Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পর্ব- ১২
তোর  হাতের ফাঁসি রইল হাতে
পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়

তাঁর পড়াশোনা বিলেতে। হেলায় ছেড়েছেন আইসিএসের চাকরি। কেন করবেন ইংরেজের গোলামি! তিনিই যে ভারতের অগ্নিযুগের প্রধান ঋত্বিক— বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষ। গত বছর নিঃশব্দে পেরিয়ে গেল তাঁর জন্ম সার্ধশতবর্ষ। শ্রীঅরবিন্দ ও অগ্নিযুগকে কলমের আঁচড়ে ধরার প্রয়াস।

জীবনের পড়ন্তবেলায় ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়কে গভীরভাবে নাড়া দেয় বিবেকানন্দের জীবনাদর্শ। তিনি জানতেন, ভারতবাসীর মুক্তির উপায় সন্ধান ও ভারতের অন্তবিহীন দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে— স্বামীজির অন্তরাত্মার কী গভীর ব্যাকুলতা।
একদিন কলকাতায় হেদোর ধারে ব্রহ্মবান্ধবের হঠাৎ দেখা বিবেকানন্দের সঙ্গে। ব্রহ্মবান্ধব বললেন, ‘ভাই চুপ করে বসে আছ কেন। এসো একবার কলকাতা শহরে একটা বেদান্ত বিজ্ঞানের রোল তোলা যাক। আমি সব আয়োজন করে দেবো— তুমি একবার আসরে এসে নামো।’
উপাধ্যায় লিখেছেন, ‘বিবেকানন্দ কাতরস্বরে বলিল— ভবানীভাই, আমি আর বাঁচিব না— যাহাতে মঠটি শেষ করিয়া কাজের একটা সুবন্দোবস্ত করিয়া যাইতে পারি— তাহারি জন্য ব্যস্ত আছি— আমার অবসর নাই।
সেইদিন তাঁহার সকরুণ একাগ্রতা দেখিয়া বুঝিতে পারিয়াছিলাম যে, লোকটার হৃদয় বেদনাময় ব্যথায় প্রপীড়িত। কাহার জন্য বেদনা— কাহার জন্য ব্যথা। দেশের জন্য বেদনা— দেশের জন্য ব্যথা।’
স্বামীজির সঙ্গে এই শেষ দেখার মাস ছয়েক পরে— বোলপুর থেকে তিনি ফেরার সময় হাওড়া স্টেশনে পদার্পণ মাত্র খবর পেলেন বিবেকানন্দের তিরোধানের। ‘শুনিবামাত্র আমার বুকের মাঝে একটুও বাড়ানো কথা নয়— ঠিক যেন একখানা ছুরি বিঁধিয়া গেল। বেদনার গভীরতা কমিয়া গেলে আমার মনে হইল— বিবেকানন্দের কাজ কেমন করিয়া চলিবে। কেন তাঁহার তো অনেক উপযুক্ত বিদ্বান গুরুভাই আছেন— তাঁহারা চালাইবেন। তবুও যেন একটা প্রেরণা হইল তোমার যতটুকু শক্তি আছে, ততটুকু তুমি কাজে লাগাও— বিবেকানন্দের ফিরিঙ্গি জয়ব্রত উদযাপন করিতে চেষ্টা কর। সেই মুহূর্তেই স্থির করিলাম যে, বিলাত যাইব... বিলাতে গিয়া বেদান্তের প্রতিষ্ঠা করিব। তখন আমি বুঝিলাম— বিবেকানন্দ কে।’ (‘বিবেকানন্দ কে?’ স্বরাজ, ২২ বৈশাখ, ১৩১৪)
ব্রহ্মবান্ধবের জীবনের এ এক অবিশ্বাস্য রোমাঞ্চকর অধ্যায়। মাত্র সাতাশটি টাকা সম্বল করে বিলেত রওনা দিয়ে অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজে দশটারও বেশি বেদান্ত দর্শন বিষয়ে বক্তৃতায় আলোড়ন সৃষ্টি করেন।
তাঁর সাফল্য-সংবাদ জানার জন্য রবীন্দ্রনাথ কতখানি উদ্‌গ্রীব হয়ে থাকতেন, জানা যায় কবির সেই সময়কার চিঠিপত্রে।
