Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

কৃষ্ণধন ও স্বর্ণলতা, পর্ব-৫
পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়

সুখ্যাত অর্থনীতিবিদ, সুদক্ষ প্রশাসক, সুলেখক ও সাহিত্যিক রমেশচন্দ্র দত্ত ছিলেন অরবিন্দের পিতা ডাঃ কৃষ্ণধন ঘোষের প্রিয় সুহৃদ।
১৮৭১ সালে রমেশচন্দ্র ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় সফল হয়ে বাংলা ও ওড়িশার বিভিন্ন স্থানে কাজ করেন সরকারি উঁচু পদে। ভারতীয় বলে তাঁর যোগ্যতার উপযুক্ত মর্যাদা দেওয়া হয়নি, বারংবার বঞ্চনার শিকার— এমনতরো তীব্র ক্ষোভ সঞ্চিত হয় তাঁর মনে। ১৮৯৭ সালে স্বেচ্ছাবসর নিয়ে কিছুকাল অধ্যাপনা করেন লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজে। পরবর্তীকালে ঋগ্বেদের বাংলা অনুবাদ তাঁর অন্যতম কীর্তি। লালমোহন ঘোষ একদা রহস্য করে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনকে বলেছিলেন— ‘রমেশ বেদ থেকে আরম্ভ করে ধারাপাত, সব লিখে গেচে!’
রমেশচন্দ্র দত্ত ১৮৯৯ সালে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের লখনউ অধিবেশনে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় ফিরে আসেন দেশে। সেই বছর বরোদার মহারাজা সয়াজি রাও গায়কোয়ড় আমন্ত্রণ জানান তাঁকে। বরোদায় গিয়ে একদিন উপস্থিত হন অরবিন্দের বাসগৃহে।
রমেশচন্দ্র স্বয়ং পারদর্শী গদ্যে-পদ্যে-উপন্যাসে। ইংরেজি, বাংলা দু’টি ভাষাতেই তুখোড়। আলাপ-আলোচনার স্রোতের মাঝে এক সময় দেখতে চাইলেন অরবিন্দের কবিতা।
পিতৃকল্প এত বড় একজন লোক তাঁর কবিতা পড়তে চাইছেন, খানিকটা ইতস্তত ভঙ্গিতে অরবিন্দ একগুচ্ছ কবিতা তুলে দিলেন তাঁর হাতে। রমেশচন্দ্র যত তাঁর লেখা পড়েন, ততই বিস্ময়ে বিমুগ্ধ। অরবিন্দকে বললেন— ‘তোমার কবিতা আগে পড়লে কখনওই আমার লেখা ছাপাতুম না। এখন দেখছি, আমি ছেলেখেলা করছি।’
বাংলায় কালীপ্রসন্ন সিংহের মহাভারত বিশেষ পছন্দ করতেন অরবিন্দ। তাঁর কলকাতায় ফিরে আসার পরের দিনগুলির কথায় বিপ্লবী সুধীরকুমার সরকার জানিয়েছেন, ‘প্রিন্সিপাল পদে ন্যাশনাল কলেজের প্রাপ্য ৭৫ টাকার মধ্যে বাড়ি ভাড়া ২৩ টাকা বাদে আমাদের চার-পাঁচজনের ভরণপোষণ তাঁকে করিতে হয়। একদিন তো বলিলেন কালীপ্রসন্ন সিংহের মহাভারত পড়িতে। তখন তার মূল্য ১৮ টাকা। ভাবিলাম,  উনি তো খাওয়া-পরার হিসাব না করিয়াই বই খরিদ করিতে বলিলেন। আর একেবারে অত বড় বই পড়িবার ধৈর্যও আমার ছিল না। বইয়ের দোকানে গিয়া ছোটখাট মহাভারত পাইলাম সাড়ে সাত টাকায়। উহা কিনিয়া আনিয়া উপর উপর