Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

প্যান্ডেল ঘুরে ঠাকুর দেখার মজাই আলাদা 

‘প্যান্ডেল ঘুরে ঠাকুর দেখা’ এই ছিল এবারের লেখার বিষয়বস্তু। তোমাদের এত লেখা পেয়ে আমরা আপ্লুত। সেইসব মজাদার লেখার মধ্যে থেকে বেছে নিতে হয়েছে কয়েকটা। বাছাই করা লেখাগুলিই প্রকাশিত হল আজ, শিউলিস্নাত শারদ সকালে। দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে।
চতুর্থী থেকে ঠাকুর দেখা শুরু করি
পুজো মানেই প্যান্ডেল ঘুরে রাত্রি অবধি ঠাকুর দেখা, খাওয়া-দাওয়া ও মজা করা। ভিড় এড়াতে চতুর্থীর দিনটি বেছে নিই ঠাকুর দেখার জন্য। গতবার দক্ষিণ কলকাতা দিয়েই শুরু করেছিলাম। রাত আটটা নাগাদ বেরিয়ে প্রথমেই গেলাম খিদিরপুরে। তারপর আলিপুর রোড ধরে চেতলা অগ্রণী ও সুরুচি সংঘ। প্রতিটি প্যান্ডেলের বাইরে অজস্র লোকের লাইন। আধ ঘণ্টার ওপর লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে মাতৃমূর্তির দেখা পাওয়া যেন হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো। প্রতিটি বড় প্যান্ডেলেই থাকে কোনও না কোনও থিম। কোনও কোনওটায় দেখাচ্ছে গ্রামের দৃশ্য— জোনাকি শব্দ, কাশফুল, মাটির ঘর। মনে হল যেন সত্যি কোনও এক গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়েছি। কোনওটায় থাকে ইতিহাসের ছোঁয়া। চলে যায় আদিম যুগে। থাকে পাহাড়, কুলকুল নদী ও গাছের ছাল পরা আদিম মানুষ। আগুনের সামনে বসে থাকে তারা। পাহাড় ভাঙা, নিজেদের মধ্যে মারপিট করে, মনে হয় সত্যি সেই যাযাবর জীবনে পৌঁছে গিয়েছি। আবার কোথাও পুরুলিয়া, বেলপাহাড়ির ছোঁয়া। এক মুহূর্তে বর্ধমান উধাও— শুধুই অতীত বিচরণ। এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা, পুজো মানেই তাই একটা বাড়তি পাওনা। এক রঙিন রোমান্টিক জগতে প্রবেশ করা।
অরিত্রী অধিকারী
দশম শ্রেণী, অগাস্টিনস পাবলিক স্কুল
গ্রামের পুজো দেখার মজাই আলাদা
প্রতিবার পুজোয় আমরা ঝাড়গ্রামে থাকি। পঞ্চমী ও ষষ্ঠীতে ঝাড়গ্রামের পুজো প্যান্ডেলগুলি দেখা শেষ করি। তারপরে শুরু আসল আনন্দ। এবার গ্রামে পুজো দেখার পালা। সেখানে ভিড় নেই, রঙিন আলো নেই, কিন্তু শান্তি আছে। তিন-চারটি গ্রামের মাঝে হয়তো একটি পুজো। ধানখেতের আল ধরে ছোটরা সেই পুজো দেখতে আসে। শালবনের রাস্তা ধরে গ্রামের পুজো দেখতে যাওয়া খুবই আনন্দের। একবার ঝাড়গ্রাম শহরের একটি পুজো আমাকে খুব আনন্দ দিয়েছিল। প্যান্ডেল তো নয়, যেন সত্যিকারের ‘জঙ্গল বুক’। সেখানে শেরখান ছিল। ছিল বাঘিরা, বালু এবং মোগলি। চমকে দেখি মাথার উপরে চেরা জিভ লকলক করছে একটি সাপ। কিন্তু এবার মন ভালো নেই। আমার দিদা আমাদের ছেড়ে আকাশে চলে গেছেন। তাই ঝাড়গ্রাম শহরের আশপাশে প্যান্ডেলে যাব। দেখব ঢাকে কাঠি পড়লে ছোটরা কেমন আনন্দে নাচে। ধানখেতের গন্ধে, শিউলি ফুলের গন্ধে দিদার কথা মনে পড়বে। আকাশে মেঘের মধ্যে আমি নানা ছবি দেখতে পাই। এবারে কি মেঘের মধ্যে দিদাকে দেখতে পাব? সেই উত্তর আমার জানা নেই।
কৌস্তভ সরেন
চতুর্থ শ্রেণী, রানি ইন্দিরাদেবী শিক্ষাসদন, ঝাড়গ্রাম
বৃষ্টিতেও ঠাকুর দেখতে গিয়েছি
