Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

বকুল গন্ধে 
বন্যা এল
মীনাক্ষী সিংহ

চিঠিটা হাতে নিয়ে অবাক হল মনোশ্রী। আজকাল ডাকযোগে চিঠি তো এক আশ্চর্য উপহার, কে পাঠাল এই এসএমএস আর হোয়াটসঅ্যাপের ডিজিটাল যুগে? খামের ওপর বাংলাদেশের ছাপ দেখে আবারও বিস্ময়!
খামের ভিতর সাদা কাগজে আরও বিস্ময়লিপি পত্র প্রেরকের নাম দেখে মনোশ্রীর বুকে চকিত চমক আর সেইসঙ্গে ভেসে এল ঝরা বকুলের মৃদু সুবাস। সেই স্মৃতি নির্যাস কলকাতা থেকে পৌঁছে গেল ঢাকায়— এক লহমায়। ঘটল সময়ের অপসারণ।
সে তো হল বহুদিন। তরুণী অধ্যাপিকা মনোশ্রী এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নিতে ঢাকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল আমন্ত্রিত অতিথি। সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছিলেন ওর বাবা। ওঁর জন্মভূমি যা আজ বিদেশ, যেখানে উনি আর ফিরতে পারেননি কিন্তু মেয়ে তো যাচ্ছে। বারবার ঢাকার রাস্তাঘাট, বাড়ির নিশানা বোঝাচ্ছিলেন। সমীর হেসে বলেছিল, ‘বাবা, পঞ্চাশ বছর আগের তোমার সেই ঢাকা আর নেই। তোমাদের দেবনিবাস এখন হয়তো দবীর নিবাস হয়ে গেছে।’ বাবা চুপ করে যান, মনোশ্রী বাবাকে নিরুৎসাহ করে না—
‘আমি ঠিক খুঁজে নেব বাবা, সব গল্প ফিরে এসে তোমায় শোনাব।’
স্বভূমি থেকে চলে আসা বাবার সেই বেদনাম্লান মুখ মনে পড়ল। সেবার ঢাকা গিয়ে সেমিনার শেষে অধ্যাপক রিয়াজ আহমদের সৌজন্যেই ওদের পিতৃপুরুষের পুরনো পল্টনের ভিটের কিছু ধ্বংসাবশেষ দেখতে পেয়েছিল মনোশ্রী। তাদের সেই বিশাল বাগানওয়ালা বাড়ি, জমি তখন ছোট ছোট প্লটে বিভক্ত। তবুও সেই জমিতে মাথা তুলে দাঁড়ানো বাবার স্মৃতিতে উজ্জ্বল বিশাল বকুল গাছের তলায় দাঁড়িয়ে হাত ভরে নিয়েছিল বকুল ফুল। তার সুগন্ধে ভরে উঠেছিল ক্ষণকালের বন্ধুত্ব।
তারপর— কেটে গিয়েছে এক যুগ। এরমধ্যে মনোশ্রীর নামের পাশে যোগ হয়েছে বিদেশি গবেষণালব্ধ ডিগ্রি। ইচ্ছে থাকলেও আর ঢাকা যাওয়া হয়নি।
এখন এখানে এক বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব ছাড়াও উচ্চশিক্ষা সংসদের কার্যকরী সমিতির সদস্য পদে সর্বক্ষণের ব্যস্ততা। ঢাকার পুরনো পল্টনের একদিনের স্মৃতিসুখ যেন ঝরা বকুলের গন্ধের মতো।
ভাবনার মাঝে চিঠির পাতায় চোখ রাখে মনোশ্রী।
—‘এক দশকেরও অতীত কোনও স্মৃতি আপনার মনে আছে কি? পত্রশেষে প্রেরকের নাম কি আপনাকে অদূর অতীতের কোনও বকুল গন্ধের সুরভি মনে করায়?
