Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অগ্নিযুগ ও শ্রীঅরবিন্দ
ফুলার ও প্রফুল্ল

তাঁর পড়াশোনা বিলেতে। হেলায় ছেড়েছেন আইসিএসের চাকরি। কেন করবেন ইংরেজের গোলামি! তিনিই যে ভারতের অগ্নিযুগের প্রধান ঋত্বিক— বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষ। গত বছর নিঃশব্দে পেরিয়ে গেল তাঁর জন্ম সার্ধশতবর্ষ। শ্রীঅরবিন্দ ও অগ্নিযুগকে কলমের আঁচড়ে ধরার প্রয়াস।

পর্ব- ২৪

পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়: বাঙালিদের কাপুরুষ বলে তামাশা করত ইংরেজরা। মজফ্‌ফরপুরে ক্ষুদিরাম-প্রফুল্ল চাকীর বোমাকাণ্ডের পর ১৯০৮ সালের ১৭ মে মারাঠা ন্যাশনাল রিভিউ পত্রিকা লিখল, ‘যে বাঙালিকে আগে ঘৃণা করা হতো, সে বাঙালিকে এখন ভয় করা হয়!’
ব্রিটিশ শাসকদের এই ভয় ধরানোর প্রয়াস শুরু হয়েছিল মুজফ্‌ফরপুরের ঘটনারও বেশ কয়েক বছর আগে। পূর্ববঙ্গ ও অসমের প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নর ছিলেন জোসেফ ব্যামফিল্ড ফুলার। তিনি ছিলেন মানসিক জটিলতায় আচ্ছন্ন। কখনও ভারী খোশমেজাজি, আবার কখনও যেতেন বেজায় চটে। সহ্য করতে পারতেন না ‘বন্দেমাতরম’ ধ্বনি। এজন্য স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের সইতে হতো নিষ্ঠুর অত্যাচার। এদিকে, নিজের একটা বিদ্যোৎসাহী ভাবমূর্তি খাড়া করতে তিনি ছিলেন সদা সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের লেখালেখির কাজে ব্যস্ত থাকার ভান করতেন। ছাত্রদের কোনওরকম রাজনৈতিক আন্দোলনে যুক্ত থাকাটা ফুলার সাহেবের ছিল এক্কেবারে না-পসন্দ। তাঁর শাসন কালে সিরাজগঞ্জের দু’টি স্কুলের ছাত্ররা বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় দু’টি স্কুলেরই ‘অ্যাফিলেশন’ বাতিল করেছিলেন তিনি।
বাঙালির জাত-ক্রোধটা ফুলার সাহেবের উপর ঘনিয়ে উঠেছিল। ঘরে ঘরে লোক তখন ফুলারের মৃত্যু কামনা করছেন। এমনকী ঘাতককে দু’-পাঁচ হাজার বকসিস দেওয়ার অঙ্গীকারও দু’-চারজন করে ফেলেছেন।
ফুলার বধের জন্য বারীন ঘোষকে আগাম এক হাজার টাকা দিলেন সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র সুরেন্দ্রনাথ। এবার প্রয়োজন অস্ত্রের। নেপালের রাজার অস্ত্র তৈরির কারখানায় ছিল এক বাঙালি মিস্ত্রি। তাকে দলে বাগিয়ে, তার বিদ্যেই মেরে দিয়েছিলেন অরবিন্দ-অনুজ। এপ্রসঙ্গে হেমচন্দ্র কানুনগোও পরে লিখেছিলেন, ‘এই বিদ্যে মেরে নেওয়া কথাটা বারীনের মুখে অনেকবার শুনেছি।’