পুজো মানেই আমার কাছে পড়াশোনা শিকেয় তুলে সাপের পাঁচ পা দেখা। তখন আর কোনও বাঁধন আমার কৈশোরের উচ্ছ্বসিত উদ্দীপনা আটকাতে পারে না। মনে বেজে ওঠে— ‘আমরা নতুন যৌবনেরই দূত’। আমার কাছে দুর্গাপুজোর প্রধান আকর্ষণ তিনটি। খাওয়া-দাওয়া, সাজগোজ ও প্যান্ডেল ঘুরে ঠাকুর দেখা। খাওয়ার খুব একটা ভক্ত আমি নই। তাই সাজগোজ আর প্যান্ডেল ঘুরে ঠাকুর দেখাই আমার কাছে সব চাইতে বড় আকর্ষণ। ঠিক হয়েছিল অষ্টমীর দিন আমরা ঠাকুর দেখতে যাব। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টি হওয়াতে আর যাওয়া হল না। আমি মন খারাপ করে ঘরে বসেছিলাম। রাত দশটার দিকে বাবা বলল— ‘এত মন খারাপ? চল তাহলে তোকে আশপাশের কটা ঠাকুর দেখিয়ে নিয়ে আসি।’ আমি তো এককথায় রাজি। মাকে বললাম আধ ঘণ্টার মধ্যে ফিরছি। তারপর এগারোটা নাগাদ আমি আর
বাবা স্কুটিতে করে বেরলাম। ব্যস! আর আমাদের পায় কে? পুরো শহর চষে ফেললাম। বৃষ্টি ভেজা গাছের পাতায় আলোর ঝলকানি রাতকে আরও মায়াবী করে তুলেছিল। মেঘলা আকাশের নীচে আলোর ছটা যেন প্যান্ডেলকে আরও সুন্দরী
করে তুলেছিল। হঠাৎ কী খেয়াল হল, ঘড়ির
দিকে তাকিয়ে দেখি রাত একটা বাজে। বৃষ্টির
জন্য মোবাইলও আনিনি। তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরলাম। বাকিটা আর না বলাই ভালো। মনে
হল যেন আমাদের ওপর দিয়ে একসঙ্গে ও একনাগাড়ে সুনামি ও কালবৈশাখী বয়ে গেল। তবে যাইহোক, বাবার সঙ্গে ঠাকুর দেখতে যাওয়ার এই স্মৃতি আমার কাছে চিরস্মরণীয়
হয়ে থাকবে।
অগ্নিকণা বিশ্বাস
নবম শ্রেণী, জে আর এস পাবলিক স্কুল
ইছামতী নদীতে বিসর্জন দেখতে যাই
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। দুর্গাপুজো মানেই খাওয়া-দাওয়া, প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে হইচই করে ঠাকুর দেখা। এই উৎসবের প্রতীক্ষায় বাঙালি সারা বছর দিন গোনে। দেবীপক্ষের সূচনা হলে প্রকৃতির মধ্যে মায়ের মর্তে আগমনের বার্তা পাই। গত পঞ্চমীতে আমি বাবা-মা’র সঙ্গে ঠাকুর দেখতে কলকাতায় যাই। সঙ্গে বোনও ছিল। সারারাত ঠাকুর দেখে সকালে বাড়ি ফিরি। পুজোর সময় হইচই করে ঠাকুর দেখার পাশাপাশি একটি বিষয় আমার মনকে নাড়া দেয়। আমাদের এলাকার অসহায় একশোরও বেশি বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে ঠাকুর দেখানোর ব্যবস্থা করেন আমার বাবা ও তাঁর বন্ধুরা। সপ্তমীর দুপুর থেকে বাসে করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের বারাসতের বিভিন্ন প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখানো হয়। আমি কয়েকজন দাদু-ঠাকুমাকে হাত ধরে বাস থেকে নামিয়ে মণ্ডপে নিয়ে যাই। সেই সকল বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের উজ্জ্বল মুখ দেখে আমার মন আনন্দে ভরে যায়। ঠাকুর দেখানো শেষে তাঁদের মিষ্টি মুখ করানো হয়। বাড়ি ফেরার সময় আমাদের সকলকে তাঁরা মন ভরে আশীর্বাদ করেন। অষ্টমী নবমীতে পাড়ার পুজোতে আনন্দ করি দশমীর দিন ঘট বিসর্জনের পরে আমার মন খারাপ হয়ে যায়। দুর্গা মায়ের বিদায়ের সুর অনুভব করি, দশমীর বিকেলে