একদিন চকিত চমকের মতো এসেছিলেন আমাদের দৌলত মঞ্জিলে। এটা নাকি ছিল আপনাদের পিতৃপুরুষের বাসভূমি। আপনার বাবার ফেলে আসা ‘দেবনিবাস’ দেখতে এসে একদিনেই আপনি আমার বাবা আর মায়ের স্নেহের ভাগীদার হয়েছিলেন। আমার আব্বুও তাঁর ফেলে আসা কলকাতার বাসভূমির স্মৃতিতে মগ্ন বিষাদে আপনাকে পেয়ে আন্তরিক খুশি হয়েছিলেন। ভেবেছিলাম, যোগাযোগ রাখব। কিন্তু মনে হল ক্ষণিকের পরিচয় ক্ষণকালের সীমাতেই থাক। তবুও কিছুদিন পরে আপনার ঠিকানায় চিঠি পাঠিয়ে উত্তর পাইনি। মনে হয়েছিল ক্ষণকালের ছন্দ অসম্পূর্ণই থাক।
আজ এতদিন পরে আকস্মিকভাবে আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটা সেমিনারে বক্তা হিসেবে যোগ দেওয়ার জন্য আমার কাছে আমন্ত্রণ এসেছে। আয়োজকদের তালিকায় একটি পরিচিত নাম দেখে সাহস করে চিঠিটা লিখলাম। যদি মনে পড়ে—
স্মৃতিধন্য দৌলত চৌধুরী সুমন।’
চিঠি শেষ করে পাশে টেবিলে রাখা চায়ের পাত্রে চুমুক দিতে ভুল হয়ে গেল মনোশ্রীর। এক লহমায় মনে পড়ল এতদিনের ভুলে থাকা ঢাকার সেই সেমিনার, পুরনো পল্টনে খুঁজে পাওয়া তাদের ‘দেবনিবাসে’র নতুন নামের ‘দৌলত মঞ্জিলে’র কথা। সেই ঝরা বকুলের স্নিগ্ধ সুবাস।
প্রথম বাংলাদেশ যাবার সুখস্মৃতি মনে পড়ল। ঢাকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রণী সেমিনারে মনোশ্রী গিয়েছিল পেপার পড়তে। বিমানযাত্রার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও শেষ মুহূর্তে মন পরিবর্তন করে বাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আসলে সে যাত্রাপথের আনন্দ ও দুর্ভোগ দুই-ই পেতে চায়। সল্টলেকের করুণাময়ী টার্মিনাস থেকে বাস ছাড়ে। ঢাকা পৌঁছতে লাগে প্রায় ১২ ঘণ্টা। সকাল সাতটা থেকে সন্ধে সাতটা। অভিবাসন ও শুল্ক দপ্তরের ঝামেলা থাকবে, তবে পথের একটা আকর্ষণ তো আছেই। কাঁটাতারের বেড়া দেখতে পাওয়া কিংবা পদ্মার সঙ্গে প্রথম শুভদৃষ্টির সুযোগ হারাতে চায়নি মনোশ্রী।  বাবার কাছে কত যে পদ্মার গল্প শুনেছে, জেনেছে ঢাকার পুরনো পল্টনে তাদের গাছগাছালি ঘেরা বাড়ির কথা। সুগন্ধী ফুলে ভরা বকুল গাছের তলায় তাঁদের আড্ডার কথা এখনও ভোলেননি বাবা। ঢাকার জগন্নাথ হলে বাবার ছাত্রজীবন কেটেছে। মধুর ক্যান্টিন আর মরণচাঁদের দোকানের গল্প বাবা এখনও ওদের শোনান। এসব শুনে মনোশ্রীরও খুব ইচ্ছে করত একবার ঢাকা গিয়ে ওদের পুরনো বাড়ি দেখে আসে। দাদা বলত, সে বাড়ি হয়তো ভেঙে গিয়েছে। শুনে মন খারাপ হতো। মনে পড়ত ঠাকুমার মুখে শোনা নানা কাহিনি। দেশের বাড়ির আমবাগানের কথা বলতে গিয়ে ঠাকুমার চোখে জল আসত। বাবা-কাকা আর পিসির নামে ছিল ওদের বাড়ির তিনটে আমগাছের নাম— বাবুভোগ, সোনাভোগ আর তোতাভোগ। বাগানের গাছগুলো ছিল আত্মীয়ের মতো। কতদিন কোনও কারণে মনখারাপ হলে ঠাকুমা সবেদা গাছের তলায় লুকিয়ে কাঁদতেন। যেদিন বরাবরের মতো চলে এলেন কলকাতায়, চলে এলেন কিছুটা সচ্ছল উদ্বাস্তু হয়ে সেদিনও সবেদা গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে শেষবারের মতো চোখের জল ফেলেছিলেন। বকুলগাছের তলা থেকে একমুঠো বকুল ফুল বেঁধে এনেছিলেন আঁচলে। দীর্ঘদিন পর্যন্ত সেই শুকনো ফুলের মথিত সুবাস আচ্ছন্ন করে রেখেছিল তাঁর স্মৃতির প্রহর।