১৯০৬ সালের মে মাস। অরবিন্দের কাছ থেকে ফুলার বধের নির্দেশ এল। পরবর্তীকালে এবিষয়ে গিরিজাশঙ্কর রায়চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে বারীন বলেছিলেন, ‘ফুলার বধের নির্দেশ নিশ্চয়ই সেজদা (অরবিন্দ) দিয়েছিলেন। নইলে অত বড় কাজ হাতে নিই?’ যাইহোক, ইংরেজ ছোটলাটের পিছু নেওয়া শুরু করলেন বিপ্লবীরা। মেদিনীপুরের একজনের উপর ফুলার বধের ভার পড়ল। ওই মে মাসেরই এক সন্ধ্যায় গোয়ালন্দ যাওয়ার জন্য তিনি ট্রেনে চাপলেন। সন্ধেবেলা তাঁকে শিয়ালদা স্টেশনে পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত।
ফুলার তখন শিলংয়ে। ৮ জুন শিলংয়ে শ্বশুরমশাই ভূপাল বসুকে ইংরেজিতে একটি চিঠি লিখলেন অরবিন্দ। যার মোদ্দাকথা, ‘বারীন অসুস্থ। আমি তাকে শিলংয়ে চেঞ্জে যেতে বলছি। যদি সে শিলং যায়, তবে আমি জানি যে, আপনি বারীনের ভার নেবেন এবং তাঁকে যত্ন করবেন।’ দুটো বোমা ও দুটো রিভলবার নিয়ে বারীন যাত্রা করলেন ছোটলাটের গ্রীষ্মাবাস শিলংয়ের উদ্দেশে। সেখানে পৌঁছেই টেলিগ্রাম করলেন কলকাতায়। পাঠাতে হবে একজনকে। নাম প্রস্তাব হল ক্ষুদিরামের। বয়স কম বা অন্য কোনও কারণে সেই নাম নাকচ হল। ফুলার সংহারের গুরুদায়িত্ব পেলেন হেমচন্দ্র কানুনগো। ভূপেন দত্ত তাঁকে পৌঁছে দিয়ে এলেন শিয়ালদহ স্টেশন পর্যন্ত। গন্তব্য শিলং। কিন্তু সেখানে পৌঁছে দেখেন টোঙ্গায় করে ফিরছেন বারীন। হতভম্ব হেমচন্দ্র। বারীন বললেন, ‘এখানে হবে না। গুয়হাটি ফিরে যেতে হবে।’
এরমধ্যে ফুলার হঠাৎ গেলেন বরিশালে। বিপ্লবীরাও শিকারের সন্ধানে অনবরত ছুটছেন। বরিশাল থেকে গুয়াহাটি, গুয়াহাটি থেকে রংপুর, রংপুর থেকে কলকাতা। এত ঘুরে অর্থ-সঙ্কটে বিপর্যস্ত বিপ্লবীরা। এপ্রসঙ্গে হেমচন্দ্রের লেখআ থেকে জানা যায়, ‘সেখানে ক-বাবুর (অরবিন্দ) কাছে সে যাবৎ ফুলার-বধ চেষ্টার সমস্ত বিবরণ বলে টাকার অভাব জানাল। তিনি তৎক্ষণাৎ প্যাঁটরা হাতড়ে সব সমেত পঁচিশ টাকা মাত্র তাঁর সম্বল আছে দেখালেন। তা-ই সাঙ্কোর (ছদ্মনাম) হাতে তুলে দিলেন। দরকারি দু’-একটা কিছু কিনে সে সেদিনই রংপুরে যাত্রা করল।
আমাদের কুইকসোট স্যাঙ্কোর মারফত আশানুরূপ টাকা না পেয়ে ক-বাবুকে টাকা পাঠাবার জন্য আবার তাগাদা দিয়েছিল। টাকার কোনও উপায় না দেখে ক-বাবু নরেন গোঁসাইকে রংপুরে পাঠিয়ে আদেশ দিলেন, ডাকাতি করে টাকা সংগ্রহ করা চাই।’ উত্তর-বিপ্লবকালে হেমচন্দ্র কানুনগোর লেখা ‘বাংলার বিপ্লব প্রচেষ্টা’ বইয়ে বহু ব্যাপারে অরবিন্দ-বিমুখতা অস্পষ্ট নয়। তাঁর বহু বক্তব্য উস্কে দেয় নতুন বিতর্ক। পরবর্তীকালে হেমচন্দ্রের কাছে হয়তো বিশেষ এক রাজনৈতিক বিশ্বাস বা আনুগত্যের কারণে তাঁর বিপ্লবী জীবনের প্রথমদিকের পেরিয়ে আসা পথের অনেকটাই বিবেচিত হয়েছে ভ্রান্ত বলে। কাজেই কখনও কখনও তাঁর অরবিন্দের বিরুদ্ধে উগরে দেওয়া ক্ষোভ বিস্ময়কর ঠেকে না তেমন।
