Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অগ্নিযুগ ও শ্রী অরবিন্দ
উল্লাসকর দত্ত

তাঁর পড়াশোনা বিলেতে। হেলায় ছেড়েছেন আইসিএসের চাকরি। কেন করবেন ইংরেজের গোলামি! তিনিই যে ভারতের অগ্নিযুগের প্রধান ঋত্বিক— বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষ। গত বছর নিঃশব্দে পেরিয়ে গেল তাঁর জন্ম সার্ধশতবর্ষ। শ্রীঅরবিন্দ ও অগ্নিযুগকে কলমের আঁচড়ে ধরার প্রয়াস।

পর্ব- ২২
পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়: ১৯০৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর কলকাতার বিডন পার্কে এক বিরাট সভায় বক্তৃতা দিতে আসেন অরবিন্দ। কারও কারও মতে কলকাতার জনসভায় সেই তাঁর প্রথম বক্তৃতা। তিনি জানান, শিক্ষার জন্য বাল্যকালে তাঁকে পাঠানো হয়েছিল বিলেত, এ কারণে তিনি মাতৃভাষা ভালো করে শেখেননি। এমনকী, মাতৃভাষায় কথা বলতেও অনভ্যস্ত। বিজাতীয় ভাষায় বক্তৃতা করা অপেক্ষা চুপ করে থাকাই শ্রেয় মনে হতো। এ কারণে এতদিন দেশবাসীর সামনে তেমন বক্তৃতা করা হয়ে উঠেনি।
এই সময় তিনি পরপর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা করেন কলকাতার বিভিন্ন স্থানে। অরবিন্দ-শিষ্য ও সহবিপ্লবী নলিনীকান্ত গুপ্ত তেমনই এক জনসভায় দূর থেকে প্রথম দেখেছিলেন বক্তৃতারত অরবিন্দকে। ‘স্মৃতির পাতা’ গ্রন্থে নলিনীকান্ত লিখেছেন— ‘... একদিন দেখেছি শ্রীঅরবিন্দকে, গোলদীঘির এক সভায়, গোধূলির নিলীয়মান আলোকে। একখানা আলোয়ান দিয়ে আপাদমস্তক ঢাকা প্রায়। বোধহয় কিছু অসুস্থ ছিলেন তখন। তাঁর কণ্ঠ মৃদু, কিন্তু প্রতিটি বাক্য সুস্পষ্ট ও সুদৃঢ়। উন্মুক্ত আকাশতলে বিপুল জনসঙ্ঘ নির্বাক নিস্তব্ধ— যাকে বলে ছুঁচটি পড়লেও তার শব্দ শোনা যায়। আমার মনে আছে শুধু এই ক’টি কথা তাঁর— মাতৃভাষা বাংলায় তিনি বলতে পারছেন না, দুঃখের ও লজ্জার কথা। তাঁর শিক্ষা ও পরিবেশ এমন ছিল যে, বিদেশী ইংরেজী ভাষাতেই তাঁকে আত্মপ্রকাশ করতে হচ্ছে— তিনি দেশবাসীর নিকট ক্ষমাপ্রার্থী। আর মনে আছে তাঁর সমস্ত ভাষণের মধ্যে কী একটা সঙ্গীতসুলভ ছন্দমাধুর্য লীলায়িত হয়ে চলেছে। শ্রীঅরবিন্দকে সর্বপ্রথম আমি চাক্ষুষ দেখলাম।’
নলিনীকান্ত গুপ্তের মানিকতলার মুরারিপুকুর বাগানে থাকার সময় প্রথম সুযোগ হয় অরবিন্দের সঙ্গে পরিচয় বা কথা বলার। কতজনের কত কৌতূহল তাঁকে নিয়ে। কেমন তাঁর কণ্ঠস্বর ও চাহনি? কেউ বলতেন— মধুর তাঁর কণ্ঠস্বর। কারও কাছে অরবিন্দের কথায় জলতরঙ্গের সুমিষ্ট ধ্বনি।
স্বদেশিযুগের বাংলার লাট স্যার এডওয়ার্ড বেকার আলিপুর জেল পরিদর্শনে গিয়ে অরবিন্দকে দেখে মন্তব্য করেন, তাঁর চোখ দু’টি পাগলের মতো।
আবার বরোদা কলেজের ইংরেজ অধ্যক্ষের মতে— ‘মিঃ ঘোষের চোখ দু’টিতে মিস্টিক আলো ও আগুন জ্বলছে।’
