বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
স্মৃতির উজান বেয়ে শতবর্ষ পিছনে ফিরলে মনে হবে, এ যেন এক রূপকথার গল্প। ১৯২০ সালের ২০ এপ্রিল। নারীশিক্ষার বীজ বপন করেছিলেন সরলা রায়। মাত্র ৬টি ছাত্রী নিয়ে ৬নং আনন্দ ব্যানার্জি লেনে। স্কুল গড়ার আগে অনুপ্রেরণা হিসেবে পেয়েছিলেন বন্ধু গোপালকৃষ্ণ গোখলেকে। তাঁরই স্মরণে স্কুলের নামকরণ ‘গোখলে মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল।’ এই উজ্জ্বল প্রতিষ্ঠানের শতবর্ষের সূচনা হল সম্প্রতি ১৯ এপ্রিল, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর উপস্থিতিতে। প্রতিষ্ঠাত্রী সরলা রায় মেমোরিয়াল হলের দ্বারোদ্ঘাটন করে।
বাংলার বুকে ব্যতিক্রমেরও ব্যতিক্রম গোখলে মেমোরিয়াল। একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেটি গড়ে উঠেছিল পরাধীনতার নাগপাশের মধ্যেও আধুনিক চিন্তাধারার ব্যাটন হাতে নিয়ে। তার সুফল ফলে চলেছে একশো বছর ধরে। বহু শিক্ষার্থী এখানে পাঠ নিয়ে স্বপ্নের ডানা মেলেছে বিশ্ব-আকাশে, যা সত্যিই বাংলার কাছে গর্বের, অহংকারের।
স্কুল-অধ্যক্ষা ইন্দ্রাণী মিত্রের স্মৃতি-সঞ্চয় থেকে আরও উঠে আসে একের পর এক অতীত-কথা। ব্রাহ্ম সমাজের সংস্কারক দুর্গামোহন দাসের বড় মেয়ে সরলা। তাঁর বেড়ে ওঠা খোলামেলা পরিবেশ, প্রগতিশীল পরিবারে। যেখানে মেয়েরা সম্মান পেত। কাদম্বিনী বসু ছিলেন সরলা দাসের সহপাঠী। সেকালে মেয়েদের বিয়ে হয়ে যেত অতি দ্রুত। সরলার জীবনেও তাই ঘটল। বিয়ের কারণে, বেশিদূর পড়াশোনা সম্ভব হয়নি। সেই সুবাদে পর্দানশিন মেয়েদের দুঃসহ জীবনযন্ত্রণা তিনি দেখেছিলেন, বুঝেছিলেন সামাজিক ব্যবধান। তাঁর সম্বল বলতে ছিল দু-তিনটে স্কুলে কাজ করার অভিজ্ঞতা। আর তা দিয়েই শুরু হয়েছিল গোখলে মেমোরিয়ালের সলতে পাকানোর কাজ। ক্রমেই বাড়তে লাগল ছাত্রীসংখ্যা।
একসময় স্কুল উঠে এল ১/১ হরিশ মুখার্জি স্ট্রিটের নিজস্ব ভবনে। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দুর্ঘট সময়ে বোমার হাত থেকে বাঁচতে স্কুল চলে যায় হাজারিবাগে। বছর দুয়েক পর নিজস্ব ভবনে পুনরায় শুরু হয় স্কুলের পঠনপাঠন।
বর্তমান এই ব্যতিক্রমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীসংখ্যা প্রায় ২০০০। স্কুলের ঐতিহ্য, পরম্পরা, নতুন চিন্তাভাবনার প্রয়োগ ঘটাতে সদা-সক্রিয় প্রায় ১০০ শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী। ২০১৪ সাল থেকে স্কুলটি সিবিএসই বোর্ডের অধীন রয়েছে সায়েন্স, আর্টস, কমার্স তিনটি বিভাগই। বিদ্যালয় শুরুর দিন থেকে আজও নাচ, গান, আঁকা, মোরাল সায়েন্স, হোম সায়েন্স, হাতের কাজ, শারীরশিক্ষা, গল্পশেখা, ক্যুইজ, বিতর্ক, লাইব্রেরি ক্লাসের ওপর জোর দেওয়া হয়। শতবর্ষজুড়ে রয়েছে নানান অনুষ্ঠান।
