Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পর্ব- ২
বরোদার জীবন

পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়

বরোদায় আসার পরে বাংলা শেখার জন্য ব্যাকুল হলেন অরবিন্দ। তাঁর মামা যোগীন্দ্রনাথ বসুর মাধ্যমে পরিচয় হল দীনেন্দ্রকুমার রায়ের সঙ্গে। তিনি বাংলা শেখাতে এলেন ভাবীকালের ভুবন বিখ্যাত ছাত্রকে। এ সম্বন্ধে পরবর্তীকালে লেখেন একটি বই ‘অরবিন্দপ্রসঙ্গ’।
দীনেন্দ্রকুমার রায় লেখেন— ‘অরবিন্দকে দেখিবার পূর্বে  তাঁহার যে মূর্তি কল্পনা করিয়া লইয়াছিলাম তাহা এইরূপ:— সাহিত্য-সম্পাদক বন্ধুবর সুরেশচন্দ্র সমাজপতি মহাশয়ের  ন্যায় প্রকাণ্ড জোয়ান; চোখে চশমা, অধিকন্তু আপাদ-মস্তক হ্যাট-কোট-বুটে মণ্ডিত; মুখে বাঁকা বাঁকা বুলি, চক্ষুতে কট-মট চাহনি, মেজাজ ভয়ংকর রুক্ষ! মনে হইয়াছিল ‘পান হইতে চুনটুকু খসিলেই’ বুঝি সর্বনাশ!’
তারপর অরবিন্দের কাছে পৌঁছে তাঁকে দেখে যেন বিস্ময়ের ঘোর কাটে না। দীনেন্দ্রকুমার লিখছেন— ‘পায়ে শুড়ওয়ালা সেকেলে নাগরা জুতা, পরিধানে আহমেদাবাদের মিলের বিশ্রী পাড়ওয়ালা মোটা খাদি, কাছার আধখানা খোলা, গায়ে আঁটো মেরজাই, মাথায় লম্বা লম্বা গ্রীবাবিলম্বিত বাবরীকাটা পাতলা চুল, মধ্যে চেরা সিঁথি, মুখে অল্প অল্প বসন্তের দাগ, চক্ষুতে কোমলতাপূর্ণ স্বপ্নময় ভাব, শ্যামবর্ণ ক্ষীণদেহধারী এই যুবক ইংরেজী, ফরাসী লাটিন, হিব্রু, গ্রীকের সজীব ফোয়ারা শ্রীমান অরবিন্দ ঘোষ। দেওঘরের পাহাড় দেখাইয়া যদি কেহ বলিত— ‘ঐ হিমালয়’, তাহা হইলেও বোধহয়, ততদূর বিস্মিত ও হতাশ হইতাম না।’
দীনেন্দ্রকুমার তাঁর স্মৃতিচারণায় আরও জানিয়েছেন— ‘দু-একদিনের ব্যবহারেই বুঝিলাম, অরবিন্দের হৃদয়ে পৃথিবীর হীনতা ও কুলষতা নাই। তাঁহার হাসি শিশুর হাসির মতো সরল, তরল ও সুকোমল। হৃদয়ের অটল সঙ্কল্প ওষ্ঠপ্রান্তে আত্মপ্রকাশ করিলেও মানবের দুঃখে আত্মবিসর্জনের দেবদুর্লভ আকাঙ্ক্ষা ভিন্ন সে হৃদয়ে পার্থিব উচ্চাভিলাষের বা মনুষ্যসুলভ স্বার্থপরতার লেশমাত্র নাই।
অরবিন্দ তখনও বাংলায় কথা বলিতে পারিতেন না; কিন্তু মাতৃভাষায় কথা কহিবার জন্য তাঁহার কী প্রগাঢ় ব্যাকুলতা! দিবারাত্রি একত্র বাস করিয়া ক্রমে যতই অরবিন্দের হৃদয়ের পরিচয় পাইতে লাগিলাম, ততই বুঝিতে পারিলাম, অরবিন্দ এ পৃথিবীর মানুষ নহেন; অরবিন্দ শাপভ্রষ্ট দেবতা। ভগবান কি ভাবিয়া তাঁহাকে বাঙালী করিয়া অভিশপ্ত ভারতে নির্বাসিত করিয়াছিলেন তা তিনিই বলিতে পারেন।’
১৮৯৪-এর ৮ এপ্রিল বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের তিরোধান। বরোদায় অরবিন্দ লিখলেন ‘SARASWATI WITH THE LOTUS’  শীর্ষক এক অনবদ্য ইংরেজি সনেট। তাঁর স্মরণে কিছুদিন পরে লিখলেন আর একটি কবিতা ‘The sweetest voice that ever spoke in prose.’