টাকিতে ইছামতী নদীতে দুই বাংলার ঠাকুর বিসর্জন দেখতে যাই বাবা-মা’র সঙ্গে। নৌকা করে ইছামতী নদীতে ঘুরেছি। এই বিসর্জন পর্ব আমার অবিস্মরণীয় লেগেছে। বাংলাদেশের মানুষদের সঙ্গে কথা বলেছি। রাতে রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া করে বাড়ি ফিরেছি। এ বছরও আমাদের এলাকার দাদু-ঠাকুমাদের
সপ্তমীর দিন ঠাকুর দেখাতে শামিল হব।
শুভম ভট্টাচার্য
অষ্টম শ্রেণী, বারাসত ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল হাই স্কুল
দুর্গাকে নিয়ে বাড়িতে এল মাসি
সপ্তমীর দিন আমরা প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে ঠাকুর দেখতে যাব। সকাল থেকেই মনটা খুশিতে ভরা। গীতামাসিও বাড়িতে কাজে এসেছেন। কথায় কথায় মাকে বললেন, ‘জানো দিদি তোমার মেয়ের মতো আমারও একটা মেয়ে আছে। নাম দুর্গা। পুজোয় ওকে একটাও জামা কিনে দিতে পারিনি। কত দিন হল ওর বাবার কোনও খোঁজ নেই। কোথায় যে গেল লোকটা...’ বলতে বলতে মাসির চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ল। আমি মাকে বললাম ‘পুজোয় আমার জন্য কেনা একটা পোশাক দুর্গাকে দাও।’ মা আমার কথায় খুশি হয়ে দুর্গাকে জামা ও মাসিকে শাড়ি দিলেন। আর মাসিকে বললেন, ‘মা-মেয়ে আজ সন্ধ্যায় নতুন পোশাক পরে বাড়িতে এসো, ঠাকুর দেখতে যাব। মাসি দুর্গাকে নিয়ে এলেন। বাবার ভাড়া করা টোটোয় আমরা ঠাকুর দেখতে গেলাম। ক্রমে দুর্গার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে গেল। প্যান্ডেলের কারুকার্য, প্রতিমা ও রংবাহারী আলোর খেলা দেখালাম। বাবা একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেলেন। সবাই বিরিয়ানি, আইসক্রিম খেলাম। দুর্গা প্রথমবার এভাবে ঠাকুর দেখল। ও আনন্দে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল— ‘তোমার মতো বন্ধুর কথা সারা জীবন মনে থাকবে’। দুর্গাকে নিয়ে ঠাকুর দেখার আনন্দ আমার অন্তরে গাঁথা হয়ে থাকবে।
অনসূয়া প্রামাণিক
সপ্তম শ্রেণী, হুগলি গার্লস হাই স্কুল
প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে ঠাকুর দেখি
আমি থাকি কাটোয়াতে। কিন্তু প্রতি বছর কলকাতায় ঠাকুর দেখতে যাই। পঞ্চমী থেকে অষ্টমী পর্যন্ত প্যান্ডেলে ঘুরে ঠাকুর দেখি। একবার চার ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে শ্রীভূমিতে বাহুবলীর প্যান্ডেল দেখেছিলাম। ভেতরের ঝাড়বাতিটা দেখে পায়ের ব্যথা ভুলে গিয়েছিলাম। প্রতিবার হাতিবাগান, কুমোরটুলি ও দক্ষিণ কলকাতার প্রতিমা অবশ্যই দর্শন করি। গত বছর একদিন প্রতিমা দেখার পর বিবেকানন্দ রোডে বাস বা ট্যাক্সির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু কিছুই পাচ্ছিলাম না। ঘড়িতে তখন রাত ১১টা। এদিকে ফেরার শেষ ট্রেন রাত ১২টায়। আমরা খুব ভয় পাচ্ছিলাম ট্রেনটা পাব কি না। বাবা খুব চিন্তা করছিলেন। মায়ের মুখ কাঁচুমাচু। কিন্তু আমি ভাবছিলাম ট্রেনটা না পেলেই ভালো, আরও কয়েকটা ঠাকুর দেখব, ফুচকা খাবো। কিন্তু হঠাৎই এক ট্যাক্সিচালক এসে বললেন, ‘হাওড়া যাবেন নাকি?’ বাবা সিংহের মতো লাফিয়ে ট্যাক্সিতে উঠলেন। আমিও কলকাতাকে শুভরাত্রি জানিয়ে ট্রেন ধরতে চললাম। তবে এবার আমার একটা নতুন ইচ্ছা আছে। কাটোয়াতে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দুঃস্থ বাচ্চাদের সাহায্য করে। আমি আমার জামা কেনার টাকা বাঁচিয়ে কিছুটা সাহায্য করে ওদের আনন্দে শামিল হব।