পড়িয়া লইলাম। কয়েকদিন পর আবার মহাভারতের কথা উঠিলে বইখানা ধীরে সন্তর্পণে হাতে দিতেই আমার মুখের দিকে একবার তাকাইয়া ছোট্ট হাসির সাথে বলিলেন, এ মহাভারত পড়িয়া তো লাভ নাই। ইহা আধুনিক ইতিহাসযোগ্য করিয়া লেখা। এসব উপরের খোলস। Spirit বাদ দিয়া খোলস পড়িলে যা হয়, তাই। ফেরত দিয়া বদলাইয়া অন্ততঃ কালীপ্রসন্ন সিংহের বাংলাখানা আনিতে বলিলেন।’
বরোদায় অরবিন্দের মহাভারত চর্চায় বিমুগ্ধ হয়েছিলেন রমেশচন্দ্র দত্ত। এরপরে ১৯০৪ সালে রমেশচন্দ্র রাজস্ব সচিব হলেন বরোদা রাজ্যে। সেই সময় সুযোগ ঘটে এই দুই বঙ্গসন্তানের আরও কাছাকাছি আসার। তখন সেখানে অরবিন্দের প্রাত্যহিক পঠন-পাঠন ও মহাকাব্য চর্চার এক বিশদ বর্ণনা পাওয়া যায় ছায়াসঙ্গী দীনেন্দ্রকুমার রায়ের চিত্ররূপময় স্মরণ-উদ্ভাসে।
বরোদার দিনগুলোয় অরবিন্দ অনেক রাত পর্যন্ত জেগে লেখাপড়া করতেন বলে দেরি হয়ে যেত সকালে উঠতে। ‘চার-পাঁচ টাকা দামের একটা মুখখোলা ওয়াচ’ সঙ্গে থাকত সব সময়। পড়ার টেবিলে থাকত ছোট একটা টাইমপিস ঘড়ি। সকালে চা খেয়ে লিখতে বসতেন।
দীনেন্দ্রকুমার জানাচ্ছেন, ‘...তিনি মহাভারতের অনুবাদ করিতেছিলেন। বাংলা ভালো বুঝিতে না পারিলেও সংস্কৃত রামায়ণ-মহাভারত তিনি সুন্দর বুঝিতে পারিতেন। তিনি ধারাবাহিকরূপে অনুবাদ করিতেন না। মহাভারতের এক একটি উপাখ্যান অবলম্বন করিয়া কবিতা লিখিতেন; ইংরেজীর  নানা ছন্দে কবিতা লিখিতেন। ... ছোট আকারের গ্রে-গ্রানাইট রঙের চিঠি-লেখার কাগজে প্রথমে কবিতাগুলি লিখিতেন, প্রায়ই কাটাকুটি করিতেন না। লিখিবার পূর্বে সিগারেট টানিতে টানিতে খানিকটা ভাবিয়া লইতেন; তাহার পর তাঁহার লেখনীমুখে ভাবের মন্দাকিনী প্রবাহিত হইত।’ পরবর্তী সময়ে অরবিন্দের ‘বন্দেমাতরম’ পত্রিকায় এক-একটি অগ্নিবর্ষী লেখায় জাতির ধমনীতে যেন নতুন রক্তপ্রবাহ বইতে শুরু করে। অথচ কত দ্রুত আর অনায়াসে লিখতেন স্বদেশবাসীর ঘুম-ভাঙানিয়া অবিস্মরণীয় সব নিবন্ধ।
এমন শোনা যায়, অরবিন্দ বসে আছেন কলকাতার স্কট লেনের বাড়িতে— এমন সময় শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী এলেন ‘বন্দেমাতরম’ পত্রিকার সম্পাদকীয়-র জন্য লেখা চাইতে। অরবিন্দ তাঁর টেবিলের কাগজের স্তূপ থেকে প্যাকিং কাগজ বের করে তার একপাশে লেখা শুরু করে মিনিট পনেরো-কুড়ির মধ্যে শেষ করলেন। ভাবতে অবাক লাগে, কোনও পরিবর্তন, কোনও কাটাকুটি কিছুরই দরকার হতো না। পরের দিন সেই লেখাই পাঠকদের অন্তরে স্বদেশপ্রেমের প্লাবন বইয়ে দিত।
দীনেন্দ্রকুমার জানিয়েছেন— ‘অরবিন্দকে কখনও রাগ করিতে দেখি নাই।’
