ পড়ল গোটা বাড়িতে।
মাটির বাড়িটাও তখন থর থর করে কাঁপতে লাগল ভয়ে।
বাবার মুখে তখন একটাও কথা নেই।
মা যেন একটা কালো পাথরের খোদাই করা মূর্তি।
তাহলে?
তবু পুনু একবার বাইরের দিকে বেরিয়ে গেল বাড়ি থেকে।
পিছনে পিছনে ডাকু কিছুটা যেতেই ফিরে আসতে হল হঠাৎ! না, ভয়ে কুঁকড়ে গেলে হবে না। তাহলেই ভোম্বলরা পেয়ে বসবে।
তোতলা মিচ্঩কেটাও টাকার লোভে পা বাড়িয়েছে ওদের দিকে। কিন্তু ডাকুর যেন কোনও ভয়ডর নেই মনের মধ্যে।
ও বোধহয় পুনুদির মুখ-চোখ দেখেই আন্দাজ করে নিয়েছে একটা বিপদ।
দাদুর মুখেও কথা নেই কোনও।
শুধু ঠামমা একবার আকাশের দিকে চেয়ে কাকে যেন প্রণাম করল একটা।
ডাকু তো একটা গেঁয়ো কুকুর! ও ঠিক জানে না, মেঘের আড়ালে ঠিক কে থাকে! তাতে কী সব্বাই ভয় পায়?
কিন্তু কী আশ্চর্য! গোটা গ্রাম কেন, আশপাশের গাঁ থেকেও কোনও সাড়াশব্দ নেই কারও। তাতেই বোধহয় সাহস পেয়ে গেল ভোম্বলরা।
একদিন মাটির দোতলায় মই লাগিয়ে উঠে পড়ল ভোম্বল আর তোতলা মিচ্঩কেটা।
তারপর তালা-চাবি লাগিয়ে দিলে দুটো ঘরে।
কিন্তু পুনু তো ভয় পাওয়ার মেয়েই নয়।
সেই রাতেই তালা ভেঙে ঢুকে পড়ল দোতলার ঘরে।
ভোম্বলরা তখন সঙ্গে পেয়ে গেল পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দাদের।
যারা মামাবাড়ির সম্পর্কে জ্ঞাতি। খুব কাছের মানুষ।
খানাকুল থানায় নালিশ গেল পাড়া থেকে। বাড়ি তো পুনুদের নয়। মাটির দোতলা বাড়িটা মামার। মিথ্যে চুরির একটা কেস গেল খানাকুল থানায়।
গোটা গ্রাম থ হয়ে দেখল সবচেয়ে নিরীহ, সবচেয়ে বয়স্ক মানুষটাকে ধরে নিয়ে গেল পুলিস। শেষ পর্যন্ত আরামবাগের আদালত জেলে পাঠালেন পুনুর বাবাকে।
ভোম্বলরা বাজি পোড়ালো পাড়ায়।
আনন্দে দু’হাত তুলে নাচল তোতলা মিচকে।
কিন্তু মিথ্যে মামলা তো সাত দিনের বেশি টিকল না আদালতে। তবু ভোম্বলদের কী আনন্দ! তারপর আস্তে আস্তে যেন কেমন ঝিমিয়ে পড়লেন নিরীহ মানুষটা!
কুকুর হলেও ডাকু সেসব নিজের কানে শুনেছে।
বদরাগী, জেদি মেয়েটাকে খুব অসহায় গলায় বলেছিলেন, ভোম্বলরা যেন আমাদের বাড়িতে না ঢোকে সেটা দেখিস। কিন্তু পুনু আর সে কথা মনে রাখেনি একটুও।
যত মাইনে বেড়েছে, ততই লোক দেখান্তি বড়লোকি বেড়েছে পুনুর।
ধূর্ত মামাকেও খুশি করেছে টাকা দিয়ে।
মাটির বাড়ি ফেলে দিয়ে বাড়ি করেছে পাকা।
সেই নিয়েও কত হইচই আর ভোজসভা।