মৌসম দাস
পঞ্চম শ্রেণী, কাটোয়া কাশীরাম দাস বিদ্যায়তন
হইচই করে পাঁচদিন কেটে যায়
‘শরৎ আসে দূর্বা ঘাসে শিশির হাসে ফিক্‌ রোদের সোনা যায় না গোনা ভরলো চারিদিক।’ পুজো মানেই হইচই, ভালোমন্দ খাওয়া আর প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে ঠাকুর দেখা। আমরা ছোটরা সেজেগুজে, নতুন জামাকাপড় পরে সকাল-বিকাল ঠাকুর দেখতে পারলে আর কিছু চাই না, এত হইচই-এর মধ্যে দিয়ে কোথা থেকে পাঁচদিন কেটে যায় বুঝতেই পারি না। ছেলেবেলায় যখন বাবা-মায়ের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে যেতাম তখন দেখতাম, কত ছেলেমেয়ে তাদের বন্ধুদের সঙ্গে দল বেঁধে ঠাকুর দেখতে যাচ্ছে। আমারও মনে হতো আমি বন্ধুদের সঙ্গে দল বেঁধে ঠাকুর দেখতে যাব। তার জন্য বেশিদিন অপেক্ষা করতে হল না। কারণ গতবছর আমার সেই সুযোগ মিলল। আমি স্কুলের বাসে করে স্কুল যাতায়াত করি। বাসের কাকুরা আমাদের বাসের ছাত্রীদের দল বেঁধে ঠাকুর দেখতে নিয়ে গেলেন। প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল নিজেকে স্বপ্নের জগতে হারিয়ে ফেলছি। প্যান্ডেলগুলো আলোয় ঝলমল করছিল। এক এক জায়গার মা দুর্গাকে এক এক রকমভাবে সাজানো হয়েছিল। ঘুরতে ঘুরতে খিদে পেয়ে যাওয়ায় সামনে থাকা দোকান থেকে কাকুরা পছন্দমতো খাবার খেতে বলেছিলেন। ফুচকা, ঘুগনি, ঝালমুড়ি এত লোভনীয় খাবার দেখে ঠিক করতে পারছিলাম না কোনটা ছেড়ে কোনটা খাব। মোট দশটা ঠাকুর দেখলাম। এর মধ্যে আহিরীটোলা ও কাশীবোস লেনের মণ্ডপসজ্জা সবথেকে বেিশ ভালো লেগেছিল। আর ভালো লেগেছিল বিকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে ঠাকুর দেখা। আমার এই মজাদার অভিজ্ঞতা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
দেবস্মিতা দে
সপ্তম শ্রেণী, হোলি চাইল্ড ইনস্টিটিউট হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল (কলকাতা)
ঠাকুর দেখার সঙ্গে ফুচকা, বিরিয়ানি...
পুজো মানেই আনন্দের উৎসব, কাছের মানুষদের সঙ্গে বেরবার মজা। প্যান্ডেল ঘুরে ঠাকুর দেখার মজাই আলাদা। আমার পুজো শুরু হয় চতুর্থী থেকে। ছুটিতে কেউ পড়তে বসতে বলে না। কলকাতার ঠাকুর না দেখলে পুজো মনেই হয় না। সাবেকিয়ানা ও থিমের লড়াইয়ে কলকাতার পুজো সেরা। সাবেকিয়ানার মধ্যে বাগবাজারের ঠাকুর না দেখলে পুজোতে মন ভরে না। থিমের জন্য দক্ষিণ কলকাতায় ঠাকুর না দেখলে ভালোই লাগে না। উত্তর কলকাতার আহিরিটোলা ও কুমোরটুলির ঠাকুর সেরা। তবে পাড়ার পুজোও খুব ভালো। সারাদিন পাড়ায় থাকি। বিকেলে কলকাতায় ঠাকুর দেখি। কখনও মাসিদের সঙ্গে, কখনও সপরিবারে। আবার দিদির সঙ্গেও বেরিয়ে পড়ি। ঠাকুর দেখার সঙ্গে চলে ফুচকা, চাউমিন, বিরিয়ানি। ভিড়ে ঠাকুর দেখার মজাই আলাদা। পঞ্চমী থেকে নবমী, উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার ঠাকুর দেখে দিন চলে যায়। তবে মা-এর বিদায়ের দিন এগিয়ে এলে মন খারাপ হয়ে যায়। মনের দুঃখে ভাবি, অাবার এক বছরের অপেক্ষা।
শৌর্য আইচ
নবম শ্রেণী, গভঃ স্পনসর্ড মালটিপারপাস স্কুল (বয়েজ), টাকী হাউস 
29th  September, 2019
বিকেলবেলার আলো

