Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

লাশঘর এবং দুটি পিপে
দেবল দেববর্মা 

ওকালতি পরীক্ষায় পাশ করার পর কোর্ট চত্বরে বছরখানেক ঘোরাঘুরি করে তেমন ফললাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত একটা পরীক্ষা দিয়ে মুন্সেফের চাকরি পেলাম। অল্প কিছুদিন শিক্ষানবিশীর পর আমাকে পাঠানো হল বাঁকুড়ায় থার্ড মুন্সেফের পদে। ছোটখাট একটা কোয়ার্টার ছিল আমার। পরে শুনলাম ওটা নাকি থার্ড মুন্সেফের জন্যই নির্দিষ্ট, কোর্টের একজন পিওনই আমার দেখভাল করত। বিনিময়ে তাকে কিছু পারিশ্রমিক দিতে হতো বইকি। তবে লোকটি আমার এত যত্ন করত যে ওই সামান্য মাহিনা দিতে আমার আদৌ গায়ে লাগত না। বছর দুই বাঁকুড়ায় কাটাবার পরই বদলি হলাম আলিপুরে। কলকাতায় আমাদের বাড়ি। তাই বসবাসের চিন্তা রইল না।
বছরখানেক আলিপুরে থাকার সময় হঠাৎ একটা চিঠি পেলাম, বেশ সুন্দর রংচঙে চিঠি। একটা রঙিন সুতো দিয়ে মুখটা বন্ধ করা। দেখেই বুঝলাম এটা বিবাহের নিমন্ত্রণপত্র। চিঠির মুখটা খুলেই জানলাম চিঠিটা এসেছে বাঁকুড়া থেকে। আদালতের সাবজজবাবু তাঁর মেয়ের বিয়েতে নিমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছেন। বাঁকুড়ায় চাকুরিসূত্রে থাকার সময় সাবজজের সঙ্গে একটা হৃদ্যতার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। নিমন্ত্রণ পত্রের খামের ভিতরে হাতে লেখা একটা ছোট্ট চিঠি।—‘বিয়েতে অবশ্যই আসবেন। আমার প্রথম কন্যার বিবাহে আপনার আসা চাই। নতুন থার্ড মুন্সেফ না আসার জন্য আপনার কোয়ার্টারটা খালি। বাঁকুড়া এসে দুটো দিন ওখানেই থাকবেন। জজসাহেবের অনুমতি নিয়ে সব ব্যবস্থা করে রেখেছি।’
এরপর অবশ্য আর নেতিবাচক কিছু বলা সম্ভব নয়। ঠিক করে ফেললাম বিয়ের আগের দিন পুরুলিয়া ফার্স্ট প্যাসেঞ্জার ধরে বাঁকুড়া রওনা হব। সাবজজবাবুকে একটা পোস্ট কার্ড লিখে পাঠালাম। আপনার কন্যার বিয়ের আগের দিন রাতে পুরুলিয়া ফার্স্ট প্যাসেঞ্জার ধরে আমি রওনা হচ্ছি। বাঁকুড়া তো আমার চেনা জায়গা। তাই স্টেশন থেকে বেরিয়ে একটা রিকশ করে আপনার কোয়ার্টারে পৌঁছতে কোনও অসুবিধে হবে না।
তখনকার সময়টা ছিল অন্যরকম। ট্রেন ঠিক সময়ে ছাড়ত। গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে দেরি করত না। যাই হোক নির্ধারিত দিনে ঠিকসময়েই আমার গাড়ি এসে বাঁকুড়ায় থামল। এটা জংশন স্টেশন। ওই সময় ইলেকট্রিক ইঞ্জিন কিংবা ডিজেল গাড়ির চল হয়নি। তাই কয়লার ইঞ্জিনকে জংশন স্টেশন থেকে জল নিতে হতো। মূল গাড়ি থেকে ইঞ্জিনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেবার পর সেটা কিছুদূরে গিয়ে বিশাল এক পাইপের মাধ্যমে ইঞ্জিনের জলাধারে জল ভরতে হতো।
