Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছোট গল্প
ডেলিভারি বয়
অঞ্জনা ঘোষ

 

কাঠের নড়বড়ে দরজার ছোট তালাটা খুলে সরমা ঘরে ঢুকল। বস্তির ভেতর থেকে ঝগড়াঝাঁটির শব্দ ভেসে আসছে। এ তো রোজের ব্যাপার, সরমা ভাবল। এখন আর একটুও জিরানোর সময় নেই। স্টোভে রান্না চাপাতে হবে। বেলায় কাজ সেরে শেষ বাজারে মন্টুর কাছ থেকে মৌরলা মাছ নিয়ে এসেছে বেশ সস্তা দরে। কাঁচালঙ্কা আর সর্ষে বাটা দিয়ে ঝাল ঝাল করে বাটিচচ্চড়ি রান্না করবে। আর আলু সেদ্ধ মেখে নেবে। শিবু হয়তো আজ আর ভাতের পাত দেখে রাগ করবে না। গত বছর থেকেই ষাট পেরনো সরমা একেবারে নাজেহাল হয়ে যাচ্ছে সংসার চালাতে। তবু শুধুতো মা-ব্যাটার সংসার। আসলে ছ’টা বাড়ির মধ্যে এখন মাত্র তিনটে বাড়িতে কাজ আছে সরমার। বাকি সব বাড়ির বউদিরা অন্য লোক রেখে নিয়েছে। কারণ, সরমা ভ্যাকসিন নেয়নি ভয়ে। শিবু যে বাচ্চাদের স্কুলের বাস চালাত সেটাও তো বন্ধ আছে গত বছর থেকেই। কিছু রোজগারের আশায় ও ফুটপাতে প্লাস্টিক পেতে বসেছিল আনাজপাতি নিয়ে। তবে আয় সামান্যই ছিল। কবে যে এই ‘করোনা’ না ‘করুণা’ আপদটা যাবে সেটা ভাবতে ভাবতেই সরমা রান্নার জোগাড় সেরে স্টোভ জ্বালাল। 
শিবু ওরফে শিবেন সরমার ছোট ছেলে। বড় ছেলে হারান পাশেই একটা ঘরে থাকে বউ আর মেয়েকে নিয়ে। সরমার নাতনি ঝুমকো এখন বারো ক্লাসে পড়ে। টাকা পয়সার ব্যাপারে হারানও একেবারে হাত তুলে দিয়েছে। তাই সরমার কয়েক মাসের বাড়ি ভাড়া বাকি পড়ে গেলেও হারান কোনও সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। কেরোসিন তেলের পেছনেই কি সরমার কম খরচ হচ্ছে? গ্যাসে রান্নাও এখন আপাতত বন্ধ রেখেছে। পুরনো টিভিটাও কতদিন খারাপ হয়ে পড়ে আছে। এই টিভিটা বিনতা বউদিরা দিয়েছিল ওদের বসার ঘরে নতুন দামি টিভি আসার পর। তারপর সেই যে ঝড়বৃষ্টির পরে গতবছর পাকুড় গাছের ডাল পড়ে ছাদের কয়েকটা টালি ভেঙে গিয়ে জল পড়তে শুরু করেছিল তাও আর সারানো সম্ভব হয়নি। শিবু কোনওমতে মোটা প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে ব্যাপারটা সামলেছে। 
দুই
সরমার কাজের বাড়ির জয়িতা বউদির সূত্রেই শিবু কিছুদিন আগে একটা ডেলিভারি বয়ের কাজ পেয়েছে। প্রথমে পাঁচ হাজারের বেশি দেবেন না বলেছেন ঊর্মিলা ম্যাডাম। কাজ দেখে মাইনে বাড়াবার আশ্বাসটুকু তিনি অবশ্য দিয়েছেন। সল্টলেকে দশ নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে ওঁর বাড়ি। ওঁকে রান্নায় সাহায্য করে দু’টি মেয়ে। রোজই সারাটা দিন ওদের হাড়ভাঙা খাটুনি খাটতে হয় রান্নাঘরে ঘেমে নেয়ে। শিবু আপাতত ওর সাইকেল নিয়েই সল্টলেকের এদিক ওদিক খাবার পৌঁছে দেয়। শিবুকে সরমা প্লাস্টিকের টিফিন বক্সে রুটি তরকারি দিয়ে দেয়। কিন্তু এ বাড়ি ও বাড়ি ছুটতে গিয়েই শিবুর নিজেরই আর ঠিকঠাক খাওয়া হয়ে ওঠে না। কয়েকটা বাড়িতে রাতের খাবার ডেলিভারি দিয়ে আর ঊর্মিলা ম্যাডামকে টাকা পয়সা বুঝিয়ে দিয়ে বাড়ি