এদিকে একসময় খবর এল ফুলার রংপুরে না গিয়ে ‘ব্রহ্মকুণ্ড’ স্টিমারে চেপে গোয়ালন্দের পথে রওনা দিয়েছেন। ছোটলাট ট্রেন যোগে যাবেন কলকাতা। প্রফুল্ল চাকী তাঁর পিছু নিয়ে শিয়ালদা পৌঁছে শুনলেন ফুলারের গাড়ি যাবে নৈহাটি। ধাওয়া করলেন সেখানেও। কিন্তু নৈহাটি পৌঁছে তিনি শুনলেন ছোটলাট হুগলি পুল পেরিয়ে ইআইআর রেল ধরে সোজা বম্বে রওনা দিয়েছেন। শিকার হাতছাড়া। হতাশায়-ক্লান্তিতে-শ্রান্তিতে নৈহাটির প্ল্যাটফর্মেই বসে পড়লেন প্রফুল্ল। তাঁর চোখমুখ দেখে ভয় পেয়ে গেলেন সহযোদ্ধারাও। কাছেই ছিল এক ফেরিওয়ালা। একটা সোডা কিনে তাঁকে খাইয়ে— বাকিটা চোখে মুখে দিতে খানিকটা সুস্থ হলেন প্রফুল্ল। মিনিটখানেক পরেই চলে এল কলকাতাগামী ট্রেন। সেই ট্রেনে কলকাতা ফিরেই বিপ্লবীরা সোজা ছুটলেন অরবিন্দের কাছে। সব শুনে তাঁদের নির্বিকারভাবে বাড়ি যেতে বললেন তিনি।
এদিকে, নানা কারণে বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করে বম্বে থেকেই বিলেত ফিরে গেলেন ফুলার।
....
বাংলার তরুণতুর্কিরা আঘাতে আঘাতে টুকরো টুকরো করে দিতে চান ব্রিটিশ শাসকের চাবুককে। ১৯০৭ সালের ৬ ডিসেম্বর। মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের কাছে রেললাইনের নীচে ডিনামাইট পুঁতে রেখে ছোটলাট ফ্রেজারের ট্রেন উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হল। এই বছরই ২৩ ডিসেম্বর গোয়ালন্দ স্টেশনে বিপ্লবী শিশির গুহর গুলিতে গুরুতর জখম হলেন ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট বি সি অ্যালেন। এর কয়েক মাস পরই চন্দননগরের মেয়র তাদিভিলের বাড়িতে বোমা ছোড়া হয় বারীন ঘোষের নেতৃত্বে।
এই কর্মকাণ্ডের মধ্যেই ১৯০৮-এর ফেব্রুয়ারি মাসে দেওঘরের কাছাকাছি দিঘিরিয়া পাহাড়ে বোমা বিস্ফোরণের পরীক্ষা করেন বিপ্লবীরা। আসে সাফল্য। কিন্তু এর প্রতিদানে হারাতে হয় তরুণ বিপ্লবী প্রফুল্ল চক্রবর্তীর অমূল্য জীবন।
নিজেদের তৈরি বোমা পরীক্ষার জন্য তৈরি হয় বিপ্লবীদের পাঁচজনের টিম— উল্লাসকর দত্ত, বারীন ঘোষ, প্রফুল্ল চক্রবর্তী, বিভূতিভূষণ সরকার ও নলিনীকান্ত গুপ্ত। বোমা তৈরির প্রধান কারিগর উল্লাসকর। বাকিরা সহকারী। পরীক্ষার জন্য নির্জন স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয় দিঘিরিয়া পাহাড়। দেওঘর পৌঁছে পাঁচ বিপ্লবী উঠলেন রেললাইনের কাছে একতলা কুঠিবাড়িতে। শান্ত, স্তব্ধ, নির্মল পরিবেশ। সেখান থেকে মাইলখানেকের মধ্যে রোহিণী গ্রাম। সেখানে একটি বাগানবাড়িতে তখনও থাকতেন অরবিন্দের মা— স্বর্ণলতা দেবী। জঙ্গলাকীর্ণ কুঠিটি বিশাল বড় আটচালা ঘর (যদিও দেওয়াল ও মেঝে পাকা)। তবে, সংস্কারের অভাবে খানিকটা জীর্ণ। স্থানীয় মানুষ বাড়িটিকে বলতেন, ‘মেমসাহেবের কোঠি’। কারণ, অরবিন্দের মা ওই অঞ্চল ‘মেমসাহেব’ নামেই পরিচিত ছিলেন।