আর পদ্মার গল্প তো ফুরতই না। সেই উত্তাল জলরাশি, মাঝিদের সারি গান, জেলেদের জালে ওঠা নদীর রুপোলি শস্য পদ্মার ইলিশের গন্ধে যেন তাঁর মন কেমন করে উঠত। নাতনিকে আদর করে ডাকতেন ‘পদ্মা’ বলে। একটু বড় হতেই মনোশ্রী পদ্মাকে ভালোবেসে ফেলেছিল রবীন্দ্রনাথের ‘ছিন্নপত্র’ পড়ে। ‘পদ্মা চলেছে কোথায়, মনে মনে দেখি’ রবীন্দ্রনাথের কবিতার এই চরণ যেন তার মনেও গুনগুন করত। তাই ঢাকা যাবার আমন্ত্রণ পেয়ে তার মন ভরে উঠেছিল। দেখা না দেখায় মেশা, আর শোনা না শোনায় ভরা তার চিত্ত উদ্বেল হয়েছিল।
আজ এতদিন পরে আবার যেন ডাক পড়ল স্মৃতির ভুবনে। ডাক এল দৌলত চৌধুরী সুমনের পত্রলেখায়। এতদিন যা ছিল বিস্মরণের ছায়ায়। সেবার তিনদিন কেটেছিল ইউনিভার্সিটি গেস্ট হাউসে। আলাপ পরিচয় হয়েছিল অনেকের সঙ্গে। ঢাকা, রাজশাহি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও অনেক কলেজের অধ্যাপকদের সঙ্গেও পরিচয় হল। ওদের উদ্যোগে একদিনের সফরে শিলাইদহে গিয়ে মুগ্ধ হল। রবীন্দ্র স্মৃতিধন্য শিলাইদহ মনোশ্রীর কাছে তীর্থদর্শন।
তবু ভরিল না চিত্ত। ওদের পুরনো বাড়ির জন্য একটা ব্যাকুল বেদনায় বিষণ্ণ হল। কথা প্রসঙ্গে সে কথা উঠতেই বিভাগীয় প্রধান রিয়াজ আহমেদ সব ব্যবস্থা করে দিলেন। পরদিন ছিল বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি, তাই সারাদিনের জন্য মনোশ্রীকে গাড়ি করে ঢাকা শহর ঘোরানোর ব্যবস্থা করা হল।
প্রফেসর আহমেদ তাঁর ড্রাইভারকে বলে দিয়েছিলেন পুরনো পল্টনে ওঁর পরিচিত একজনের বাড়িতে মনোশ্রীকে নিয়ে যেতে। মনোশ্রী সেদিন দারুণ উত্তেজিত। এই সেই পুরানা পল্টন— বুদ্ধদেব বসু থাকতেন, কাছাকাছি অজিত দত্ত। প্রতিভা বসু রানু সোম নামে সুধাকণ্ঠের জন্য এখানেই বিখ্যাত ছিলেন। বাবা বলে দিয়েছিলেন এই পুরনো পল্টনেই ছিল তাঁদের বাড়ি দেবনিবাস।
ড্রাইভার বলল— ‘আপা, এটাই পুরানা পল্টন।’ মনোশ্রী উত্তেজিত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে এসেছিল রাস্তায়। কিছুটা হেঁটে এগল। বোধহয় একটু আনমনা ছিল। কী করে খুঁজে পাবে তাদের এককালের ‘দেবনিবাস’? হঠাৎ একটা গাড়ি এসে তার প্রায় পাশে দাঁড়িয়ে গেল। হর্নের শব্দে সচকিত হয়ে সে সরে যাচ্ছে এমন সময় গাড়ি থেকে বেরিয়ে এল এক তরুণ— ‘সালাম আলেকুম, আপনি কি কাউকে খুঁজছেন?’
‘আমি মানে’ একটু থমকে মনোশ্রী বলল, ‘আমি কলকাতা থেকে এসেছি।’
‘ও, ইন্ডিয়া থেকে আসছেন?’
এবার ড্রাইভার বসির মিঞা এগিয়ে এল—
‘ভাইসাব, আমাগো সাহেব আপারে এহানে পাঠালেন’
‘ও আপনি, রিয়াজ চাচার বাসা থেকে আসছেন, আসুন আসুন।’