ফিরতে রাত হয়ে যায়। শিবুর ফেরার অপেক্ষায় জেগে থাকতে থাকতে সরমা একসময় ঘুমে ঢুলে পড়ে। আগে তবু সন্ধেবেলা ক্লান্ত হলেও একটু টিভি সিরিয়াল দেখত। এখন তো সেটাও বন্ধ। ডেলিভারির কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে বারোয়ারি কলঘরে সাবান দিয়ে স্নান করে, মাস্ক আর জামাকাপড় কেচে ঘরে এসে খেতে বসতে আরও কিছুটা দেরি হয়ে যায়। ঊর্মিলা ম্যাডাম অপরিচ্ছন্ন জামাকাপড় পরে কাজে যাওয়া একদম পছন্ধ করেন না। রাতের পাতে ডাল ভাত মেখে খেতে খেতে শিবু বলে, ‘মাইনেটা পেলে আমাদের এতটা কষ্ট আর করতে হবে না মা বলো। টালির ছাদটাও আমি তখন সারিয়ে নেব।’ জবাব না দিয়ে সরমা ঘুম জড়ানো চোখে একটু ম্লান হাসে। খাবার সময়ে পাশের ঘর থেকে হারান আর ওর বউ অপর্ণার ঝগড়ার শব্দ শুনতে পায় সরমা। খেতে খেতে শিবু বলে ‘ওই আবার শুরু হয়েছে দু’জনের গালাগালি। শালা শান্তি নেই কোথাও। নির্ঘাত দাদা আজ আবার দেশি মদের ঠেকে ঢুঁ মেরেছিল। তাই বউদি ক্ষেপে গেছে।’ ‘তাই হবে,’ বলে সরমা দাওয়ায় বাসন ধুতে যায়। রাত আরও বাড়তে বস্তি আস্তে আস্তে শুনশান হয়ে যায়। একসময় থেমে যায় হারান-অপর্ণার ঝগড়া। 
তিন
দুর্গা ষষ্ঠীর দিন শিবু সন্ধেবেলায় নিয়ম মতোই পৌঁছল সিদ্ধার্থ মুখার্জির বাড়িতে রাতের খাবার নিয়ে। বাড়ির দোতলায় থাকেন নিঃসঙ্গ এই প্রবীণ দম্পতি। ছেলেমেয়ে থাকে বিদেশে— শিবু এইটুকুই শুনেছে শ্রীলা মাসিমার কাছে। ফোনেই কথা হয় তাদের সঙ্গে। একতলাটা ভাড়া দেওয়া আছে। রাস্তার ধারে বেড়া দেওয়া বাগানটার ছন্নছাড়া অবস্থা এখন। ওই দু’-একটা নয়নতারা, জবা, সূর্যমুখী এসবই আছে এখন। ভাড়াটে পরিবারটি দেখাশোনা করে বাগানের। ভাড়াটে রাঘব সান্যাল তাঁর স্ত্রী আর কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে নিয়েই থাকেন একতলায়। ‘ঊর্মিলা’স কিচেন’-এর সঙ্গে মুখার্জি পরিবারের সারা মাসের চুক্তি। রোজ সাড়ে সাতটার মধ্যেই ওঁদের রাতের খাবার পৌঁছে দিতে হয়। রানা নামের আর একটি ডেলিভারি বয় ওঁদের দুপুরের খাবার দিয়ে যায়। 
ঊর্মিলা ম্যাডামের কাছে শিবু শুনেছে যে আজ সিদ্ধার্থবাবুর বাড়িতে অতিথি আসবেন। ঊর্মিলা ম্যাডামের সঙ্গে কথা বলেই শ্রীলা মাসিমা আজকের মেনু ঠিক করেছেন। সকলেরই বয়েস হয়েছে। তাই খুব তেল গরগরে রান্না ওঁরা কেউই পছন্দ করেন না। ফোনে কথা বলার সময়ে শিবু শুনেছে মাসিমার আজকের অর্ডারের কথা। শিবু আজ মুখার্জি বাড়িতে নিয়ে যাবে বাসন্তী পোলাও, চিকেন রেজালা, মাটন কাটলেট আর ক্যারামেল পুডিং। কোনওদিন এসব খায়নি শিবু। শুধু মাটন কাটলেট খেয়েছে কয়েকবার বন্ধুদের সঙ্গে হাতিবাগানের একটা দোকানে, ঠাকুর দেখতে গিয়ে। এখন পাঁঠার মাংসও আর সরমা কিনতে পারে না। এত দাম। শিবু জানে বাসন্তী পুজো হয় প্রত্যেক বছর চৈত্র মাসে। মায়ের কাছে শুনেছে যে ওটাই নাকি আসল দুর্গাপুজো। কিন্তু বাসন্তী পোলাওটা আবার কী রে বাবা— শিবুর মনে হয়। সরস্বতী পুজোর সময় মেয়েরা যে বাসন্তী রঙের শাড়ি পরে পোলাওটা কি ওইরকম রঙেরই হয়। মায়ের হাতের মুরগির মাংসের ঝোল ছাড়া ও আর কিছুই খায়নি।  