Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

নোবেল প্রাইজ
প্রদীপ আচার্য

মাধুরীও কিছুতেই বলবে না আর সজলও না শুনে ছাড়বে না। মাধুরী ভাবে, সে আবার ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছে। এখন তার নিস্তার নেই। কথা ছিল মনে, কেন যে বলতে গেল। না বলেও পারছিল না। হালে দুটো কাঁচা পয়সার মুখ দেখা বড়লোকি চাল মারা বউটার সাহসের কথা ভেবে তখন থেকে হাড়মাস জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে। কথাটা কী? তা অবশ্য বলেনি মাধুরী। শুধু বলেছে, ‘তুমি যা কাণ্ড করো, লোকে যা বলাবলি করে, শুনে আমি লজ্জায় মরে যাই। বড়রা যেমন তেমন, এখন ছোটরাও ঠাট্টা-তামাশা করতে ছাড়ছে না। একজন যা মন্তব্য করেছে, শুনে আমি এত লজ্জা পেয়েছি যে, মনে হয়েছে, ধরণী দ্বিধা হও।’ ব্যস, তাতেই ফাঁদে পড়ে গিয়েছে মাধুরী। সে এখন ভাবছে, কেন যে বলতে গেল।
মাধুরী অবশ্য এতদিন সজল সম্পর্কে যা শুনেছে, তা গায়ে মাখেনি। কিন্তু আজ তরুণের বউ যা বলেছে, শুনে ইস্তক মাথার ঠিক রাখতে পারছে না সে। পরকে দোষ দিয়ে, কথা শুনিয়ে কী লাভ? বরং ঘরের লোকটার ওপর ঝাল ঝাড়তে পারলে যেন গায়ের জ্বালা খানিক জুড়োত। কিন্তু বলার সময় মাধুরী গলার সুর নরম করেই বলেছে। বলেছে, তার কারণ, ঘরের মানুষকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে যদি ফেরানো যায়। মাধুরী  প্রথমে ভেবেছিল, তরুণের বউ যা বলেছে, তা সপাটে বলে দেবে। ভেবেছিল বলবে, ছিঃ ছিঃ শেষপর্যন্ত তোমার এই পরিচয় হল! লোককে সুযোগ দিলে লোক তো বলবেই। লোকের মুখ তুমি বন্ধ করবে কী করে? কিন্তু, বলতে গিয়ে ভয় পেল। সজল ওই কুচ্ছিত মন্তব্যটা শুনলে হয়তো এই রাতদুপুরেই তরুণের ফ্ল্যাটে গিয়ে হুজ্জোত করবে— ‘তরুণ, ডাক তোর বউকে। এই যে সুতপা, তুমি আমার নামে কী বলেছ? লোক চিনে কথা বলবে। তুমি যা বলেছ, তার জন্য তোমাকে ক্ষমা চাইতে হবে।’ হ্যাঁ, সজল এ রকমই বলবে। সজল গলা ফাটাবে। যেমন ফাটায়। ওর গলাই শোনে পাড়ার লোক, ফ্ল্যাটের সবাই। এই নিয়েই ভয় মাধুরীর। লোকলজ্জার ভয়। পাশের ফ্ল্যাটের জানলা খোলা শুরু হয়। মাধুরী একটা প্রাইমারি স্কুলে পড়ায়। পাড়াভর্তি বাচ্চাকাচ্চা তার স্টুডেন্ট। তাই একটু প্রেস্টিজ বাঁচিয়ে চলতে হয় ওকে। সজল বোঝে না, এমনিতেই মাধুরীকে যারা হিংসে করে, সেই সব হাউসওয়াইফদের মধ্যে হাসি-মশকরা, ফোনাফুনি, হোয়াটসঅ্যাপ শুরু হয়ে যায়। মাধুরী তাই সব দিক বিচার বিবেচনা করেই মধুমাখা গলায় শুধু হাওড়ার ‘হা’টুকুই বলেছে।
ওই ‘হা’ এখন হাঁ করে গিলতে আসছে মাধুরীকে। তপ্ত তাওয়ায় জলের ছিটে পড়ার মতো ছ্যাঁক করে উঠল সজল। বলল, ‘কোন শালা আমার নামে কী বলেছে তোমাকে বলতে হবে।’
‘সে তোমার শুনে কাজ নেই।’
‘কাজ নেই মানে? আমার সম্পর্কে লোকে যা বলেছে, তা শুনে তোমার যখন সীতার মতো পাতালে সিঁধিয়ে যাওয়ার সাধ হয়েছে, তখন তো আমাকে জানতেই হবে বাবা। বলো, কে কী বলেছে আমার নামে?’
