Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

রুকু ও ছেলেটি 

বিজলি চক্রবর্তী: টলটল পায়ে ট্রাম রাস্তার ধারে এসে রুকু দাঁড়াল। রাস্তা কীভাবে পার হতে হয় সে এখন বুঝতে পারে। মায়ের পেছন পেছন এখন যায় না। দুধ খেয়ে পেট ভর্তি করে রুকু মাকে ছেড়ে একাই রাস্তায় চলে এসেছে। হাত পায়ের তুলনায় পেটটা এখন তার মোটা। রাস্তার দু’ধার দিয়ে অনবরত গাড়ি যাচ্ছে আসছে। গাড়ির চাকার দাপটে রাস্তা থরথর করে কাঁপে। রুকু সেটা টের পায়। রুকুর সারা গায়ে ধুলো। নোংরা গলিতে মায়ের সঙ্গে এতক্ষণ শুয়েছিল। অপুষ্টিতে মায়ের শরীর কঙ্কালসার। অথচ বুকে অফুরন্ত দুধ। মায়ের বুক ছেড়ে রুকু যখন গলির বাইরে আসে তার পেট টানটান হয়ে ফুলে থাকে। তখন তাকে ছেড়ে মা যে কোথায় চলে যায় সে জানে না। রুকু এখন কিছুটা বড় হয়েছে। তাকে আর পাহারা দেওয়ার দরকার হয় না। যখন সে জন্মেছে বা যে ক’দিন সে খুব ছোট ছিল, মায়ের ভয়ে তার কাছে কেউ ঘেঁষতে সাহস পায়নি। কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে তীক্ষ্ণ গলায় চেঁচিয়ে গলি মাথায় করেছে। তবু তো রুকু ছাড়া আর কেউ বেঁচে নেই। কিংবা কেউ তুলে নিয়ে গিয়েছে কি না রুকু ঠিক জানে না। তাদের কাউকে রুকু দেখতে পায় না। উল্টোদিকের দোতলা বাড়ির ছেলেটিই তার নাম দিয়েছে রুকু। প্রথম প্রথম রুকু বুঝতে পারত না যে এটা তার নাম। রুকুর মা ওই ছেলেটিকে পছন্দ করত না। ভালো-মন্দ খাবার দিয়ে ছেলেটি মাকে বস করে ফেলেছে। সন্তানকে রক্ষা করবার হিংস্র তাগিদে সেই খাবারগুলোর দিকে মা খালি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখত। লোভে চোখ চকচক করত। খাবারগুলো নেওয়ার জন্য উঠে দাঁড়াত। কিন্তু রুকুকে ছেড়ে যেত না। রুকুকে বুকের কাছে নিয়ে শুয়ে পড়ত। মায়ের বুকের ঘড়ঘড় আওয়াজ রুকু শুনতে পেত। ছেলেটি হাল ছাড়েনি। বারবার আসত। বিস্কুট বা রুটি নিয়ে আসত। মাঝে দু-একবার কেক এনেছিল। এই খাবারগুলোর নাম সে বারবার শুনেছে। এখন এই শব্দগুলো তার কানে গেলেই সে ছটফট করে ওঠে। পরে ছেলেটাকে দেখে মা আর রাগ করত না। বরং খুশি খুশি ভাব দেখাত। প্রথম যেদিন নোংরা রুকুকে ছেলেটি কোলে তুলে নিয়েছিল মা অবাক চোখে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়েছিল। ছেলেটির দু’হাতের মধ্যে রুকু থরথর করে কাঁপছিল। সে অবস্থায় বেশিক্ষণ থাকতে হয়নি। দোতলার বারান্দা থেকে এক মহিলার চিৎকারে ভয় পেয়ে ছেলেটি রুকুকে কোল থেকে নামিয়ে দিয়েছিল। ছেলেটির জামায় হাতে রুকুর গায়ের নোংরা লেগেছিল। এক ছুটে ছেলেটি বাড়ির ভেতরে চলে গিয়েছিল। রুকু ভয় পেয়েছিল আরও বেশি। পরে বুঝেছিল তার যেমন মা আছে তেমনই ওই মহিলাও ছেলেটির মা। সেদিন বিকেলে ছেলেটি মায়ের হাত ধরে রাস্তা দিয়ে যখন যাচ্ছিল রুকু তখন গলির মুখে চোখ বুজে শুয়েছিল। অদ্ভুত একটা আওয়াজ শুনে রুকু চোখ খুলেছিল। তার দিকে তাকিয়েই ছেলেটি মুখে ওই রকম আওয়াজ করছে। ছেলেটির সঙ্গে তার চোখাচোখি হয়ে গেল। ছেলেটি ইশারায় তাকে ডাকছে। সঙ্গের মহিলাকে দেখে রুকুর