কেমব্রিজে ব্রহ্মবান্ধবের বক্তৃতার এমন প্রভাব হল যে, সেখানকার বড় বড় অধ্যাপকরা মিলে একটি কমিটি তৈরি করে ফেললেন, যার উদ্দেশ্য হল অক্সফোর্ডে হিন্দু দর্শনের অধ্যাপনার জন্য একটি স্থায়ী পদ সৃষ্টি করা। ব্রহ্মবান্ধবকে এই কমিটির ভারতীয় সেক্রেটারি নিযুক্ত করা হয়। তাঁর কাজ হবে ভারতবর্ষ থেকে একজন উপযুক্ত অধ্যাপক পাঠানো।
১৯০৩-এর ১০ মার্চ রবীন্দ্রনাথ এক চিঠিতে মোহিতচন্দ্র সেনকে লেখেন, ‘উপাধ্যায় মহাশয়ের শেষ পত্রখানি এই সঙ্গে পাঠাইতেছি। যদি অবকাশ পান তবে পত্রখানি জগদীশকে লইয়া দেখাইবেন তিনি খুশি হইবেন। ভারতবর্ষের যথার্থভাবে আত্মপরিচয় দিবার সময় আসিয়াছে। এখন আর সংকুচিত হইয়া থাকিলে চলিবে না।’
৩ মে কবি অপর এক চিঠিতে মোহিতচন্দ্রকে লেখেন ‘উপাধ্যায়ের সম্বন্ধে বক্তব্য একটু সত্বর লিখে আমাকে হাজারিবাগের ঠিকানায় পাঠাবেন। Miss Noble (ভগিনী নিবেদিতা) বোধহয় ব্যস্ত হয়েছেন। আগামী মেলে পাঠাতে পারলেই ভাল হতো।’
সে বছর ৩ আগস্ট রবীন্দ্রনাথ আলমোড়া থেকে মোহিতচন্দ্র সেনের কাছে জানতে চান ‘উপাধ্যায় মশায় কি ফিরেছেন? তিনি একবার আলমোড়ায় যদি বেড়াতে আসেন তাহলে তাঁর দিগ্বিজয়ী  কাহিনি একবার ভালো করে শুনে নিই।’
ব্রহ্মবান্ধব পাশ্চাত্য থেকে ফিরে এলেন যেন আরও বেশি স্বাজাত্যবোধ ও দেশাত্মবোধে সঞ্জীবিত হয়ে। চরিত্র ও মেজাজেও পূর্বের থেকে পাল্টে গেলেন অনেকটা। তিনি সন্ন্যাসী কিন্তু কট্টর জাতীয়তাবাদী। তিনি আর শুধু বৈদান্তিক নন, রাজনীতিপ্রিয়, দুরন্ত বিপ্লবী। পাশ্চাত্য সভ্যতায় মোহাচ্ছন্ন দেশবাসীকে আত্মপ্রতিষ্ঠা করার সংগ্রামে মাতলেন। অদ্ভুত তাঁর চেহারা ও চলার দৃপ্ত ভঙ্গি। পরনে শুধু গেরুয়া কাপড়, আর গায়ে গেরুয়া চাদর। ‘জীবনমৃত্যু পায়ের ভৃত্য চিত্ত ভাবনাহীন’ মেজাজে গড়া-চরিত্র। ১৯০৪ সালে ডন সোসাইটিতে তাঁর বক্তৃতায় মন্ত্রমুগ্ধ শ্রোতৃগণ। প্রত্যক্ষদর্শী বিনয় সরকার লিখছেন—
‘ব্রহ্মবান্ধব হেগেলের তর্কপ্রণালীর সাহায্যে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতির তুলনা সাধন করেছিলেন। একালে আমি যাকে দ্বন্দ্বমূলক বিশ্লেষণ বলি ব্রহ্মবান্ধব তাকে অপবাদ-ন্যায় বলেছিলেন। ...শুনলাম, পশ্চিমারা কদর করে একমাত্র ভোগ। ত্যাগের ধার তারা ধারে না। হিন্দু-সংস্কৃতি একমাত্র ভোগপন্থীও নয় আবার একমাত্র ত্যাগপন্থীও নয়। ত্যাগ ও ভোগের সমন্বয় হচ্ছে ভারতীয় সনাতন আদর্শ। এইখানেই হেগেল-প্রচারিত সিন্থেসিস (সমন্বয়)।’
বছরখানেক পরে প্রকাশিত হল ‘সন্ধ্যা’। এই কাগজে ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে শুরু অগ্নিবৃষ্টি। জ্বালাময়ী ভাষায় ছাঁকা ছাঁকা শব্দবন্ধে বা বাক্যে ব্রহ্মবান্ধব শানাতে লাগলেন আক্রমণ।