আমার লাগেজ বলতে ছোট্ট একটা চামড়ার সুটকেস। সেটা হাতে নিয়ে ওভার ব্রিজের উপর দিয়ে হেঁটে বাইরে চলে এলাম। রিস্টওয়াচের দিকে তাকিয়ে দেখলাম আড়াইটে বাজছে। অত রাত্তিরে দু-তিনটে রিকশ যাত্রীর প্রতীক্ষায় দাঁড়িয়ে। সামনে যে রিকশটা পেলাম তাতেই উঠে বসলাম। বললাম,—‘কোর্ট কম্পাউন্ডে নিয়ে চল সাবজজবাবুর বাড়ি। রিকশওয়ালা কোর্ট কম্পাউন্ড চেনে। তাই দ্বিরুক্তি না করে সে সিটে বসে প্যাডেলে চাপ দিল।’
গাড়ি চলতে শুরু করল। পথ জনহীন। শুনশান। অগ্রহায়ণ মাস। ইতিমধ্যেই বিহার-ঘেঁষা এই শহরে মধ্যরাত্রির পরই বেশ ঠান্ডা। তবু বুদ্ধি করে জামার নীচে সোয়েটার পরে এসেছিলাম বলে ঠান্ডা তেমন লাগেনি।
পাটপুরে যাবার মুখে রিকশওয়ালা গাড়িটা ডানদিকে ঘুরিয়ে নিল। কোর্ট-কম্পাউন্ডে যাবার এটাই অবশ্য রাস্তা। পাটপুরে যাবার পথ ছেড়ে কোর্ট-কম্পাউন্ডের দিকে চলেছি। পথ জনহীন। একটা সারমেয়র অব্যক্ত আওয়াজও শোনা যায় না। পথের ধারে টিমটিমে বৈদ্যুতিক আলো। কোথাও বাল্বটা ফিউজ হবার পর আর পাল্টানো হয়নি। হঠাৎ ফস করে একটা শব্দ হতেই আমি চমকে উঠলাম। রিকশওয়ালা বলল,— ‘সামনের চাকাটা পাংচার হয়ে গেছে স্যার, এখন কী যে করি। এখানে দাঁড়িয়ে থাকলে খালি রিকশ পেতে রাত কাবার হয়ে যাবে।’
রিকশওয়ালা বলল,— ‘স্যর কোর্ট-কম্পাউন্ড তো কাছেই। আর আপনার সঙ্গে তো কোনও মালপত্র নেই। এইটুকু পথ আপনি হেঁটেই যেতে পারবেন। নইলে পাটপুরে যাবার মোড়ে গিয়ে দাঁড়াবেন চলুন। যদি খালি রিকশ পাওয়া যায়।’
ওকে বললাম,—‘তার প্রয়োজন নেই। এই পথটুকু আমি হেঁটেই যেতে পারব। আর এই সুটকেসটা প্রায় খালি। এটা হাতে নিয়ে কোর্ট কম্পাউন্ড যেতে আমার কোনও অসুবিধে হবে না।’
রিকশওয়ালা গাড়ির মুখ ঘুরিয়ে পাটপুরের দিকে চলে গেল। সুটকেসটা হাতে নিয়ে আমি ধীরে-ধীরে হাঁটছি। কী গাঢ় অন্ধকার। অমাবস্যা নয় তো? হঠাৎ মনে হল উল্টোদিক থেকে পিপে গোছের কোনও বস্তু গড়াতে-গড়াতে আমার দিকে এগিয়ে আসছে। আবছা অন্ধকারে দেখলাম একটা কুচকুচে কালো লোক পিপেটার পিছনে দাঁড়িয়ে সেটাকে ঠেলে নিয়ে এগচ্ছে। এই অবস্থায় থমকে দাঁড়ালাম। গড়াতে-গড়াতে পিপেটা যদি আমাকেই ধাক্কা দেয় তাহলে আমার অবস্থা সেই পপাত ধরণীতলে। কিন্তু নাহ। পিপেটা গড়াতে-গড়াতে হঠাৎ দাঁড়িয়ে গেল। যে কুচকুচে কালো লোকটা ওটাকে ঠেলে নিয়ে আসছিল সে হঠাৎ সামনে এসে পিপেটাকে ফের উল্টোদিকে ঠেলতে শুরু করল। দেখতে পেলাম ওই কুচকুচে কালো লোকটা পিপেটাকে ঠেলতে-ঠেলতে ফের ওপরে উঠছে। বেশ ভয় পেয়ে কী করব তাই ভাবছি। পিছন ফিরে এক দৌড়ে পাটপুর কিংবা ফিডার রোডে পালিয়ে যাব নাকি? ঠিক সেই মুহূর্তে দেখলাম ওই রকমই আর একটা কুচকুচে কালো লোক অন্য একটা পিপেকে পিছন থেকে ঠেলতে ঠেলতে আমার দিকে এগিয়ে আসছে। বুঝতে দেরি হয়নি যে এটা ভৌতিক কাণ্ড। ওই দুটো কুচকুচে কালো লোক দুটো অশরীরী আত্মা বই অন্য কিছু নয়। এরপর ওরা যদি পিপে দুটোকে ফেলে আমার সামনে এসে দাঁড়ায়? পা দুটো কাঁপছিল। মুখ দিয়ে ভয়ে