এগিয়ে যাওয়ার সাহস হয়নি। ক্রমশই ছেলেটির সঙ্গে রুকুর বন্ধুত্ব বেড়েছে। তার এবং ছেলেটির দু’জনেরই সাহস বেড়েছে। রাতের বেলায় ছেলেটির বাড়ির দরজা বন্ধ হয়ে যায়। তখন গলি ছেড়ে রুকু বন্ধ দরজার সামনে এসে শুয়ে থাকে। বাড়ির ভেতর থেকে ছেলেটির গলার স্বর ভেসে আসে। আরও অনেক গলার স্বর সে শুনতে পায়। কিন্তু একমাত্র ছেলেটির গলার স্বরই তার চেনা। আস্তে আস্তে বাড়িটা শান্ত হয়ে আসে। একটা দুটো করে আলো নিভতে থাকে। রুকু তখনও শুয়ে থাকে। শুয়ে শুয়ে অপেক্ষা করে। একসময় অপেক্ষা শেষ হয়। দোতলার বারান্দা থেকে খাবারের একটা প্যাকেট রাস্তায় এসে পড়ে। রুকুর মা ছুটে এসে প্যাকেটটা তুলে নেয়। তাদের রাতের খাবার থাকে ওই প্যাকেটে। কতকগুলো রুটির টুকরো। ভেজা ভেজা। সঙ্গে কিছু ভাতও থাকে। আরও কী সব যেন থাকে। তবে যা-ই থাক, টুকরো রুটির সঙ্গে আস্ত রুটির স্বাদের মধ্যে কোনও তফাৎ রুকু বুঝতে পারে না। বাড়ির লোকজনদের চোখ এড়িয়ে ওই ছেলেটিই খাবারের প্যাকেটটা ফেলে। প্যাকেটটা পড়বার আগে ছেলেটির গলার পরিচিত সুরটা রুকু শুনতে পায়। রুকুও চাপা গলায় তার উত্তর দেয়।
রুকু ট্রাম লাইনের ধারে দাঁড়িয়ে আছে। ছেলেটি এই সময় ফেরে। সঙ্গে সেই রাগী মহিলা। ছেলেটির পিঠে থাকে একটা ভারী ব্যাগ। কাঁধ থেকে যে জিনিসটা ঝোলে তার মধ্যে জল থাকে। রুকু একদিন দেখেছে ট্রাম থেকে নেমে ছেলেটি ওটাতে মুখ লাগিয়ে জল খাচ্ছে। ছেলেটি বাড়ির পথ ধরলে রুকু তাদের পেছন পেছন যায়। ছেলেটি তাকে লক্ষ করে। মহিলার ভয়ে তার সঙ্গে কথা বলে না। রুকুর তখন খুব ইচ্ছে করে ছেলেটির কোলে উঠতে। প্রাণভরে ছেলেটির শরীরের ঘ্রাণ নিতে। বাড়িতে ঢোকবার আগে পকেট থেকে কিছু না কিছু ছুঁড়ে রুকুকে দেয়। রুকু খেয়ে দেখে ওই খাবারের স্বাদ অন্যরকম। বেশ ভালো।
উত্তর কলকাতার বনেদি পাড়া। সাবেক কালের বনেদিয়ানার ছাপ এখন কম বাড়িতেই আছে। গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বড় বড় বাড়ি। দুটো বাড়ির মাঝে যে জায়গাটুকু থাকে তার মধ্যে কোনও মানুষ ঢুকতে পারে না। সেই সরু গলিগুলোই রুকুদের নিশ্চিন্ত আশ্রয়। বাড়ির সামনের রাস্তাও চওড়া নয়। দুটো গাড়ি পাশাপাশি যেতে পারে না। মুখোমুখি দু’তলা তিনতলা সব বাড়ি। এখনও এই রাস্তায় কোনও ফ্ল্যাট বাড়ি তৈরি হয়নি। কোনও কোনও বাড়ির একপ্রান্ত এই রাস্তায়। অপর প্রান্ত প্রায় পার্কের ধারে গিয়ে শেষ হয়েছে। একান্নবর্তী সংসারের দিন শেষ হয়ে গেছে। তার চিহ্ন বাড়িগুলোর গায়ে। শরিকি বিবাদে বা প্রয়োজনে বড় বড় বাড়িগুলো পার্টিশন হয়ে গেছে। যে যার নিজের রুচি ও ক্ষমতায় নিজের ভাগের অংশটুকু সংস্কার করিয়েছে। এই রাস্তাটা পাড়ার পেছন দিকে। তাই কিছুটা বিবর্ণ। অনেকদিন আগে যাঁরা এই বাড়িগুলোতে থাকতেন তাঁরা তো কেউ বেঁচে নেই। তবু তাঁদের যাঁরা দেখেছেন এ রকম মানুষ দু’চারজন এখনও এই পাড়ায় থাকেন। তাঁদের অল্প বয়সের স্মৃতিতে ওই মানুষগুলো বেঁচে আছেন। যত দ্রুত পাড়াটা পাল্টে যাচ্ছে এই গলিটা তার থেকে কিছুটা পিছিয়ে আছে। নিঃশেষ হয়ে যেতে যেতে এই