‘দেখ, এই রাতদুপুরে একগলা গিলে এসে আমাকে জ্বালিও না। সকালে আমার ইস্কুল আছে। সরো যাও, ঘুমতে দাও।’
‘শোনো, আমি বাথরুম যাচ্ছি। ফিরে এসে শুনব। তারপর সজল ভটচাজের নামে আনসান বলার সাহস হয় কী করে, দেখে নেব।’
মাধুরী ভাবে, তরুণের বউয়ের টিটকিরিটা এখন সজল যদি শোনে, তাহলে এই মাঝরাতেই আগুন জ্বলে যাবে। প্রথমে মাধুরী ভেবেছিল, জ্বলুক আগুন। এত অপমান সহ্য করার চেয়ে একটা হেস্তনেস্ত হয়ে যাক। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, ভিক্ষে চাই না, কুকুর ঠেকাও।
আগুনকে বড় ভয় মাধুরীর। এ তো যে সে আগুন নয়। অশান্তির আগুন। এই আগুনে জল ঢালার লোকগুলো সব নির্বাসনে গিয়েছে। এখন আগুন উস্কে দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে চারপাশের লোকজন।
এমনি ঠান্ডাসুস্থির শান্তিপ্রিয় মানুষ সজল। কিন্তু রাগলে পুরো অন্য মানুষ। কোনও হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। যা মুখে আসে বলবে। চিৎকার করে তিন বাড়ি এক করবে। আর এখন তো শ্বশুরের ভিটেয় গণাগুষ্টির লোক। পাঁচতলার ফ্ল্যাট বাড়িতে প্রতি তলে চারটে করে কুড়িটা ফ্যামিলি। সজলের চিৎকার তিনতলা থেকে পাঁচতলাতে যেমন তুবড়ির মতো ঊর্ধ্বমুখী ছোটে, তেমনই দোতলা, একতলার জানালাগুলিতে গিয়েও ঝনঝনিয়ে বাজে। সজলের চিৎকারের দমকে সুরঙ্গমা অ্যাপার্টমেন্ট রীতিমতো কাঁপে। মাঝদুপুর বা মাঝরাত্তির বলে ক্ষমা নেই সজলের কাছে। রাগ হজম করার পাত্র সে নয়। মাধুরী যদি বলে চুপ করো, তো আরও একপর্দা গলা চড়িয়ে সজল বলবে, ‘কেন চুপ করব? আমি কাউকে পরোয়া করি না। আমাকে অভদ্র ভাবে ভাবুক। আমি অত ভেজা বেড়ালের মতো ভদ্দর হতে পারব না।’ এমনই একরোখা স্বভাবের মানুষ সজল। তবে বুদ্ধিসুদ্ধি নেহাত খারাপ নয়। বিএ ডিগ্রি আছে। চাকরির চেষ্টা করেনি কোনওদিনই। কনট্রাক্টরি করে। পার্টি করে। সজল ওদের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। সবচেয়ে বেশি ভোটে জিতেছে। এলাকায় সজলের পপুলারিটিও আছে।  সবার বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিন্তু রাগলে পুরো টাকার ওপিঠ। টাকার একপিঠের ছবির সঙ্গে যেমন অপর পিঠের ছবির মিল থাকে না। একই টাকা, কিন্তু দুপিঠে দু’রূপ। সজলও তেমনই একই লোক, ঠান্ডা মাথার মানুষ, মাথায় খুন চেপে গেলে তখন কে বলবে, এই লোকটাই সেই সজল।
রীতিমতো পাগল পাগল লাগছে এখন মাধুরীর। সজল বাথরুম থেকে বেরলেই ফের নাটক শুরু হবে।