অরবিন্দ বলতেন, ‘যদি আমরা ভারতের স্বাধীনতা সত্যই চাই, তবে আমাদের সর্বস্ব পণ করতে হবে— এমনকী নিজের জীবনকে দিতে হবে বলিদান, মৃত্যুভয়কে করতে হবে জয়— আর মার নাম করে দিতে হবে ঝাঁপ। এই হল আমার দীক্ষা-মন্ত্র।’
মৃত্যুর পরোয়া করতেন না এই বিদ্রোহী সন্ন্যাসী। ক্রমশ জড়িয়ে পড়েন রাজনীতির ‘বিভীষিকাপন্থা’র আবর্তে। ‘সন্ধ্যা’ পত্রিকাকে কেন্দ্র করে ব্রহ্মবান্ধব আবির্ভূত যেন সংহার মূর্তিতে— লৌকিক, প্রায় গ্রাম্য ভাষায় তিনি ব্যাপৃত হন ‘ফিরিঙ্গি-নিধনে।’
উত্তরকালে বিপ্লবের আগুন নিভে গেলে, পণ্ডিচেরিতে স্থিতধী অরবিন্দের কাছে নীরদবরণ এ সম্বন্ধে জানতে চাইলে তিনি বলেন— ‘তখন বাংলায় তিনটি কাগজ চলতি ছিল: যুগান্তর, সন্ধ্যা আর বন্দেমাতরম্‌। ব্রহ্মবান্ধব ছিলেন সন্ধ্যার সম্পাদক, ইনি আর একজন মহৎ লোক। এমন বিচক্ষণ লোক ছিলেন যে, সরকার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ খুঁজে পেত না।’
একসময় আঘাত নেমে আসে ‘সন্ধ্যা’ পত্রিকা ও ব্রহ্মবান্ধবের উপর। ১৯০৭-এর আগস্ট মাস। ‘সন্ধ্যায়’ প্রকাশিত ‘এখন ঠেকে গেছি প্রেমের দায়ে’ (১৩ আগস্ট), ‘ছিদিসানের হুড়ুম দুড়ুম, ফিরিঙ্গির আক্কেল গুড়ুম’ (২০ আগস্ট) ও ‘বাছা সকল লয়ে যাচ্ছেন শ্রীবৃন্দাবনে’ (২৩ আগস্ট)— প্রবন্ধ তিনটিতে রাজদ্রোহ প্রচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন ব্রহ্মবান্ধব।
সরকারি পক্ষের কৌঁসুলি মিঃ হিউম মামলার কাজ শুরুর পূর্বেই প্রথম আসামি ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায় ১৯০৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এক লিখিত বিবৃতি পেশ করেন। সেই বিবৃতিতে তিনি দ্ব্যর্থহীনকণ্ঠে ঘোষণা করেন ‘সন্ধ্যা’ পত্র পরিচালনা ও প্রকাশের সমস্ত দায়িত্ব আমি গ্রহণ করছি এবং বলছি যে, ‘এখন ঠেকে গেছি প্রেমের দায়ে’ নামের যে প্রবন্ধ ১৩ আগস্ট ১৯০৭ সালে সন্ধ্যা পত্রে প্রকাশিত হয় এবং যে প্রবন্ধ বর্তমান মামলার অন্যতম বিষয়বস্তু তার লেখক আমি। কিন্তু এই বিচারে আমি কোনরূপ অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নই, কারণ বিধাতা-নির্দিষ্ট স্বরাজ-ব্রত 
উদ্‌যাপনে আমার কোনও অংশের জন্য আমি বিদেশি জাতির নিকট যে জাতি বর্তমানে আমাদের শাসক ও যার স্বার্থ আমাদের প্রকৃত জাতীয় বিকাশের পথে অন্তরায়স্বরূপ তার নিকট জবাবদিহি করতে বাধ্য নই।
ব্রহ্মবান্ধবের এই দৃপ্তকণ্ঠে দৃঢ়তাব্যঞ্জক ঘোষণা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ‘বন্দেমাতরম্‌’ পত্রিকায় পরদিন ব্রহ্মবান্ধবের এমন অবিস্মরণীয় আত্মদান সম্বন্ধে লেখা হয়—
‘Never in the history of seditious trail in India has a statement so bold-so strightforward and so dignified been filed. The statement is in every way worthy of the editor of Sandhya.’