তাঁর বিপ্লবী শিষ্য উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমবার অরবিন্দকে দেখার স্মৃতিকথায় বলেন— ‘তাহাকে দেখিবার জন্য ভারী কৌতূহল হইত। ... ১৯০৬ সালে একদিন অফিসে গিয়ে শুনিলাম পাশের ঘরে তিনি সশরীরে বর্তমান! বুকটা ধড়াস করিয়া উঠিল। আস্তে আস্তে গিয়া দরজায় উঁকি মারিয়া দেখিলাম। আমার এক সহকর্মী কোণের চেয়ারে উপবিষ্ট কাঠের মত আড়ষ্ট এক মূর্তির দিকে দেখাইয়া দিলেন।
ব্যোম ভোলানাথ! এই অরবিন্দ! মা ধরিত্রী দ্বিধা হও, মা! ঐ রোগা, কালো, সিড়িঙ্গে ম্যালেরিয়াক্লিষ্ট প্রাণী— ঐ অরবিন্দ? ঐ আমাদের Chief?
মনটা প্রায় দমিয়া গিয়াছিল, এমন সময় সেই কাষ্ঠমূর্তি ঘুরিয়া আমার দিকে চাহিলেন। সে চাহনির কি বিশেষণ দিব তাহা খুঁজিয়া পাইতেছি না। কালো তারার আশপাশে একটা কৌতুকপ্রিয় তরলতা মাখানো ছিল, কিন্তু ঐ তারার মাঝখানে এমন একটা অতলস্পর্শ ভাব ছিল যাহা আজও বিশ্লেষণ করিয়া উঠিতে পারি নাই।’
বারীন ঘোষ একদিন মানিকতলা মুরারিপুকুর বাগানে নলিনীকান্ত গুপ্তকে পাঠালেন অরবিন্দের কাছে, বললেন, ‘বাগান দেখতে তিনি আসবেন, তুমি গিয়ে সঙ্গে করে নিয়ে এসো।’
অরবিন্দের সঙ্গে স্মরণীয় প্রথম পরিচয়ের কথায় নলিনীকান্ত গুপ্ত লিখেছেন, ‘মানিকতলা হল উত্তর কলিকাতার শেষপ্রান্ত (তখন)। আর শ্রীঅরবিন্দ থাকতেন দক্ষিণের দিকে, ওয়েলিংটন স্কোয়ার-এর পাশে (রাজা) সুবোধ মল্লিকের বাসায়। আমি ট্রামে চলে গেলাম, বৈকাল চারটা হবে তখন— দরজায় দণ্ডায়মান দারোয়ানকে বললাম ঘোষ সাহেবকে (তিনি তখন ওখানে ঐভাবে পরিচিত) খবর দিতে। আমি একটা চিট্‌ পাঠিয়ে দিলাম, মানিকতলা বাগান হতে, বারীনদার কাছ থেকে আসছি। আমি নীচের তলায় একটা ঘরে অপেক্ষা করছি— শ্রীঅরবিন্দ নেমে এলেন, এসে দাঁড়ালেন আমার কাছে, আমার দিকে তাকালেন জিজ্ঞাসুনেত্রে। আমি বললাম বাংলাতেই— বারীনদা আমাকে পাঠিয়েছেন, আপনি কি এখন যেতে পারবেন বাগানে আমার সঙ্গে?
উত্তর দিলেন তিনি খুব ধীরে, প্রত্যেকটি বর্ণ পৃথক উচ্চারণ করে (বাংলায় কথা বলা তখনও তাঁর রপ্ত হয়নি মনে হল), বললেন— বারীনকে গিয়ে বল, আমার এখনও আহার হয়নি। এখন আর যাওয়া হয় না।
ব্যস, আর কোন কথা না বলে, নমস্কার করে, আমি ফিরে এলাম— এই আমার পুণ্য সাক্ষাৎ, প্রথম দর্শন ও আলাপন।’
প্রেসিডেন্সি কলেজে নলিনীকান্ত গুপ্তের সহপাঠী ও বন্ধু ছিলেন উল্লাসকর দত্ত। পরিভাষায় একটি আপ্তবাক্য, Histroy repeats itself. বহুজনে বহুবার বিবৃত করেছেন— ১৯১৬ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজে কেন এবং কীভাবে বাঙালি-বিদ্বেষী প্রফেসর ওটেনকে জুতোপেটা করা হয়েছিল। কিন্তু ক’জন মনে রেখেছেন, এ ব্যাপারে দুঃসাহসী পূর্বসূরি ছিলেন উল্লাসকর দত্ত?
১৯০৫ সাল, বঙ্গভঙ্গের জন্য তুমুল প্রতিবাদের ঝড় বইছে। এমন অশান্ত ও উত্তপ্ত সময়ে এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্সি কলেজের দর্শনের অধ্যাপক রাসেল অতি কুৎসিত এক মন্তব্য করেন বাঙালি জাতি সম্বন্ধে। বারুদের স্তূপে যেন আগুনের ফুলকি। ছাত্রমহলে তীব্র উত্তেজনা, সবার মনে একই প্রশ্ন, এর কি নেই কোনও প্রতিকার? জবাব নেই এই ভারত-বিদ্বেষ ও বাঙালি-ঘৃণার?