বাথরুমে সজল শাওয়ার খুলে দিয়ে গলা ছেড়েছে, ‘কুছ তো লোগ কহেঙ্গে, লোগো কা কাম হ্যায় কহনা...’ যত রাতেই ফিরুক সজল, কী শীত, কী গ্রীষ্ম, শাওয়ার খুলে গান ধরাটা ওর ডেইলি রুটিন। সাবান মেখে নেয়ে ধুয়ে সাফসুতরো হতেই হয় সজলকে। কারণ আর কিছু নয়, হাজার হলেও ওরা রাস্তার কুকুর। ওদের গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে সে কী আদরের ঘটা সজলের। দেখে অনেকেই অবাক হয়। কেউ মিটিমিটি হাসে। কেউ নাকে রুমাল চাপা দেয়। আবার কেউ ঠোঁট বাঁকিয়ে ‘আদিখ্যেতা’ শব্দটাকে দাঁতে পিষে গিলে নিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যায়।
দূর থেকেই সজলের পায়ের শব্দ পেয়ে যায় ওরা। সজল রাতে পার্টি অফিসে গুলতানি সেরে যে পথে বাড়ি ফেরে, সেদিকটা থানার মোড়। কিন্তু সজল সেই মোড়ে বাঁক নেওয়ার আগেই রে রে করে ছুটে যায় রেজিমেন্ট। একেবারে বাঘা বাঘা চারটে। সেই থানার মোড় থেকে বলতে গেলে সজলকে এসকর্ট করে নিয়ে আসে ওর পথপোষ্যরা। এমন লাফালাফি শুরু করে, দেখে সজলের ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে যায়। বাবা অফিস থেকে ফিরলে সজলরা চার ভাইবোন এভাবেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে যেত।
সজলের সঙ্গে এদিক ওদিক বেরলে মাধুরীরও নিস্তার নেই। কুকুরের পাল মাধুরীকেও ঘিরে ধরে। লেজ নেড়ে নেড়ে আদর চায়। সালোয়ারে, কামিজে পা তুলে দেয়, মুখ ঘষে। মাধুরী ঘেন্নায় মরে যায়। সজল বলে, ‘ওদের একটু ভালোবাসো মধু, মানুষের মতো মুখে মধু আর অন্তরে বিষ নেই ওদের।’
সজলের এই পোষ্যদের জন্য বাড়তি চাল নিতে হয় রাঁধুনিকে। সজলের ওয়ার্ডেই বাজার বসে। বাজার থেকে মাছের কানকো, ফুলকা পাঠিয়ে দেয় আলি। নঈম পাঠিয়ে দেয় মাংসের ছাঁট। কাউন্সিলরকে ভালোবেসেই দেয় ওরা। এই বাড়তি রান্নার জন্য রাঁধুনিকে শুধু বাড়তি টাকা দিতে হয়। দুপুরে ও রাতে খাওয়ার পর বড় একটা পাত্রে ভাত মেখে নিয়ে তিনতলা থেকে নামে সজল। দুপুরে ওর রেজিমেন্ট হয়তো সামনের পুকুর পাড়ে বালির ওপর দাপাদাপি করছে। সজল ‘আতু আয় আয়’ বলে চিৎকার করে ডাকে ওদের। তিরের বেগে ছুটে আসে ওরা। কুকুরদের ডাকতে সজলের ওই আদিখ্যেতার চিৎকার শুনলেও মাধুরী বিরক্ত হয়। বলে, ‘ফ্ল্যাটবাড়িতে এসব চলে না। যত সব গাঁইয়াপনা।’ সজল হাসে। বলে, ‘তুমি বুঝবে না মধু, এই আতু আয় ডাকটার সঙ্গে আমার মা জড়িয়ে আছে। আমি যেন কিছুক্ষণের জন্য মাকেই প্রাণ ভরে পাই। মাকে দেখেছি, পাড়ার মাসিমাদের দেখেছি, খাওয়ার পরে ফেলা ভাত, এঁটোকাঁটা নিয়ে রাস্তার কুকুরকে আতু আয় আয় বলে ডেকে ডেকে খাওয়াত। ল্যাম্পপোস্টের নীচে এঁটোকাঁটা কুকুরের নাম করেই ঢেলে দিয়ে যেত সবাই। সেই ল্যাম্পপোস্টগুলোই কোথায় হারিয়ে গেছে। আর এখন তো সব এঁটোকাঁটা পলিপ্যাকে মুড়ে পুরসভার ময়লা তোলার ভ্যানে তুলে দাও। সব চলে যায় ভাগাড়ে। তাহলে কুকুরগুলো কি আঙুল চুষবে?’ মাধুরী বলে, ‘ঢঙের কথা শুনলে গা-পিত্তি জ্বলে যায়। এখনও যে অত মা মা করে মরো, বলি মা তোমাকে আর তোমার বউকে যেন একেবারে সোনায় মুড়ে দিয়ে গেছে। ভালো ভালো গয়না সব বড়বউ আর ছোটবউ। মেজবউ যেন বাণের জলে ভেসে এসেছে।’ এসব শুনলেই সজলের মটকা গরম হয়ে যায়। বলে, ‘এই যে তুমি এত বড় ফ্ল্যাটে রানির মতো আছো, সেও তো আমার মায়ের দৌলতেই। এই বাড়ি জমি আমার দাদুর ছিল। দাদু মায়ের নামে করে দিয়েছিল।’
সবই বোঝে, মনে মনে সবই স্বীকারও করে মাধুরী। কিন্তু ওর অশান্তির জায়গাটা অন্য। ওই কুকুরের পালই ওর সব শান্তি কেড়ে নিয়েছে। সজল বলে, ‘ভগবান আমাকে সন্তান দেয়নি বলে দুঃখ করিনা। ওরাই আমার সন্তান।’
বিয়েবাড়ি, অনুষ্ঠানবাড়িতে গিয়ে মাধুরীকে রীতিমতো লজ্জায় ফেলে দেয় সজল। ভালো জামা-কাপড়ের সাজগোজ সবই মাটি হয়ে যায়। সজল চারটে পলিপ্যাক সঙ্গে নেবে। নেবেই। খাওয়া দাওয়া সেরে তারপর শুরু হয় ওর অভিযান। টেবিলে টেবিলে গিয়ে বলবে, ‘দয়া করে আপনার এঁটোকাঁটা এই পলিপ্যাকে ফেলুন।’ মাছের কাঁটা আর মুরগির মাংস, খাসির মাংসের হাড়গোড়ই নেয়। বিরিয়ানির মাংস নৈব নৈব চ। কারণ, ওতে ঘি থাকে। পোষ্যরা মুখ ফিরিয়ে নেবে। এঁটো খাবার সংগ্রহ করার জন্যে সজলের হামলে পড়া দেখে চারপাশের নিমন্ত্রিত লোকজন সার্কাস দেখার মজা নিতে থাকে। মুখ লুকিয়ে হাসে মেয়েবউরা। বাড়ির লোকেরা মুখে বিরক্তি প্রকাশ করলেও লোকাল কাউন্সিলরকে সবাই সমঝে চলে, রেয়াত করে। দেখে লজ্জায় মাটিতে মিশে যেতে ইচ্ছে করে মাধুরীর। বাড়ি ফিরে ফাটাফাটি বিতণ্ডা শুরু হয় সজলের সঙ্গে। মাধুরী বলে, ‘তোমার সঙ্গে আর জীবনে যাব না কোথাও।’ কিন্তু প্রতিবারই শপথভঙ্গ করে সজলের সঙ্গী হয় মাধুরী। প্রতিবারই ওই একই নাটক। ঘেন্না ধরে গেছে মাধুরীর। সজল ওর যুক্তি দেখিয়ে বলে, ‘নেমন্তন্ন বাড়িতে আমরা ভালোমন্দ খাব। বাড়িতে রান্না হবে না, তাহলে বাদল, বাদশারা কি পেটে গামছা বেঁধে রাত কাটাবে? স্বার্থপরের মতো কথা বলো যে!’