শতবর্ষে শতফুল বিকশিত হোক। বিশ্ব দরবারে আরও ঔজ্জ্বল্য বাড়ুক গোখলে মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলের। চরৈবেতি।
ইন্দ্রাণী মিত্র, অধ্যক্ষা
নারীশিক্ষার সাধনস্থল
আজি হতে শতবর্ষ পরে কে তুমি পড়িছো বসি... এই কবিতায় যেমন বিস্ময় বিমুগ্ধতা, প্রায় তেমনই বিস্ময় জাগে আমার। আমি ফিরে যেতে চাই একশো বছর পূর্বের বর্ণময় যুগটায়, আজ স্কুলের এই প্রাঙ্গণে বসে ভাবি, তখন সশরীরে বসে নানান কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছেন রবিঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, আমাদের প্রতিষ্ঠাত্রী সরলা রায় প্রমুখ অন্যান্য মনীষীগণ। শিক্ষা আন্দোলনে বিশেষত ভারতের নারী শিক্ষা প্রসারের সাধনপীঠ হিসেবে গোখলে মেমোরিয়াল-এর যাত্রা শুরু। সেই সময় বহু মানুষের স্বার্থত্যাগ, প্রচুর পরিশ্রম, ঐকান্তিক নিষ্ঠা ও ভালোবাসা’র ফসল আজকের স্কুল। আজও স্কুলের অন্দরে ফল্গুধারার মতো প্রবাহিত হয় সরলা রায়ের আদর্শ। আর তাকে পাথেয় করে গড়ে উঠেছে লক্ষ লক্ষ ছাত্রীর ভবিষ্যৎ। গড়ে উঠেছে ছাত্রী ও শিক্ষিকাদের সুনিবিড় সম্পর্ক। যা সত্যিই আজ বিরল।
তীর্ণা চক্রবর্তী, দশম শ্রেণী
ছাত্রী হিসেবে গর্বিত ও আনন্দিত
২০১৯। আমাদের কাছে বয়ে এনেছে বড় আনন্দের বার্তা। শতবর্ষ উদ্যাপনের সন্ধিক্ষণে একজন ছাত্রী হিসেবে উপস্থিত থাকতে পেরে গর্বিত ও আনন্দিত। তাই নতমস্তকে প্রণাম জানাই প্রতিষ্ঠাত্রী সরলা রায়কে। এই মহীয়সী নারীর জন্য আমাদের সমাজের হাজার হাজার মেয়েরা নতুন করে বাঁচার সুযোগ পেয়েছে। দেশে ও বিদেশের মাটিতে তারা স্বপ্নের ডানা মেলে উড়ে বেড়াতে পারছে। কর্মক্ষেত্রে ও ব্যক্তিগত জীবনে তাঁরই আদর্শের প্রতিফলন ঘটাতে পারছে। তাঁরই স্মরণানুষ্ঠানে আমরা কাছে পেয়েছিলাম মহামান্য রাজ্যপালকে, নতুন রূপে সেজে ওঠা সরলা রায় মেমোরিয়ালের উদ্বোধক হিসেবে। ১৯ এপ্রিল প্রদর্শিত হয় বিদ্যালয়ের অতীত— বর্তমান স্বপ্ননির্ভর তথ্যচিত্র। ২০ এপ্রিল ছিল স্কুলের জন্মদিন। প্রভাতফেরি ও নজরুল মঞ্চের সান্ধ্য অনুষ্ঠানে ছিল সকলের সগর্ব উপস্থিতি।
আলোস্মিতা আড়ি, দশম শ্রেণী
শতবর্ষের শপথ
আজ মনে হয় সবটাই ইতিহাস। শ্রীমতী সরলা রায়ের জীবন ও সংগ্রামের পর্যালোচনা শুনে রোমাঞ্চিত হই। যখন কলকাতার রাস্তায় ঘোড়ায় টানা ট্রাম চলছে, মেয়ে বউরা পালকিতে চড়ছে। মেয়েরা পর্দানশিন, সামাজিক অনুষ্ঠানে তারা ব্রাত্য। সেখানে ঘরে বসে লেখাপড়া করাটা সমাজ ভালো চোখে দেখেনি। সেই সময় বহু প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে। অথচ সেইরকম প্রথাগত শিক্ষায় তিনি শিক্ষিত ছিলেন না। কিন্তু অতি আধুনিক পদ্ধতিতে ঐতিহ্য ও আমাদের সংস্কৃতির বীজ বপন করেছিলেন। সেই চারাগাছ আজ মহীরুহ। আজও সরলা রায়ের আদর্শ ও পরম্পরাকে নিয়ে এগিয়ে চলেছে স্কুল। তাই গোখলে মেমোরিয়ালের ছাত্রী হিসেবে সত্যিই গর্বিত। চেষ্টা করব আগামীতে এই স্কুল যেন পা রাখে দুশো বছরে। নতুন ও প্রাক্তনীদের হাত ধরে। এটাই হোক শতবর্ষের শপথ।