সত্যনিষ্ঠ উপাধ্যায়ের দেশের জন্য দুঃখবরণের দৃষ্টান্তে স্মরণে আসে দেশনায়ক সুভাষচন্দ্রের অত্যন্ত প্রিয় অরবিন্দ-উচ্চারিত কয়েকটি কথা, ‘আমি দেখতে চাই যে, সেই দারিদ্র্য ও অখ্যাতি তোমরা মাতৃভূমির সেবায় নিয়োজিত করেছ। মাতৃভূমির গৌরব তোমাদের কর্মের লক্ষ্য হোক, তোমাদের দুঃখবরণের ভিতর দিয়ে মাতৃভূমি পরমানন্দ লাভ করুক।’
উপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারের কয়েকদিন পরে, ১৭ সেপ্টেম্বর চিত্তরঞ্জন দাশ হাইকোর্টে দরখাস্ত করেছিলেন যাতে ‘কসাই কাজি’ নামে অভিহিত কিংসফোর্ডের এজলাসে এই মামলার বিচার না হয়। কিন্তু বিচারপতি কেসপ্যাস অগ্রাহ্য করেন চিত্তরঞ্জনের দরখাস্ত।
বিচার চলাকালে ব্রহ্মবান্ধবের হেঁয়ালিপূর্ণ অনেক কথায় পাওয়া যায় রাজদ্রোহের গন্ধ। যেমন—
যুগান্তরের রক্তারক্তি, টিকটিকির ফাটিল পিত্তি।
ফিরিঙ্গিদের কৃপায় দাড়ি গজায়।
আমাদের পোয়াবারো,
ফিরিঙ্গিদের তেরো।।
ঢিলটি মারিবে
পাটকেলটি পাইবে।।
দুশো গজা তিলে খাজা
কালীঘাটে জোড়া পাঁঠা
একটা কালো একটা সাদা।
শ্রীমুখে দুরূপ কথা।
গোদা পায়ের ভোঁথা লাথি,
আজ ত্রয়োদশী তিথি
বড় সিদ্ধিদায়ী।।
২ অক্টোবর কিংসফোর্ডের এজলাসে চিত্তরঞ্জন ‘ইচ্ছা’ সম্পর্কিত প্রবন্ধটির জেরা শেষ করে কোর্ট থেকে চলে যাচ্ছিলেন। এমন সময় ব্রহ্মবান্ধব তাঁকে বললেন— ‘তুমি বেশ করেছ, আমি ইংরেজের আদালত মানি না, আমি জেরা করব না। আমি তোমাকে বলছি, ইংরেজের সাধ্য নেই আমাকে জেলে দেয়।’
দেশবন্ধু এ সম্বন্ধে তাঁর অনুগামী গিরিজাশঙ্কর রায়চৌধুরীকে বলেছিলেন, উপাধ্যায় আমার বাড়িতে এসে এই মোকদ্দমার বিষয়ে কথায় কথায় অনেক রাত হয়ে গেলে আর গৃহে ফিরে যেতেন না, আমার বাড়িতেই বিছানা থাকা সত্ত্বেও ভূমিশয্যায় শুয়ে থাকতেন।
তৎকালীন ক্যাম্বেল হাসপাতালে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁর হার্নিয়া অস্ত্রোপচার হয়। সুস্থ হয়ে ওঠার মুখে ধনুষ্টঙ্কার হয়ে ১৯০৭-এর ২৭ অক্টোবর ব্রহ্মবান্ধবের মৃত্যু হয়।
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের ভাগ্নি ও বিখ্যাত গায়িকা সাহানা দেবী ‘স্মৃতির খেয়া’য় জানিয়েছেন, ‘জাতির পরাধীনতার শৃঙ্খল মোচনের দিকে তাঁর (উপাধ্যায়) অগ্নিবর্ষী লেখনী বড় কম করেনি! জননী জন্মভূমির মুক্তিপূজায় তিনিও অন্যতম পুরোধা। দৃপ্ততেজে তিনি বলেছিলেন যে, রাজশক্তির ক্ষমতা নেই তাঁকে কিছু করতে পারে। পরে যখন রাজদ্রোহী বলে রাজদ্বারে তিনি অভিযুক্ত হন, তখন তেমনি জোরের সঙ্গে, তেমনি নিশ্চিত সুরেই আবারও তাঁর মুখে নিঃসৃত হয় এই বাণী— ইংরেজের সাধ্য নেই আমায় জেলে দেয়। চিত্তরঞ্জন  তাঁর