যাইহোক, এক বিকেলে পাঁচজন চললেন দিঘিরিয়া পাহাড়ের জঙ্গল ভেদ করে পছন্দসই জায়গায়। বিপ্লবী নলিনীকান্তের বর্ণনা থেকে জানা যায়, সেদিনের বোমা বিস্ফোরণের অবিস্মরণীয় ঘটনাটি। একটা প্রকাণ্ড পাথর সেখানে দেখা গেল— একদিক খাড়া উঁচু, বুক-প্রমাণ হবে। আর একটা দিক ক্রম ঢালু হয়ে নীচে চলে গিয়েছে বিশ-পঁচিশ হাত। প্ল্যান হল প্রফুল্ল বোমাটি ছুড়বে খাড়া দিকটির অবডালে পিছনে দাঁড়িয়ে, ঢালু দিকটার দিকে তাক করে। যাতে তিনি ছুড়েই বসে পরতে পারেন। আর বোমা ফাটার টুকরো যেন তার গায়ে না লাগে। উল্লাস থাকবেন পাশে প্রফুল্লকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য। নলিনীকান্ত রইলেন আরও একটু দূরে গাছের উপর। যাতে সবদিকে নজর দেওয়া যায়। বারীন ও বিভূতি রইলেন অন্য দু’দিকে। নলিনী গুপ্ত লিখছেন, ‘আমি এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছি পাথরটার দিকে— হঠাৎ দেখি সেখানে একটা আগুনের ফুলকি জ্বলে উঠল, খানিকটা ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ল আর সঙ্গে সঙ্গে কী বিকট আওয়াজ। সমস্ত আকাশটা যেন ছিঁড়ে ফুঁড়ে ফেটে চৌচির হয়ে গেল, শব্দের তরঙ্গ প্রতিধ্বনিত হয়ে গেল... সহর্ষে গাছ থেকে নেমে দৌড়ে উপস্থিত হলাম ঘটনাস্থলে— সাকসেসফুল, সাকসেসফুল চেঁচিয়ে বলতে বলতে। কিন্তু এ কী? এ কী বীভৎস দৃশ্য? প্রফুল্লর দেহ এলিয়ে পড়েছে উল্লাসের বুকের উপরে, উল্লাস দু’হাতে জড়িয়ে ধরেছে তাকে। আস্তে আস্তে শুইয়ে রাখা হল— দেখা গেল কপালের একটা পাশ চৌচির, তার ভিতর দিয়ে খানিকটা ঘিলু বের হয়ে পড়েছে — চোখে দেখা যায় না। আমরা বসে পড়লাম চারপাশে সব চুপচাপ। বারীনদা বললেন— সব শেষ, কোন আশা নেই। নিঃসাড় নিস্পন্দ দেহ। চক্ষু নিমীলিত, প্রশান্ত মুখমণ্ডল।’
বোমা তৈরির সাফল্যের মুহূর্তে নেমে এল গভীর অবসাদ। কিন্তু প্রফুল্লের দেহের সদগতি কী হবে? গাছপালার মধ্যে আগুন জ্বালালে লোক এসে পড়বে। আবার কবর দেওয়াও সম্ভব নয়। কারণ, শক্ত পাথর খুঁড়ে গর্ত করা অসম্ভব। তাই বারীন্দ্রকুমার বললেন, ‘কিছু করবার দরকার নেই— এভাবেই রেখে চলে যাওয়া যাক। এটা যুদ্ধক্ষেত্র। যুদ্ধক্ষেত্রে আমাদের প্রথম সৈনিক তার দেহদান করল— আমাদের এই প্রথম casualty.’
এতক্ষণে বাকিদের দৃষ্টি পড়ল উল্লাসের উপর। একজন বলে উঠলেন, ‘উল্লাসও আহত।’ তাঁর জামায় শত ছিদ্র, রক্তের দাগ সর্বত্র। বারীন ঘোষ বললেন, ‘ওকে এখন দেখা একান্ত প্রয়োজন। যে গিয়েছে, সে গিয়েছে— এখন তা বিবেচনা করবার সময় নেই। আজই ফিরতে হবে কলকাতায়, ডাক্তার দেখানোর জন্যে।’ উল্লাসের চিকিৎসার জন্য এখন একমাত্র ভরসা কলকাতার দেবদূতপ্রতিম চিকিৎসক ইন্দুমাধব মল্লিক।
মৃত বন্ধুকে ফেলে রেখে পাহাড় থেকে নামার সময় কান্নাটা যেন দলা পাকিয়ে গলার কাছে আটকে আসে। নলিনীকান্ত বলে ওঠেন, ‘আমরা এসেছিলাম পাঁচজন, ফিরে যাচ্ছি চারজন।’
শুনে ধমক দিয়ে বারীন্দ্রকুমার বললেন, ‘No sentimentality, please.’