বেলা প্রায় দশটা পর্যন্ত লেখাপড়া করে তিনি স্নানে যেতেন। স্নান শেষে ফের বসতেন লেখার খাতা নিয়ে। সকাল থেকে লেখা হতো যতটুকু, আবৃত্তি করতেন আপন মনে। কোনও কোনও ছত্র দু’তিনবার পাঠের পর প্রয়োজন মতো পরিবর্তন করতেন দু-একটি শব্দ।
এগারোটার পূর্বেই খাবার এসে যেত টেবিলে। খেতে খেতে খবরের কাগজ দেখে নিতেন অরবিন্দ। সেখানকার খানা মুখে রুচত না দীনেন্দ্রকুমারের, কিন্তু তিনি ছিলেন তাতেই অভ্যস্ত। পাচকের কাছে রান্না সম্বন্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করতেন না কখনও।
অরবিন্দের ভিক্টোরিয়া গাড়ি সম্বন্ধে তাঁর বাংলা শিক্ষক লিখছেন— ‘ঘোড়াটা খুব বড়, কিন্তু চলনে গাধার দাদা! চাবুকেও তাঁহার গতিবৃদ্ধি হইত না! গাড়িখানি যে কতকালের তাহা কেহ বলিতে পারিত না। অরবিন্দের সকলই বিচিত্র। যেমন পোশাক পরিচ্ছদ, তেমনই গাড়ি, তেমনই বাড়ি।’
বরোদায় তাঁর বাসগৃহে ‘গ্রীষ্মকালে দুঃসহ রৌদ্রে খাপরা তাতিয়া আগুনের মতো হইত। আবার শীতকালে এমন কনকনে শীত যে, যেন বুকের রক্ত পর্যন্ত জমিয়া যাইবার উপক্রম হইত। কিন্তু অরবিন্দ শীত, গ্রীষ্মে সমান নির্ব্বিকার। শীতে, কি গ্রীষ্মে একদিনও তাঁহাকে কাতর দেখি নাই। এই বাঙ্গলোতে দিনে মাছি ও রাত্রে মশার উপদ্রবে আমি অস্থির হইয়া উঠিতাম। রাত্রে শয্যায় শয়ন করিয়া মনে হইত মশাগুলা আমাকে মাঠে টানিয়া লইয়া গিয়া শোষণ করিবে। ঘরের খাপরাগুলি পুরাতন; ঘরগুলি বহুদিন অসংস্কৃত অবস্থায় খালি পড়িয়া ছিল। বর্ষাকালে খাপরার ভিতর দিয়া মেঝেতে টুপটাপ করিয়া বৃষ্টির জল পড়িত। আমাদের দেশের অনেক বড়লোকের গোশালাও ইহা অপেক্ষা উৎকৃষ্ট স্থান। কিন্তু এমন কদর্য্য গৃহে বাস করিতে অরবিন্দের বিন্দুমাত্র আপত্তি বা কুণ্ঠা দেখি নাই। তিনি নির্ব্বিকার চিত্তে দীর্ঘকাল সেই জীর্ণ গৃহে বাস করিয়াছিলেন।’
কখনও পরতেন না বিলাসী সাজ-পোশাক। ‘মূল্যবান জুতা, জামা, টাই, কলার, ফ্লানেল লিনেন, পঞ্চাশ রকম আকারের কোট, হ্যাট, ক্যাপ এ সকল তাঁহার কিছুই ছিল না। কোনও দিন তাঁহাকে হ্যাট ব্যবহার করিতে দেখি নাই। যে টুপীগুলি এ দেশে পিরালী টুপী নামে সাধারণত পরিচিত, তিনি তাহাই ব্যবহার করিতেন।’ তাঁর শয্যাও ছিল পোশাকের মতো সাধারণ ও আড়ম্বরহীন।