বেল বাজানোর পরে দাঁড়িয়ে থেকে শিবু লক্ষ করল দোতলাটা আজ কেমন যেন অন্ধকার লাগছে। শুধু ভেতরের বারান্দায় আলো জ্বলছে। ও দ্রুত পায়ে নেমে এসে ভাড়াটেদের দরজায় বেল বাজাল। রাঘববাবুর মেয়ে এসে দরজা খুলল। মেয়েটি বলল, মুখার্জি মেসোমশাই বিকেল পাঁচটা নাগাদ বাথরুমে পড়ে গিয়েছিলেন। জ্ঞান ছিল না তখন। ভাগ্যিস দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করেননি। মেসোমশাইয়ের বন্ধুও তখন চলে এসেছিলেন। স্থানীয় এক ডাক্তারবাবুকে মাসিমা ফোন করে ডেকে এনেছিলেন। ডাক্তারবাবু আর সময় নষ্ট করে বাড়িতে রাখতে বারণ করে। তাই ওঁরা হুড়োহুড়ি করে বন্ধুর গাড়িতে করেই হাসপাতালে চলে গিয়েছেন। সব শুনে শিবু চিন্তিত মুখেই বললেন, ‘বাইরের গেটে তো তালা দেখলাম না।’ মেয়েটি উত্তর দিলেন ‘হয়তো তাড়াতাড়ি বেরতে গিয়ে কোল্যাপসিবল গেটে তালা দিতে মাসিমা ভুলে গেছেন।’ কোন হাসপাতালে মেসোমশাই ভর্তি হয়েছেন সেটা মেয়েটি জানে না। কারণ রাঘববাবু এখনও কোনও ফোন পাননি। খাবারের প্যাকেটগুলো নিয়ে শিবু বাইরের সিঁড়ির ধাপে বসে পড়ল দু’ হাতে মাথাটা চেপে ধরে। আর বসে বসে শুনতে পেল মেয়েটির দরজা বন্ধ করার শব্দ। দোতলাটা একদম নিঝুম অন্ধকার। আস্তে আস্তে সিঁড়ি থেকে উঠে শিবু খাবারের প্যাকেটগুলো নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে এল। আশপাশে ভিড় বাড়ছে। আজ অনেক অর্ডারও ছিল। মায়ের দেওয়া রুটি আর আলুর তরকারি কখন হজম হয়ে গিয়েছে। পেটে চনচনে খিদে। আলো ঝলমলে রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে শিবু ওর কম দামি মোবাইল ফোনটা বন্ধ করে দিল। 
চার 
ষষ্ঠীর রাতে শিবু তাড়াতাড়িই বাড়ি ফিরল। সরমা একটু অবাকই হল। খাবারের প্যাকেটগুলো ছোট টেবিলটার ওপর নামিয়ে রেখে শিবু বলল, ‘মা আজ অনেকদিন পরে জমিয়ে খাব দু’জনে। কতদিন ভালো কিছু খাইনি বলো।’ শিবুর মুখের দিকে তাকিয়ে সরমা বলল, ‘এতসব খাবার কে দিল রে শিবু?’ চোখটা সরিয়ে নিয়ে শিবু বলল, ‘কেন? ঊর্মিলা ম্যাডাম পুজোর কোনও একদিন সবাইকে খাওয়াবেন বলেছিলেন। আজ কয়েকটা অর্ডার ক্যানসেল হয়েছে বলে শুনেছি। তাই আজকেই দিয়েছেন।’ দু’জনে ভরপেট খাবার পরেও অনেকটা খাবার রয়ে গেল। সরমা তক্তপোশে গা এলিয়ে বলল, ‘হ্যাঁ রে, বাসন্তী পোলাওটা কি হলুদ দিয়ে করা হয়? বেশ খেতে। মাংসটাও দারুণ রেঁধেছে। কী মশলা দিয়েছে কে জানে। বিনতা বউদির কাছে শুনেছি এসব রান্নাকে রেছিপি না কি যেন একটা বলে। ভুলে গেছি। তুই অবশ্য কাটলেট আমাকে আগেও খাইয়েছিস। তবে দোকানের থেকে এটাই অনেক ভালো খেতে শিবু।’ একটু থেমে সরমা আবার বলল, ‘এই পুটিংটাও রীতা বউদির করা পুটিং-এর চেয়ে অনেক ভালো।’ শিবু বলল, ‘ওটা পুডিং মা।’ কথা বলতে বলতেই কখন যেন ঘুম এসে গেল সরমার চোখে। শিবু ইতিমধ্যেই পাশ ফিরে শুয়ে পড়েছে। পরের দিন সকালে শিবু চা-বিস্কুট খেয়ে বলল, ‘মা শরীরটা একটু ম্যাজম্যাজ করছে। আজ আর কাজে যাব না ভাবছি।’ সরমা শিবুর কপাল ছুঁয়ে দেখল জ্বর নেই। একটু নিশ্চিন্ত হয়ে কাজের বাড়ির দিকে রওনা হবার আগে ছেলেকে বলল ঊর্মিলা ম্যাডামকে ফোনে জানিয়ে দিতে যে, ও আজ যাবে না। শিবু হ্যাঁ বলে চুপচাপ পাশ ফিরে শুল। আর কোনও কথাই বলল না। ওর ফোন এখনও বন্ধ। 