দিভসা রায়, ষষ্ঠ শ্রেণী
বিদ্যালয়ের প্রথম দিন
‘ইচ্ছায় না হয় কর্ম, উদ্যম বিহনে’ জীবনের এই মহার্ঘ মন্ত্রটিই আমার বিদ্যালয়ের মূলমন্ত্র। ১৪ বছর এই স্কুলে কাটানোর পরও মনে করতে পারি বিদ্যালয়ের প্রথম দিনটি। মায়ের হাত ছেড়ে বিদ্যালয় প্রবেশের পরে শিক্ষিকাদের স্নেহ, ভালোবাসায় এই বিদ্যালয় হল আমার আরেকটি বাড়ি। স্কুল না আসতে পারলে মন খারাপ করে। আসলে সব মিলিয়ে এক মায়ার বন্ধনে আটকে গিয়েছি। তারপর যত উঁচু ক্লাসে উঠেছি তত আশ্চর্য হয়েছি। পরাধীন ভারতে সরলা রায়ের নারীর পূর্ণাঙ্গ বিকাশ, পূর্ণাঙ্গ শিক্ষার বিস্তার ভাবার সাহস দেখে। বিজ্ঞানচর্চার পাশাপাশি রান্না শেখানোর ব্যবস্থা দেখে, যা আজকের সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত। আজও আমাদের স্কুল ওঁর আদর্শের ধ্বজা বহন করে চলেছে।
অহনা চট্টোপাধ্যায়, দ্বাদশ শ্রেণী
আমার ভালোবাসার বাড়ি
স্কুলের পরতে পরতে লুকিয়ে ইতিহাস। স্ত্রী শিক্ষা প্রসারের এমন প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পেয়ে গর্বিত ও আনন্দিত। কৃতজ্ঞ নিজের মা ও বাবার কাছে। স্কুলের যে কোনও অনুষ্ঠানে আলোচিত হয় অতীত দিনের কত কথা। প্রতিষ্ঠাত্রী সরলা রায়ের অদম্য জেদ, ভালোবাসার কাছে মাথা নিচু হয়ে যায়। সংসারের পাশাপাশি, স্কুল ছিল তাঁর কাছে সন্তানতুল্য। স্বামী, সন্তান হারিয়েও পিছপা হননি স্কুলের কাজে। নিজের বাড়িতেই হোস্টেল খুলেছেন। দূর-দূরান্তের মেয়েদের জন্য ব্যবস্থা করেছেন বাসের। সবেতেই ছিল তাঁর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি। ২০০৯ সালে টলমল পায়ে লাল জামা পরে ঢুকেছিলাম স্কুলে। ১/১ হরিশ মুখার্জি রোডের এই বাড়িতে। সেই থেকেই আমার চিন্তায়, মননে, স্বপ্নে জড়িয়ে গেছে এই স্কুল। হয়ে উঠেছে আমার ভালোবাসার বাড়ি।
অনুস্মিতা রায়, নবম শ্রেণী
স্বপ্নের ছোঁয়া পেলাম
দিনটা ২০ এপ্রিল ১৯২০। শুরু হয়েছিল নারীকে সর্বগুণসম্পন্ন করে স্বাধীন করে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা। সরলা দেবীর হাত ধরে। তারপর কেটে গেছে নিরানব্বইটা বছর। সেই বছরগুলিতে কত শত ছাত্রী পা রেখেছে সমাজের বৃহত্তর গন্ডিতে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশে-বিদেশের মাটিতে। আমাদের এই স্বপ্নের স্কুলের ভেতর দিয়ে। সেই স্বপ্নের আরও ছোঁয়া পেলাম শতবর্ষ উদ্যাপনের দিন দর্শকাসনে বসে। বড় পর্দায় প্রদর্শিত হল বিদ্যালয়ের তথ্যচিত্রটি। মনে হল কেউ যেন এই শিক্ষাকেন্দ্রে আমার প্রথম দিনটি হাজার বর্ণে এঁকে দিয়ে গেল। তারপর নৃত্যনাট্য মায়ার খেলা, অন্তরা চৌধুরীর গানের পর চিরপরিচিত ‘সারাজীবন দিল আলো’র সুরধ্বনি এক অদ্ভুত হৃদয়াবেগ মন্থন করে তুলল। চিৎকার করে বলে উঠতে ইচ্ছা হল, গোখলে! গোখলে! হেইল! হেইল!