গেট পেরিয়ে গাড়ি থেকে নেমে দু’জনেই বাড়ির ভিতরে এসেছিল।
‘বাবা, ইনি ইন্ডিয়া থেকে আসছেন।’ সৌম্যদর্শন বৃদ্ধ ভদ্রলোকটিকে দেখে সম্ভ্রম জাগে।
‘প্রফেসর আহমেদ আমাকে পাঠালেন। আমি কলকাতা থেকে এসেছি মনোশ্রী দেব।’
‘এসো মা এসো। রিয়াজ আমাকে ফোনে তোমার কথা বলেছে— এ আমার ছেলে।’
 ‘নমস্কার, আমি দৌলত চৌধুরী সুমন।’
...
এতক্ষণ সেই ফেলে আসা অনতি অতীতের ঢাকার স্মৃতি মনোশ্রীর মনোদর্পণে প্রতিবিম্বিত হচ্ছিল। সেদিনের আকস্মিক দেখা দৌলত চৌধুরী সুমন আজ এখানে এই কলকাতায়। এভাবে দেখা হবে কে ভেবেছিল? সেদিনের বকুল বিছানো পথ ধরেই কি দৌলত সুমন এলেন কলকাতার পথে?
বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাগৃহ সুসজ্জিত। আমন্ত্রিত অতিথিরা একে একে আসছেন। বিভিন্ন বিভাগের পক্ষ থেকে সকলকে নানা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁদের আপ্যায়নের। নানা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির অধ্যাপকবৃন্দ এসেছেন এই ইন্টার ডিসিপ্লিনারি সেমিনারে।
প্রধান কনভেনর মনোশ্রী অতিথিদের মধ্যে খুঁজে ফিরছে একদিনের চেনা একটি মানুষকে। হয়তো সেই মানুষটিও তাকেই চিনে নিতে চাইছে। তখন তো মোবাইল আর সেলফির এত আয়োজন ছিল না, তাই ছবিতেও ধরা নেই কোনও স্মৃতিচিত্র।
সমাগত অতিথিরা অনেকেই চেনা মুখ। সস্মিত দৃষ্টিতে তাদের আপ্যায়ন করে মনোশ্রীর দৃষ্টি থমকে গেল এক পলকে— চেনা-অচেনার আধো আভাস— ‘সুপ্রভাত’।
উত্তরে হাত তুলে নমস্কার করতে গিয়ে মনোশ্রী থমকে দাঁড়াল। বিমুগ্ধ বিস্ময়ের ঘোর কাটিয়ে মুহূর্তেই সপ্রতিভ মনোশ্রী বলল, ‘সুস্বাগতম, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে সানন্দ আহ্বান জানাচ্ছে।’
কিছু অধ্যাপক ও ছাত্রমণ্ডলী তখন ঘিরে ধরেছে বাংলাদেশের সুখ্যাত অধ্যাপক ও জনপ্রিয় লেখক দৌলত চৌধুরী সুমনকে। আর তখনই মনোশ্রী অনুভব করল সেদিনের নবীন অধ্যাপক দৌলত চৌধুরী সুমন এবং আজকের বিদগ্ধ অধ্যাপক ও বিখ্যাত লেখক ‘সুমন’ যে অভিন্ন ব্যক্তি তা এতদিন তার অগোচর ছিল।
এক লহমার জন্য দু’জনের দৃষ্টি অপলক বিস্ময়াবিষ্ট।
প্রথাগত সেমিনার, প্রথম পর্বের শেষে মধ্যাহ্নভোজন। অতিথিদের আপ্যায়নে ব্যস্ত মনোশ্রী এক ফাঁকে বলল, ‘সেদিন আপনাদের বাড়িতে আপনার মা যে কী যত্নে কী আদরে আমাকে খাইয়েছিলেন, এখনও মনে আছে।’ স্মৃতি দূরবিনে চোখ মেলে এতদিন পর মনোশ্রী যেন দেখতে পেল সেই পুরনো দিনের ছবি।
মণিরা বেগম বললেন, ‘ঢাকায় এসেছ, তোমার দেশের বাড়ি। ইলিশ মাছ না খেলে তো ছাড়ান নাই।’— এতদিন পরে হঠাৎই দৌলত সুমনের মায়ের কথা মনে পড়ল মনোশ্রীর। মনে পড়ল পাঁচরকম মাছের পদসহ বিপুল নৈশ ভোজের সযত্ন আয়োজন।
সেমিনারের দ্বিতীয় ও শেষ দিনে দৌলত চৌধুরী সুমনের ভাষণ ও মনোশ্রীর ধন্যবাদ জ্ঞাপনের পর সভা ভঙ্গ। সভা শেষে মনোশ্রী বলল—
‘একটা অনুরোধ, আপনাকে আজ আমাদের বাড়ি যেতে হবে। আমার বাবা আপনাকে একটি বার দেখতে চান। ঢাকা আজও তাঁর কাছে স্বভূমি। আপনার মধ্যে সেই মাটির ঘ্রাণ নিতে চান। আপনার ফ্লাইট তো কাল সকালে। আজ অন্তত একটি বার...’
‘চলুন।’
ঢাকার পুরনো পল্টনের দেবনিবাস— বর্তমান দৌলত মঞ্জিলের তরুণ যেন দেশের মাটির ঘ্রাণ, সুবাতাস ফিরিয়ে আনল অশীতিপর বৃদ্ধের প্রশান্ত মুখে। তাঁর সস্নেহ দৃষ্টিতে স্নাত দৌলতের চোখে জল এল। ওর বাবা-মা দু’জনেই আজ প্রয়াত। মাত্র একদিন দেখা মনোশ্রীর কথা ওঁরা ভোলেননি শেষ দিন পর্যন্ত। মনোশ্রীর বাবাকে দেখে দৌলত সুমনের যেন বড় আপন মনে হল। এক আশ্চর্য অনুভূতিতে আচ্ছন্ন হল, যার ব্যাখ্যা মেলে না। এক অনুত্তর জিজ্ঞাসায় আচ্ছন্ন হল মনোশ্রীও।
স্মৃতি পিপীলিকা কি সত্যিই সংগ্রহ করে মৃত মাধুরীর কণা? এই স্বগত প্রশ্নে নিজেকে বিদ্ধ করল সে। আশ্চর্য হল এক যুগ আগের একটা দিন এমনভাবে তার মগ্ন চৈতন্যে ছিল এতদিন অনুভব করেনি। একে কী বলে— অনুরাগ, প্রেম, স্মৃতি? হয়তো কিছুই নয়।
দু’জনেরই মনে হল কাঁটাতারের বেড়ার ব্যবধানে থাকা দু’টি মন অদূর অতীতে মুহূর্তের জন্য যে নিবিড় সখ্যে আবদ্ধ হয়েছিল— সেই ক্ষণটুকুই সত্য।
মনোশ্রী বলল, ‘আমার মোবাইল নম্বর তো পেয়েছেন, এবার যোগাযোগ সহজ হবে।’
‘না, অন্তত আপনাকে চিঠি লেখার সুযোগটা থাক। যন্ত্র নয়, হাতের লেখার একটা মূল্য আছে। আমাদের ক্ষণ মুহূর্তের বন্ধুত্বে না হয় সেই স্মৃতিস্বাক্ষরটুকু থাক।’
উত্তরে নীরবে সম্মতি জানাল মনোশ্রী।
‘আর সেই হারানো ছন্দে না হয় থাক সেদিনের ঝরা বকুলের গন্ধ। আমাদের বাড়ির সেই বকুল ফুলের গাছটা আপনার মনে আছে? ওটা তো শুধু আমাদের নয়, একসময় আপনাদেরও ছিল। ওটাই থাক আমাদের বন্ধুদের স্মারক, স্মৃতিকুসুম।’
মনোশ্রীর মনে হল সময়ের অপসারণ ঘটছে। ঢাকার দৌলত মঞ্জিল থেকে চলে আসার কথা যেন স্মৃতিতে ফিরে এল।
গাড়ির দরজা খুলে দাঁড়াল ড্রাইভার। নমস্কার বিনিময় করে মনোশ্রী গাড়িতে উঠল। গাড়ি স্টার্ট করার আগে দৌলত সুমন হাত বাড়িয়ে দিল মনোশ্রীর দিকে। তার প্রসারিত হাতের পাতায় ভরা সুবাসিত ঝরা বকুল ফুল।
‘নিন, মনে পড়বে দেবনিবাসের স্মৃতি।’ হাত ভরে ঝরা বকুলের গন্ধ মেখে মনোশ্রী সেদিন বলেছিল স্নিগ্ধ কণ্ঠে—
‘মনে থাকবে দৌলত মঞ্জিলের স্মৃতিও।’
আজ এক যুগ পরে সেই বিস্মৃত স্মৃতি যেন ফিরে এল ক্ষণকালের বন্ধুত্বের সুবাস নিয়ে। বিদায়বেলায় ওরা দু’জনেই অনুভব করল সেই স্মৃতি কুসুমের সৌরভ, কাঁটাতারের সীমানা ছাড়িয়ে আজও বকুল গন্ধে বন্যা এল।
02nd  April, 2023
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
অপরাজিতা
মীনাক্ষী সিংহ

জুনিয়র ডাক্তার সুমন সান্যাল জানিয়ে গেল অপারেশন থিয়েটার রেডি, এবার ডাঃ মিত্রকে যেতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠলেন সার্জেন মাধবিকা মিত্র। আজ একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন। বছর সতেরোর মেয়েটির মায়ের মুখ মনে পড়ল মাধবিকার। বিশদ

18th  February, 2024
একনজরে
ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকট। শুক্রবার ক্ষোভে হরিরামপুর-ইটাহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। হরিরামপুর থানার বিশাল ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: দিল্লিকে ২৬৭ রানের টার্গেট দিল হায়দরাবাদ

09:19:47 PM

আইপিএল: ২৮ বলে হাফসেঞ্চুরি শাহবাজ আহমেদের, হায়দরাবাদ ২৬০/৭ (১৯.৫ ওভার) (বিপক্ষ দিল্লি)

09:17:34 PM

আইপিএল: ১ রানে আউট প্যাট কামিন্স, হায়দরাবাদ ২৫৬/৭ (১৯.৪ ওভার) (বিপক্ষ দিল্লি)

09:14:09 PM

আইপিএল: হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ৫৫ রান দিয়ে চার উইকেট নিলেন কুলদীপ যাদব

09:11:58 PM

আইপিএল: ১৩ রানে আউট আব্দুল সামাদ, হায়দরাবাদ ২৫০/৬ (১৯.১ ওভার) (বিপক্ষ দিল্লি)

09:10:54 PM

আইপিএল: ৩৭ রানে আউট নীতীশ রেড্ডি, হায়দরাবাদ ২২১/৫ (১৭ ওভার) (বিপক্ষ দিল্লি)

09:09:41 PM