অষ্টমীর দিন সকালে হঠাৎ রানা এসে উপস্থিত হল শিবুদের বস্তির ঠিকানা খুঁজে খুঁজে। সরমা তখন সামনের পানা পুকুরের ঘাটে বসে দাঁতে মাজছিল। পুকুরের ধারে কচু ঝোপের কাছে এখন দু’-একটা মাছরাঙা বসে আছে। দাঁত মাজতে মাজতে সরমা ওদের বস্তির কয়েকটা বউয়ের সঙ্গে গল্প করছে। আজ একটা কাজের বাড়িতে ছুটি দিয়েছে। তাই তাড়া নেই আজ আর। একটু দূর থেকে ঢাকের শব্দ ভেসে আসছে। একটু পরেই রাস্তার টাইমকলে জল ভরার জন্যে লম্বা লাইন পড়বে মেয়ে বউদের। 
সরমা রানাকে কোনও দিন দেখেনি। তাই ওর মনে হল একটা অচেনা ছেলে চলে যাচ্ছে ওদের ঘরের দিক থেকে বেরিয়ে। ঘরে ঢুকে দেখল শিবু তক্তপোশের ওপর উপুড় হয়ে শুয়ে আছে। ওর কি শরীর খারাপ হয়েছে আবার— ভাবল সরমা। সরমা স্টোভে চায়ের জল চাপিয়ে শিবুকে জিজ্ঞেস করল ছেলেটার কথা। শিবু হুড়মুড় করে তক্তপোশ থেকে নেমে মেঝেয় বসে মায়ের হাত দুটো জড়িয়ে ধরে ভাঙা ভাঙা গলায় বলল, ‘আমি একটা খুব ভুল কাজ করেছি মা। আমার কাজটা আর নেই। যে ক’দিন কাজ করেছি সেই টাকাটা ম্যাডাম রানার হাত দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছেন। শুধু খাবারের দামটা কেটে নিয়েছেন।’ সরমার ইচ্ছে হল শিবুর গালে সপাটে একটা চড় মারতে। শেষ পর্যন্ত চুরি করল শিবু। ওর সব কাজের বাড়ির লোকেরাই ওকে খুব বিশ্বাস করে। এমনকী, বউদিরা প্রয়োজন হলে ওর হাতে ফ্ল্যাটের চাবি দিয়েও বেরিয়ে যায়। কোনও দিন একটা জিনিস এদিক থেকে ওদিক হয়নি। বছর কয়েক আগে তো বিনতা বউদির সোনার দুল ও ঝাঁট দিতে গিয়ে খুঁজে দিয়েছিল খাটের তলা থেকে। এক কানের দুল হারিয়ে বউদি একেবারে মুষড়ে পড়েছিল। দাদাবাবুকেও বলতে পারেনি। একখানা পুরনো সিল্কের শাড়ি দিয়েছিল বউদি দারুণ খুশি হয়ে। সরমার চোখ দিয়ে নিঃশব্দে জল গড়িয়ে পড়ল। শিবুকে ও চড় মারতে পারল না। ছোটবেলা থেকেই ওদের বাবা বউ আর ছেলেদের কোনও দায়িত্বই নেয়নি। পালিয়ে সংসার পেতেছিল অন্য একটা মেয়েকে নিয়ে। তবু ছেলেদের বাপের মরার খবর যেদিন সরমা পেয়েছিল সেদিন সারাদিন কিছু খায়নি। এখন অনেকদিন পরে শিবুর মাথাটা নিজের বুকে টেনে নিয়ে বলল, ‘কাজ না থাক। ওই ম্যাডামের কাছে তুই কিন্তু ক্ষমা চেয়ে নিস।’ চায়ের জল ফুটে ফুটে কখন যে ছোট কেটলিটার একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে তা সরমা আর খেয়ালই করতে পারেনি। শিবু শুকনো মুখে কান্না ভেজা গলায় বলল, ‘খাবারের গন্ধে আমি লোভ সামলাতে পারিনি মা। বড্ড খিদেও পেয়েছিল। ষষ্ঠীর দিন ডেলিভারির অনেক চাপ ছিল। আমায় তুমি ক্ষমা করো মা।’ সরমা আঁচলের খুঁটে চোখ মুছে কাজের বাড়ির দিকে এগল। কী করে জয়িতা বউদির কাছে মুখ দেখাবে ও। এইসব ভাবতে ভাবতেই সরমা অন্যমনস্ক হয়ে রাস্তা পেরল। 