তাঁকে নিয়মিত বই সরবরাহ করতেন বম্বের তৎকালীন বিখ্যাত পুস্তক ব্যবসায়ী আত্মারাম রাধাবাঈ সেগুন ও থ্যাকারে কোম্পানি। তাঁরা প্রতি মাসে, কখনও কখনও প্রতি সপ্তাহে পাঠাতেন নতুন বইয়ের পূর্ণ তালিকা। কলকাতার গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় অ্যান্ড সন্স ও বসুমতী অফিস থেকে প্রকাশিত বইপত্র আসত নিয়মিত। মাইনে পেয়েই প্রতি মাসে পঞ্চাশ থেকে ষাট টাকা পাঠাতেন গ্রন্থ-প্রকাশকদের। প্যাকিং বাক্সে বোঝাই  হয়ে তাঁর বই আসত ‘রেল-পার্সেলে’। সেই সব সদ্য-আসা বই আট-দশ দিনে পড়ে ফেলে নতুন বইয়ের অর্ডার পাঠাতেন— এমনই সর্বভুক পাঠক ছিলেন অরবিন্দ।
বরোদায় তিনি অনেক অর্থ ব্যয় করতেন গ্রন্থ সংগ্রহে। অথচ মাত্র কয়েক বছর পূর্বে— বিলেত থেকে ফিরে আসার আগে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস কষ্ট পেয়েছেন খিদের যন্ত্রণায়। সামান্য কিছু বৃত্তির অর্থে ব্যয় সংকোচন করেও কোনও মতে সমাপ্তি টানেন বিলেতে প্রবাস জীবনের শেষের দিনগুলি।
প্রশ্ন জাগে, কেন এমন হয়েছিল? কেন অরবিন্দকে সইতে হয়েছিল অনেকদিন নিরাহার, আধপেটা খাওয়ার শোচনীয় পরিস্থিতি? এর নেপথ্যের ইতিহাস বড় করুণ, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ডাঃ কৃষ্ণধন ঘোষের উপন্যাসোপম বিচিত্র জীবনের বেদনা-ভারাতুর শেষের দিনগুলি।
পিতার প্রসঙ্গে প্রায়ই নীরব থাকতেন অরবিন্দ। অবশ্য অগ্রজের গভীর নীরবতা অনেকটা পূরণ হয়েছে অনুজের ‘আত্মকথা’র সরবতায়। বারীন্দ্রকুমার ঘোষ লিখছেন—
‘মায়ের মত উদ্দাম পাগলের সঙ্গে সারা জীবন ঘর করা খুব ধৈর্য্যের ও সহিষ্ণুতার কথা, বাবা তা চেষ্টা করেও পারেননি। তবু সে চেষ্টা কম দিন তিনি করেননি। মা পাগল হতে আরম্ভ হবার পরও তাঁদের চার ছেলে ও এক মেয়ে হয়েছিল।  বোধহয় আমার জন্মের পর বিলাত থেকে ফিরেই দু’জনে পৃথক হন, মা এসে রোহিণীতে বাস করেন। মাকে বাবা মাসে মাসে আর্থিক সাহায্য করতেন, খুব সম্ভব যে সাহায্যের পরিমাণ ও তাঁর আসা যাওয়া ক্রমশঃ কমে এসেছিল, কারণ রেল লাইনের ধারের সেই সাহেবী বাড়ীর মত খানসামা, বাবুর্চি, আয়া ও আড়ম্বর আর তারিণীবাবুর বাড়িতে ছিল না। একটা চাকর দিত জল আর মা করতেন রান্না। শেষের দিকে টাকা আসতো দাদাবাবু রাজনারায়ণ বসুর হাতে, কারণ আমরা দেখতাম বাঁকে করে করে লোকে মাস কাবারের বাজার দাদাবাবুর বাড়ী থেকে নিয়ে মায়ের কাছে দিয়ে যেত।
বাবার স্বভাব ছিল বেহিসেবী খরচে, টাকা তাঁর হাতে ভোজবাজীর সৃষ্ট জিনিসের মত দেখতে না দেখতে উড়ে যেত। দয়ার বশে যে নারীর অধিক অসহায় ও দুর্ব্বল, বন্ধুর জন্যে যে এককথায় সর্বস্ব দিয়ে দিতে পারে, পরিচিত অপরিচিতের যে মানুষ স্বভাবতঃ পরমাশ্রয়, সে মানুষ অমিতব্যয়ী হলে যা হয় এক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। ছেলে তিনটিকে বিলাতে শিক্ষার জন্যে রেখে এসে বাবা কিছুদিন নিয়মিত টাকা পাঠালেন, তারপর সে দিকেও বিশৃঙ্খলা এল। এইরকম মানুষ দুনিয়ায় অনেক আছে যারা দুঃস্থের জন্যে দানসত্র খুলে বসে আছে, আর তার নিজের পরমাত্মীয় উপবাসে মরছে।’