কেমন যেন চোখে লাগছিল শুধু ডাকুর।
কুকুর হলেও এই বাড়ির প্রতি কী মায়া তার! কী ভালোবাসা!
এখন তো বয়স হয়েছে বড্ড।
যে মানুষটা একদিন কথায় কথায় ডাকুকে কাছে ডেকে আদর করত— সে মানুষটা এখন নেই।
দিদা অবশ্য আছে। কিন্তু তাতে কী!
পুনুই তো বদলে গেছে এখন।
যে ভোম্বল আর তোতলা মিচ্঩কেকে গোটা গ্রাম এখনও ঘেন্না করে— সেই দু’জনই এখন শেষ বন্ধু পুনুর।
কিন্তু ডাকু জানে, সেকেন্দারপুর থেকে তাঁতিশাল, মদনপুর, হেলান, আটঘরা, কায়বার কুকুর-বেড়াল থেকে পাখিরাও কিচিরমিচির করে ঠাট্টা করে পুনুকে।
বলে, অসহায় গরিব বাবার সেই অপমান তুমি মনে রাখওনি। তাই না? তাই আমি এবার তোমাদের বাড়ি থেকে চলে যাচ্ছি।
বড্ড বুড়ো হয়ে গেছি আমিও। আসলে আমরা তো রাস্তার কুকুর! শুধু শুধু কে মনে রাখবে আমাদের। তবু যদি তোমরা কেউ কেউ ডাকুকে মনে রাখো— তাহলেই আমার আনন্দ!
হঠাৎ বাড়িটা যেন কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগছিল সেই কাঠবেড়ালীটার। উঠোনের আতা গাছ থেকে নামতেই একটা শালিক বললে, ডাকু কোথায় গেল? ডাকু?
কাঠবেড়ালীটাও চমকে উঠল তখন।
দিদা তো কানে শুনতে পায় না ভালো। তাই আন্দাজেই একবার ডেকে উঠলেন। ডাকুকে।
—ও ডাকু, কোথায় গেলি তুই?
শালিকটা তখন কচরমচর করতে লাগল আন্দাজে।
কাঠবেড়ালীটার যেন কেমন সন্দেহ হল একটু।
ডাকু তো দিদাকে বাড়িতে একা রেখে সহজে কোথাও যায় না। তাহলে?
কিন্তু হঠাৎ যেন পুনুর মনটা বদলে গেল কেমন! ভোম্বল আর তোতলা মিচ্঩কেটা পুনুর সঙ্গে সন্ধেবেলায় আড্ডাটা জমিয়ে দেবার আশায় বাঁধের ধারে এসে দেখলে সব ভোঁ-ভাঁ। মুখটা কেমন লজ্জায় চামচিকির মতো লাগছিল তোতলা মিচকেটার।
ভোম্বলের তো লাজলজ্জার বালাই নেই। বাড়িতে একঘর কুটুম। তাদের ফেলে পুনুকে খুঁজে বেড়াচ্ছে অন্ধকারে।
এদিকে খোঁড়া ন্যাং ন্যাং তোতলা মিচ্঩কে বুড়ো শেয়ালের মতো পুনুকে খুঁজে খুঁজে হাঁপিয়ে উঠেছে তখন।
আর পুনু?
সে অন্ধকারের মধ্যেই ছুটতে ছুটতে তাঁতিশালের কাছাকাছি পৌঁছে ধরে ফেললে ডাকুকে।
ইস! কুকুরটা যেন নিজের ভাই!
এই হচ্ছে সেই মেয়েটা। যেমন মায়াবী, তেমন ডাকাবুকো। কায়বার পেটুক রায় থেকে বাজারপাড়ার ছুঁকছুঁকে হাজরাও মোটর সাইকেলের অনেক তেল পুড়িয়েছে হাসিমুখে, তবু বন্ধু হতে পারেনি কিছুতেই।
আহা!
সবাই কি আর ডাকুর মতো বিশ্বাসী হতে পারে? 
17th  May, 2020
চিরবিদ্রোহী রণক্লান্ত 