একটি বাক্য সরেনি। সুটকেসটা হাতে নিয়ে পিছন ফিরে পাটপুর কিংবা ফিডার যাব বলে পা বাড়িয়েছি। হঠাৎ সামনে তাকিয়ে দেখি হেড-লাইটের জোরালো আলো ফেলে একটা জিপ গাড়ি এগিয়ে আসছে। আমি উদ্‌ভ্রান্তের মতো সামনে দাঁড়াতেই ব্রেক কষে জিপ থামল। গাড়িতে একজন পুলিস অফিসার। আমাকে ওই অবস্থায় দেখে তিনি গাড়ি থেকে নেমে জিজ্ঞেস করলেন,—‘কী ব্যাপার? এত রাত্তিরে এই অবস্থায় এখানে আপনি?’
বললাম,—‘রিকশটা পাংচার হয়ে গেল। তাই বাকি পথটুকু হেঁটে সাবজজবাবুর বাড়ি যাচ্ছিলাম। হঠাৎ—
আর কোনও প্রশ্ন না করেই পুলিস অফিসার হাত ধরে টেনে আমাকে গাড়িতে তুললেন। তারপর সাবজজবাবুর কোয়ার্টারের সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে গেলেন।
সেই রাত্তিরে পথে আসার সময় কী ঘটেছিল সাবজজবাবুকে সে কথা বলিনি। পরদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে একটা রিকশ নিয়ে আমি ফের সেই জায়গায় চলে এলাম। আশ্চর্য! রাস্তা থেকে দশ-বারো হাত দূরে একটা বন্ধ বাড়ির সামনে পিপে দুটো দিব্যি পাশাপাশি রয়েছে, অথচ গতকাল রাত্রির প্রায় শেষ যামে এই পিপে দুটোকে কারা যেন ঠেলতে-ঠেলতে একবার নীচে নিয়ে যাচ্ছিল। আবার উল্টোমুখে ওই দুটোকে ফের ঠেলে-ঠেলে ওপরে টেনে তুলল।’
রাস্তায় দাঁড়িয়ে রিকশওয়ালা বলল, —‘বাবু কি এই সাতসকালে পিপে দুটোকে দেখবেন বলেই এখানে এসেছেন?’
ওকে বললাম,—‘হ্যাঁ মানে গতকাল রাত্তিরে একটা ঘটনা—’
আমার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে রিকশওয়ালা বলল,—‘বুঝতে পেরেছি। গতকাল অনেক রাত্তিরে আপনি ওই পিপে দুটোকে রাস্তায় গড়াতে-গড়াতে একবার নীচের দিকে আবার ওপরের দিকে উঠে আসতে দেখেছেন, তাই না?’
অস্ফুটে বললাম,—‘হ্যাঁ মানে—’
রিকশওয়ালা বলল,—‘কুচকুচে কালো দুটো লোক পিপে দুটোকে পিছন থেকে ঠেলছিল। আবার উল্টোমুখে ঠেলতে-ঠেলতে পিপে দুটোকে ওপরে নিয়ে এল। তাই না?’
‘ওর কথার জবাব না দিয়ে আমি চুপ করে দাঁড়িয়ে’ আমাকে প্রায় একটা ধমক দিয়ে রিকশওয়ালা বলল,—‘চলে আসুন ওখান থেকে। ওই যে বন্ধ ঘরটা দেখছেন ওটা কী জানেন?’
আমি নেতিবাচক দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে।
রিকশওয়ালা বলল,—‘ওটা হল মড়াকাটা লাশঘর।’
‘তার মানে মর্গ?’
‘হ্যাঁ। আপনার মতো আরও অনেকে অমাবস্যার রাত্তিরে কুচকুচে কালো দুটো লোককে পিপে দুটো গড়াতে-গড়াতে একবার নীচের দিকে নিয়ে যেতে দেখেছে আবার ঠেলতে-ঠেলতে ওপরে টেনে এনেছে।’
রাস্তায় এসে রিকশতে ওঠার সময় আর একবার তাকিয়ে দেখলাম। লাশঘরের দরজা বন্ধ। আর সামনেই পিপে দুটো দিব্যি বহাল তবিয়তে রয়েছে।
কে বলবে গতকাল অমানিশার শেষ যামে এই পিপে দুটো কারা যেন ঠেলতে-ঠেলতে একবার নীচে নিয়ে গেল। ফের ঠেলতে-ঠেলতে ওপরে টেনে নিয়ে এল?’
অলংকরণ : সুব্রত মাজী 
08th  December, 2019
বিনয় বাদল দীনেশ 