অরবিন্দ বলতেন, ‘বঙ্কিমচন্দ্র আমাদের অতীত ও বর্তমানের ব্যবধানের উপর সুবর্ণ সেতু।’ সে বছর ১৬ জুলাই থেকে ২৭ আগস্ট এই মাস দেড়েকের মধ্যে তিনি বঙ্কিমচন্দ্র সম্বন্ধে লিখলেন সাতটি মূল্যবান নিবন্ধ। উত্তরকালে তাঁকে আখ্যায়িত করেন ‘ঋষি’ অভিধায়।
প্রমোদকুমার সেনের অভিমত— ‘বঙ্কিম সম্বন্ধে তাঁহার সুবিদিত ইংরাজি প্রবন্ধ বঙ্কিমকে যথার্থ অমর করিয়াছে। শ্রীঅরবিন্দ কি তখন বুঝিতে পারিয়াছিলেন যে, বঙ্কিমের ‘বন্দে মাতরম’ মন্ত্র কয়েক বৎসরের মধ্যে জাতিকে জাগাইবে— কোন এক শুভ মুহূর্তে, বিশেষ কাহারও নির্দেশ বিনা জাতি এই প্রাণপ্রদ মন্ত্র গ্রহণ করিবে? বঙ্কিমচন্দ্রের  ‘আনন্দমঠ’কে শ্রীঅরবিন্দ ও তাঁহার অনুচরবর্গই বাস্তব রূপ দিবার চেষ্টা করেন। এককালে ‘আনন্দমঠ’-এর অনুরূপ ‘ভবানী মঠ’ গঠনেরও প্রচেষ্টা হইয়াছিল।’
বিস্ময়ের বিষয়, দীনেন্দ্রকুমার রায়ের কাছে বাংলা শেখা শুরুর প্রায় সাড়ে তিন বছর পূর্বে অরবিন্দ কীভাবে ‘ইন্দুপ্রকাশ’ লিখলেন বঙ্কিমচন্দ্র সম্পর্কে অমন কালজয়ী সাতটি নিবন্ধ।
গিরিজাশঙ্কর রায়চৌধুরী, এ প্রশ্ন শুধিয়েছিলেন অরবিন্দের ছোটবোন সরোজিনী ঘোষকে। গিরিজাশঙ্কর লিখেছেন— ‘অরবিন্দের ভগিনী শ্রীযুক্তা সরোজিনী ঘোষ আমাদিগকে বলিয়াছেন যে অরবিন্দ ‌I.C.S পরীক্ষায় বাঙ্গালা ভাষা নিয়াছিলেন এবং বঙ্কিম তাঁহার পাঠ্য ছিল। সুতরাং বাঙ্গালা ভাষাতেই তিনি বঙ্কিমের উপন্যাস কেম্ব্রিজে থাকাকালীন পাঠ করিয়াছিলেন। বাঙ্গালা বলিতে না পারিলেও তিনি উহা পড়িতে ও বুঝিতে পারিতেন।’
বরোদায় অরবিন্দের সঙ্গে এক ঘরে দু-বছর কাটিয়েছেন দীনেন্দ্রকুমার রায়। তাঁর কথায়, ‘বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস অরবিন্দ নিজেই পড়িতেন, বেশ বুঝিতে পারিতেন। কথোপকথনের ভাষা ভালো বুঝিতে পারিতেন না।’
অরবিন্দ তাঁর বাংলা শিক্ষক দীনেন্দ্রকুমার রায়কে বরোদায় নিয়ে আসার সময় জীবিত ছিলেন মাতামহ খ্যাতনামা রাজনারায়ণ বসু। ১৮৯৮-এর অক্টোবরে পুজোর ছুটিতে তিনি বরোদা থেকে গিয়েছিলেন মাতুলালয় দেওঘরে। সেখান থেকে কয়েক দিনের জন্য বেড়াতে আসেন ৬ নং কলেজ স্কোয়ারে তাঁর ন-মেসো কৃষ্ণকুমার মিত্রের বাড়িতে।
এখানে স্মর্তব্য, অরবিন্দের ন-মাসি লীলা দেবীর সঙ্গে কৃষ্ণকুমার মিত্রের বিবাহ অনুষ্ঠানটি বিশেষ কারণে বাঙালি ইতিহাসের একটি স্মরণীয় ঘটনা।
১৮৮১ সালের ২৯ জুলাই, সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ মন্দিরে আড়ম্বরপূর্ণ সেই বিবাহসভায় একসঙ্গে গান গেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ও নরেন্দ্রনাথ— ভাবীকালের স্বামী বিবেকানন্দ।
মেঘমন্ত্রের মতো গভীর গম্ভীর জোয়ারি কণ্ঠস্বরের অধিকারী বিবেকানন্দ। তাঁর এই কণ্ঠ সম্পদের গুণে বা বিভিন্ন ব্রাহ্ম উপাসনালয়ে সঙ্গীত পরিবেশনে সুগায়কের স্বীকৃতির কারণে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন আদি ব্রাহ্মসমাজের অন্যতম অগ্রনায়ক রাজনারায়ণ বসুর চতুর্থ কন্যা লীলা দেবীর সঙ্গে ‘সঞ্জীবনী’ পত্রিকার ভাবী প্রতিষ্ঠাতা কৃষ্ণকুমার মিত্রের বিয়েতে সঙ্গীত পরিবেশনের জন্য।
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রাহ্মসমাজের এই বিয়ের অনুষ্ঠানটি সর্বাঙ্গসুন্দর করতে বিশেষ আগ্রহী ছিলেন। তিনি কনিষ্ঠ পুত্র রবীন্দ্রনাথকে নির্দেশ দেন বিবাহমঙ্গল গীত রচনা ও সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্ব নিতে।
রবীন্দ্রনাথ এ উপলক্ষে তিনখানি ধ্রুপদাঙ্গ সঙ্গীত রচনা করেন এবং বিবেকানন্দসহ অন্যান্যদের শেখান। গান তিনখানি—
১। দুই হৃদয়ের নদী (সাহানা, ঝাঁপতাল)
২। জগতের পুরোহিত তুমি (খাম্বাজ, একতাল)
৩। শুভদিনে এসেছ দোঁহে (বেহাগ, তেতাল)
এই সঙ্গীতানুষ্ঠানের সঙ্গীত মহড়ায় একসঙ্গে অংশ নিতেন রবীন্দ্রনাথ ও নরেন্দ্রনাথ। শোনা যায়, মহড়ার সময় রবীন্দ্রনাথ অর্গান বাজাতেন, নরেন্দ্রনাথ বসতেন পাখোয়াজ নিয়ে। সে এক বিরল মুহূর্ত, অপূর্ব দৃশ্য। দুই হৃদয়ের নদী একত্রে মিলিত।
রবীন্দ্র-বিবেকানন্দের সঙ্গীত মুখরিত এই অবিস্মরণীয় বিবাহ-বাসরে অবশ্য অরবিন্দ উপস্থিত ছিলেন না। ন-বছরের অরবিন্দ তখন ইংল্যান্ডে, সম্ভবত ম্যাঞ্চেস্টার, গ্রামার স্কুলে ভর্তির পূর্বে Mr. Druette-এর কাছে লাতিন ও Mrs Druette-এর কাছে ইংরেজির পাঠ নিচ্ছেন।
পরবর্তী সময়ে অরবিন্দ-অনুজ বারীন্দ্রকুমার ঘোষ ‘আমার আত্মকথা’র গৌরচন্দ্রিকায় ন-মেসো কৃষ্ণকুমার মিত্রের অবতারণা করেছেন সম্পূর্ণ ভিন্নতর প্রেক্ষাপটে। বারীন্দ্রকুমার লেখেন—
‘যখন বিজলীতে ‘বোমার যুগের কথা’ বের হতে আরম্ভ হল তখন ভারতে প্রিন্স অব ওয়েলস্‌ আসছেন, অশান্ত ভারতকে রাজপুত্র দেখিয়ে শান্ত করবার বিরাট আয়োজন চলছে। সার সুরেন্দ্রনাথ সঞ্জীবনী সম্পাদক শ্রীকৃষ্ণকুমার মিত্রের দ্বারা আমায় ডেকে পাঠিয়ে অনুরোধ করেন ‘বোমার কথা’ বন্ধ রাখতে যে পর্যন্ত রাজপুত্র বহাল তবিয়তে বাপ মায়ের কোলে ফিরে না যান। আমি বিজলীর পাঠকদের এমনভাবে প্রতিশ্রুতি দেবার পর বন্ধ রাখতে নারাজ হওয়ায় চতুরচূড়ামণি  সুরেন্দ্রনাথ আমায় রোনাল্ডসে সাহেবের শরণাপন্ন হতে উপদেশ দিলেন এবং খুব সম্ভব ভিতরে ভিতরে কলকাটিটিও টিপে রাখলেন। আমি ডাক পেয়ে একদিন লাটভবনে গিয়ে উপস্থিত হই। বাহিরে অপেক্ষা করবার সময় দেখি সার সুরেন্দ্রনাথ কাছাকাছি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। রোনাল্ডসে সাহেবের ঘরে আমার ডাক পড়বার পরই সে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন স্টেটসম্যানের সম্পাদক জোন্স সাহেব। আমি এই অনুরোধের বিরুদ্ধে রোনাল্ডসে সাহেবকে জানাই; বলি, যে, পাঠকদের  প্রতিশ্রুতি দিয়ে এখন আর ওটা বন্ধ করা যায় না। লাট সাহেব হেসে বলেন— ‘গভর্নমেন্ট আপনাকে বন্ধ করতে বাধ্য করছেন না, অনুরোধ করছেন মাত্র।’ অগত্যা ‘বোমার কথা’ বন্ধ হয়ে যায় এবং দেশে বোমার সূত্রপাত ও চণ্ডলীলা আবার হওয়ায় আর তা এ পর্যন্ত বের হয়নি।’
বরোদায় অরবিন্দের সঙ্গে পরিচয় এক আশ্চর্য ব্যক্তির। বিরল প্রতিভাবান চিত্রকর শশীকুমার হেশ। এই আলাপ-পরিচয়ের অন্তরালে অরবিন্দের ন-মেসোমহাশয় কৃষ্ণকুমার মিত্রের সম্ভবত ছিল একটি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা। শশীকুমার  ইউরোপে থাকতে কৃষ্ণকুমারের ‘সঞ্জীবনী’ পত্রিকায় প্রতি সপ্তাহে লিখতেন বিলাতের পত্র।
বরোদায় চমৎকার সম্পর্ক গড়ে ওঠে অরবিন্দের ছায়াসঙ্গী দীনেন্দ্রকুমার রায়ের সঙ্গেও। তাঁর মতে, শশীকুমার ফরাসি ও ইতালীয় সাহিত্যে সুপণ্ডিত হলেও ইংরেজি ভালো জানতেন না। তাঁদের সঙ্গে গল্প করার সময় ইংরেজি বলতেন থেমে থেমে।
অরবিন্দ তাঁকে বলেছিলেন— শশীকুমার চিত্রকর, এ পরিচয় না পেলেও তাঁকে দেখেই  আমি বলতে পারতাম এ যুবক চিত্রকর। তাঁর চেহারায় রয়েছে এক বিশেষ অসাধারণত্ব। প্রথম দর্শনে সাহেবি পোশাকে শশীকুমারকে আমি বাঙালি বলে বুঝতে পারিনি। এমন গৌরবর্ণ বাঙালির ভিতর খুব একটা দেখা যায় না। শশীকুমারকে দেখে ইতালিয়ান বলে মনে হয়। তাঁর গোঁফদাড়িও একটু কটা।
শশীকুমার তাঁর জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতার কাহিনি শোনাতেন অরবিন্দকে। তাঁর অনেক ব্যাপার অরবিন্দ অনুমোদন বা সমর্থন করতেন না— তবু তাঁর কাছে সব বলে যেন স্বস্তি পেতেন শশীকুমার।
চিত্রকলা শেখার জন্য তিনি বহুদিন ছিলেন ফ্লোরেন্স, প্যারিস ও মিউনিকে। প্যারিসে প্রেমে পড়েন এক ফ্রেঞ্চ সুন্দরীর। নাম তাঁর মিস ফ্লামা। কলকাতায় এসে মিস ফ্লামাকে বিয়ের আয়োজন করেন।
কিন্তু কেউ স্বীকৃতি দিতে চায়নি তাঁদের বিবাহের। শশীকুমার হেশ ছিলেন সাধারণ ব্রাহ্মসমাজভুক্ত ব্রাহ্ম। ‘অজ্ঞাতকুলশীলা’ ফ্রেঞ্চ এক মেয়ের সঙ্গে তাঁর ব্রাহ্ম মতে বিবাহ মেনে নিতে পারেননি সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের অনেকে। সমস্যা সমাধানে অবশেষে আসরে নামেন বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র। তাঁর বলিষ্ঠ উদ্যোগ ও দৃঢ়তায় নির্বিঘ্নে সুসম্পন্ন হয় শশীকুমার-ফ্লামার বিয়ে।
চিত্রকর শশীকুমার হেশ প্রণয়িনীর সঙ্গে প্রাণের কথা কইতেন ফ্রেঞ্চ ভাষায়— কেন না ফ্লামা ইংরেজি বা বাংলা জানতেন না কোনওটাই।
দীনেন্দ্রকুমার রায় প্রায় প্রতি বিকেলেই যেতেন শশীকুমারের গেস্ট হাউসে। এক একদিন গল্প করতেন অনেক রাত পর্যন্ত। অরবিন্দ যেতেন মাঝে মাঝে। শশীকুমারের স্বদেশপ্রেম, সাহিত্যানুরাগ ও চিত্রকলা-নৈপুণ্যের তিনি প্রশংসা করতেন মুক্তকণ্ঠে কিন্তু একেবারে পছন্দ করতেন না তাঁর বিলাসপ্রিয়তা।
শশীকুমার বরোদার গেস্ট হাউসে অরবিন্দকে দু-তিন দিন সামনে বসিয়ে এঁকেছিলেন একটি তেল রঙের ছবি।
সেই সময় দীনবন্ধু মিত্রের ‘সধবার একাদশী’ ও ‘লীলাবতী’ অরবিন্দ পড়েছিলেন তাঁর বাংলা শিক্ষকের কাছে। তবে ‘লীলাবতী’ পড়াবার সময় একটি ছড়ার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হন তাঁর শিক্ষক। ছড়াটি—
‘মদের মজাটি গাঁজা কাটি কচ্‌ কচ্‌,
মামীর পিরীতে মামা হ্যাঁকচ প্যাঁকচ।’
দীনেন্দ্রকুমার রায় লিখছেন— ‘ইহার ঠিক অনুবাদ করা, আমি তো দূরের কথা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক দিগ্‌গজেরও অসাধ্য! বিস্তর চেষ্টা করিয়াও হ্যাঁকচ-প্যাঁকচ কি তাহা অরবিন্দকে বুঝাইতে পারি নাই। ‘পিরীতের হ্যাঁকচ প্যাঁকচ’ অরবিন্দ বোধ হয় জীবনে বুঝিতে পারিবেন না; পারিলে তাঁহার এ দুর্দ্দশা হইবে কেন?
‘স্বর্ণলতা’ পাঠ করিয়া অরবিন্দ মুগ্ধ হইয়াছিলেন। চিরপ্রবাসী বাঙ্গালীর ছেলে অরবিন্দ বাঙ্গালার গার্হস্থ্য-চিত্রে পরিতৃপ্ত হইবেন, ইহা বিস্ময়ের কথা নহে; কিন্তু এই উপন্যাসের শেষাংশ পাঠ করিয়া তাঁহাকে কিছু হতাশ হইতে দেখিয়াছিলাম। ‘স্বর্ণলতা’ পাঠ করিতে, শশাঙ্কশেখরের গৃহে যেখানে আগুন লাগিল সেই স্থানে আসিয়া অরবিন্দ পুস্তক বন্ধ করিলেন; বলিলেন— গ্রন্থকার এই স্থানেই গল্পের ‘আর্ট নষ্ট করিয়াছেন’। কথাটি কতদূর সঙ্গত সাহিত্যমোদী পাঠক তাহা ভাবিয়া দেখিবেন।’
ভারতচন্দ্রকে প্রতিভাবান মনে করতেন অরবিন্দ। তাঁর শিল্পরসবোধকে উপেক্ষা করেননি অশ্লীল বলে। বাঙালির ধর্মজীবন ও সাহিত্যের সন্ধানে তিনি গভীর আগ্রহ নিয়ে পড়েন ‘অন্নদামঙ্গল’।
অরবিন্দ গভীর অভিনিবেশে পড়তেন স্বামী বিবেকানন্দের বাংলা প্রবন্ধগুলি। দীনেন্দ্রকুমারকে বলতেন,  ‘স্বামীজির ভাষায় প্রাণের সাড়া পাওয়া যায়, ভাষার ভাবের এরূপ ঝঙ্কার, শক্তি ও তেজ অন্যত্র দুর্লভ।’
কবিত্বে বাল্মীকির শ্রেষ্ঠতা প্রতিষ্ঠায় তিনি লিখেছিলেন এক ইংরেজি নিবন্ধ। অরবিন্দ বলেন, ‘মহাকবি দান্তের কবিত্বে মুগ্ধ হয়েছিলাম, হোমারের ইলিয়াড পাঠে পরিতৃপ্ত হয়েছিলাম; ইউরোপের সাহিত্যে তা অতুলনীয়; কিন্তু কবিত্বে বাল্মীকি সর্বশ্রেষ্ঠ। রামায়ণের তুল্য মহাকাব্য পৃথিবীতে দ্বিতীয় নেই।’
১৯০৫-এর শেষপ্রান্তে অথবা ১৯০৬-এর শুরুতে প্রকাশিত হয় অরবিন্দের ‘ভবানীমন্দির’ ইংরেজি প্রবন্ধ-পুস্তিকা। সেই সময় থেকে তিনি রামায়ণ-মহাভারত বিষয়ে গভীর চর্চা শুরু করেন লোকচক্ষুর অন্তরালে। 
নিভৃতে লিখতে শুরু করেন মহাভারত সম্বন্ধে। তাঁর স্নেহভাজন বিপ্লবী সুধীরকুমার সরকার একদিন তাঁকে সরাসরি শুধোন— ‘আপনি কি মহাভারতের সব কথা বিশ্বাস করেন? এতে নাকি অনেক প্রক্ষিপ্ত আছে?’
অরবিন্দ সম্ভবত তাঁর অনুরাগীর কাছ হতে হঠাৎ এমন প্রশ্ন আশা করেননি। শান্ত ধীর কণ্ঠে বললেন— ‘বাসুকীর পৃথিবীধারণ, এ কথা তোমার আমার  অস্তিত্বের মতোই সত্য— তবে যে দৃষ্টিতে সেটা দেখা যায়, তা আমরা হারিয়েছি। আর যে দৃষ্টিতে নানা প্রতিক্রিয়ার ফলে আধুনিক বৈজ্ঞানিক জগৎ দেখছি, সেটাই মানুষের সমগ্র দৃষ্টি নয়। বাসুকী represents vital power, সমগ্র প্রাণশক্তির প্রতীক।’
(চলবে)
06th  March, 2022
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
অপরাজিতা
মীনাক্ষী সিংহ