আজ ক্লাস ফাইভ থেকে বিনন্দ সিক্সে উঠেছে। ওর এরকম নামটা মা রেখেছিল। মা একটা পুরনো বই ঠাকুরমার কাছ থেকে পেয়েছিল। বইটার নাম ‘লক্ষ্মীচরিত্র’। বইটার মলাটে একটা লক্ষ্মী ঠাকুরের রঙিন ছবি আছে। মা সন্ধেবেলা বইটা নিয়ে পড়তে বসে।
বিশদ

21st  April, 2024
পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয়

শুক্রের আহ্নিক গতি অন্য গ্রহগুলির মতো নয়। সৌর জগতে কেন ব্যতিক্রমী এই গ্রহ জানালেন স্বরূপ কুলভী বিশদ

21st  April, 2024
মুদ্রা যখন বিশালাকৃতির পাথর

টাকা-পয়সা বা মুদ্রা সম্পর্কে আমাদের সকলেরই কমবেশি ধারণা আছে। সভ্যতার ঊষালগ্নে চালু ছিল বিনিময় প্রথা। তারপর এল তামা, সোনা ও রুপোর মুদ্রা। বর্তমান সময়ে ধাতব মুদ্রার পাশাপাশি কাগজের নোট চালু আছে।
বিশদ

21st  April, 2024
বাংলা ভাষার প্রতি ঠাকুরবাড়ির ভালোবাসা
পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