১৮৯০ সালে ডাঃ কৃষ্ণধন ঘোষ যখন খুলনার সিভিল সার্জেন— তখন উন্মাদগ্রস্তা স্বর্ণলতা ঘোষ তাঁর দুই সন্তান বারীন্দ্রকুমার ও সরোজিনীকে নিয়ে থাকতেন দেওঘর থেকে মাইল তিনেক দূরে রোহিণীতে। বারীন্দ্রকুমার ও সরোজিনীকে পাগল-মায়ের কাছ থেকে নিয়ে আসার জন্য ডাঃ কৃষ্ণধন দেওঘরে শ্যালক যোগেন বসুকে লেখেন একের পর এক চিঠি, সঙ্গে পাঠান টাকা।
রোহিণীতে অতিবাহিত দিনগুলির কথায় বারীন্দ্রকুমার জানাচ্ছেন— ‘আমাদের বাড়ীতে জনমানুষ কখনও আসতো না, সে অঞ্চলে প্রসিদ্ধ পাগলী মেমসাহেবের ভয়ে ও-বাড়ীর ত্রিসীমানায় কাউকে ঢুকবার সাহস রাখতে দেখিনি। মা মাঝে মাঝে রেগে উগ্রচণ্ডী হয়ে থাকতেন; তখন বাড়ীর হাতার মধ্যে অপরিচিত মানুষ দেখলে চীৎকার করে গালাগালি দিতেন, ছোরা দেখাতেন,  দরকার হলে তাড়াও করতেন।’
অবশেষে ডাঃ কৃষ্ণধন স্বয়ং উপস্থিত হলেন রোহিণীতে স্ত্রী ও পুত্র কন্যাকে দেখতে। ‘অসহ্য ভয়ের ও দুঃখের শোণিত-রেখায় আঁকা শৈশবের এই জীবনের কথায় পিতাকে প্রথম পাওয়ার প্রসঙ্গে বারীন্দ্রকুমার লিখছেন—
‘একদিন আমি ও দিদি বাইরে খেলা করছি, কে একজন হোমরাচোমরা গোছের মানুষ এলো। ভিতরে যখন আমাদের ডাক পড়লো তখন আমার এইটুকু মনে আছে যে, দাড়ীওয়ালা ভীষণদর্শন তার হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্যে আমি আর দিদি সারা ঘরটার দেওয়ালের ধারে ধারে ছুটোছুটী করছি আর সেই মানুষটি দুই হাত বাড়িয়ে আমাদের বুকে নেবার জন্যে পাগলের মত আসছে। তারপর অজস্র খেলনা বিস্কুটের রমণীয় স্তূপের মাঝে কখন যেন আমাদের আত্মসমর্পণের পালা।’
স্বর্ণলতা এতই উন্মাদগ্রস্তা ছিলেন যে, দেওঘরের পুরাণদহে তাঁর পিতার কাছে রাখাও সম্ভবপর ছিল না। তা না হলে রোহিণীর মাঠে, বাংলোতে আয়া-বাবুর্চি-চাকর দিয়ে তাঁকে ওভাবে রাখবার কোনও প্রয়োজন ছিল না।
পুত্রকন্যাদের দেখে ডাঃ কৃষ্ণধনের মনে হয়, পাগল-মায়ের কাছে থেকে তাদের লেখাপড়া তো হবেই না, এমনকী যে-কোনও সময় ঘনিয়ে আসতে পারে জীবন-সংশয়।
তখন কৃষ্ণধন ঘোষ বাধ্য হয়ে বারীন ও সরোজিনীকে তাঁদের মায়ের কাছ থেকে লোক দিয়ে একরকম চুরি করিয়ে নিয়ে আসেন কলকাতার গোমেস লেনে।
