বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
সারাক্ষণই চলছি
বসেই হোক বা দাঁড়িয়ে, শুয়েই হোক বা ঘুমিয়ে, আমরা নাকি সারাক্ষণই চলছি। এ আবার কেমন ধারা কথা? আরে বাবা এমন কথাই তো বলছেন বিজ্ঞানীর দল। গবেষণা করে জানা গিয়েছে আমাদের শরীর সর্বদাই গতিময়। যখন আমরা ঘুমোই তখনও আমাদের শারীরিক গতি অক্ষুণ্ণ থাকে। কেমন করে, বলি তবে শোনো। ধরা যাক যখন বাসে বা ট্রেনে করে কোথাও যাই তখন বসে থেকেও তো আমরা এক গন্তব্য থেকে অন্য গন্তব্যে পৌঁছে যাই, তাই না? অর্থাৎ ট্রেন বা বাসের গতি আছে বলেই বসে বসেও আমরা গতিময় থাকি। পৃথিবীর ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই ঘটে। আমাদের গ্যালাক্সি, আকাশ গঙ্গা সারাক্ষণই ছুটে চলেছে। প্রতি সেকেন্ডে ২২৫ কিলোমিটার গতিতে ঘুরছে সে। তার মধ্যে রয়েছি বলে আমরাও সারাক্ষণ গতিময়। শুধু আমরাই নই, যে কোনও প্রাণী বা বস্তু সবই গতিময়। এর পর কেউ যদি তোমাদের অলস বলে তাহলে জোর গলায় প্রতিবাদ করে জানিও আলস্যের তো কোনও প্রশ্নই নেই। আমরা সারাক্ষণই চলেছি।
তারা থেকে তৈরি
অমাদের শরীর কী দিয়ে তৈরি? এমন প্রশ্ন শুনলে যে কোনও শিশুও অবাক হয়ে বলবে হাড় আর মাংস দিয়ে। কিন্তু যদি বলি আমাদের শরীর তারা থেকে তৈরি, তাহলে? আশ্চর্য হওয়ার মতোই বিষয় বটে। ব্যাপারটা বুঝিয়ে দিলেই স্পষ্ট হবে। এই ধরো আমাদের হাড়, এই হাড়ে কী আছে? ক্যালশিয়াম। আর ক্যালশিয়াম পাই কোথায়? তারায়। তাহলে হল তো আমাদের শরীর তারা থেকে তৈরি। শুধু তাই নয়, কার্বন, হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন ইত্যাদি বিভিন্ন পদার্থই তো আমাদের শরীরে রয়েছে। আর এইসব গ্যাসই পাই তারা থেকে। এর পর নিশ্চয়ই আর বিস্মিত হবে না। যদি বলি আমাদের শরীরে তারার ভাগ ষোলোআনা।
মার্সের পাহাড় সবচেয়ে বড়
যদি জিজ্ঞেস করি সবচেয়ে উঁচু পাহাড়ের নাম, একটুও না ভেবেই তোমরা বলবে মাউন্ট এভারেস্ট। এটাও একটা প্রশ্ন হল! আরে এত দিন আমিও তাই জানতাম। কিন্তু গবেষণা বলছে মোটেও তা নয়। সবচেয়ে উঁচু পাহাড়শৃঙ্গ পৃথিবীতেই নেই। তাহলে? সেটি রয়েছে মার্সে। নাম অলিম্পাস মনস। মার্সের গায়ে বিশাল একটা লাল রঙের ধুলো মাখা পাথরের চাঁই। তারই নাম অলিম্পাস মনস। উচ্চতা ৮০,০০০ ফুট। তুলনায় এভারেস্ট তো বামন মাত্র! গবেষণা আরও বলছে এই পাহাড়ে আগুন আছে। তবে আগ্নেয়গিরিটি আপাতত ঘুমন্ত।
পৃথিবীর বয়স
তোমরা প্রতিবছর জন্মদিন পালন করো? জন্মদিনের পর একবছর করে বয়সও তো বাড়ে, তাই না? আর তোমরা তো সবাই চাও তাড়াতাড়ি বড় হয়ে উঠতে। বড় হলেই নাকি ভারী মজা। পড়াশোনা নেই, বাবা মায়ের বকুনি নেই। সে যেন এক সব পেয়েছির দেশ। কিন্তু আজ তোমাদের বয়স নিয়ে নয়, কথা বলব পৃথিবীর বয়স নিয়ে। জানো কি আমাদের এই পৃথিবীর বিস্তর বয়স। তা ধরো ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর তো হবেই। তাই বলে ওই অতগুলো বছর ধরেই যে এই পৃথিবীতে প্রাণের সঞ্চার ছিল তা নয়। পৃথিবীর বুকে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে অনেক পরে। পৃথিবীতে প্রাণ আসার আগে পৃথিবী একাই বিষণ্ণ মনে সূর্যের চারপাশে ঘুরপাক খাচ্ছিল। তারপর তাতে প্রাণ এল। হাসি আর আনন্দে ভরে উঠল ধরণী। আর তারপর? তারপর আর কি? ওই একইভাবে চলছে। পৃথিবী শহস্র কটি বছর ধরে নিজের নিয়মেই ঘুরছে আর তার সঙ্গে ঘুরেই চলেছি আমি, তুমি, আমরা সবাই।
জোর ধাক্কা
সাবধান! পৃথিবীতে বড়সড় একটা আঘাত আসতে চলেছে। অ্যাস্ট্রনমারদের বক্তব্য, একটা বিরাট ধূমকেতু নাকি প্রচণ্ড গতিতে আমাদের পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। অনুমান করা হচ্ছে ২০১৯ সালে নাকি সেই ধূমকেতু পৃথিবীর গায়ে এসে জোর ধাক্কা মারবে। এর আগেও যে এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি তা নয়। প্রচুর গবেষণা করে জানা গিয়েছে এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। ১৯০৮ সালে সাইবেরিয়ার দিকে নাকি এমন আঘাত হয়েছিল। সেই সময় সাইবেরিয়ার বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল ধূমকেতুর ধাক্কায় নষ্ট হয়ে যায়। তেমনই আঘাত আবারও ঘটতে চলেছে। এবার যে ধূমকেতুটি ধাক্কা দেওয়ার পরিকল্পনা ছকছে তার নাম অ্যাপফিস ধূমকেতু। বিজ্ঞানীরা বলছেন অ্যাপফিসের গতি বদলে অন্যদিকে ধেয়ে যাওয়ার চান্স মাত্র ৩ শতাংশ। আর সেই তিন শতাংশের ওপর ভরসা করে ২০১৯ পর্যন্ত বসে থাকা ছাড়া আর উপায় নেই। ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে