Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ভালোবাসার বাগান
বিতস্তা ঘোষাল

‘অরণী কোম্পানির অসাধারণ পেন আমি এখন আপনাদের দেখাতে চলেছি। হলফ করে বলতে পারি এর আগে যত বল পেন আপনারা ব্যবহার করেছেন, এই পেনে একবার লিখলে আগের সব পেন বাতিল করে দেবেন। জিরো পয়েন্ট  ফাইভ রিফিল, অখাদ্য হাতের লেখাকেও সোনার মতো করে তুলবে। ভাবছেন নিশ্চয়ই অনেক দাম। ঠিকই ভাবছেন। এমন একটা পেনের মূল্য যে কোনও দোকানে গেলে মিনিমাম তিরিশ টাকা। এখানে কোনও দোকানের লোক থাকলে তিনি নিশ্চয়ই একমত হবেন। কিন্তু অবাক হবেন আজ আমাদের কোম্পানি কী দামে এই কলম আপনাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন জেনে...’ 
এক নাগাড়ে কথাগুলো বলে ছেলেটি বাসে বসা মানুষগুলোর মুখের দিকে তাকাল। কী যেন নিরীক্ষণ করে সামনের সিটে বসা ছেলেটির দিকে একটা কাগজ আর পেনটা এগিয়ে দিয়ে লিখে দেখতে বলল। ছেলেটি লিখতে লিখতেই সে আবার বলে উঠল, ‘কোম্পানি শুধুমাত্র এই একটি পেনই আজ বিক্রি করছেন না, তার সঙ্গে দিচ্ছে আরও দুটো পেন,’ বলে পকেট থেকে আরও দু’টি প্রায় একই রকম দেখতে পেন বের করল। হাতে ধরে সেটা চারদিকে দেখাতে দেখাতে বলল, ‘এর গায়েও দেখুন লেখা অরণী। একেকটির দাম মিনিমাম কুড়ি টাকা। হাতে নিয়ে দেখতে পারেন,’ বলে আবার একটু থেমে যাত্রীদের মুখের দিকে তাকিয়ে রইল। যেন বোঝার চেষ্টা করল ক্রেতাদের প্রতিক্রিয়া। 
নাহ, এখনও আমার বলা শেষ হয়নি। চারদিকে একবার তাকিয়ে নতুন উদ্যমে বলে উঠল, ‘এর সঙ্গে রয়েছে দুটো ছ’টাকা দামের রিফিল। যদি আমরা হিসেব করি তাহলে দেখা যাবে এই তিনটে পেন আর রিফিল মিলিয়ে মোট দাম পড়ছে ৮২ টাকার মতো। আপনারা যাঁরা ভেবেছিলেন এই পেন নেবেন, দাম শুনে নিশ্চয়ই ভাবছেন আর নেওয়া হল না। কিন্তু না, মন খারাপের কোনও অবকাশ নেই। কোম্পানি এই তিনটে পেন ও রিফিল দিচ্ছেন প্রায় বিনামূল্যে। অনুমান করে বলতে পারবেন কত হতে পারে?’
ডান দিকের জানলার ধারে বসা একটি ছেলে বলে উঠল কুড়ি। তার দেখে আরও দু-একজন বলল, পঁচিশ, তিরিশ, পঞ্চাশ...।
পিয়াসা খুব মন দিয়ে দেখছিল ছেলেটিকে। তার বিক্রি করার পদ্ধতিটা দেখে মজা লাগছিল। প্রায় দশ বছর পর সে বাসে উঠেছে। শিয়ালদার নার্সারি থেকে গাছ কিনে ফিরছে। আজকাল তার বাগান করার নেশা তীব্র হয়েছে। অন্য কোথাও হলে গাড়িতেই যেত, কিন্তু রাস্তার উপরের এই গাছের নার্সারিগুলোর সামনে গাড়ি রাখার কোনও সুযোগ নেই। তাই বাসেই এসেছিল। সঙ্গে সমুদ্র। অফিস থেকে হোয়াটসঅ্যাপ করা মাত্র সমুদ্র ফোন করে বলেছিল, ‘একা যাবে না। আমি আসছি গাড়ি নিয়ে।’
—কিন্তু ওখানে গাড়ি রাখা যায় না। বাসে যেতে হবে।
—বাসে কেন? এসে তাহলে ক্যাব বুক করে নিচ্ছি। অপেক্ষা কর।
কলেজ স্ট্রিটে তার অফিসে এসে সমুদ্র যখন ফোন করে তাকে নীচে ডাকল আকাশ অন্ধকার হয়ে এসেছে। এক ফোঁটা দু’ফোঁটা করে বৃষ্টি গায়ে এসে পড়ল। পিয়াসা সেদিকে লক্ষ করে বলল, ‘কী করবে? যাবে?’
সমুদ্র বলল, ‘দু’মিনিট দাঁড়িয়ে তাহলে ক্যাবটা বুক করে নিই।’
সমুদ্রের হাতটা নিজের হাতে ধরে পিয়াসা আদুরে গলায় বলল, ‘শোনো না, আজ বাসে যাবে? কতদিন বাসে উঠিনি।’ 
—তুমি বাসে উঠতে পারবে না সোনা। বসার জায়গা পাবে না, রড ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে গেলে তোমার মাথা ঘুরবে। 
—কিচ্ছু হবে না। আগে তো উঠতাম।
—তখন তোমার বয়স অনেক কম ছিল। অভ্যস্ত ছিলে।
কিন্তু পিয়াসা জেদ করল, ‘আমি গেলে বাসেই যাব। নইলে ছেড়ে দাও।’
‘আচ্ছা বেশ, চলো,’ বলে অনিচ্ছা নিয়েই বাস স্টপের দিকে এগিয়ে গেল সমুদ্র। বাসে ওঠামাত্র তুমুল বৃষ্টি নামল। বসার জায়গা পেলেও জলের ঝাপটায় প্রায় ভিজে গেল দু’জনেই। এমনকী বাসের সিলিং থেকেও জল গড়িয়ে গায়ে পড়ছে। কন্ডাক্টর বলল, ‘বাস পরের সপ্তাহেই কাটাইতে যাবে। তাই আর মালিক সারাচ্ছে না।’
সমুদ্র বিরক্ত হলেও পিয়াসা তার দুটো হাত দিয়ে ধরে রেখেছিল সমুদ্রের হাত। ‘এই পাগলিকে নিয়ে যে কী করি! এমন অবুঝ হয়ে যাও মাঝে মাঝে,’ সমুদ্র হাতে চাপ দিয়ে বলল।
পিয়াসা বলল, ‘দুটো অপশন। এক মেনে নাও, নয় ছেড়ে দাও।’ 
সমুদ্র হাসল— ‘এত বছর ধরে মেনেই নিয়েছি। ছাড়ার কথা ভুলেও ভেব না।’
শিয়ালদায় নামার পরেও বৃষ্টি পড়ছিল। ভিজতে ভিজতেই একটা নার্সারিতে গিয়ে ঢুকল দু’জনে। সেখানে বিক্রেতা খাবার রান্না করে সদ্য ধোঁয়া ওঠা ভাত আর মাছের ঝোল খাচ্ছে। তাদের দেখে সরিয়ে রাখতে গেল তাড়াতাড়ি। পিয়াসা বলল, ‘খেয়ে নিন। তারপর নেব। এমনিতেও এত বৃষ্টিতে কিনেও সঙ্গে সঙ্গে বেরতে পারব না। আমরা বরং এই বেঞ্চে বসি আপনার অনুমতি পেলে।’
লুঙ্গি আর খালি গায়ের বয়স্ক মানুষটি দাঁত খুঁটতে খুঁটতে বলল, ‘হ্যাঁ হ্যাঁ দিদিমণি বসুন। আমি খেয়ে নিই।’
অন্য সময় তার সামনে কেউ দাঁত, নাক খুঁটলে বমি পায় পিয়াসার। কিন্তু আজকের দিনটা যেন সবের থেকেই আলাদা। একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে সমুদ্র। এই মানুষটির সঙ্গে দীর্ঘদিন ঘর করেও রোজই নতুনভাবে তাকে খুঁজে পায় সে। রাস্তায় জমে যাওয়া জল আর অজস্র গাছেদের চাড়ার মাঝে বসে অদ্ভুত একটা ভালো লাগায় মন ভরে যাচ্ছিল তার। তাই লোকটিকে উপেক্ষা করে গাছেদের দিকে তাকিয়ে রইল। 
পৃথিবীতে যখন কোনও প্রাণী ছিল না, তখন চারদিকে ছিল কেবল জল। আর এই জলেই প্রথম জন্ম নেয় উদ্ভিদ। প্রথমে এককোষী জীব শ্যাওলা। তাও দুশো কোটি বছর আগে। প্রথম ফুলের উৎপত্তিও দেড় কোটি বছর হল। সামনে রাখা নানান রকম গাছেদের দিকে তাকিয়ে পিয়াসা ভাবছিল এসব কথাই। এই যে একটা সময় পৃথিবীর অর্ধেক জল আর অর্ধেকেরও কম স্থলভাগের একটা বড় অংশ জুড়ে জঙ্গল গড়ে উঠল মানুষ তাকেই বাসস্থান গড়ার প্রয়োজনে ধীরে ধীরে কেটে পরিষ্কার করে বাসভূমিতে পরিণত করল। আচ্ছা, আমি যদি টারজান হতাম কেমন হতো! গাছেতেই থাকতাম। সারাদিন সবুজের সঙ্গে। তাতে কী এই জীবনটা নষ্ট হতো! 
তার ভাবনার ছেদ ঘটিয়ে গাছ বিক্রেতা বলল, ‘আমি খেয়ে একটু না গড়িয়ে পারি না বুঝলেন দিদিমণি। তা কী কী গাছ লাগবে?’ একটা বিড়ি ধরাল সে।
পিয়াসা মাটির ভাঁড়ে, নানা আকৃতির পাত্রে লাগানো গাছগুলো থেকে কয়েকটা বেছে নিল। সমুদ্রকে বলল, ‘আপাতত এতেই হবে কী বল?’
সমুদ্র হাসল। কর্ত্রীর ইচ্ছায় কর্ম। মুখে বলল, ‘আরও কিছু পছন্দ করলে করতে পার।’
পিয়াসার চোখ দুটো আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে উঠল। সমুদ্রের সবচেয়ে বড় গুণ তার কোনও কিছুতেই সে বাধা দেয় না। 
পিয়াসা মাঝে মাঝে উত্তেজিত হয়ে বলে, আমার সব অত্যাচার তুমি কেন নীরবে মেনে নাও? প্রতিবাদ কর না কেন?
সমুদ্র দার্শনিক সুলভ ভঙ্গিতে বলে, ভালোবাসলে সেটা অত্যাচার মনে হয় না। সেটা তখন নিজেরই চাওয়া হয়ে যায়।
পিয়াসার ইচ্ছে করে খুব রাগ করতে, চেঁচিয়ে বকতে, কিন্তু সমুদ্রের কথা শুনে হেসে ফেলে। কাছে গিয়ে ফিস ফিস করে বলে, খ্যাপা একটা।
....
গাছ কিনে আবারও যখন বাসে উঠল, তখন বৃষ্টি থেমে গিয়ে রোদ উঠে গিয়েছে। বাসে বসার জায়গায় বসে পিয়াসা গুনগুন করল, ‘মেঘের কোলে রোদ হেসেছে বাদল গেছে টুটি...’ আর ঠিক তখনই হকারটা উঠে লেডিস সিট আর জেনারেল সিটের মাঝখানে দাঁড়িয়ে পেন নিয়ে বলতে শুরু করল।
পিয়াসার চোখ এখন হকারটির দিকে। একদম সাধারণ একটা মানুষ। হাজার লোকের ভিড়ে দেখলে আলাদা করে চেনাও যাবে না। পরনে অতি সাধারণ একটা শার্ট আর প্যান্ট। কাঁধ থেকে ঝোলাটা নামিয়ে হাতে পেন নিয়ে সে তার কথা শুরু করেছিল। পিয়াসা তার প্রোডাক্ট বিক্রির অসাধারণ ক্ষমতা দেখছিল। এমনই দেখত যখন ট্রেনে বা বাসে বহু বছর আগে সে সফর করত। ঝালমুড়ি, শিঙাড়া, ছোলামাখা, চিরুনি, গামছা, সেপ্টিপিন, হজমের গুলি, ফল, খেলনা, বই— কী নিখুঁত দক্ষতায় একেক জন বিক্রি করত। তার মনে হতো কোনও ইনস্টিটিউট বা স্কুলে এমনভাবে ট্রেনিং দেওয়া হয় না। অনেক টাকা দিয়ে এমবিএ ডিগ্রি নিয়েও নিজের প্রোডাক্টকে এভাবে বেচার ক্ষমতা সকলের থাকে না।
বাবা বলত, জীবনের পাঠশালায় এরা প্রতিদিন লড়তে লড়তে এতটাই শিক্ষা পেয়েছে যে, তাতেই তারা উচ্চ শিক্ষিত হয়ে উঠেছে। আমাদের জীবনের থেকে বড় শিক্ষক আর স্কুল কোথাও নেই রে।
হকারটি হঠাৎ তার সামনে এসে বলল, ‘দিদিভাই, আপনি বলুন তো কত হতে পারে এতগুলো পেনের দাম?’
পিয়াসা মাথা নেড়ে বলল, ‘কোনও ধারণা নেই।’
উল্টো দিকের সিটে বসে থাকা সমুদ্র বলল, ‘আছে আছে, হাতিবাগানে ঘুরে যখন তিনশো টাকার জামা পঁচাত্তর টাকায় কিনতে দর করতে সেই দিনগুলো মনে কর।’
পিয়াসা লাজুক মুখে বলল, ‘তুমি তিরিশ বছর আগের কথা বলছ। সে দিন গেছে চলে।’
হকার ছেলেটি হেসে বলল, ‘এখানে কোনও দরাদরি নেই।’ তারপর একটু সরে গিয়ে বলল, ‘যাত্রীরা, বন্ধুরা আজ আমাদের কোম্পানি এই তিনটে দামি পেন, সঙ্গে দুটো রিফিল নিয়ে পুরো পাঁচটার সেট দিচ্ছে মাত্র দশ টাকায়। একশো নয়, পঞ্চাশ নয়, পঁচিশও নয়। মাত্র দশ টাকায়। মানে প্রায় বিনামূল্যে। বলুন কার কার লাগবে?’
অনেকগুলো হাত তৎক্ষণাৎ এগিয়ে গেল হকারের দিকে।
পিয়াসার সেদিকে তাকিয়ে মনে পড়ল ট্রেন যাত্রার দিনগুলো। যা যা জিনিস উঠত তার যাত্রাপথে দরকার হোক, না হোক সব সে কিনত। সঙ্গীরা রাগ করলে বলত, কোনটা কখন কার কাজে লাগবে কে জানে? তাছাড়া আমরা না কিনলে ওদেরই বা চলবে কী করে? 
আহা রে! দাতা কর্ণ! তা এতই যখন দরদ তখন নিজের দামি দামি জিনিসগুলো এদের দিয়ে দিতে পারিস তো! নিত্য যাত্রী রিমার বক্রোক্তি শুনে সে বলেছিল, ভুলে যাস না, এদের আত্মসম্মান আছে। দান গ্রহণ করতে হলে এত ঝুঁকি নিয়ে এরা এভাবে জিনিস বিক্রি করত না। আর কিছু না পারিস এই প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানাতে তো পারিস।
রিমা পরদিন থেকে কমপারমেন্ট বদলে নিয়েছিল।
সেই কথাগুলো মনে করে পিয়াসা সমুদ্রকে ইশারায় পেন নিতে বলল। তারপর পাশের যাত্রীর দিকে তাকাল। একটা ছোট্ট ফোল্ডিং পাখা নাড়তে নাড়তে মেয়েটি তার সঙ্গীকে বলছে, ‘এই শুনছ দাদু ক্রমাগত ফোন করছে। কী বলি বল তো ?’
ড্রাইভারের পাশের সিটে বসা তার সঙ্গী বিরক্তি নিয়ে বলল, ‘বল রাস্তায় জল জমে জ্যামে বাস আটকে। এত যখন প্রেম নাতনির জন্য গাড়ি দিয়ে পাঠালেই তো পারতেন।’
মেয়েটি সে প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ফোন ধরে বলল, ‘হ্যাঁ দাদু, আমি এখন সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউতে। আর দশ মিনিটের মধ্যেই এসে যাব। তুমি খেয়ে নাও। দেরি কর না।’
বাসটা শিয়ালদা ফ্লাইওভার থেকে নেমে দাঁড়াল। রেলিংয়ে বিশাল পোস্টার এক হিরোর। গেঞ্জির বিজ্ঞাপন। সেদিকে তাকিয়ে পিয়াসার মনে পড়ল জনপ্রিয় একটা গান— ফুল কলি রে ফুল কলি বল তো এটা কোন গলি। ও এই গলিতে যদি কেউ একবার আসে সেই তো ফাঁসে... এ যেন এক অন্ধ গলি গোলক ধাঁধা চোখ যে বাঁধা...। কত গলি উপগলি পথ যে পেরতে হয় সমস্ত জীবন ধরে ভাবতে ভাবতে বাসের ভিতরে তাকিয়ে দেখল সেই হকার নেমে গিয়েছে কখন, সে টেরও পায়নি। তার বদলে এখন এক অন্ধ ভিক্ষে করছে। তার বসার সিটের সামনেটায় অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে। সেখান থেকে মাথা গলিয়ে তার দৃষ্টি সমুদ্রকে খুঁজল। দেখতে না পেয়ে সে চিৎকার করে ডেকে উঠল, ‘সমুদ্র, তুমি কোথায়? এখানে এসো, আমি নেমে যাব।’
‘এখনও কলেজ স্ট্রিট আসেনি,’ সমুদ্রর উত্তর ভেসে এল। 
—বাকি পথটুকু হেঁটেই যাই।  
সমুদ্র গাছের চারায় ভরা ভারী ব্যাগটা নিয়ে সামনে এসে বলল, ‘অনেকটা হাঁটতে হবে।’ এই বলে পিয়াসার হাত ধরে সিঁড়ির দিকে এগল।
পিয়াসা বাস থেকে রাস্তায় নেমে সমুদ্রের প্রায় বুকের কাছে মুখ নিয়ে এসে বলল, ‘আদিম মানুষ একদিন এভাবেই পাড়ি দিয়েছিল হাঁটতে হাঁটতে, সঙ্গে ছিল বীজ, চারা, নতুন বসতির আশপাশে খেত বানানোর জন্য। আমরাও একটা বাগান বানাচ্ছি। তার নাম দিয়েছি ভালোবাসার বাগান। এটুকু অতিক্রম করতেই হবে।’
অঙ্কন : সুব্রত মাজী
04th  December, 2022
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
অপরাজিতা
মীনাক্ষী সিংহ

জুনিয়র ডাক্তার সুমন সান্যাল জানিয়ে গেল অপারেশন থিয়েটার রেডি, এবার ডাঃ মিত্রকে যেতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠলেন সার্জেন মাধবিকা মিত্র। আজ একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন। বছর সতেরোর মেয়েটির মায়ের মুখ মনে পড়ল মাধবিকার। বিশদ

18th  February, 2024
একনজরে
দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কংগ্রেস ছাড়লেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ঘনিষ্ঠ নেতা তাজিন্দর সিং বিট্টু

11:42:36 AM

ফের অধীর চৌধুরীকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান
ফের অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হল। ...বিশদ

11:26:47 AM

শহরের আবহাওয়ার হাল-চাল
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই বজায় থাকবে ...বিশদ

11:18:53 AM

দুর্গাপুরে কারখানার বিষাক্ত গ্যাস লিক করে অসুস্থ ৫ শ্রমিক
দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের ব্লাস্ট ফারনেসে গ্যাস লিক। শুক্রবার রাতে বিষাক্ত ...বিশদ

10:58:20 AM

মাথাভাঙায় বাইসনের আক্রমণে জখম ৪
সকাল থেকে কোচবিহারের মাথাভাঙা-১ ব্লকের পচাগড় ও জোরপাটকি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় ...বিশদ

10:52:42 AM

নদীয়ার কালিগঞ্জে সোনার দোকানে বিস্ফোরণ, জখম ১
ব্যাপক বিস্ফোরণে উড়ে গেল সোনার দোকানের ছাদ। ঘটনাটি ঘটেছে, নদীয়ার ...বিশদ

10:40:15 AM