রাস্তার কোনও কোনও বাড়ির মানুষগুলোর মধ্যে এখনও কিছুটা আভিজাত্য টিকে আছে। সে রকমই এক বাড়ির ছোট ছেলেটির সঙ্গে রুকুর ভাব। তাদেরই বাড়ির লাগোয়া সরু গলির মধ্যে রুকুর জন্ম। ছেলেটি দরজা খুলে বাইরে আসে রুকু টের পায়। নোংরা মাটিতে কুণ্ডলী পাকিয়ে শুয়ে থেকে ছেলেটির গায়ের গন্ধ সে টের পায়। উঠে দাঁড়ায় রুকু। গায়ের ধুলোগুলো ঝেড়ে ফেলবার চেষ্টা করে। গলি থেকে মুখটা বার করে এবার সে রাস্তাটা দেখে নেয়। তারপর টলমল করতে করতে ছেলেটির পায়ের কাছে এসে শুয়ে পড়ে। ছেলেটি তার পিঠে পা বুলিয়ে দেয়। রুকু তার খসখসে জিব দিয়ে ছেলেটির পা চেটে দেয়। ছেলেটি অনবরত মুখ দিয়ে বিচিত্র একটা আওয়াজ করে। এটা যে আদরের ভাষা রুকু বুঝতে পারে।
সেদিন ছেলেটি তখনও নীচে নামেনি। রুকু গলি থেকে বাইরে বেরিয়ে এল। রাস্তায় ছেলেদের দল খেলা করছিল। রুকু ভেবেছিল ওই দলে হয়তো ওই ছেলেটি থাকবে। দলের মধ্যে ছেলেটিকে দেখতে না পেয়ে গলিতে ঢুকবে বলে রুকু পেছন ফিরল। ঠিক তখনই একটা ইটের টুকরো রুকুর পেছনের পায়ে এসে পড়ল। চিৎকার করতে করতে রুকু গলিতে ঢুকে পড়ল। অদূরে ছেলেদের দল তখন হেসেই চলেছে।
আঘাতটা খুব জোর না হলেও রুকুর পায়ে বেশ ব্যথা। পরদিন ভোরবেলায় রুকু গলি থেকে বাইরে আসতে পারল না। দোতলা বাড়ির ছেলেটা গলির মুখে এসে দাঁড়াল। মুখে সেই অদ্ভুত আওয়াজ। রুকু বুঝতে পারল তাকেই ডাকছে। কষ্ট করে রুকু গলির মুখে এসে দাঁড়াল। ছেলেটা একবার তাদের বাড়ির বারান্দার দিকে তাকাল। তারপর গলির মুখে উবু হয়ে বসে পড়ল। আস্তে আস্তে রুকুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগল, — ‘তোকে ওরা মেরেছে! খুব লেগেছে!’ রুকু জিব দিয়ে ছেলেটার হাত চাটতে লাগল। — ‘ঠিক আছে। আজ আর গলির বাইরে আসবি না, আমি আবার বিকেলে আসব।’ ছেলেটি পকেট থেকে দুটো বিস্কুট বার করে রুকুর মুখের সামনে রাখল। তারপর উঠে বাড়িতে ঢুকে পড়ল।
রুকু সারাদিন তার মাকে দেখতে পায়নি। বিকেলে ট্রাম রাস্তার ধারে রুকু যায়নি। পায়ের ব্যথা এখনও কমেনি। গলির মুখে সামনের দু’থাবার মধ্যে মুখ ঢুকিয়ে বসেছিল। রাস্তায় ছেলের দল ছোট বল নিয়ে খেলছে। কিন্তু দোতলা বাড়ির ছেলেটা আজ এখনও ফেরেনি। বসে থাকতে থাকতে রুকু ঘুমিয়ে পড়েছিল। ঠক করে একটা শব্দ হল। চোখ খুলে রুকু দেখল ছোট একটা বল। একটুও দেরি না করে রুকু বলটা মুখে করে গলির ভেতরে ঢুকে গেল। ছেলের দল গলির মুখে এসে ভিড় করে দাঁড়াল। দোতলা বাড়ির ছেলেটির মতো শব্দ করছিল কেউ কেউ। রুকু কিন্তু তাতে একটুও নড়ল না। রেগে গিয়ে ছেলেগুলি ছোট ছোট ইট ছুঁড়তে শুরু করল। রুকু বলটা মুখে নিয়ে গলির আরও ভেতরে ঢুকে গেল। গলির অন্ধকারে শুধু তার চোখ দুটো জ্বলছিল।