পাঁচ
লক্ষ্মীপুজোর পরের দিন একেবারে সকালে শ্রীলা মাসিমার ফোন পেল ঊর্মিলা। সিদ্ধার্থবাবু আপাতত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন হাসপাতাল থেকে। মাইল্ড অ্যাটাক হয়েছিল ওঁর— শুধু এইটুকুই ও শুনেছে মাসিমার কাছে। এ ক’দিন উনি কসবায় ওঁর ভাই-এর বাড়িতেই ছিলেন। সন্ধেবেলা শিবুকে দিয়ে উনি রুটির সঙ্গে চিকেন স্টু, পাতলা মুসুর ডাল আর একটা হাল্কা নিরামিষ তরকারি পাঠাতে বললেন। শিবুর কীর্তি কাহিনি ঊর্মিলা শ্রীলা মাসিমাকে বলেনি মেসোমশাই অসুস্থ ছিলেন বলে। ঊর্মিলা বলল, ‘মাসিমা এখন থেকে সন্ধেবেলা আপনাদের বাড়ির খাবার নিয়ে যাবে রাজু বলে একটা নতুন ছেলে।’ শ্রীলা মাসিমা জিজ্ঞেস করলেন, ‘কেন শিবুর কী হয়েছে?’ ঊর্মিলা জবাব দিল, ‘আর বলবেন না। ষষ্ঠীর দিন আপনার অর্ডার দেওয়া সমস্ত খাবার আমাকে না জানিয়ে বাড়ি নিয়ে গিয়েছিল। আবার চালাকি করে ফোনও বন্ধ রেখেছিল। বস্তির এসব হ্যাগার্ড ছেলের জন্যে আমার ব্যবসার বদনাম হোক এটা আমি চাই না।  এখন খুব কমপিটিশনের মার্কেট মাসিমা। চিন্তা করবেন না। রাজু ঠিক সময়ে খাবার পৌঁছে দেবে আপনার  বাড়িতে। ভাত ছড়ালে কাকের অভাব হয় না।’ শ্রীলা মাসিমা একটু চুপ করে থেকে বললেন, ‘শিবুর তো কোনও দোষ নেই ঊর্মিলা। আমি বেরনোর আগে শিবুকে একটা চিরকুটে লিখে দিয়ে গিয়েছিলাম খাবারগুলো ওর বাড়িতে নিয়ে যেতে। ওটা দরজার নীচেই রেখেছিলাম যাতে ও দেখতে পায়। তবে মেসোমশাই যে হঠাৎ  অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তা আর লেখার সময় পাইনি। আরে দেখ না, আমি তো মেন গেটে তালা দিতেই ভুলে গিয়েছিলাম। এরই মধ্যে শুধু রাঘববাবুকেই বলে গিয়েছিলাম সব ব্যাপারটা। তুমি জানো না ঊর্মিলা, পুজোর আগে যখন টানা বৃষ্টি চলেছিল তখন জমা জল ভেঙে আমার বাড়িতে কোনও ঠিকে কাজের লোক আসেনি। কিন্তু শিবু কাকভিজে অবস্থায় আমাদের খাবার পৌঁছে দিয়েছিল রোজ। ওই অবস্থায় আমাকে পাউরুটি, দুধ, ডিম এসব কিনে এনেও দিয়েছিল।’ ঊর্মিলা বলল, ‘এটাই তো ওর কাজ মাসিমা।’ শ্রীলা মাসিমা উত্তর দিলেন, ‘শুধু শুধু শিবুর মতো একটা অভাবী ছেলেকে কাজ থেকে ছাড়িও না। সেক্ষেত্রে আমি অন্য জায়গা থেকে হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা করব।’ শ্রীলা মাসিমা ফোন রাখার পরে ঊর্মিলা রানাকে বলল, শিবুকে ফোনে ডেকে নিতে। ডেলিভারির চাপ আছে। রান্নার মেয়েরাও এসে গিয়েছে। শুধু শুধু এত বছরের পুরনো কাস্টমারকে হারানোর কোনও মানেই হয় না। বিশেষ করে মাসচুক্তির। হইহই করে শুরু হয়ে গেল রান্নাবান্না ঊর্মিলা’স কিচেনের দৈনন্দিন কাজকর্মের পর্ব।
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল
09th  January, 2022
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
অপরাজিতা
মীনাক্ষী সিংহ