আমাদের এই দেশকে গড়ে তোলার জন্য অনেকে অনেকভাবে স্বার্থত্যাগ করে এগিয়ে এসেছিলেন। এই কলমে জানতে পারবে সেরকমই মহান মানুষদের ছেলেবেলার কথা। এবার বিনয়, বাদল ও দীনেশ। লিখেছেন চকিতা চট্টোপাধ্যায়। 
বিশদ

08th  December, 2019
মার্কশিট 

তোমাদের জন্য শুরু হয়েছে নতুন বিভাগ। এই বিভাগে থাকছে পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানোর সুলুক সন্ধান। এবারের বিষয় ইতিহাস।এবার মাধ্যমিকের জন্য প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ অধ্যায়টি ভালো করে পড়ো। পরামর্শে মাল্টিপারপাস গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল আলিপুর-এর ইতিহাসের শিক্ষিকা তপতী নায়েক।
 
বিশদ

08th  December, 2019
‘চিন্তার জগৎকে বড় করে পৃথিবীটা বদলে দিন...’ 

আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগারকে পৃথিবী চেনে ‘টার্মিনেটর’ হিসেবে। তিনি একজন অভিনেতা, পেশাদার বডিবিল্ডার। রাজনীতিও করেছেন। ছিলেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর। এসব পরিচয় ছাপিয়েও তরুণদের কাছে তিনি একজন অনুপ্রেরণাদায়ী বক্তা। সম্প্রতি স্পিকোলা ডটকম-এ প্রকাশিত হয় অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে দেওয়া তাঁর এক বক্তৃতা। সেই বক্তৃতা তোমাদের জন্য তুলে দিলেন মৃণালকান্তি দাস। 
বিশদ

24th  November, 2019
সারা বাংলা অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন
করেছে ইনস্টিটিউট অব ফিজিক্যাল কালচার 

আজ তোমাদের একটা ভালো খবর দিই। তোমরা যারা ছবি আঁকতে ভালোবাসো তাদের কথা মাথায় রেখে সারা বাংলা অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে ইনস্টিটিউট অব ফিজিক্যাল কালচার। আগামী ১৫ ডিসেম্বর সংস্থার নির্দিষ্ট জায়গায় এই বিশেষ প্রতিযোগিতাটি হবে। 
বিশদ

24th  November, 2019
মার্কশিট

তোমাদের জন্য শুরু হয়েছে নতুন বিভাগ। এই বিভাগে থাকছে পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানোর সুলুক সন্ধান। এবারের বিষয় ইংরেজি।
  বিশদ

24th  November, 2019
নোলকপুরের গোলকরাজা
প্রদীপ আচার্য

নোলকপুরের রাজার কান্না আর থামছে না। দিনরাত ভেউ ভেউ করে কেঁদেই চলেছে। ঘুম থেকে উঠেই রাজা কাঁদতে শুরু করে। আবার কাঁদতে কাঁদতেই ঘুমিয়ে পড়ে। তারই ফাঁকে ব্রেকফাস্টে গোটা দুয়েক আস্ত চিকেন রোস্ট, দিস্তা দিস্তা বাটার টোস্ট, কাটলেট, ওমলেট ভরপেট খাচ্ছে। 
বিশদ