জুনিয়র ডাক্তার সুমন সান্যাল জানিয়ে গেল অপারেশন থিয়েটার রেডি, এবার ডাঃ মিত্রকে যেতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠলেন সার্জেন মাধবিকা মিত্র। আজ একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন। বছর সতেরোর মেয়েটির মায়ের মুখ মনে পড়ল মাধবিকার। বিশদ

18th  February, 2024
একনজরে
ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...

তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকট। শুক্রবার ক্ষোভে হরিরামপুর-ইটাহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। হরিরামপুর থানার বিশাল ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শহরের আবহাওয়ার হাল-চাল
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই বজায় থাকবে ...বিশদ

11:02:00 AM

দুর্গাপুরে কারখানার বিষাক্ত গ্যাস লিক করে অসুস্থ ৫ শ্রমিক
দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের ব্লাস্ট ফারনেসে গ্যাস লিক। শুক্রবার রাতে বিষাক্ত ...বিশদ

10:58:20 AM

মাথাভাঙায় বাইসনের আক্রমণে জখম ৪
সকাল থেকে কোচবিহারের মাথাভাঙা-১ ব্লকের পচাগড় ও জোরপাটকি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় ...বিশদ

10:52:42 AM

নদীয়ার কালিগঞ্জে সোনার দোকানে বিস্ফোরণ, জখম ১
ব্যাপক বিস্ফোরণে উড়ে গেল সোনার দোকানের ছাদ। ঘটনাটি ঘটেছে, নদীয়ার ...বিশদ

10:40:15 AM

ট্রাম্পের বিচার চলাকালীন আদালতের বাইরে নিজের গায়ে আগুন ব্যক্তির
আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা এবারের রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার ...বিশদ

10:36:15 AM

হলদিয়ার সুপার মার্কেটে ভয়াবহ আগুন, ভস্মীভূত একাধিক দোকান
গভীর রাতে হলদিয়ার দুর্গাচক সুপারমার্কেটে ভয়াবহ আগুন লেগে ভস্মীভূত হল ...বিশদ

10:08:57 AM