জুনিয়র ডাক্তার সুমন সান্যাল জানিয়ে গেল অপারেশন থিয়েটার রেডি, এবার ডাঃ মিত্রকে যেতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠলেন সার্জেন মাধবিকা মিত্র। আজ একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন। বছর সতেরোর মেয়েটির মায়ের মুখ মনে পড়ল মাধবিকার। বিশদ

18th  February, 2024
একনজরে
পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুনের আহমেদনগর রোডে একটি শপিং মলে অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের ৬ টি ইঞ্জিন

04:59:21 PM

গুয়াহাটিতে র‌্যালি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার

04:58:17 PM

বিয়ে সেরেই ভোট দিতে ছুটলেন নবদম্পতি
জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুরের একটি বুথে হঠাৎই বেধে গেল হইচই। ভোটের দিন ...বিশদ

04:43:36 PM

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধপরিস্থিতি: আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভারত ও তেল আভিভের মধ্যে বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখল এয়ার ইন্ডিয়া

04:39:42 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): দুপুর ৩ টে পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারে ৬৬.২৩ শতাংশ, কোচবিহারে ৬৫.৫৪ শতাংশ ও জলপাইগুড়িতে ৬৭.২৮ শতাংশ ভোট পড়ল

04:33:34 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): দুপুর ৩ টে পর্যন্ত মেঘালয়ে ৬১.৯৫ শতাংশ, মিজোরামে ৪৯.১৪ শতাংশ, নাগাল্যান্ডে ৫১.৭৩ শতাংশ, পুদুচেরীতে ৫৮.৮৬ শতাংশ ও রাজস্থানে ৪১.৫১ শতাংশ, সিকিমে ৫২.৭২ শতাংশ ভোট পড়ল

04:30:18 PM