24th  November, 2019
গোলাপি বিপ্লবের সন্ধিক্ষণে ইডেন

ছোট্টবন্ধুরা! তোমরা যারা ক্রিকেট খেলা দেখতে ভালোবাসো, বা যারা ক্রিকেটের খোঁজখবর একটু আধটু রাখো, তারা নিশ্চয়ই ইডেনে দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচ হওয়ার খবর জানো। ভারত তাদের প্রথম দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচটি খেলতে নামছে ২২ নভেম্বর, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। 
বিশদ

17th  November, 2019
অরণ্যে অ্যাডভেঞ্চার

গা ছমছমে গহিন অরণ্য। দূর থেকে শোনা যাচ্ছে জলপ্রপাতের গর্জন। পথে বন্য পশুর ভয়। কোথাও ভয়ঙ্কর নদী পেরতে হবে। এমনই কয়েকটি অরণ্যের কথা তোমাদের শুনিয়েছেন সায়ন নস্কর। 
বিশদ

17th  November, 2019
ছোটদের রান্নাঘর 

তোমাদের জন্য চলছে একটি আকর্ষণীয় বিভাগ ছোটদের রান্নাঘর। এই বিভাগ পড়ে তোমরা নিজেরাই তৈরি করে ফেলতে পারবে লোভনীয় খাবারদাবার। বাবা-মাকেও চিন্তায় পড়তে হবে না। কারণ আগুনের সাহায্য ছাড়া তৈরি করা যায় এমন রেসিপিই থাকবে তোমাদের জন্য। এবার সেরকমই দুটি জিভে জল আনা রেসিপি দিয়েছেন দ্য পার্কিং লট রেস্তোরাঁর এক্সিকিউটিভ শেফ সুমিত রঘুবংশী। 
বিশদ

10th  November, 2019
জওহরলাল নেহরুর ছেলেবেলা 

আমাদের এই দেশকে গড়ে তোলার জন্য অনেকে অনেকভাবে স্বার্থত্যাগ করে এগিয়ে এসেছিলেন। এই কলমে জানতে পারবে সেরকমই মহান মানুষদের ছেলেবেলার কথা। এবার পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু। লিখেছেন চকিতা চট্টোপাধ্যায়। 
বিশদ

10th  November, 2019
ছোটদের ভালোবাসতেন চাচা নেহেরু 

স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। শিশুদের কাছে তিনি চাচা নেহরু হিসেবে বেশি জনপ্রিয়। নেহরু ছোটদের খুব ভালোবাসতেন বলে তাঁর জন্মদিনটি অর্থাৎ ১৪ নভেম্বর দেশজুড়ে শিশুদিবস পালিত হয়। প্রিয় চাচা নেহরুকে নিয়ে লিখেছে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা।  
বিশদ

10th  November, 2019
মার্কশিট 

তোমাদের জন্য চলছে নতুন বিভাগ। এই বিভাগে থাকছে পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানোর সুলুক সন্ধান। এবারের বিষয় বাংলা।
 
বিশদ

03rd  November, 2019
সে কি সত্যি হবে! 
আয়ূষী বন্দ্যোপাধ্যায়

পাইন আর দেওদার গাছের মধ্যে পাখির বাসা থাকে কি না তা ঠিক জানা নেই, তবে এক মিষ্টি পাখির কূজন কানে ভেসে আসে রোজই। গতকাল রাতে অমন ঝড়, বৃষ্টি, দম্ভোলি হয়েছে কে বলবে? ভোরের প্রভাকরের প্রকীর্ণ আভা যেন দুর্যোগকে নিশ্চিহ্ন করেছে। ঈশ্বরের দেশে সবই তো তাঁর লীলাখেলা, সেখানে যে নেই কোনও মোহ, মায়া, মাৎসর্য। শুধুই আছে মনকে দয়ার্দ্র করে তোলার পরিপূর্ণ রসদ। 
বিশদ