আস্তে আস্তে দিনের আলো কমে এল। রাস্তার আলো জ্বলে উঠল। গলির ভেতর কিছুটা আলো এসে পড়ে। ছেলের দল বাড়ি ফিরে গেছে। দোতলা বাড়ির ছেলেটির কোনও সাড়া-শব্দ নেই। গলির মুখে রুকু বসে আছে। খিদে পেয়েছে। খাবারের গন্ধ সে পাচ্ছে। সব বাড়িতে এখন রান্না হচ্ছে। একটা রিকশ এসে দোতলা বাড়ির দরজায় দাঁড়াল। রুকু ছেলেটির গায়ের গন্ধ পেয়েছে। রাগী মহিলা ছেলেটিকে সাবধানে রিকশ থেকে নামালেন। রুকু দাঁড়াবার চেষ্টা করল। পারল না। পেছনের পায়ে রুকু জোর পায় না। অসহ্য ব্যথা। কিন্তু ছেলেটির কী হল রুকু বুঝতে পারে না। রিকশর ভাড়া মিটিয়ে মহিলা ছেলেটিকে দু’হাতে জড়িয়ে ধরল— ‘এবারে চোখ খোলো। ঘরে গিয়ে জামাকাপড় পাল্টে নেবে। বিছানা করাই আছে। তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়তে পারবে।’ ছেলেটি একবার গলির দিকে তাকাল। তারপর বাড়িতে ঢুকে গেল। অনেকক্ষণ রুকু গলির মুখে বসে রইল। দোতলার বারান্দা থেকে কোনও খাবারের প্যাকেট পড়ল না। রাত নিস্তব্ধ হয়ে গেল। দোতলা বাড়ির আলো একটা একটা করে নিভে গেল। অসুস্থ শরীরটাকে টেনে নিয়ে রুকু বাইরে এসে দাঁড়াল। রাস্তায় জমে থাকা ময়লাগুলোতে মুখ ঢুকিয়ে খাবার খুঁজতে লাগল। বিশেষ কিছু পাওয়া গেল না। রুকু আবার অন্ধকার গলির ভেতর ঢুকে গেল। খিদের জ্বালায় শরীরের অসহ্য যন্ত্রণায় কাহিল রুকু সামনের দু’থাবার মধ্যে মুখ রেখে চোখ বুজল।
ভোরের আলো গলির ম঩ধ্যে ঢোকে না। তাতে রুকুর কোনও অসুবিধা হয় না। রুকু গলির বাইরে এল। সরু নর্দমায় মুখ ডুবিয়ে জল খেল। কয়েকদিন হয়ে গেল রুকু তার মাকে দেখতে পায় না। একবার যদি সে মায়ের বুকের কাছে শুতে পারত! দু’থাবা দিয়ে চেপে ধরে মায়ের বুক থেকে আকণ্ঠ দুধ পান করতে পারত। কিন্তু কিছু হচ্ছে না। রাস্তায় যারা যাতায়াত করছে তারা রুকুকে খেয়াল করছে না। রুকু ভালো করে দাঁড়াতেই পারছে না। ধুপ ধুপ করে বসে পড়ছে। দোতলা বাড়ির সদর দরজা এখনও খোলেনি। বারান্দা খালি। কেউ নেই। রুকুর দরকার ওই বাড়ির ছোট ছেলেটিকে। খিদে আর শরীরের যন্ত্রণায় রুকু ঝিমিয়ে পড়ছে। রকের সামনে গিয়ে বসে থাকলে ভালো হতো। কিন্তু সাহস হচ্ছে না। হঠাৎ দোতলা বাড়ির দরজা খুলে গেল। যে লোকটি বাইরে এল তার চোখে পড়ে গেল রুকু। হাতে ধরা বালতি থেকে জল নিয়ে রুকুর গায়ে ছুঁড়ে দিল। কুঁই কুঁই শব্দ করে রুকু গলির ভেতর ঢুকে গেল। রুকুর পায়ে ঘা থেকে রক্ত ঝরছে। তার সঙ্গে দুর্গন্ধ। রুকু নিজেও সেই গন্ধ টের পাচ্ছে।
এভাবে কতক্ষণ কেটে গেছে রুকু জানে না। কানে এল সেই চেনা সুর। ছেলেটি তাকে ডাকছে। রুকু গলির বাইরে যাবে। তাকে যেতেই হবে। সব যন্ত্রণা ভুলে গিয়ে অতি কষ্টে রুকু রকের সামনে ছেলেটির পায়ের কাছে এসে বসে পড়ল। ছেলেটি তার মুখের সামনে খাবার দিল— ‘রুকু, তোর পা কী করে এমন হল! তুই তো ভালো করে হাঁটতেই পারছিস না। তোকে কি আবার কেউ মেরেছে! নাকি অন্য কুকুরদের সঙ্গে মারপিট করেছিস!’ কৃতজ্ঞতায় রুকুর চোখ দুটো জলে ভরে গেল। কুঁই কুঁই করে অনেক নালিশ ছেলেটিকে সে জানাল। বিস্কুট খাওয়া শেষ হলেও রুকু উঠতে পারছিল না। ছেলেটি নোংরা গন্ধময় রুকুকে দু’হাত দিয়ে তুলে নিয়ে গলির মুখে নামিয়ে দিল। বলল, — ‘তুই ভেতরেই থাকবি। আর বাইরে বার হবি না। আমি তোর খাবার দিয়ে যাব।’ রুকু আধবোজা চোখে ছেলেটির দিকে তাকিয়ে রইল। যেন বোঝাতে চাইল ছেলেটির সব কথা সে বুঝতে পেরেছে।