আমাদের এই দেশকে গড়ে তুলতে অনেকে অনেক স্বার্থত্যাগ করে এগিয়ে এসেছিলেন। এই কলমে জানতে পারবে সেরকমই মহান মানুষদের ছেলেবেলার কথা। এবার বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। আগামী ২৫ মে তাঁর জন্মদিন। লিখেছেন চকিতা চট্টোপাধ্যায়।
বিশদ

24th  May, 2020
চোখের যত্ন নাও 

রোজ অনলাইন ক্লাসের জেরে তোমাদের চোখে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। একটু সতর্ক হলেই কিন্তু এসব সমস্যা এড়ানো যায়। সেরকম ১০টি জরুরি পরামর্শ দিয়েছেন দিশা আই হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ ভাস্কর ভট্টাচার্য। লিখেছেন স্নেহাশিস সাউ।
বিশদ

24th  May, 2020
স্কুলে অনলাইন পড়াশোনাই
এখন একমাত্র উপায় 

লকডাউনের মধ্যেও পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যেতে স্কুলে চলছে অনলাইন ক্লাস। এর ভালো মন্দ নিয়ে আলোচনা করলেন বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কমলিনী চক্রবর্তী। 
বিশদ

24th  May, 2020
ছোটদের রান্নাঘর 

করোনার দাপটে স্কুল বন্ধ। সুতরাং বাড়ি থেকে বেরিয়ে এটা ওটা খাওয়ারও জো নেই। তাই বলে কি লকডাউনে কোনও ভালো খাবারই চেখে দেখার সুযোগ হবে না? চিন্তা নেই, ছোটদের রান্নাঘর - এ শুধু তোমাদের জন্যই চারটি লোভনীয় রেসিপি দিয়েছেন ৬ বালিগঞ্জ প্লেসের কর্ণধার ও শেফ সুশান্ত সেনগুপ্ত এবং হলিডে ইন হোটেলের কর্পোরেট শেফ জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। 
বিশদ

17th  May, 2020
খেলাচ্ছলে যোগাভ্যাস 

বাইরে বেরনো বন্ধ! তাতে কী, এই সুযোগে বাড়িতে বড়দের সঙ্গী হয়ে খেলতে খেলতে কয়েকটি যোগাসন ও প্রাণায়াম শিখে নিতে পারো। এতে শরীর ও মন থাকবে চনমনে, বাড়বে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা। পরামর্শ দিয়েছেন যোগাচার্য প্রেমসুন্দর দাস। লিখেছেন স্নেহাশিস সাউ। 
বিশদ

17th  May, 2020
বইয়ের নেশায় বুঁদ 

লক ডাউনের সুযোগে ভালো বই পড়ার নেশায় মেতে ওঠো তোমরা। কোন বয়সে কেমন বই পড়বে তার একটা ধারণা দিলেন কমলিনী চক্রবর্তী।  
বিশদ

10th  May, 2020
ইন্দ্রজা, ফুড হ্যাবিটটা
এবার পালটে ফেলো 

ডাঃ অমিতাভ ভট্টাচার্য: ইন্দ্রজার কথা দিয়েই শুরু করি। এই এক মাসে কেমন যেন পাল্টে গিয়েছে মেয়েটা। ভাবসাব দেখে তো রমা আর ইন্দ্রজিতের চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। তাদের একমাত্র মেয়ে যে এমন লক্ষ্মীমন্ত হয়ে উঠবে, এ যে তারা স্বপ্নেও ভাবেনি।  
বিশদ

10th  May, 2020
সত্যজিতের ছেলেবেলা, ছেলেবেলার

সত্যজিৎ রায়ের শততম জন্মবর্ষে ছোট্ট সত্যজিতের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতের সত্যজিৎকে দেখার চেষ্টা করলেন অতনু বিশ্বাস। 
বিশদ

10th  May, 2020
বন্দি জীবনে সঙ্গী সিনেমা

 লকডাউনে বাড়িতে বসে পড়াশুনো আর গল্পের বই পড়ার পাশাপাশি দেখে নাও দশটি দুর্দান্ত সিনেমা। তোমাদের জন্য বেছে দিলেন স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী। বিশদ

03rd  May, 2020
 ঘরের ভিতর বাঘ!

গণ্ডারটা চুপচাপ আপন মনে ঘাস খাচ্ছিল। তুমি যে ওকে দেখছ তা ও টের পায়নি। ঘাস চিবোতে চিবোতে একবার কান নাড়ছে, একবার মাথা নাড়ছে। তুমি চুপটি করে দেখছ ওর ঘাড়ের পাশে বর্মের মতো চামড়া! সাধে বলে গণ্ডারের চামড়া! পিঁপড়ে কামড়াতে গেলে, পিঁপড়েরই দাঁড়া ভেঙে যাবে! আর অতবড় মুখে কুতকুতে চোখ!
বিশদ

03rd  May, 2020
ছোটদের রান্নাঘর

করোনার দাপটে স্কুল বন্ধ। সুতরাং বাড়ি থেকে বেরিয়ে এটা ওটা খাওয়ারও জো নেই। তাই বলে কি লকডাউনে কোনও ভালো খাবারই চেখে দেখার সুযোগ হবে না? চিন্তা নেই, ছোটদের রান্নাঘরে শুধু তোমাদের জন্যই চারটি লোভনীয় রেসিপি দিয়েছেন লিন্ডসে হোটেলের শেফ পিন্টু চৌধুরী ও মছলিবাবা ফ্রায়েজ রেস্তরাঁর কর্ণধার শেফ অলোকেশ বন্দ্যোপাধ্যায়। এগুলি আগুনের সাহায্য ছাড়াই তৈরি করা যাবে। তোমরাই করে চমকে দাও বড়দের। বিশদ