প্রত্যক্ষদর্শী নলিনীকান্ত গুপ্ত লিখেছেন, ‘আমাদের একটি ক্লাস ছুটি হয়েছে, বারান্দা দিয়ে আমরা আর এক ক্লাসে চলেছি এমন সময়ে হঠাৎ চারদিক উদ্বেলিত মুখরিত করে শতকণ্ঠে বিরাট ধ্বনি উঠল বন্দেমাতরম, বন্দেমাতরম। সবাই ছুটল এদিক-ওদিক— কী হল, কী হল— Russel-কে জুতো মেরেছে! —কে? কে?
প্রিন্সিপাল উপস্থিত Dr P.K Roy-প্রেসিডেন্সি কলেজের সেই প্রথম বাঙালী প্রিন্সিপাল, তাও অস্থায়ী— সবাই আমরা ক্লাসে চলে এলাম। আমাদের ক্লাসেই (ঘটনার ঠিক পাশেই ঘরটি ছিল বলে) প্রথমে তিনি প্রবেশ করলেন Russel সমভিব্যহারে। রাসেলের মুখ ক্ষোভে লজ্জায় আরক্ত— তাকিয়ে দেখলেন উপস্থিত সব ছাত্রদের দিকে। বললেন, কাউকে তিনি চিনতে পারছেন না। ক্লাস হয়ে গেলে আমরা গেলাম Physics Thetre-এ— Physics-এর ক্লাস তখন। সেখানেও আবার ঢুকলেন প্রিন্সিপাল সাহেব, জলদগম্ভীর স্বরে বলে উঠলেন I see Bande Matarm has become a war-cry! কিন্তু সমস্ত ক্লাস নিস্তব্ধ নিবাতনিষ্কম্প— আগে যে তুমুল আলোড়ন উত্তেজনাপূর্ণ জনতা ছিল এখন সব প্রশান্ত মূক স্থাণু সব সুশীল সুবোধ ছেলে।
কিন্তু কে এই কাণ্ড করেছিল? উল্লাসকর দত্ত— আমাদের সহপাঠী। সে থাকত ইডেন হিন্দু হস্টেলে। এক পাটি চটি খবরের কাগজে মুড়ে সে কলেজে এসেছিল এবং সুযোগ পাওয়া মাত্র তার সদ্ব্যবহার করেছিল। এই উল্লাসকরের জীবন কাহিনী একখানি ড্রামা— যদিও পরিণতি কারুণ্যপূর্ণ। এই ঘটনার পরে সে বারীন ঘোষের মানিকতলায় যোগ দেয় এবং তার সমস্ত বুদ্ধি ও শক্তি নিয়োগ করে বোমার আবিষ্কারে। বোমার ব পর্যন্ত তার জানা ছিল না। সে-ই কেমিস্ট্রি বই পড়ে, নানা পুস্তক থেকে আহরণ করে, explosives তত্ত্ব আয়ত্ত করে— কেউ তাকে শেখায়নি। তার বাবা দ্বিজদাস দত্ত শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রফেসর ছিলেন— তাঁর বাসায় একটা ছোট ল্যাবরেটরির মত ছিল— উল্লাসকর গোপনে সেখানে হাত মক্স করত। এ কাজে কতদূর সফল হয়েছিল তার প্রমাণ তার তৈরি প্রথম বোমায় আমাদের নিজেদেরই একজনকে শহীদ হতে হল (প্রফুল্ল চক্রবর্তী)— এ কাজে সহকর্মীদের মধ্যে আমিও ছিলাম একজন।’
উল্লাসকরের ডাকনাম পালু। ব্রাহ্মণ বাড়িয়ার কালীকচ্ছ গ্রামে তাঁর বাড়ি। বাবা দ্বিজদাস দত্ত বৈদিক সাহিত্যের পণ্ডিত। দর্শন শাস্ত্রে প্রথম শ্রেণিতে এমএ পাশ করার পর সরকারি বৃত্তি নিয়ে কৃষিবিদ্যা অধ্যয়ন করতে যান বিলেত। কৃষিবিজ্ঞান অধ্যয়নের পর দেশে ফিরে বেথুন কলেজে অধ্যাপনা, তারপর ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ, পরিশেষে শিবপুর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কৃষিবিজ্ঞানের অধ্যাপনা। দ্বিজদাস অত্যন্ত তেজস্বী, তবে ইংরেজভক্ত।