নিজের চাঞ্চল্যকর অপহরণ-পর্ব সম্বন্ধে বারীন ঘোষ লিখছেন— ‘আমার বেশ মনে আছে— তখন শীতকাল, বোধহয় অগ্রহায়ণ কি পৌষ মাস। ...হঠাৎ একটা গুন্ডাকসমের গাঁট্টাগোঁটা মানুষ এসে মাকে বলল, মেম সাহেব, ফুল লেগা। সে এক কোঁচড় ফুল মায়ের সামনে ঝপ করে ছুঁড়ে দিয়ে আমার দু’হাত চেপে ধরলো, তারপর আমাকে টানতে টানতে নিয়ে দে দৌড়! পিছনে পিছনে রৈ রৈ রবে হল্লা করতে করতে ছুটলো আরও দশ বার জন জোয়ান। মা তো রেগে কাঁই, দৌড়ে ভিতরে গিয়ে ছোরা এনে ঊর্ধ্বশ্বাসে গুন্ডার পালকে তাড়া। আর মাটিতে হ্যাঁচড়াতে হ্যাঁচড়াতে টানতে টানতে আমাকে নিয়ে গুন্ডার পালের প্রাণ হাতে করে ছুট।’
গুন্ডার দল বারীনকে নিয়ে তুলল কলকাতার গোমেস লেনে। সেখানেই প্রথম দেখা রাঙ্গা মায়ের— যিনি পরে প্রকৃত মায়ের হৃদয়ে স্নেহ-যত্ন দিয়ে বড় করে তোলেন তাঁদের। কিন্তু নিয়মিত নিষ্করুণ পরিহাস, অশ্রুব্যাকুল বেদনায় আঘাতে জর্জরিত তাঁর জীবন। একমাত্র বারীন ঘোষের স্মৃতিচারণা ছাড়া তিনি যেন কাব্যে উপেক্ষিতাই রয়ে গেলেন কৃষ্ণধন ঘোষের জীবন থেকে। অরবিন্দ-পিতার মৃত্যুর পর ব্রাহ্মসমাজের এক কেষ্টবিষ্টুর বিশ্বাসঘাতকতায় অসময়ে নিঃশেষিত হয়ে যায় বারীন ঘোষের প্রিয় ‘রাঙ্গা মায়ের’র জীবন।
বারীন ঘোষ জানান— ‘লেনের একটা দোতলা বাড়ীতে নিয়ে ওরা আমায় তুললো। তখনকার দিনে মোটরকার ছিল না, ছিল অগুন্তি ছ্যাকরা গাড়ী। নীচে আমায় কোলে করে নিলেন এতক্ষণের রহস্যে ঘেরা রাঙা মা। দীর্ঘছন্দ সবল বলিষ্ঠ দেহ, অপূর্ব্ব রূপ সারা যৌবন সুঠাম অঙ্গ বয়ে ঝরে পড়ছে। বয়স আন্দাজ ১৮/১৯— অন্ততঃ এখন তাই মনে হয়। আমার জরাজীর্ণ শতছিদ্র কাপড় ছাড়িয়ে মা আমায় গরম জলের গামলায় ফেলে সাবান ও স্পঞ্জ দিয়ে ধুয়ে মুছে তুললেন, ধোয়া কাপড় পরিয়ে বুকে চেপে ধরে সে কি আদরের ঘটা। সন্তানহীনা সেই বালিকার প্রাণ হৃদয় মন সব অন্তরটুকু আমি একমুহূর্তে হরণ করে নিয়েছিলুম। দিদি এসে মুখটি চুন করে সামনে দাঁড়াল।’
ফাঁসির মঞ্চ ছুঁয়ে এসে— আন্দামান দ্বীপান্তরের জীবনশেষে, ফেলে আসা দিনগুলির কথায় বারীন ঘোষ লেখেন, ‘রাজনারায়ণ বসুর প্রতিভায় জাত তাঁর পাগলী মেয়ে আমার মা, প্রকাণ্ড শক্তিধর পুরুষ অথচ ভালোবাসায় সৌন্দর্য্যের মোহে সহজে আকৃষ্ট নারীর অধিক কোমল উন্মার্গগামী কৃষ্ণধন আমার বাবা, যাঁদের ঔরসে ও গর্ভে জন্মেছেন মেজদা— মনোমোহনের মত অপূর্ব্ব কবি, সেজদা শ্রীঅরবিন্দের মত শতমুখী প্রতিভার বিরাট পুরুষ; সেই শক্তির চঞ্চল ইতস্ততঃ বিশপী শিখায় আমার জন্ম। তাঁদের সব দুর্ব্বলতা ও কিছু কিছু শক্তি ও প্রতিভার স্ফুলিঙ্গ নিয়ে ধুমে ও আলোকে কৃষ্ণজ্যোতির্ম্ময় আমার এই সত্তা জন্মেছে।’                
   (চলবে)
24th  April, 2022
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
অপরাজিতা
মীনাক্ষী সিংহ

জুনিয়র ডাক্তার সুমন সান্যাল জানিয়ে গেল অপারেশন থিয়েটার রেডি, এবার ডাঃ মিত্রকে যেতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠলেন সার্জেন মাধবিকা মিত্র। আজ একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন। বছর সতেরোর মেয়েটির মায়ের মুখ মনে পড়ল মাধবিকার। বিশদ

18th  February, 2024
একনজরে
বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে সিপিএম কর্মীর মৃত্যু
বুথের বাইরে অস্থায়ী ক্যাম্পে আচমকাই মৃত্যু হল সিপিএম কর্মীর। আজ, ...বিশদ

11:56:43 AM

দেওয়ানকোর্টে জয়দুয়ার গ্রামে ২৫১ নম্বর বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের ক্যাম্প অফিসে হামলার অভিযোগ, কাঠগড়ায় বিজেপি

11:56:00 AM

ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যে চলছে ভোট
জলপাইগুড়ির ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ভোট। ...বিশদ

11:54:00 AM

পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে স্লো ওভার রেটের জন্য মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে ১২ লক্ষ টাকা জরিমানা করল বিসিসিআই

11:47:36 AM

ইজরায়েলি সেনার হামলার জের, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে সক্রিয় করল ইরান

11:46:55 AM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪: তুরায় ভোট দিলেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা

11:44:03 AM