03rd  May, 2020
 দেখা হবে
শমীন্দ্র ভৌমিক

  বন্ধ ঘরের দরজা এবং
বন্ধ ভোরের বাজার,
সাত সমুদ্র সাতাশ নদীর বিশদ

26th  April, 2020
 লড়াই
দীপ মুখোপাধ্যায়

 সরা বিশ্ব রয়েছে ত্রাসে
এক মরণের ভাইরাসে বিশদ

26th  April, 2020
হাসবো আবার
পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

 রং-চটা হোক, শ্যাওলা-ধরা, ভীষণ তবু প্রিয়,
স্কুলবাড়িটা কেমন আছে, পারলে খবর দিও। বিশদ

26th  April, 2020
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুর নিরিখে দেশের মধ্যে শীর্ষে থাকা মহারাষ্ট্র সহ পাঁচ রাজ্য থেকে ২০ হাজারের বেশি পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বৃহস্পতিবার ফিরল ১৬টি স্পেশাল ট্রেন। এর মধ্যে ন’টি ট্রেনে চেপে ১০ হাজারের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক ফিরলেন মহারাষ্ট্র ...

নয়াদিল্লি, ২৮ মে (পিটিআই): ভিসার শর্ত অমান্য করে করোনার দাপটের মধ্যে নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশে যোগদানের জন্য ২৯৪ জন বিদেশির বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিস নতুন করে আরও ১৫টি চার্জশিট জমা দেবে। ...

 কোচি, ২৮ মে: দেশের নামী ক্রীড়াবিদদের সন্তানরা ক্রীড়াবিদ হয়েছেন, এমন উদাহরণ রয়েছে প্রচুর। কিন্তু ‘ট্র্যাক কুইন’ পিটি ঊষার পুত্র ভিগনেশ উজ্জ্বলও হতে পারতেন অ্যাথলিট। কিন্তু ...

অলকাভ নিয়োগী, বর্ধমান: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে যখন গোটা রাজ্য আতঙ্কিত, তখন ‘মড়ার উপর খাড়ার ঘা’য়ের মতো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে দিয়ে গিয়েছে সুপার সাইক্লোন উম-পুন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৬৫—প্রবাসী, মডার্ন রিভিউয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম।
১৯৫৩—প্রথম এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করলেন তেনজিং নোরগে এবং এডমন্ড হিলারি
১৯৫৪—অভিনেতা পঙ্কজ কাপুরের জন্ম।
১৯৭২—অভিনেতা পৃথ্বীরাজ কাপুরের মৃত্যু।
১৯৭৭—ভাষাবিদ সুনীতি চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু।
১৯৮৭—ভারতের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী চৌধুরি চরণ সিংয়ের মৃত্যু।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৫.০১ টাকা ৭৬.৭৩ টাকা
পাউন্ড ৯১.৩২ টাকা ৯৪.৫৭ টাকা
ইউরো ৮১.৯৯ টাকা ৮৫.০৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৯ মে ২০২০, শুক্রবার, সপ্তমী ৪২/২৯ রাত্রি ৯/৫৬। অশ্লেষানক্ষত্র ৫/৫ দিবা ৬/৫৮। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৬, সূর্যাস্ত ৬/১১/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ১২/০ গতে ২/৩৯ মধ্যে। রাত্রি ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ১২/৩৮ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৩০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/১৫ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫২ গতে ১০/১৩ মধ্যে।
১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৯ মে ২০২০, শুক্রবার, সপ্তমী রাত্রি ৭/৩। মঘানক্ষত্র রাত্রি ৩/৩৬। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৪। অমৃতযোগ দিবা ১২/৪ গতে ২/৪৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৭ মধ্যে ও ১২/৪০ গতে ২/৪৮ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৪/৫৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৫ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫৪ গতে ১০/১৪ মধ্যে।
৫ শওয়াল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৬৫—প্রবাসী, মডার্ন রিভিউয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম।১৯৫৩—প্রথম এভারেস্ট ...বিশদ

07:03:20 PM

১৬ জুন খুলছে দক্ষিণেশ্বর মন্দির 

09:55:50 PM

নিয়ামতপুরে অস্ত্র কারখানার হদিশ 
লকডাউন এর মধ্যেই কুলটি থানার নিয়ামতপুরে অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল ...বিশদ

09:38:00 PM

১ জুন খুলছে না বেলুড় মঠ 
করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় ১ জুন থেকে খুলছে না ...বিশদ

09:23:02 PM

দিল্লিতে ভূমিকম্প অনুভূত, রিখটার স্কেলে মাত্রা ৪.৬

09:16:00 PM

রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক মুখ্যসচিবের 
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি, উম-পুন পরবর্তী অবস্থা ও পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যু ...বিশদ

08:55:00 PM