স্কুলে ছেলেটির পড়ায় আজ মন বসছে না। রুকুকে কোনও খাবার সে দিতে পারেনি। মায়ের নজর এড়িয়ে সেই কাজ সে করতে পারেনি। মাকে সে কিছুতেই রাজি করাতে পারেনি। রুকুকে বাড়িতে নিতে দেবে না মা। বারবার রুকুর কথাই মনে হচ্ছে। সারা দিন রুকু কী খাবে! ভালো করে হাঁটতেই তো পারছে না। রুকুর পায়ের ঘা থেরে রক্ত পড়ছে। বাড়ি ফিরে মায়ের চোখ এড়িয়ে অ্যান্টিসেপ্টিক কোনও মলম রুকুর পায়ে লাগিয়ে দেবে সে। টিফিনের ঘণ্টা পড়ল। সারা ক্লাসে হইহই শুরু হয়ে গেল। টিফিনের কৌটো খুলে নিল ছেলেটি। আবার রুকুর কথা মনে পড়ল। দু’চোখ জলে ভরে গেল, কৌটোর ঢাকা বন্ধ করে ডেস্কে মাথা রেখে ছেলেটি কেঁদে ফেলল। শরীর ভালো থাকলে রুকু রাস্তায় ঘুরে ঘুরে খাবার জোগাড় করে ফেলত। ট্রাম রাস্তার ধারে ছেলেটির জন্য রুকু দাঁড়িয়ে থাকবে না। মা তার কথা বুঝতেই চায় না। অভিমানে তার মন ভার হয়ে উঠল। টিফিন খাওয়া হল না।
মায়ের হাত ধরে ট্রাম থেকে নামল ছেলেটি। অভ্যেস মতো রুকুকে খুঁজল। নাহ্‌, নেই। কেমন আছে রুকু কে জানে! যদি মরে যায়! মায়ের হাতটা শক্ত করে চেপে ধরল ছেলেটি। গলিতে ঢুকে মা ছেলেটির হাত ছেড়ে দিল। ইচ্ছে করে ছেলেটি কিছুটা পিছিয়ে পড়ল। তার চোখ শুধু রুকুকেই খুঁজছে। খুঁজে পেয়েও গেল। গলির মুখে রুকু বসে আছে। ছেলেটিকে দেখে লেজ নাড়তে লাগল। মা বাড়ির ভেতরে ঢুকে গেলে ছেলেটি চলে এল রুকুর কাছে। রুকুর মুখের ভাব বেশ খুশি খুশি। ব্যাগ থেকে টিফিন কৌটো বার করে সব খাবার রুকুর মুখের সামনে ঢেলে দিল, — ‘খা, ভালো করে খা। জানি সারাদিন তোর খাওয়া হয়নি।’
কুঁই কুঁই করে রুকু অনেক কিছু বলতে চাইল যেন। রুকুর মাথায় হাত বুলিয়ে ছেলেটি বাড়ি ঢুকে গেল। অ্যান্টিসেপ্টিক মলমটা ছেলেটা খুঁজে পাচ্ছে না। ড্রয়ারের ভেতরেই তো থাকে! মা ঘোরাফেরা করছে। ভালো করে খুঁজ঩তেও পারছে না। তবু মায়ের চোখ এড়ানো গেল না। — ‘কী খুঁজছো তুমি!’ কোনও উত্তর দিতে পারে না ছোট ছেলেটি। — ‘আমি জানি তুমি কী খুঁজছ। কিন্তু ওই ওষুধে কোনও কাজ হবে কি! ওরা তো ওদের ঘা চেটে চেটেই পরিষ্কার করে নেয়। আজ দুপুরে ডাল-ভাত মেখে একটা ডিসে করে আমি ওকে খেতে দিয়েছি। খুব খিদে পেয়েছিল। কাঁদছিল।’ দু’হাত দিয়ে মা ছেলেকে বুকে টেনে নিল, — ‘আমি জানি তোমার খুব মন খারাপ। স্কুলে টিফিন খাওনি। সব খাবার ওকে দিয়ে দিলে।’ ছেলেটি মাকে দু’হাতে জড়িয়ে ধরল। মনে মনে বলল, — মা, আমার মা! ছেলেটির মা রুকুকে খেতে দিয়েছে— এই কথাটাই বোধহয় রুকু ছেলেটিকে বলতে চেয়েছিল।
মলমটা মা ছেলেটির হাতে দিল, —‘দ্যাখো লাগিয়ে, যদি কিছু কাজ হয়। আর এবার থেকে রাস্তার মধ্যে খাবার ফেলবে না। একটা ডিস আমি রেখে এসেছি। তার মধ্যেই খাবার দেবে।’
মলমটা হাতে নিয়ে ছেলেটি দৌড়ে সিঁড়ির কাছে চলে এল— ‘মা, আমি একটু পরেই চলে আসব। এসেই পড়তে বসব।’ চেয়ারে বসে মা ছেলেটির দিকে তাকিয়ে রইল। গত কয়েক বছর ধরে কত উপহার তো সে ছেলেকে দিয়েছে। কিন্তু এত আনন্দ বোধহয় এর আগে দিতে পারেনি। মায়ের দিকে তাকিয়ে ছেলেটির মনে হল— রুকুও একজন মা খুঁজে পেল। 
28th  July, 2019
ক্ষুদিরামের ছেলেবেলা 