পুত্র উল্লাসকর বাঁশি বাজান, দোতারায় পারদর্শী, জীবনের কঠিন দুঃখের সময়েও বিসর্জিত হয় না উদাত্ত গলায় গান। নলিনীকান্ত গুপ্ত লিখছেন, ‘উল্লাসকর সার্থকনামা পুরুষ ছিলেন— সত্য সত্য উল্লাসের অফুরন্ত আকর। জেল থেকে আমাদের যখন Prison Van-এ করে কোর্টে নিয়ে যাওয়া হত তখন সারাটি পথ গান গেয়ে দিক ফাটিয়ে আমরা চলে যেতাম— উল্লাসকর তার পাণ্ডা ছিলেন, মুখ্য গায়েন আর আমরা সব দোহারি।  আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে, বাংলার মাটি বাংলার জল, মেরা সোনেকী হিন্দুস্থান প্রভৃতি গান এখনও কানে বাজে, এখনও কণ্ঠস্থ। সে কলধ্বনি হঠাৎ শুনলে মনে হবে স্বদেশী প্রসেশন চলেছে, কে বলবে কয়েদীর দল? সে-সঙ্গীত এমন প্রাণমন মাতোয়ারা ছিল  যে আমাদের পুলিস-প্রহরী বা গাড়ী-চালক কোনো দিন কোনো আপত্তি তোলেনি।
...দশ-বারো বৎসর আন্দামানের কারাজীবন তাঁর দেহকে মস্তিষ্ককে বিকল করে দেয়। কিন্তু যজ্ঞের এই তো নিয়ম— বারীনদা যেমন বলতেন, এ বিবাহের এই মন্ত্র।’
উল্লাসকর যে হাতে সারা দিনমান বাজাতেন বাঁশি— ভারতের স্বাধীনতার জন্য একদিন সেই হাতে তুলে নেন পিকরিক অ্যাসিডের বোমা। ব্রিটিশ-রাজের বিচারে ঘোষিত তাঁর ফাঁসি পরে তা লাঘব হয়ে দীপান্তর। অভিশপ্ত আন্দামান সেলুলার জেলে ব্রিটিশ শাসনের হেন শাস্তি নেই— যা না দীর্ঘকাল সহ্য করতে হয় তাঁকে। পরিণামে উল্লাসকর স্থানান্তরিত হন মাদ্রাজ পাগলাগারদে। চেষ্টা করেন আত্মহননের।
অথচ একদা দিলখোলা, ভীষণ ভাবপ্রবণ, ক্যারিকেচারিস্ট, হরেক রকম রঙ্গব্যঙ্গে সুনিপুণ ছিলেন উল্লাসকর। ভেন্ট্রিলোকুইজমে ওস্তাদ হয়ে ওঠেন অতি অল্প বয়সেই।
একবার রোজকার মতো সকালে প্রিয় বন্ধু ডাঃ সুন্দরীমোহন দাসের বাড়িতে গিয়ে বিপিনচন্দ্র পালের চোখে পড়ে— উল্লাসকর দাঁড়িয়ে, হাতে একটি মজার পুতুল। সেখানে রয়েছেন সুন্দরীমোহনের পরিজনেরা। বিপিন পাল সোফায় বসতেই তাঁকে দেখিয়ে উল্লাসকর পুতুলটাকে জিজ্ঞেস করেন, মিস্টার ফ্রি ম্যান, বলুন তো ইনি কে?
মৃদু হাসিতে তাকিয়ে উল্লাসকর। পুতুল দুলে দুলে বড়ো বিচিত্র গলায় বলল, ইনি শ্রীশীল শ্রীযুক্ত মহামহিম বিপিনচন্দ্র পাল।
সবাই হাসিতে ফেটে পড়েন। বিপিন পালের বুঝতে দেরি হয় না, এ ছেলেটি ভেন্ট্রিলোকুইজমে সিদ্ধহস্ত।
বিপিন পালের কন্যা লীলাকে ভালোবাসতেন উল্লাসকর। কিন্তু দেশকে ভালোবাসার জন্য  তাঁকে মূল্য দিতে হয় জীবনের প্রিয় সবকিছু।
ফাঁসির মঞ্চ পেরিয়ে নির্বাসিত আন্দামানের সেলুলার জেলে— সেলুলার জেল থেকে মাদ্রাজের মানসিক স্বাস্থ্য নিবাস— তারপর ধ্বস্ত শরীর, ভাঙা মন উল্লাসকর পেলেন মুক্তি। তখন তাঁর একে একে সব আশা ঝরে ঝরে পড়ে যায়। যে দেশের জন্য স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে হাতে তুলে নিয়েছিলেন পিকরিক অ্যাসিডের বোমা— সেই দেশ দ্বিখণ্ডিত হল, ভাগ হল বাংলা। যৌবনের প্রেমিকা লীলাকে খুঁজে পেলেন বিবাহিতা পক্ষাঘাত অবস্থায়। হাসপাতাল থেকে লীলাকে কোলে তুলে নিয়ে উল্লাসকর আসেন ব্রাহ্মমিশন প্রেসের দোতলায়। আপাতত তাঁর ঠাঁই হল সেখানে। জীবন-যুদ্ধে কিছুতেই হেরে না-যাওয়া, — শেষক্ষণ পর্যন্ত সংগ্রামী ইতিহাস-পুরুষের এ এক করুণ কাহিনি।
উল্লাসকরের আত্মকথা ‘কারাজীবনী’-তে তাঁর নিজের কথা খুব একটা মেলে না। এইসব সূর্যসন্তানদের আত্মকথনে অনীহা ছিল অত্যন্ত। জীবনের ভয়ংকর রুদ্ররূপ দেখার কথা লিখতে লিখতে বার বার তিনি হারিয়ে যান অতিলৌকিকতার দুরবগাহে।