বাংলা নববর্ষের দিন জানব বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসার কথা। সেই ইংরেজ আমলে রবীন্দ্রনাথের পরিবারের সদস্যরা কীভাবে এই ভাষার জন্য লড়াই করেছিলেন, তুলে ধরা হল তারই টুকরো কিছু স্মৃতি।  বিশদ

14th  April, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: মটকা পেন্টিং

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

14th  April, 2024
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আবিষ্কার
কল্যাণকুমার দে

ঘুম! পড়তে বসলেই ঘুম পেয়ে যায়। এর জন্য বাবা-মায়ের কাছে কম বকুনি খেতে হয় না। বকুনি খেয়েও কিন্তু অভ্যেসটা পাল্টায় না। আসলে ঘুমের অভ্যেসটা আমাদের জন্মাবার সঙ্গেই তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল, আমরা কেন ঘুমোই? জীবনে কি ঘুম অত্যন্ত জরুরি? বিশদ

14th  April, 2024
এপ্রিল ফুলের খুনসুটি

পেরিয়ে এলাম পয়লা এপ্রিল। ইংরেজি চতুর্থ মাসের ১ তারিখ মানেই এপ্রিল ফুলস’ ডে। বোকা বানানোর দিন। কীভাবে বন্ধুদের সঙ্গে দিনটি মজা করে কাটল, সেই গল্পই শোনাল পূর্ব বর্ধমানের ঘোড়ানাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ‘ফুল’ একটি ইংরেজি শব্দ। এর অর্থ বোকা। এপ্রিল ফুলের অর্থ এপ্রিল মাসের বোকা।
বিশদ

07th  April, 2024
যাত্রী যখন গান্ধীজি

১৯৪৬ সালের জানুয়ারি মাস। শীতের বিকেলে সোদপুর স্টেশন দিয়ে কু-ঝিকঝিক আওয়াজ করে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যাত্রীবাহী ট্রেন। স্ব-পার্ষদ খাদি আশ্রমে বসে রয়েছেন জাতির জনক। আচমকা বললেন, মাদ্রাজ যেতে হবে। এখান থেকেই ট্রেন ধরব
বিশদ

07th  April, 2024
বিরল সংখ্যা

গণিত মানেই মগজাস্ত্রে শান। সংখ্যার খেলা। কত ধরনেরই যে বিস্ময় লুকিয়ে রয়েছে, তা বলে বোঝানো যায় না। এক একটা সংখ্যাতেই কত না রহস্য। এই ধর, ছয় দশ পাঁচ পঁয়ষট্টির কথা। সংখ্যায় লিখলে— ৬৫। দেখে কী মনে হচ্ছে!
বিশদ

07th  April, 2024
রুকু ঝুকুর চাওয়া পাওয়া
অংশুমান কর

আমরা গ্রামের বাড়ি যাব। ঝুকুর জন্মের পর এই প্রথম আমাদের সকলের একসঙ্গে গ্রামের বাড়ি যাওয়া। ও তাই খুব আনন্দে আছে। কতবার আমাকে বলছে, ‘দাদা তুই আর আমি ধানগাছে চড়ে দোল খাব।’ আমি ওকে বলিনি যে, ধানগাছে চড়ে দোল খাওয়া যায় না। বিশদ

31st  March, 2024
মহাকাশযাত্রীদের খাবার-দাবার
উৎপল অধিকারী

মহাকাশ বড়ই রহস্যময় স্থান। এই রহস্যের উদ্ঘাটন করার জন্য মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষ সশরীরে সেখানে হাজির হয়েছে। এই অকুতোভয় সাহসী মহাকাশযাত্রীরা জীবন বাজি রেখে অসীম ধৈর্য নিয়ে মহাকাশযানে তাঁদের গবেষণা করছেন। বিশদ

31st  March, 2024
চরম দারিদ্র্য থেকে সর্বোচ্চ শিখরে

পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের প্রথম উচ্চতা মেপেছিলেন রাধানাথ শিকদার। এই বাঙালি গণিতবিদের সাফল্যের গল্প শোনালেন সোমনাথ সরকার বিশদ