আমাদের এই দেশকে গড়ে তোলার জন্য অনেকে অনেকভাবে স্বার্থত্যাগ করে এগিয়ে এসেছিলেন। এই কলমে জানতে পারবে সেরকমই মহান মানুষদের ছেলেবেলার কথা। এবার শহিদ ক্ষুদিরাম বসু। লিখেছেন চকিতা চট্টোপাধ্যায়। 
বিশদ

11th  August, 2019
স্বাধীনতা দিবস 

আমাদের স্বাধীনতা দিবস
‘স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিয়ে চায় হে, কে বাঁচিতে চায়’— কবির এই বাণী সর্বাংশে সত্য। আকাশের নক্ষত্র থেকে মাটির ক্ষুদ্রতম প্রাণটি পর্যন্ত স্বাধীনতা চায়।
অজস্র রক্তপাতের মূল্যে ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতা।  
বিশদ

11th  August, 2019
ইস্কুলে বায়োস্কোপের সমাপ্তি অনুষ্ঠান 

সম্প্রতি ‘ইস্কুলে বায়োস্কোপ’-এর সমাপ্তি অনুষ্ঠান হয়ে গেল। সস ব্র্যান্ড কমিউনিকেশনসের উদ্যোগে সাহিত্য অ্যাকাডেমির সহযোগিতায় প্রায় ২০ দিন ধরে বিভিন্ন স্কুলে এই ‘ইস্কুলে বায়োস্কোপ’ অনুষ্ঠানটি চলেছিল। 
বিশদ

04th  August, 2019
সোনার লক্ষ্যে ছুটে চলেছেন ধিং এক্সপ্রেস 

বড় হয়ে কী হবি?— ছোট্ট বন্ধুরা, তোমরা নিশ্চয়ই প্রায়ই এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হও। আবার কখনও কখনও নিজেরাও মনে মনে চিন্তা কর, বড় হয়ে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ক্রিকেটার, ফুটবলার, কবি, সাহিত্যিক, গায়ক বা অভিনেতা হব। কিন্তু, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই চিন্তা মনে দানা বাঁধে পারিপার্শ্বিক তারকাদের পারফরম্যান্স বা সাফল্যে প্রভাবিত হয়ে।  
বিশদ

04th  August, 2019
চাঁদের হাসি বাঁধ ভাঙার অপেক্ষা 

মঙ্গলযান-২ চাঁদে পা রাখবে ৪৮তম দিনে। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে কোন পথে কীসের খোঁজে সে এগিয়ে চলেছে চাঁদের উদ্দেশ্যে, সে বিষয়ে তোমাদের জানানোর জন্য কলম ধরেছেন ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট, কলকাতার রাশিবিজ্ঞানের অধ্যাপক অতনু বিশ্বাস। 
বিশদ

04th  August, 2019
শুরু হয়েছে সানফিস্ট কলকাতা স্কুল ফুটবল লিগ 

তোমাদের একটি ভালো খবর দিই। গতবারের মতো এবারও শুরু হয়েছে সানফিস্ট কলকাতা স্কুল ফুটবল লিগ (কে এস এফ এল)। এটি দ্বিতীয় সংস্করণ। কে এস এফ এল লিগ শুরু হয়েছে গত বছর থেকে।   বিশদ

28th  July, 2019
মার্কশিট
মাধ্যমিকে চলতড়িৎ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় 

তোমাদের জন্য চলছে মার্কশিট। এই বিভাগে থাকছে পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানোর সুলুক সন্ধান। এবারের বিষয় ভৌতবিজ্ঞান। 
বিশদ

28th  July, 2019
স্পাইসি অ্যালফানসো ও ওয়াটারমেলন ফেটা স্যালাড 

তোমাদের জন্য চলছে একটি আকর্ষণীয় বিভাগ ছোটদের রান্নাঘর। এই বিভাগ পড়ে তোমরা নিজেরাই তৈরি করে ফেলতে পারবে লোভনীয় খাবারদাবার। বাবা-মাকেও চিন্তায় পড়তে হবে না। কারণ আগুনের সাহায্য ছাড়া তৈরি করা যায় এমন রেসিপিই থাকবে তোমাদের জন্য। এবার সেরকমই দুটি জিভে জল আনা রেসিপি দিয়েছেন ওয়াটস আপ ক্যাফে রেস্তরাঁর শেফ দেবব্রত রায়। 
বিশদ