ওইদিন রাতেই আহত উল্লাসকরকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতা যাত্রা করেন বারীন। পরের দিন ভোর হতেই নলিনীকান্ত তাকিয়ে থাকেন দিঘিরিয়া পাহাড়ের দিকে। মনে হয়— চিল শকুন উড়ছে পাহাড়টার উপরে। সেদিন অনেক রাতে এসে পৌঁছন উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দেখতে চাইলেন প্রফুল্লর মৃত্যুস্থান। নলিনীকান্ত লিখেছেন— ‘পৌঁছলাম গিয়ে ঘটনাস্থলে। দূর থেকেই দেখলাম পড়ে আছে দেহটি ঠিক তেমনিভাবে, যেমনটি রেখে গিয়েছিলাম, কাপড়-চোপড় গায়ে ঠিক তেমনি, একটু এদিক-ওদিক হয়নি, গন্ধও কিছু নেই এই তৃতীয় দিনে। যেমন গিয়েছিলাম আবার ফিরে এলাম তেমনি, দেহটিকে তেমনি রেখে।’
এদিকে, পুলিস জানাজানির আশঙ্কা তৈরি হল। অতএব, ছাড়তে হবে দেওঘর। কলকাতা ফেরার আগে নলিনী গুপ্তদের মন চাইল দিঘিরিয়া পাহাড়ে গিয়ে প্রফুল্লকে শেষ বিদায় জানিয়ে আসি। পৌঁছে কী দেখলেন তাঁরা? এই বিপ্লবী নিজেই লিখেছেন, ‘শেষ বিদায়ের আগে একবার শেষ দেখবার ইচ্ছা হল আমাদের দিঘিরিয়া পাহাড় ঘটনার চতুর্থ দিনে। উঠলাম গিয়ে যথাস্থানে কিন্তু কী আশ্চর্য! কোথায় সে দেহ? চিহ্নমাত্র কোথাও কিছু নেই। এদিক ওদিক ঘুরে ফিরে তল্লাশ করা হল— একটা টুকরো কাপড় পর্যন্ত পাওয়া গেল না। জন্তু-জানোয়ারে নিয়ে গেল? কিন্তু এতটুকু চিহ্ন না রেখে? জিনিসটা প্রহেলিকা রয়ে গেল।’
পরে অনেক রকম গুজব ছড়িয়ে পড়ে বিপ্লবী প্রফুল্ল চক্রবর্তীকে নিয়ে। কেউ নাকি তাঁকে দেখেছে কলকাতার রাস্তায়। এমনও শোনা যায় এক সন্ন্যাসী নাকি তাঁর দেহ দেখতে পান এবং বাঁচিয়ে তোলেন ইত্যাদি। সন্দেহ নিরসনের জন্য নলিনীকান্ত গুপ্ত একদিন অরবিন্দকে সটান প্রশ্ন করেন, এ-সকল কাহিনির কোনও ভিত্তি আছে কি না, প্রফুল্লর সত্যিকার খবর কী? অরবিন্দ সুস্পষ্টভাবে বলেছিলেন, ‘ওসব গল্পগুজবই, প্রফুল্ল সত্য-সত্যই মারা গিয়েছে।’     
(চলবে)
18th  September, 2022
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
অপরাজিতা
মীনাক্ষী সিংহ

জুনিয়র ডাক্তার সুমন সান্যাল জানিয়ে গেল অপারেশন থিয়েটার রেডি, এবার ডাঃ মিত্রকে যেতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠলেন সার্জেন মাধবিকা মিত্র। আজ একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন। বছর সতেরোর মেয়েটির মায়ের মুখ মনে পড়ল মাধবিকার। বিশদ

18th  February, 2024
একনজরে
বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:13:07 PM