পণ্ডিচেরিতে অরবিন্দ একদা নীরদবরণকে বলেন, ‘বিপিন পাল ছিলেন মস্ত বক্তা, সে-সময় তাঁর বক্তৃতায় আগুন জ্বলত। তাকে এক ধরনের অবতরণই বলতে পার। পরে তাঁর সেই বাক্‌শ঩ক্তি হ্রাস পায়!’
অরবিন্দের সংস্পর্শে আসার পূর্বে উল্লাসকর সিটি কলেজে পড়ার সময় একদিন গিয়েছিলেন সেই অনলবর্ষী-বক্তা বিপিন পালের বক্তৃতা শুনতে। ঘটনাবহুল অবিস্মরণীয় দিনটি মনের অজান্তে পাল্টে দেয় তাঁর পরবর্তী জীবনের গতিপথ। সেই দিন থেকেই শুরু উল্লাসকরের আত্মজীবনী গ্রন্থ ‘কারাজীবনী’। তিনি লেখেন—
‘আমি তখন কলিকাতার সিটি কলেজে পড়ি। একদিন ষ্টার থিয়েটার হলে বিপিনবাবুর বক্তৃতা শুনিতে যাইয়া রাজনীতি বিষয়ক আলোচনার প্রথম আস্বাদন পাই। মনে আছে একটি কথা তখন তিনি বলিয়াছিলেন যাহা এমন কৌতূহল ও সুযুক্তিপূর্ণ ভাষায় আর কাহারও নিকট শুনি নাই। ইতিপূর্বে কংগ্রেস কনফারেন্স ইত্যাদি প্রায় ২০-২৫  বৎসর যাবৎ সরকার বাহাদুরের নিকট দেশের কল্যাণ কামনায় আবেদন-নিবেদন ইত্যাদি করিয়া কোনও আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় উক্ত পন্থা যে প্রকৃত পন্থা নহে ইহাই প্রতীয়মান করাইবার জন্য বিপিনবাবু বলিলেন, আমরা কেবল চাহি ক্রন্দনের রোলে সুকোমল-কম্বল-লালিত ইংরাজের সুখ-নিদ্রার ব্যাঘাত জন্মাইয়া আমাদিগের উদ্দেশ্য সফল করিয়া লইব ইত্যাদি।  যদিও তখন বলিতে গেলে এই প্রথম বক্তৃতা শুনিতে যাওয়া, ইহার পূর্বে কী রাজনীতি, কী ধর্মনীতি কোন বিষয়েই বক্তৃতা শুনিবার বড় একটা স্পৃহা জন্মে নাই এবং শুনিলেও বুঝিবার ক্ষমতা হয় নাই, তথাপি ঐ কথাগুলি যেন কেমন কানে বাজিল।’
স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আন্দামান সেলুলার জেলে প্রতিনিয়ত কী নিষ্ঠুর অত্যাচারে ক্ষতবিক্ষত করা হতো— বা উল্লাসকরের শরীর ও মন যে পাশবিক নিষ্পেষণে থেঁতো করে দেওয়া হয়,তার জীবন্ত দলিল ‘কারাজীবনী’ বইখানি।
কিন্তু এই আত্মকথায় নেই— আন্দামান-মুক্ত বিপ্লবী গ্রাসাচ্ছাদনের জন্য ঘিয়ের দোকান করতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন। তারপর ফিরে গেছেন জন্মস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার কালীকচ্ছ গ্রামে। সপ্তাহে একদিন সরাইল থানায় হাজিরা দিতে হয় উল্লাসকরকে। বন্দিদশার দুঃসহ যন্ত্রণাটা তখন জেগে ওঠে মনে। নিজের হাতে বানানো ছিপ নৌকো নিয়ে ভেসে বেড়ান তিতাস নদীর বক্ষমাঝে। দোতারা বাজিয়ে গান গাইতে গাইতে আপন মনে ঘুরে বেড়াতেন কালীকচ্ছের মেঠোপথে। বিপ্লবী উল্লাসকর নিরন্তর খুঁজে ফিরতেন পালুর কবি হৃদয়। জীবনের সকালবেলা বাজাতেন বাঁশি, গাইতেন রবিগান। কারামুক্ত পালু শেষের নিঃসঙ্গ দিনগুলোয় ফের গুনগুন করে গাইতেন ‘সকালবেলার আলোয় বাজে বিদায় ব্যথার ভৈরবী— আন বাঁশি তোর, আয় কবি।’
(চলবে)
28th  August, 2022
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
অপরাজিতা
মীনাক্ষী সিংহ