03rd  November, 2019
পুজোর ছুটি 

পুজোর ছুটিতে কে কী করবে তার পরিকল্পনা অনেক আগেই সেরে ফেলে ছোটরা। সেই তালিকায় ঠাকুর দেখা, খাওয়া-দাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে গল্পগুজব, মামার বাড়ি যাওয়া, বেড়ানো, গল্পের বই পড়া, খেলাধুলো সবই থাকে। এবারের পুজোর ছুটি কার কেমন কাটাল তোমাদের শোনাচ্ছে বৈঁচি বিহারীলাল মুখার্জি’স ফ্রি ইনস্টিটিউশনের ছাত্র-ছাত্রীরা। 
বিশদ

03rd  November, 2019
একনজরে
তিরুবনন্তপুরম, ৯ ডিসেম্বর: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বিরাট কোহলি নিজের ব্যাটিং পজিশন ছেড়ে দিয়েছিলেন শিবম দুবেকে। তিন নম্বরে ব্যাট করার সুযোগটা দারুণভাবে কাজে ...

সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে চাঁচলে। এই সপ্তাহেই চাঁচলের খরবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। কলকাতার একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর।  ...

ওয়েলিংটন, ৯ ডিসেম্বর (এএফপি): ছবির মতো সুন্দর হোয়াইট আইল্যান্ড। ভ্রমণের আনন্দে মশগুল পর্যটকের দল। ভরদুপুরে হঠাৎ করে জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি। সোমবার নিউজিল্যান্ডের এই ঘটনায় মৃত্যু হল অন্তত পাঁচজনের। জখম ১৮ জন। সরকারি সূত্রে খবর, আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। তাঁদের উদ্ধারের ...

জম্মু, ৯ ডিসেম্বর (পিটিআই): কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর ফের সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালাল পাক সেনা। সোমবার ভোর পৌনে চারটে নাগাদ জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টরে ভারতীয় সেনার চৌকি লক্ষ্য করে তারা গুলি চালায়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস,
১৮৭০- ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকারের জন্ম,
১৮৮৮- শহিদ প্রফুল্ল চাকীর জন্ম,
২০০১- অভিনেতা অশোককুমারের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৪ টাকা ৭২.১৪ টাকা
পাউন্ড ৯২.০৭ টাকা ৯৫.৩৭ টাকা
ইউরো ৭৭.৩৪ টাকা ৮০.২৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,২৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৩২৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৮৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ত্রয়োদশী ১১/২৬ দিবা ১০/৪৪। কৃত্তিকা ৫৯/২৯ শেষ রাত্রি ৫/৫৭। সূ উ ৬/৯/৩১, অ ৪/৪৮/৪৩, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫২ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৯ গতে ৮/২২ মধ্যে পুনঃ ৯/১৬ গতে ১১/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/৪৩ গতে ৩/৩০ মধ্যে পুনঃ ৫/১৭ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ত্রয়োদশী ১০/২/৪৮ দিবা ১০/১২/৫। কৃত্তিকা ৬০/০/০ অহোরাত্র, সূ উ ৬/১০/৫৮, অ ৪/৪৯/১৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/১২ মধ্যে, কালবেলা ১২/৪৯/৫৩ গতে ২/৯/৩৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৯/২৬ গতে ৮/৯/৩৯ মধ্যে।
 
মোসলেম: ১২ রবিয়স সানি 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ১৮৬৮- বিশ্বের প্রথম ট্রাফিক বাতি লন্ডনের প্যালেস অব ...বিশদ

04:28:18 PM

আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। বৃষ: অর্থভাগ্য খুব ভালো না হলেও ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস১৮৭০- ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকারের জন্ম,১৮৮৮- শহিদ প্রফুল্ল চাকীর ...বিশদ

07:03:20 PM

ঘুড়ির সুতোয় গলা কেটে মৃত স্কুলছাত্র 
চিনা মাঞ্জার বলি স্কুলছাত্র। সুতোর ধারে গলা কেটে মৃত্যু হল ...বিশদ

06:20:33 PM

২৪৮ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

04:02:02 PM

আইলিগ: ইস্ট বেঙ্গল ৪-১ গোলে হারাল নেরোকাকে 

04:01:36 PM