পক্ষ সমর্থনে দাঁড়িয়েছিলেন বটে, কিন্তু সেই মামলা তিনি শুরুই কেবল করেছিলেন, শেষ আর তাঁকে করতে হল না! এই বাক্‌সিদ্ধ মানুষটি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে ক্যাম্পবেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানেই তিনি চিরনিদ্রায় নিদ্রিত হলেন। ইংরেজের আইন তাঁকে কিছুই করতে পারল না। প্রবল শক্তিসম্পন্ন ব্রিটিশরাজের সকল গর্ব খর্ব করে তাদেরই সামনে দিয়ে জয়ডঙ্কা বাজিয়ে ব্রহ্মবান্ধব চলে গেলেন তাদের নাগালের বাইরে এই বার্তা ঘোষণা করে—
তোর হাতের ফাঁসি রইল হাতে
আমায় ধরতে পারলি না।’
এই তেজস্বী দেশপ্রেমীর এমন অকস্মাৎ মৃত্যুতে স্তম্ভিত বিপ্লবীরা। কয়েক মাস পরে ১৯০৮-এর ১২ এপ্রিল বারুইপুরে এক সভায় অরবিন্দ বললেন, ‘Upadhyaya saw the necessity of realising Swaroj within us and hence he gave himself up to it. He said that he was free and the Britishers could not bind him, his death is a parable to our Nation.’
ব্রহ্মবান্ধবের মৃত্যুর দু-দিন পর রবীন্দ্রনাথ জামাতা নগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়কে এক চিঠিতে লেখেন— ‘পরশু ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়ের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মোক্কদমা চলছিল ইতিমধ্যে হার্নিয়ার ব্যামোয় অস্ত্র চিকিৎসা করবার জন্য তিনি ক্যাম্বেল হাসপাতাল আশ্রয় করেছিলেন। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হল— রাজা তাঁকে জেলে দিতে চেয়েছিল— তারচেয়ে উপর থেকে তিনি খালাস পেলেন।’
রবীন্দ্রনাথের বহু বক্তৃতাসভায় উপস্থিত থাকতেন, ভাষণের পর আলোচনাতেও অংশ নিতেন ব্রহ্মবান্ধব। শান্তিনিকেতন আশ্রবাসীদের তরফে তিনিই প্রথম কবিকে দেন ‘গুরুদেব’ উপাধি। ‘বিশ্বকবি’ অভিধাও তাঁর প্রথম প্রদত্ত।
১৯০০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সাপ্তাহিক ‘সোফিয়া’তে প্রকাশিত হয় ব্রহ্মবান্ধবের ‘The world-poet of Bengal’ শিরোনামে এক মূল্যবান প্রবন্ধ। সেই প্রবন্ধেই তিনি প্রথম রবীন্দ্রনাথকে World poet বা বিশ্বকবি অভিধায় অভিষিক্ত করে লেখেন— ‘রবীন্দ্রনাথ শুধু প্রেম ও প্রকৃতির কবি নন, যাকে চোখে দেখা যায় না। তাকেও তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন। রবীন্দ্রনাথ রহস্যময় অ-রূপ জগতের প্রত্যক্ষদর্শী। বিদেশীরা যদি কোনওদিন বাংলা ভাষা শেখে, তারা শিখবে শুধু রবীন্দ্রনাথের জন্যই। রবীন্দ্রনাথ একজন বিশ্বকবি।’
ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়ের সঙ্গে শেষ কথা ও শেষ দেখার স্মৃতি কবির মনে এক বিশেষ কারণে এত রেখাপাত করে যা তিনি সুদীর্ঘকাল পরে— ১৯৩৪ সালে উল্লেখ করেন ‘চার অধ্যায়’ উপন্যাসের প্রথম সংস্করণে ‘আভাস’ শীর্ষক ভূমিকায়।
অবশ্য তৎকালীন রাজনৈতিক ঝঞ্ঝাবর্তে জনমতের রুদ্ররোষে তাঁকে ‘চার অধ্যায়’ উপন্যাসের পরবর্তী সংস্করণে সেই তাৎপর্যপূর্ণ ‘আভাস’ ভূমিকাটি বর্জন করতে হয়।
কবি ‘আভাস’ ভূমিকার শেষাংশে ব্রহ্মবান্ধব সম্বন্ধে লিখেছিলেন—
‘...স্বয়ং বের করলেন সন্ধ্যা কাগজ, তীব্র ভাষায় যে মদির রস ঢালতে লাগলেন তাতে সমস্ত দেশের রক্তে অগ্নিজ্বালা বইয়ে দিলে। এই কাগজেই প্রথমে দেখা গেল বাংলাদেশে আভাসে ইঙ্গিতে বিভীষিকাপন্থার সূচনা। বৈদান্তিক সন্ন্যাসীর এত বড় প্রচণ্ড পরিবর্তন আমার কল্পনার অতীত ছিল।
এই সময়ে দীর্ঘকাল তাঁর সঙ্গে আমার দেখাসাক্ষাৎ হয়নি। মনে করেছিলুম হয়তো আমার সঙ্গে তাঁর রাষ্ট্র-আন্দোলনপ্রণালীর প্রভেদ অনুভব করে আমার প্রতি তিনি বিমুখ হয়েছিলেন অবজ্ঞাবশতই।
নানাদিকে নানা উৎপাতের উপসর্গ দেখা দিতে লাগল। সেই অন্ধ উন্মত্ততার দিনে একদিন যখন জোড়াসাঁকোয় তেতলার ঘরে একলা বসেছিলেম হঠাৎ এলেন উপাধ্যায়। কথাবার্তার মধ্যে আমাদের পূর্বকালের আলোচনার প্রসঙ্গও কিছু উঠেছিল। আলাপের শেষে তিনি বিদায় নিয়ে উঠলেন। চৌকাঠ পর্যন্ত গিয়ে একবার মুখ ফিরিয়ে দাঁড়ালেন। বললেন, রবিবাবু, আমার খুব পতন হয়েছে। এই বলেই আর অপেক্ষা করলেন না, গেলেন চলে। স্পষ্ট বুঝতে পারলুম, এই মর্মান্তিক কথাটি বলবার জন্যেই তাঁর আসা। তখন কর্মজাল জড়িয়ে ধরেছে, নিষ্কৃতির উপায় ছিল না।
এই তার সঙ্গে আমার শেষ দেখা ও শেষ কথা।’
মনে হয়, তাঁর দার্শনিক চিন্তা ও অধ্যাত্মসাধনার জগৎ থেকে রাজনীতির দ্বন্দ্ব কোলাহলের আবিলতায় হারিয়ে যাওয়াকেই ব্রহ্মবান্ধব হয়তো ‘খুব পতন’ বলে বোধ করেছিলন। মহান দার্শনিক, রাজনীতির কানা গলিতে পথ হারিয়ে ফেললে মানসিক যন্ত্রণা অস্বাভাবিক নয়।
মৃত্যুর আগে স্বয়ং অনুতাপ করে বলেছিলেন— ‘ভগবান, একি হল! ব্রহ্মানন্দ ছেড়ে এতদিন পরে সংসারের পাঁক ঘাটতে বসেছি!’
(চলবে)
 
19th  June, 2022
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
অপরাজিতা
মীনাক্ষী সিংহ

জুনিয়র ডাক্তার সুমন সান্যাল জানিয়ে গেল অপারেশন থিয়েটার রেডি, এবার ডাঃ মিত্রকে যেতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠলেন সার্জেন মাধবিকা মিত্র। আজ একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন। বছর সতেরোর মেয়েটির মায়ের মুখ মনে পড়ল মাধবিকার। বিশদ

18th  February, 2024
একনজরে
পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:13:07 PM