21st  July, 2019
কলকাতায় ডাবর ওডোমসের ডেঙ্গু-মুক্তি প্রচারাভিযান 

আজ তোমাদের একটা ভালো খবর দিই। ডাবর ইন্ডিয়া লিমিটেডের ওডোমস ব্র্যান্ড ভারতকে ডেঙ্গুমুক্ত করতে একটি বিশেষ প্রচারাভিযানের উদ্যোগ নিয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘#মেকিংইন্ডিয়াডেঙ্গুফ্রি’। উদ্যোগটিকে সফল করতে ওডোমসের বিশেষজ্ঞ দল ভারতে বিভিন্ন জায়গায় প্রায় দশ লক্ষ অফিসকর্মীর কাছে পৌঁছেছিলেন।   বিশদ

21st  July, 2019
বিস্ময়কর নদী 

নদীর জল হবে স্বচ্ছ ও নীলাভ। আমরা ছোটবেলা থেকে এমন কথাই পড়েছি বইয়ের পাতায়। দেখেছিও তাই। বাস্তবের সঙ্গে কল্পনার রং মেলে না ঠিকই। কিন্তু আজ যেসব নদীর গল্প তোমাদের বলব, শুনলে মনে হবে রূপকথার গল্প। পৃথিবীতে এমন কিছু নদী আছে যার জলের রং প্রকৃতির আপন খেয়ালে তৈরি। কোনওটা বা মানুষের দুষ্কর্মের ফলে অন্য রং ধারণ করেছে। কোনওটির আবার গতিপথ এতটাই অদ্ভুত যে অবাক হতে হয়। এই নদীগুলির কথা জানলে সত্যিই মনে হবে, বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি। অদ্ভুত এই পাঁচটি নদীর রোমাঞ্চকর গল্প শুনিয়েছে সৌম্য নিয়োগী।  
বিশদ

21st  July, 2019
অগ্রসেন বালিকা শিক্ষা সদনের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান 

অগ্রসেন বালিকা শিক্ষা সদন গত ২৮ জুন একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। এদিন এবছরের আই সি এস ই পরীক্ষায় ভালো ফলের জন্য এই বিদ্যালয়েরই ছাত্রী রত্না নাঙ্গালিয়াকে পুরস্কৃত করা হয়। পরীক্ষায় রত্না জাতীয়স্তরে তৃতীয় এবং রাজ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে।   বিশদ

14th  July, 2019
মার্কশিট
মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য কবিতা মুখস্থ
করো শব্দার্থ ও ব্যাখ্যা বিশ্লেষণসহ

তোমাদের জন্য চলছে মার্কশিট বিভাগটি। এই বিভাগে থাকছে পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানোর সুলুক সন্ধান। এবারের বিষয় বাংলা। 
বিশদ

14th  July, 2019
যদি ফিরে আসে ডাইনোসর 

কয়েক কোটি বছর আগের কথা! তখন আমাদের চেনাজানা পৃথিবী ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। ঘন অরণ্যে ঘুরে বেড়াত দানবাকৃতি ডাইনোসররা। কালের নিয়মে তারা অবলুপ্ত। তবে বিজ্ঞান এখন খুবই উন্নত। গবেষণা চলছে সেই হারিয়ে যাওয়া ডাইনোসরদের ফিরিয়ে আনার। যদি ফিরে আসে তারা তাহলে কী হবে? কেমনই বা দেখতে ছিল সেই ডাইনোসরদের। লিখেছেন সুপ্রিয় নায়েক। 
বিশদ

14th  July, 2019
মার্কশিট 

তোমাদের জন্য চলছে মার্কশিট বিভাগটি। এই বিভাগে থাকছে পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানোর সুলুক সন্ধান। এবারের বিষয় ইংরেজি। পরামর্শ দিচ্ছেন বাণীপুরের গভর্নমেন্ট বেসিক কাম মাল্টিপারপাস স্কুলের ইংরেজির শিক্ষিকা পর্ণা চৌধুরী।
বিশদ

07th  July, 2019
একনজরে
সৌম্যজিৎ সাহা, কলকাতা: এবার গ্রামাঞ্চলের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ল্যাবরেটরির পুরনো পরিকাঠামোর খোলনলচে বদলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল অব টেকনিক্যাল এডুকেশন (এআইসিটিই)। নতুন যন্ত্রপাতি কেনা এবং পরিকাঠামো তৈরি করতে তারা অনুদান দেবে বলে ঠিক করেছে। ...