গত পরশুও বিয়েবাড়িতে ওই একই কাণ্ড করেছে সজল। সে নিয়েই টিপ্পনি কেটেছে তরুণের বউ সুতপা। ভাবলেই গায়ের জ্বালা বেড়ে যাচ্ছে। সুতপার কানের গোড়ায় একটা বাহান্ন সিক্কার চড় কষিয়ে দিতে পারলে যেন স্বস্তি পেত সে।
বাথরুমে গলা ছেড়ে গান ধরেছে সজল। ‘কুছ তো লোগ কহেঙ্গে’। মোটেই বেসুরো নয় সজল। গলায় বেশ সুর আছে। মাধুরীর মনে হল, সজলের মনে ফুর্তি এসেছে। সে বোধহয় এবারের মতো পার পেয়ে গেল।
সত্যি সত্যিই পার পেয়ে গেল মাধুরী। বাথরুম থেকে বেরল এক অন্য সজল। স্নান করে  মেজাজটা একটু ফুরফুরে হয়েছে। সজল তাই মাথার ঠাস বুনোট চুলে তোয়ালে ঘষতে ঘষতে বেরিয়ে মাধুরীর থুতনি ধরে গেয়ে ওঠে, ‘কুছ তো লোগ কহেঙ্গে... মধু, লেট দেম সে। আই মিন ওদের বলতে দাও।’ সজলের এই অদ্ভুত রূপান্তরে অবাক হয় মাধুরী। সজল যে এত সহজে ওকে নিস্তার দেবে, ভাবতে পারছে না সে। ভাবে, ভবি তো ভোলার নয়! কিন্তু সজলের আজ কী হল?
মাধুরীকে আচমকাই জাপ্টে ধরে সজল। মাধুরী নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বলে, ‘ছাড়ো, মাতলামি কোরো না।’ সজল বলে, ‘মধু, আজ আমি মদে নয়, খুশিতে মাতাল হয়ে আছি।’
‘খুশিতে মাতাল! কেন? কী ঘটল এমন?’
‘ঘটেছে, ঘটেছে মধু, ঘটেছে। আজ আমি নোবেল প্রাইজ পেয়েছি।’
‘তোমার যত মাতলামির কথা।’
‘মাতলামিরই কথা মধু। তবে শুধু মদে নয়, খুশিতেও মানুষ মাতাল হয়। আজ আমি সেই খুশিতেই মাতাল। নাও এবার খেতে দাও আমায়।’
খেয়ে দেয়ে পোষ্যদের খাইয়ে নিজের ফ্ল্যাটে ফিরে সজল দেখল মাধুরী শুয়ে পড়েছে। সজল ফ্ল্যাটে তালা আটকে, কিচেনে গ্যাস চেক করে এসে মশারি উঁচিয়ে মাধুরীর পাশে শরীর গড়িয়ে দেয়। মাধুরীকে টেনে পাশ ফিরিয়ে নেয়। মাধুরী কপট বিরক্তি দেখায়। বলে, ‘ছাড়ো, ঘুমতে দাও।’ সজল বলে, ‘তুমি শুনবে না আমার নোবেল প্রাইজ পাওয়ার কথা?’
‘তোমার যত আজগুবি কথা। সুইডেনের লোকেদের আর খেয়ে কাজ নেই। ছাড়ো।’ সজল মাধুরীর মুখের খুব কাছে ঝুঁকে আসে। মশারির নীচে আধো আলো অন্ধকারে সজলের চোখ দুটো জ্বলজ্বল করছে। মাধুরী বলে, ‘কী হল? তোমার ঘাড়ে আবার কোন ভূত চাপল?’ 
সজল গাঢ়স্বরে বলে, ‘সুইডেন আমাকে কী নোবেল দেবে মধু? সুইডেনের সে ক্ষমতা আছে নাকি! আমাকে নোবেল প্রাইজ দিয়েছে তরুণের বউ সুতপা।’ শুনে আঁতকে উঠে বসে পড়ে মাধুরী। বলে, ‘তুমি জানো সুতপা কী বলেছে?’