জুনিয়র ডাক্তার সুমন সান্যাল জানিয়ে গেল অপারেশন থিয়েটার রেডি, এবার ডাঃ মিত্রকে যেতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠলেন সার্জেন মাধবিকা মিত্র। আজ একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন। বছর সতেরোর মেয়েটির মায়ের মুখ মনে পড়ল মাধবিকার। বিশদ

18th  February, 2024
একনজরে
আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: ১ রানে আউট রিজভি, চেন্নাই ৯০/৫ (১২.২ ওভার)(বিপক্ষ লখনউ)

08:45:19 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১০৫/৫ (১৫ ওভার)(বিপক্ষ লখনউ)

08:45:00 PM

আইপিএল: ৩ রানে আউট দুবে, চেন্নাই ৮৭/৪ (১১.১ ওভার)(বিপক্ষ লখনউ)

08:36:29 PM

মুর্শিদাবাদের দুই পুলিস আধিকারিককে সরাল নির্বাচন কমিশন
মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানার ওসি এবং শক্তিপুর থানার আইসিকে সরিয়ে দিল ...বিশদ

08:33:00 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৮১/৩ (১০ ওভার)(বিপক্ষ লখনউ)

08:29:06 PM

আইপিএল: ৩৬ রানে আউট রাহানে, চেন্নাই ৬৮/৩ (৮.১ ওভার)(বিপক্ষ লখনউ)

08:21:52 PM