মৃণালকান্তি দাস, ওয়াশিংটন, ১২ আগস্ট:জেট ল্যাগের ধাক্কা সামলে আমেরিকার মাটিতে পা দেওয়ার পর আপনার প্রথম কোন বিষয়টি ভালো লাগবে জানেন? সাধারণ আমেরিকানদের সৌজন্যবোধ এবং তাদের ফান লাভিং অ্যাটিচ্যুড। যেখানেই যান না কেন, আপনাকে কেউ না কেউ নিদেনপক্ষে ‘হাই’ বলবেন। ...

সংবাদদাতা, গাজোল: সোমবার সকালে হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচণ্ডী গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যম কেন্দুয়া গ্রামে অকেজো জলাধারটি সংস্কার করা হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের এই পদক্ষেপে বাসিন্দারা খুবই খুশি হয়েছেন। এখন তাঁদের জলের আর সমস্যা হবে না।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দেদারে চুরি হচ্ছে জল। নির্বিকার প্রশাসন। বিধাননগর পুরসভার অন্তর্গত সুকান্তনগর সহ ৩৫ এবং ৩৬ নং ওয়ার্ডে এই সমস্যা ভয়াবহ আকার নিয়েছে। পুরসভা সূত্রের দাবি, এই অভিযোগ আরও কয়েকটি এলাকা থেকে মাঝেমধ্যে আসছে। তবে সুকান্তনগর এলাকা থেকে সর্বাধিক ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৯- ইংরেজ পরিচালক স্যার আলফ্রেড হিচককের জন্ম,
১৯২৬- কিউবার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রোর জন্ম,
১৯৩৩- অভিনেত্রী বৈজয়ন্তীমালার জন্ম,
১৯৪৬- ইংরেজ সাহিত্যিক এইচ জি ওয়েলেসের মৃত্যু,
১৯৬৩- অভিনেত্রী শ্রীদেবীর জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার    
পাউন্ড    
ইউরো    
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,১৩৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,১৮০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৭২৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৩,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৩,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
12th  August, 2019

দিন পঞ্জিকা

২৭ শ্রাবণ ১৪২৬, ১৩ আগস্ট ২০১৯, মঙ্গলবার, ত্রয়োদশী ২১/১৫ দিবা ১/৪৭। উত্তরাষাঢ়া অহোরাত্র। সূ উ ৫/১৬/২১, অ ৬/৭/৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ গতে ১০/২৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/৪১ মধ্যে পুনঃ ৭/৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫২ গতে ৯/৬ মধ্যে পুনঃ ১১/১৯ গতে ২/১৮ মধ্যে, বারবেলা ৬/৫২ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১/১৮ গতে ২/৫৪ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৩০ গতে ৮/৫৪ মধ্যে। 
২৭ শ্রাবণ ১৪২৬, ১৩ আগস্ট ২০১৯, মঙ্গলবার, ত্রয়োদশী ২১/৩৩/১১ দিবা ১/৫২/৩৩। উত্তরাষাঢ়ানক্ষত্র ৬০/০/০ অহোরাত্র, সূ উ ৫/১৫/১৭, অ ৬/৯/২৫, অমৃতযোগ দিবা ৭/৫১ গতে ১০/২২ মধ্যে ও ১২/৫৩ গতে ২/৩৪ মধ্যে ও ৩/২৪ গতে ৫/৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪০ মধ্যে ও ৮/৫৮ গতে ১১/১৫ মধ্যে ও ১/৩২ গতে ৩/৩ মধ্যে, বারবেলা ৬/৫২/৩ গতে ৮/২৮/৪৯ মধ্যে, কালবেলা ১/১৯/৭ গতে ২/৫৫/৫৩ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৩২/৩৯ গতে ৮/৫৫/৫৩ মধ্যে। 
মোসলেম: ১১ জেলহজ্জ 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। বৃষ: প্রেমে সার্থকতা আছে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৯৯- ইংরেজ পরিচালক স্যার আলফ্রেড হিচককের জন্ম,১৯২৬- কিউবার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ...বিশদ

07:03:20 PM

অপসারিত নদীয়ার জেলাশাসক পবন কাদিয়ান 
এক ডব্লুবিসিএস অফিসারকে ফোন করে হুমকি দেওয়ায় অভিযুক্ত নদীয়ার জেলাশাসক ...বিশদ

05:30:59 PM

বিধানসভার স্ট্যাঠন্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান পদ ছাড়লেন শোভন 
বিধানসভার মৎস্যা বিষয়ক স্ট্যাকন্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান পদ ছাড়লেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ...বিশদ

05:13:35 PM

টালিগঞ্জ থানায় হামলার ঘটনায় আটক ৪

04:48:00 PM

২৪ তারিখ থেকে ৩ দিন হাওড়ার বঙ্কিম সেতুতে যান নিয়ন্ত্রণ 
মেরামতির জন্য ২৩ আগস্ট সকাল ছ’টা থেকে ২৫ আগস্ট রাত ...বিশদ

04:15:05 PM