‘অফকোর্স জানি। সেকথাই তো তুমি আমাকে শোনাতে চাইছিলে বাওয়া। তুমি অত ধানাইপানাই করলে কী হবে বাওয়া, আমি জানি। আমি সব শুনেছি। তোমার সঙ্গে আমি স্রেফ রাগী হিরোর অ্যাক্টিং করছিলাম।’
‘ওরকম একটা জঘন্য কথা শুনেও তোমার লজ্জা করছে না! আশ্চর্য!’
‘মধু, পুরস্কার পেলে কেউ লজ্জিত হয় নাকি?’
‘তুমি জানো? সুতপা তোমাকে কী বলেছে?’
সজল দু’হাতে মাধুরীকে জড়িয়ে নেয়। তারপর কানের কাছে মুখ নিয়ে যায়। আরও গাঢ়স্বরে বলে, ‘জানি তো। সুতপা আমাকে কুকুরের বাবা বলেছে। ও আমাকে শুনিয়েই বলেছে। কিন্তু, ভুল কোরো না মধু। কুকুরের বাচ্চা কথাটা গালাগালি। কিন্তু, কুকুরের বাবা? তুমি যা-ই বলো না কেন, এটা কিন্তু নোবেল প্রাইজ।’
অঙ্কন: সুব্রত মাজী
12th  December, 2021
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
অপরাজিতা
মীনাক্ষী সিংহ

জুনিয়র ডাক্তার সুমন সান্যাল জানিয়ে গেল অপারেশন থিয়েটার রেডি, এবার ডাঃ মিত্রকে যেতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠলেন সার্জেন মাধবিকা মিত্র। আজ একটা ক্রিটিক্যাল অপারেশন। বছর সতেরোর মেয়েটির মায়ের মুখ মনে পড়ল মাধবিকার। বিশদ

18th  February, 2024
একনজরে
শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দীঘার সমুদ্র সৈকতে মিলল নীল ডলফিন!
টিভি বা সিনেমার পর্দায় নয়, নীল রঙের বিরল প্রজাতির ডলফিনের ...বিশদ

06:36:06 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): বিকেল ৫টা পর্যন্ত লাক্ষাদ্বীপে ৫৯.০২ শতাংশ, জম্মু ও কাশ্মীরে ৬৫.০৮ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৬৩.২৫ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে ৫৪.৮৫ শতাংশ, মণিপুরে ৬৭.৬৬ শতাংশ ভোট পড়ল

06:33:54 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): বিকেল ৫টা পর্যন্ত মেঘালয়ে ৬৯.৯১ শতাংশ, মিজোরামে ৫২.৭৩ শতাংশ, নাগাল্যান্ডে ৫৫.৭৯ শতাংশ, পুদুচেরীতে ৭২.৮৪ শতাংশ ও রাজস্থানে ৫০.২৭ শতাংশ, সিকিমে ৬৮.০৬ শতাংশ ভোট পড়ল

06:33:54 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): বিকেল ৫টা পর্যন্ত আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জে ৫৬.৮৭ শতাংশ, অরুণাচল প্রদেশে ৬৩.৪৪ শতাংশ, অসমে ৭০.৭৭ শতাংশ, বিহারে ৪৬.৩২ শতাংশ, ছত্তিশগড়ে ৬৩.৪১ শতাংশ ভোট পড়ল

06:33:54 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): বিকেল ৫টা পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে ৬২.০২ শতাংশ, ত্রিপুরাতে ৭৬.১০ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ৫৭.৫৪ শতাংশ, উত্তরাখণ্ডে ৫৩.৫৬ শতাংশ ভোট পড়ল

06:26:06 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): বিকেল ৫টা  পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারে ৭৫.৫৪ শতাংশ, কোচবিহারে ৭৭.৭৩ শতাংশ ও জলপাইগুড়িতে ৭৯.৩৩ শতাংশ ভোট পড়ল

05:56:30 PM