শ্রুতি দত্ত, নবম শ্রেণী
শতবর্ষের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছি
আমি খুব ভালোবাসি স্কুলে আসতে। অনেক বন্ধু আছে। সবাই মিলে খেলাধুলো, পড়াশোনা সব আনন্দের সঙ্গে করি। শিক্ষিকারা আমাদের খুব ভালোবাসেন। তবে স্কুল ছুটি থাকলে মন খারাপ হয়। জানো তো এবার শতবর্ষের অনুষ্ঠানে নজরুলমঞ্চে আমি অংশগ্রহণ করেছি। সারাবছর ব্যাপী চলবে এই শতবর্ষ উদ্যাপনের অনুষ্ঠান। কত বিশিষ্টজনের পদধূলিধন্য আমাদের স্কুল। তাদের জীবন দর্শনকে অনুসরণ করে ভালো মানুষ হবার শিক্ষা দেওয়া হয়। তাই আগামী দিনে আমাদের দায়িত্ব স্কুলের সুনাম অটুট রাখার।
শ্রীবল্লী চক্রবর্তী, চতুর্থ শ্রেণী
আমার স্বপ্নের স্কুল
স্কুলের সুন্দর পরিবেশে আমি মুগ্ধ। সেই শৃঙ্খলায় আমি শৃঙ্খলিত। গান, বাজনা, আঁকা, গল্প বলার মতো বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়াকর্ম স্কুলেই শিখি। জীবন গঠনের সব উপাদান নিহিত আছে গোখলে মেমোরিয়াল স্কুলে। সেই উপাদান সংগ্রহের কাজ করতে হবে আমাদের। যখন স্কুলে ভর্তি হই তখন থেকে শুনে আসছি শতবর্ষ উদ্যাপনের কথা। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হল পঞ্চম শ্রেণীতে। প্রাক্ শতবর্ষের অনুষ্ঠান হয়েছিল উত্তমমঞ্চে। তারপর নজরুলমঞ্চে। সেই দুটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে আনন্দিত। এরপর আরও বাকি পথ চলা। আমার স্বপ্নের স্কুলের হাত ধরে।
কস্তুরী ঠাকুর, পঞ্চম শ্রেণী
প্রাক্তনীদের চোখে
ইচ্ছেটা ছিল। অপেক্ষা শুধু সময়ের। ২০১৬ সালে গোখলের প্রাক্তনীরা তৈরি করল ‘ওল্ড গার্লস অ্যাসোসিয়েশন’ (ওজিএ)। উদ্দেশ্য সবাই একত্রিত হয়ে এই স্কুলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আধুনিক শিক্ষায় বর্তমান প্রজন্মের ছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করা।
এই লক্ষ্যেই শুরু হয়েছিল পথচলা। হস্তশিল্প প্রদর্শনী, রান্না প্রতিযোগিতা, মিলনসভা, নৈশভোজের মাধ্যমে। পরবর্তীতে আয়োজন করা হয় ‘ইন্সপায়ার প্রোগ্রাম।’ এই কর্মশালায় প্রতিষ্ঠিত প্রাক্তনীরা বর্তমান ছাত্রীদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ভবিষ্যৎ জীবন গঠনের লক্ষ্যে। এছাড়া প্রাক্তন শিক্ষিকাদের নিয়মিত খোঁজ-খবর নেওয়া ও নানাভাবে সাহায্য করা। স্কুলের তহবিলে অর্থদান করা। অঞ্জলি জুয়েলার্সের কর্ণধার অনন্যা চৌধুরি এই স্কুলের প্রাক্তনী। ছাত্রীদের সুবিধার্থে স্কুলের কম্পিউটার ল্যাবটি নতুন করে তৈরি করে দিয়েছেন। স্কুলের শতবর্ষ অনুষ্ঠানে ওজিএ সদস্যরা স্কুলের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে চলেছেন। এই প্রাক্তনীদের মধ্যে আছেন চিত্রপরিচালক অনিন্দিতা সর্বাধিকারী, নৃত্যশিল্পী প্রকৃতি বসু, নাট্যকার স্বাতী রায়, ওজিএ’র সম্পাদক ইলোরা সেন, কোষাধ্যক্ষ মৈত্রেয়ী সেন প্রমুখ। এক বছরের এই শতবর্ষের অনুষ্ঠানে আছে সাহিত্যসভা, বর্ষামঙ্গল, বিজ্ঞানমেলা ইত্যাদি। আগামী দিনেও স্কুলের বহু স্বপ্নের অংশীদার হতে চায় এই গোখলে ওল্ড গার্লস অ্যাসোসিয়েশন।