31st  March, 2024
কবিগুরুর দোল উৎসব
সায়ন্তন মজুমদার

১৯২৫ সালে দোল উপলক্ষ্যে সেজে ওঠে আম্রকুঞ্জ। কিন্তু বিকেলের ঝড়বৃষ্টিতে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বৃষ্টি থামতে রবীন্দ্রনাথ সকলকে নিয়ে চলে যান এখনকার পাঠভবনে। সেখানে অভিনীত হয় ‘সুন্দর’ নাটকটি। বিশদ

24th  March, 2024
খেলাধুলোর আনন্দ

পড়াশোনায় ফাঁক পেলেই চলছে চুটিয়ে খেলা। ব্যাট-উইকেট, ফুটবল নিয়ে সকলে নেমে পড়ছে। খেলার আনন্দের বিকল্প নেই। নিজেদের প্রিয় খেলার বিষয়ে জানাল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর হাই স্কুলের পড়ুয়ারা। বিশদ

24th  March, 2024
একনজরে
তাপমাত্রা বাড়তেই ভাবনা বদল। বুধবার বালুরঘাটে এই মরশুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েকদিন পারদ আরও চড়ার পূর্বাভাস পেয়ে ভোট দেওয়া নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন ভোটাররা। ...

একাধিক মামলায় তিনি ছিলেন পুলিসের খাতায় ‘ওয়ান্টেড’। জানুয়ারিতেই তাঁর নামে রেড কর্নার নোটিস জারি হয়েছিল। শেষপর্যন্ত, থাইল্যান্ডে ধরা পড়লেন নয়ডার স্ক্র্যাপ মাফিয়া তথা উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত গ্যাংস্টার রবি কানা। ...

কলকাতা বেলেঘাটার বাসিন্দা গণেশ দাসকে খুনের ঘটনায় বুধবার উদ্ধার হল কিছু হাড়গোড়। জয়পুর থানার পুলিস জানিয়েছে, গাইঘাটা খাল থেকে ফিমার, কোমরের সহ সাতটি হাড় উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহটি জলে ডুবিয়ে রাখতে ব্যবহৃত বস্তা, দড়িও উদ্ধার করা হয়েছে। ...

একটা নেটে অনবরত হাত ঘুরিয়ে চলেছেন সুয়াশ শর্মারা। আর একটা নেট পেসারদের দখলে। মূল পিচের ঠিক পাশের নেটে আবার থ্রো ডাউনের বিরুদ্ধে টক টক করে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব  ম্যালেরিয়া দিবস
১৮৫৯: সুয়েজ খাল খননের কাজ শুরু হয়
১৯৪০: মার্কিন অভিনেতা আল পাচিনোর জন্ম
১৯৬৯: ফুটবলার আই এম বিজয়নের জন্ম
১৯৮৭: সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিংয়ের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৩ টাকা ৮৩.৯২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৮.০৫ টাকা ৯০.৪৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ ৩/৫৫ দিবা ৬/৪৬। বিশাখা নক্ষত্র ৫৩/০ রাত্রি ২/২৪। সূর্যোদয় ৫/১২/১৫, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/০। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ২/৫৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। 
১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ প্রাতঃ ৫/৪৪। বিশাখা নক্ষত্র রাত্রি ১/২৮। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৭ গতে ৫/৫৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৬ গতে ১/০ মধ্যে। 
১৫ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে ৪ রানে হারাল দিল্লি

24-04-2024 - 11:27:04 PM

আইপিএল: ১৩ রানে আউট সাই কিশোর, গুজরাত ২০৬/৮ (১৯ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:18:57 PM

আইপিএল: ৫৫ রানে আউট ডেভিড মিলার, গুজরাত ১৮১/৭ (১৭.৩ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:08:30 PM

আইপিএল: ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডেভিড মিলারের, গুজরাত ১৭৭/৬ (১৭ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:05:47 PM

আইপিএল: ৪ রানে আউট রাহুল তেওতিয়া, গুজরাত ১৫২/৬ (১৬ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:58:15 PM

আইপিএল: ৮ রানে আউট শাহরুখ খান, গুজরাত ১৩৯/৫ (১৪.১ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:49:17 PM